পাক-আফগান সীমান্ত সংঘর্ষ
‖ এখনই বন্ধ করুন, আলোচনায় বসুন
আমাদের মুসলমানদের ইজতেমায়ী পাপ ও ইসলামের শিক্ষা ভুলে যাওয়ার পরিণামস্বরূপ উম্মতে মুসলিমার দুর্দশা যেন থামার নামই নিচ্ছে না। দীর্ঘ দুই বছর পর মধ্যপ্রাচ্য থেকে যে সামান্য একটু স্বস্তির সংবাদ এসেছে, এরই মধ্যে দুটি ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম রাষ্ট্র পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। চলতি মাসে (অক্টোবর ২০২৫) পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অব্যাহত সীমান্ত উত্তেজনা সংঘর্ষের পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়। উভয়পক্ষ একে অন্যের সীমান্তের ভেতরে হামলা করে বসে। যাতে দুই দেশেরই বহু সামরিক-বেসামরিক লোকের প্রাণহানি ঘটে। স্বাভাবিকভাবেই এতে এক দেশ অন্যদেশকে দায়ী করে যাচ্ছে। কয়েকদিনের যুদ্ধবিরতির পর আবার শুরু হয় তুমুলভাবে। যাতে আরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। একথাগুলো যখন লেখা হচ্ছে তখন ৪৮ ঘণ্টার সিজ ফায়ার চলছে।
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পাকিস্তান আফগানিস্তানের দ্বন্দ্ব অনেক পুরোনো। যদিও আফগানিস্তানের সর্ববৃহৎ জাতিগোষ্ঠী পখতুন এবং পাকিস্তানেরও একটি প্রদেশের প্রায় সকলেই এবং অন্য প্রদেশের একটি বিশাল অংশ পখতুন জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। সেদিক থেকে সভ্যতা, সংস্কৃতি, ধর্ম ও আখলাক-তবিয়তসহ অনেক দিক থেকেই এ অঞ্চলের মানুষ একাকার হয়ে আছে। তবুও এই দুটি রাষ্ট্রের সরকারগুলো প্রায় পরস্পরবিরোধী অবস্থান অবলম্বন করে থাকে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রকাশ্য বা মৃদু শত্রুতা এদেরকে আচ্ছন্ন করে রাখে। পাকিস্তান রাষ্ট্র যখন ১৯৪৭ সালে জন্ম নেয় তখনো আফগানিস্তানের তৎকালীন সরকার প্রধান পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছিলেন। বিরোধিতা করে ইংরেজদের কাছে নালিশ করেছিলেন। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেহেরুর সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন।
এবারের পাক-আফগান যুদ্ধের সূত্রপাত টিটিপি (তেহরিকে তালেবান পাকিস্তান)-এর কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্র করে। বছর দুয়েক আগে যখন পাকিস্তানের বর্তমান সরকার ক্ষমতায় বসে, তখন থেকে টিটিপি আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিশেষত ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান (তালেবান সরকার) দেশটির ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকে টিটিপির তৎপরতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। একই ধর্মবর্ণ, একই জাতিগোষ্ঠী এবং অনেকটা একই মতাদর্শের হওয়ায় টিটিপির লোকেরা আফগানিস্তানে বসে প্রশিক্ষণ নেওয়া, অবস্থান করা এবং মাঝেমধ্যেই পাকিস্তানের সীমান্ত প্রদেশ খাইবার পাখতুনখার বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা করে যাচ্ছে। যাতে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিসারসহ বহু সামরিক-বেসামরিক লোক হতাহত হচ্ছিল।
এরই মধ্যে পাক সরকার টিটিপির বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। যাতে দুই পক্ষেরই বহু মানুষ দেদারসে মারা যাচ্ছে। টিটিপির বাড়তি সুবিধা হচ্ছে, তারা এখানে হামলা করেই সীমান্তের ওপারে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারছে। পাকিস্তান সরকার এ নিয়ে বারবার আফগানিস্তানকে অনুরোধ করেছেন, যেন টিটিপিকে তারা আশ্রয় না দেয় এবং পাকিস্তানে হামলা করার সুযোগ না দেয়। কয়েকবার দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে ইসলামাবাদ ও কাবুলে বৈঠকও হয়েছে।
পাকিস্তানের উলামায়ে কেরামও ইমারাতে ইসলামিয়ার সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছেন, যেন পাকিস্তান সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাদের দেশকে ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া না হয়। কিন্তু টিটিপির তৎপরতা থামেনি; বরং তা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটিই এখন পৌঁছে গেছে সরাসরি দুই দেশের মধ্যে সংঘাতপূর্ণ যুদ্ধের পর্যায়ে।
সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হল, যখন পাক-আফগান যুদ্ধ চলছিল তখন দুপাশের সেনারাই ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি তুলে গুলি চালাচ্ছিল। এ এক নির্মম পরিহাস! মুসলমান মুসলমানের বিরুদ্ধে হাতিয়ার ওঠাচ্ছে ধর্মের দোহাই দিয়ে! বিদেশে গিয়ে ইসলামের শত্রুদের সাথে বন্ধুত্ব করছে উভয় দেশের কর্তারা, কিন্তু কয়েক শ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে একে অন্যের সাথে হাত ও গলা মেলাচ্ছে না। কথা-বার্তা বলছে না। একবার-দুবার-তিনবার যদি আলোচনা ব্যর্থ হয়, সেটি দশবারও তো করা যায়। তা না করে নিজেদের শক্তি একে অন্যকে মেরেই খর্ব করা হচ্ছে। মুসলিম শাসকগোষ্ঠীর এধরনের অপরিণামদর্শিতা ও হঠকারিতাই মুসলিম উম্মাহর দুর্দশা দিন দিন বাড়িয়ে তুলছে। পাকিস্তান সরকারকে ইদানীং আমেরিকার সাথে অনেক ঘনিষ্ঠ হতে দেখা যাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে হয় তাদের ‘জানি’ বন্ধু। শাহবাজ শরীফ ও সায়্যেদ আসেম মুনিররা কি জানেন না, ট্রাম্প ও তার মতো লোকেরা এবং তাদের আমেরিকা দেশ নিজেদের মতলব ছাড়া কোনো মুসলমান বা মুসলিম দেশের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়ায় না। আলকাউসারের সম্পাদকীয় নিবন্ধে পাকিস্তানের ট্রাম্প ঘনিষ্ঠতার কথা বলতে গিয়ে আমরা আগেও বলেছিলাম, ‘ট্রাম্পের মতো লোকেরা যাদের বন্ধু হয়, তাদের শত্রুর প্রয়োজন হয় না।’
সুতরাং পাকিস্তানকে নিজেদের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে আরও সতর্ক ও বিচক্ষণ হওয়া দরকার। আসেম মুনির ও শাহবাজ শরীফদের ভুলে গেলে চলবে না, পাকিস্তান একটি সাধারণ রাষ্ট্র নয়; বরং এটি মুসলিম বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র। তাদের সামরিক শক্তি পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সামরিক শক্তিগুলোর একটি। কয়েক মাস আগেও অন্যতম বৃহৎ সামরিক শক্তিধর দেশ ভারতকে কুপোকাত করে পুনরায় প্রমাণও দিয়েছে। এ শক্তিকে আরও সমৃদ্ধ করা এবং মুসলিম উম্মাহর মুক্তি ও সার্বভৌমত্বের পেছনেই কাজে লাগানো তাদের দায়িত্ব। কোনো মুসলিম রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার বা সংঘাতে যাওয়ার চিন্তাও মাথায় আনা উচিত নয় তাদের। কোনো পক্ষ থেকে উসকানি এলে সেটিকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার সর্বশেষ চেষ্টাও করা উচিত।
অন্যদিকে আফগানিস্তানের বর্তমান তালেবান সরকার ক্ষমতায় বসার পর শত শত বছর থেকে ইসলামী ইমারাত ও খেলাফত থেকে বঞ্চিত বিশ্বের ইসলামপন্থি মানুষের মধ্যে খুশি ও আনন্দের জোয়ার বয়ে গিয়েছিল। মাসিক আলকাউসারের সম্পাদক কর্তৃক তখন একটি নাতিদীর্ঘ নিবন্ধও লেখা হয়েছিল, যা ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে অন্যান্য দেশেও প্রচারিত হয়েছে। ইমারাতে ইসলামিয়া তালেবান সরকারের কর্মকাণ্ড ও তাদের ভালোমন্দের খবর বিশ্বমিডিয়ার তেমন প্রচারণা না পেলেও দ্বীনদার মুসলমানদের শুভকামনা ও দুআ তাদের জন্য বরাবরই রয়েছে। শিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে তাদের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত ও নীতির বিষয়ে বিশ্বের বড় বড় আলেমদের ভিন্নমত থাকলেও সামগ্রিকভাবে তাদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত ছিল এবং আছেও। কিন্তু এ সরকারের পররাষ্ট্র নীতির কিছু কিছু বিষয় বিশ্বের মুসলমানদেরকে হতভম্ব করে তুলছে।
এটা তো মানুষ মেনে নিয়েছে যে, গাজার দুই বছরের এ নির্মম জুলুম ও জাতি নিধন কর্মকাণ্ডে আফগান সরকার ন্যূনতম কোনো ভূমিকাই রাখেনি। কারণ তারা দীর্ঘ যুদ্ধের পর ক্ষমতায় বসেছে।
এ অবস্থায় নিজ রাষ্ট্র ও জাতিকে নিয়ে কাজ করাই তো ছিল প্রথম প্রয়োজন। কিন্তু বিশ্বের একমাত্র ইমারাতে ইসলামিয়া যখন নেতানিয়াহুর সাথে যৌথভাবে বিশ্বের প্রধান ঘৃণিত ও চিহ্নিত ইসলামের শত্রু নরেন্দ্র মোদির বন্ধু হয় এবং তার আতিথ্য গ্রহণ করে, তাদের সাথে ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে, তখন মুসলমানরা হতবাক হয়ে যায়।
যেদিন পাক-আফগান যুদ্ধ শুরু (৯ অক্টোবর ২০২৫) হয়, সেসময় আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমীর খান মুত্তাকি ভারত সফরে ছিলেন। নরেন্দ্র মোদির লোকজন তাকে ভালোই আতিথ্য দিয়েছে। অথচ এই নরেন্দ্র মোদি ও তার সরকার এক যুগেরও বেশি সময় থেকে ভারতীয় মুসলমানদের ওপর বর্বরোচিত জুলুম-নির্যাতন করে যাচ্ছে। শহীদ করেছে অসংখ্য মুসলমান ও তাদের বহু মসজিদ। শুধু তাই নয়, তাদের পার্শ্ববর্তী আরেকটি মুসলিম রাষ্ট্রে এই নরেন্দ্র মোদিরাই পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে টিকিয়ে রেখেছিল ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীকে। আর অন্য প্রতিবেশী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর তো তাদের এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে নিয়মিতই গুপ্ত হামলা ও হত্যা হয়ে থাকে। তাদের সাথেই কি না হাত মিলিয়েছে ইমারাতে ইসলামিয়ার সরকার!
এসব দেখে ইতিহাসের ছাত্ররা আগেকার সময়ের ইসলামী সরকারগুলোর পতনের কারণের সাথে এগুলোর মিল-অমিল খুঁজছে। তালেবানের প্রতিষ্ঠাকলীন আমীর মোল্লা মুহাম্মাদ ওমর রহিমাহুল্লাহর আচরণ কিন্তু এমন ছিল না। তিনি সত্যিকার অর্থেই মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে বন্ধুত্ব এবং ইসলামের দুশমনদের সাথে শত্রুতার নীতি বজায় রেখেছিলেন।
১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত যখন তাঁর সরকার ছিল, তখন তিনি শুধু প্রতিবেশী পাকিস্তান রাষ্ট্রের সাথেই সুসম্পর্ক বজায় রাখেননি; বরং ভারত সরকার কর্তৃক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের মুসলমানদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদেও মুখর ছিলেন। অথচ আজ তাঁর অনুসারীরাই নরেন্দ্র মোদি ও দিল্লির খাস বন্ধু! তারাই নিজেদের ভূমিতে আশ্রয় দিচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে। যাদের যুদ্ধ ও বিদ্রোহ বিশ্বের হক্কানী উলামায়ে কেরামের মতে পরিপূর্ণভাবেই ইসলাম বিরোধী।
কেউ কেউ সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক আফগানিস্তানের বাগরাম ঘাঁটি দখলে নেওয়ার ঘোষণার সাথে বর্তমান পাক-আফগান যুদ্ধকে মেলাতে চান। তাদের কথা হল, পাকিস্তান ট্রাম্প আফগানিস্তানের ভূমি দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। অথচ ওয়াকিফহাল মহল জানেন, এটি সম্পূর্ণই ভ্রান্ত কথা। কারণ, কিছু দিন আগে মস্কোতে অনুষ্ঠিত চায়না, রাশিয়া, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সম্মেলনে পাকিস্তানও অংশগ্রহণ করেছিল। সেখানে তারা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছিল, ‘আমরা আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের প্রতি অঙ্গিকারাবদ্ধ। আফগান ভূমি ভিন্ন কোনো দেশের দখলে নেওয়া বা ব্যবহার করার সুস্পষ্ট বিরোধী।’ একই ঘোষণা আফগান মন্ত্রীদের পাকিস্তান সফরকালেও দেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য বাহিনী যে দোহা চুক্তির মাধ্যমে বিদায় নিয়েছিল, সে চুক্তিতেও পাকিস্তানের সরাসরি সহযোগিতা, মধ্যস্থতা ও ইতিবাচক ভূমিকা ছিল। সুতরাং অযথা অজুহাত দাঁড় করানো সত্যের অপলাপ মাত্র।
আমরা বিনীতভাবেই ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দুটি দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সরকারের কাছে অনুরোধ রাখব, আল্লাহর ওয়াস্তে নিজেদের মধ্যে সংঘাত বন্ধ করুন। নিজেদের শক্তি মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যয় করে খর্ব করবেন না। আলোচনার টেবিলে বসে সব বিষয়ে সমাধানের চেষ্টা করুন। পাকিস্তানকে অবশ্যই আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা ও সাহায্য দিতে হবে এবং অব্যাহত রাখতে হবে। ইসলামী শাসনব্যবস্থা যদি একটি সরকার কোনো অঞ্চলে কায়েম করতে পারে, তাহলে সেটি তো সকল মুসলমানেরই লাভ। কাবুল ও ইসলামাবাদ তো অনেক দূর নয়। প্রতি সপ্তাহে আলোচনায় বসতেও তো কোনো সমস্যা নেই। অন্যদিকে পাকিস্তানে ইসলামী শাসনব্যবস্থা নেই, এই অজুহাতে আফগানিস্তানের ভূমিকে কিছু গোষ্ঠীর জন্য পাকিস্তানে হামলা করার সুযোগ করে দেওয়া কোনোক্রমেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। সৌদি আরবসহ বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রেও তো ইসলামী শাসনব্যবস্থা নেই। তো আফগানী বা টিটিপিরা কি সেখানে গিয়ে হামলা করছে বা করা উচিত?
মনে রাখতে হবে, হঠকারিতা শুধু নিজেদের অধঃপতনকেই টেনে আনবে। তাই সকল পক্ষের নমনীয়তার কোনো বিকল্প নেই।
اَللّٰهُمَّ أَلِّفْ بَيْنَ قُلُوْبِنَا، وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِنَا، وَاهْدِنَا سُبُلَ السَّلَامِ، وَنجِّنَا مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلى النُّورِ.
হে আল্লাহ! আমাদের অন্তরগুলো মিলিয়ে দিন; সম্প্রীতি দান করুন। আমাদের মাঝের বিবাদ মিটিয়ে দিন। আমাদের পরিচালিত করুন শান্তির পথসমূহে। আমাদেরকে সমূহ অন্ধকার থেকে মুক্ত করে আলোর পথ দেখান।
–আবুল হাসান মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ
১৬-১০-২০২৫ ঈ.