পাঠকের পাতা
‘শিক্ষা পরামর্শ’-এর জন্য কৃতজ্ঞতা
আমি মাসিক আলকাউসারের একজন নিয়মিত পাঠক। দুই বছর যাবৎ এই পত্রিকাটি পড়ছি। প্রতিবারই হাতে নেওয়ার পর দুই জায়গায় চোখ আটকে যায়– ১. প্রিয় সম্পাদকের লেখা ২. আনওয়ারুল কুরআন বিভাগ।
এবার ‘শিক্ষা পরামর্শ’ পেয়ে অভাবনীয় আনন্দ উপলব্ধি করলাম অন্তরে। শিক্ষা পরামর্শ থেকে অনেক ইস্তেফাদা করেছি। এর জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি এবং আলকাউসার পরিবারের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আলকাউসার থেকে কতভাবে যে উপকৃত হয়েছি, তা বলার ভাষা আমার নেই। বিশেষ করে পত্রিকাটির পরশে আমার চিন্তা-চেতনায় ভারসাম্য এসেছে আলহামদু লিল্লাহ। আল্লাহ পত্রিকাটিকে সাফল্য ও ব্যাপক প্রসার দান করুন।
–আমানুল্লাহ
হাটহাজারী, চট্টগ্রাম
এ যুগের তরুণদের জন্য হারাম রিলেশন, গান-নাটক-সিনেমা, অনলাইনের বিভিন্ন গেমের ভয়াবহতা ইত্যাদি নিয়ে লেখা চাই
আমি জেনারেল লাইনে পড়ুয়া একজন মানুষ। ম্যাগাজিন মাসিক আলকাউসারের নাম আগে শুনেছি, কিন্তু দেখা বা পড়া হয়নি কখনো। সম্প্রতি কিছুদিন থেকে নিয়মিতই পড়ার সুযোগ হচ্ছে আলহামদু লিল্লাহ। আমার কাছে মনে হচ্ছে, যারা নিয়মিত ইসলামী বই পড়ার বা কেনার সুযোগ পান না, তারা এই ম্যাগাজিনটি সংগ্রহ করে পড়তে পারেন। এতে দারুণ ফায়দা হবে।
আমি আসলে এখন ম্যাগাজিনটির ভক্ত হয়ে গিয়েছি। সব ধরনের আলোচনাই এতে থাকে। কুরআন, হাদীস, আত্মশুদ্ধি, আখলাক, রাজনৈতিক বিশ্লেষণ, দেশ ও বিদেশি নানা খবরাখবরসহ ‘আপনি যা জানতে চেয়েছেন’, ‘প্রচলিত ভুল’ অংশটুকু সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জেনারেল পড়ুয়াদের জন্য, এ যুগের তরুণদের জন্য, হারাম রিলেশন, ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ, গান-নাটক-সিনেমা-অনলাইনের বিভিন্ন গেমের ভয়াবহতা ইত্যাদি নিয়ে লেখা চাই।
আল্লাহ্ই তাওফীকদাতা। জাযাকুমুল্লাহু খইরান।
–সিরাজুম মুনিরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
যদি পারতাম গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘরে আলকাউসার পৌঁছে দিতে!
আলকাউসার কেবল একটি মাসিক পত্রিকা নয়, হাজারো পথহারা পথিকের পথের দিশারি, জ্ঞানহীন মানুষের আলোর দিশারি।
আমি মাঝে মাঝে প্রিয়জনদেরকে হাদিয়া দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি চেষ্টা করি সেইসকল যুবকদের অন্তরেও আলকাউসারের প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে, যাদের সাথে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক আছে, তবে আমার মতো দ্বীনী শিক্ষায় শিক্ষিত নয়।
মাঝে মাঝে আমার দিল চায়, আমি যদি পারতাম গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘরে আলকাউসার পৌঁছে দিতে! যদি পারতাম গ্রাম বাংলার প্রতিটি যুবক-যুবতীকে আলকাউসারের পাঠক-পাঠিকারূপে গড়ে তুলতে!
যদি গ্রাম বাংলার দ্বীনী শিক্ষায় শিক্ষিত প্রতিটি যুবক ভাই উদ্যোগ গ্রহণ করত আলকাউসারের আলোকবার্তা প্রতিটি ইসলামপ্রিয় হৃদয়ে পৌঁছে দেওয়ার! যদি প্রতিটি মসজিদের ইমাম, খতীব, মুআযযিন সাহেবগণ উদ্যোগ গ্রহণ করতেন তাদের সমাজের প্রতিটি ঘরে ঘরে আলকাউসারের আলোক প্রদীপ পৌঁছে দেওয়ার! তাহলে যেমন আলকাউসারের প্রসার হত, তেমনি দাওয়াতের কাজও হয়ে যেত নিরবচ্ছিন্নভাবে। আর জ্ঞানের সঠিক আলো ছড়িয়ে পড়ত গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘরে।
পরিশেষে মহান প্রভুর দরবারে আকুল আবেদন– তিনি যেন আমাদেরকে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করার তাওফীক দান করেন এবং প্রিয় আলকাউসারকে কবুল করেন– আমীন।
–এইচ এম বেলাল ফরিদী
নোয়াখালী
প্রতীক্ষায় আছি একটি সীরাত সংখ্যার
১৪৪৭ রবিউল আউয়াল শুরু হয়েছে। প্রতীক্ষায় আছি প্রিয় পত্রিকাটির। সাথে রবিউল আউয়াল উপলক্ষে আলকাউসারের একটি ‘সীরাত সংখ্যা’রও প্রতীক্ষায় আছি।
যদি আলকাউসারের একটি সীরাত সংখ্যা হত, তাহলে কুরআনুল কারীম সংখ্যার মতো সমাদৃত হত। আমি সেই স্বপ্ন লালন করি এবং দুআ করি– কুরআনুল কারীম সংখ্যার মতো আলকাউসারের একটি সীরাত সংখ্যাও প্রকাশিত হোক।
দুরুদুরু বুকে আরেকটি আবেদন পেশ করছি– ‘আনওয়ারুল কুরআন’ বিভাগের মতো যদি ‘সীরাতুন্নবী’ বিভাগের সূচনা হত, তাহলে পাঠক অনেক উপকৃত হত! পথহারা উম্মত খুলুকে আযীমের ঐশী সরোবর থেকে তৃপ্ত ও পরিতৃপ্ত হত।
–তাবশীর আহমাদ আফনান
আহমাদাবাদ, মাদারীপুর
শিক্ষার্থীদের পাতার ২য় সংকলন প্রকাশিত হোক
হিফজ শেষ করে উর্দু জামাতে ভর্তি হয়েছি। মাদরাসায় এসে দেখি ছাত্রদের হাতে হাতে ‘আলকাউসার’। সেদিন থেকেই আমি আলকাউসারের নিয়মিত পাঠক। বিশেষ করে ‘শিক্ষার্থীদের পাতা’ খুব মনোযোগ সহকারে পড়ি ।
তার কিছুদিন পরেই সন্ধান পেলাম, ‘শিক্ষার্থীদের পাতা’র সংকলন, ‘তালিবানে ইলম : পথ ও পাথেয়’ বইটির। এ যেন রত্নভান্ডার হাতে পেলাম। তা থেকে আমি অনেক উপকৃত হয়েছি এবং অনেককে বইটি পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছি। এছাড়াও দরদি উস্তাযগণ ছাত্রদেরকে বইটি পড়তে পরামর্শ দিয়ে থাকেন ।
আলকাউসার কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন, আলকাউসারের বাকি সংখ্যাগুলোর ‘শিক্ষার্থীদের পাতা’ বিভাগটির সংকলন তৈরি করে দ্রুত প্রকাশ করা হোক এবং একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আবদার হল, শিক্ষার্থীদের পাতা বিভাগ নিয়মিত প্রকাশিত হোক। তাহলে হাজারো তালিবুল ইলম উপকৃত হবে, ইনশাআল্লাহ।
–আল-আমিন সাকী
কাটাখালী, রাজশাহী
কেন আমি আলকাউসার-এর নিয়মিত পাঠক
‘আলকাউসার’ নিছক একটি পত্রিকা নয়। এটি আমার কাছে এক অমূল্য জ্ঞানভান্ডার। অল্প কয়েক পাতার হলেও বুকে ধারণ করে আছে বিশাল আকাশ। বহু আগ থেকেই এর সাথে আমার পরিচয়।
এখনো মনে পড়ে, আমি জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদরাসায় হেদায়াতুন্নাহু জামাতে পড়ি। আমার শ্রদ্ধাভাজন উস্তায মাওলানা আব্দুল্লাহ আলমামুন সাহেব দা. বা. আমাকে আলকাউসারের ‘শিক্ষার্থীদের পাতা’ অধ্যয়নের পরামর্শ দেন। পরামর্শ দিয়েই ক্ষান্ত হননি; বরং নিয়মিত সারসংক্ষেপ শুনতেন এবং মূল্যবান সময় ব্যয় করে শিক্ষার্থীদের পাতার তালীম দিতেন। তখন থেকেই এর সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা। নিয়মিত প্রতি মাসেই সংগ্রহ করতাম ও পড়তাম। সময়ের সাথে কুলিয়ে উঠতে না পেরে শুধু শিক্ষার্থীর পাতাই খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তাম।
আমি মোবাইলরূপী ‘মিজাইল’ থেকে দূরে ছিলাম। উস্তাযজীর নির্দেশে কাছেও যেতাম না। তবে মন চাইত বাইরের কিছু খবরাখবর জানতে এর শরণাপন্ন হতে। তাই একদিন উস্তাযজীকে নিজের অবস্থা খুলে বললাম। তিনি আমাকে শিক্ষার্থীদের পাতার সাথে ‘ফিলহাল’-এর পাতাও পড়তে বললেন। আমি তা-ই পড়তাম। খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। তবুও মোবাইলের কাছে যেতাম না।
কিছুদিন বাদে প্রকাশিত হল ‘খবর... অতঃপর...’-এর পাতা। আমার মনটা খুশিতে ভরে গেল। শুরু হল ‘খবর... অতঃপর...’-এর পাতা অধ্যয়ন। তখন আমার মনে হত মাদরাসার চার দেয়ালের ভেতরে আছি, তবে বাইরের জগৎ সম্পর্কে বেখবর নই।
আলকাউসারের তিনটি বিভাগ আমাকে অনেক বেশি উপকৃত করেছে। এক. শিক্ষার্থীদের পাতা, দুই. খবর... অতঃপর..., তিন. আনওয়ারুল কুরআন বিভাগ। আমি এ তিন বিভাগের আশেক পাঠক ছিলাম এবং এখনো আছি।
–মোহাম্মাদ ওমর ইবনে হুসাইন
বাইতুল উলূম ঢালকানগর, ঢাকা
বায়তুল মোকাররমের জুমার বয়ান নিয়মিত ছাপার আবেদন
আমি প্রায় দেড় বছর যাবৎ আলকাউসার পত্রিকার নিয়মিত পাঠক। পত্রিকার সব লেখা অবশ্য পড়ার সুযোগ হয় না। কিন্তু অধিকাংশ লেখা খুব আগ্রহের সাথে পড়ি।
সর্বপ্রথম পড়ি ‘সম্পাদকীয়’ তারপর ‘আপনি যা জানতে চেয়েছেন’। আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে এই বিভাগটি। যেমন, গত জুন ২০২৫ সংখ্যায় কুরবানী বিষয়ক কিছু প্রশ্ন ও হাদীস জানার ছিল। তা আমি সহজেই পেয়ে যাই। আমি দেশের অনেক পত্রিকা-ই পড়ি, কিন্তু আলকাউসার পত্রিকা পড়ে সবচে বেশি উপকৃত হই। আলকাউসার পরিবারের কাছে অনুরোধ, প্রতি সংখ্যায় মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক সাহেব হুজুরের লেখা এবং জুমার বয়ান যেন ছাপা হয়। অল্প কিছু হলেও থাকুক। এটা আমরা প্রত্যাশা করি।
আলকাউসার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আলকাউসারের সাপ্লিমেন্ট ত্রৈমাসিক নারী এবং ত্রৈমাসিক শিশুকিশোর প্রকাশের জন্য। এগুলো দ্বারা আমাদের ছোটরা ও মা-বোনেরা উপকৃত হচ্ছেন। সর্বশেষ আলকাউসার পরিবারকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আল্লাহ তাআলা যেন তাদের এই প্রচেষ্টা কবুল করেন– আমীন।
–শেখ নওশাদ
তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ