পাঠকের পাতা
আমি পেয়ে গেছি আমার পাথেয়
আমি একজন মাওলানা তালিবুল ইলম। ২০২০ সালে তাকমীল ফিল হাদীস সম্পন্ন করি। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপনের পর থেকে দিলের একটা তামান্না ছিল, কোথাও কোনো দরদে দিল মাহের রাহবার প্রদত্ত মুতালাআর সুচিন্তিত পাঠ্য তালিকা পেলে আমার পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করব। আলহামদু লিল্লাহ, আল্লাহ তাআলা হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক ছাহেব দা. বা.-এর মাধ্যমে আমার আশা পূরণ করছেন। ২০২৫ জুন, জুলাই ও আগস্ট সংখ্যার শিক্ষার্থীদের পাতায় প্রকাশিত–
الفقہ العام للدین کی تھوڑی سی تفصیل
প্রবন্ধটি আমার তৃষ্ণা নিবারণ করেছে।
তিনটি সংখ্যা যত্ন করে আমার মুতালাআর টেবিলে রেখেছি। এখন থেকে ইযাফি মুতালাআ যা হবে, এটি সামনে রেখে হবে, ইনশাআল্লাহ।
–নূর হুসাইন দুলাল
মৌলভীবাজার
আলকাউসার তালিবুল ইলমের ইলমী সফরের সহযোগী
‘শিক্ষা পরামর্শ’ নিয়মিত প্রকাশের আবেদন
আমি আলকাউসারের একজন নিয়মিত পাঠক। মাসের প্রথম তারিখ থেকেই হৃদয়ে একধরনের ব্যাকুলতা অনুভব করতে থাকি যে, প্রিয় আলকাউসার কবে হাতে আসবে! হাতে আসা মাত্রই হৃদয়ে আনন্দের ঢেউ খেলে যায়, যেন বাবার পক্ষ থেকে নতুন জামা উপহার! আর যখন দেখি ‘শিক্ষার্থীদের পাতা’ বিভাগে লেখা এসেছে, তখন তো আর আনন্দের সীমা থাকে না।
কারণ এই বিভাগে যত লেখা আমার পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে, প্রতিটি লেখাই আমার ইলমী বিভিন্ন ক্ষেত্রে দারুণভাবে পাথেয় জুগিয়েছে!
তবে মনে একটা কৌতূহল ও একটু কষ্ট বহুদিন থেকেই আমাকে বিচলিত করে আসছিল! আর তা হল, একটা সময় আমার মতো বহু তালিবুল ইলম আলকাউসারের ‘শিক্ষা পরামর্শ’ বিভাগ থেকে প্রচুর ইস্তিফাদা করার সুযোগ পেয়েছিল, যা আজও ‘তালিবানে ইলম : পথ ও পাথেয়’ শীর্ষক গ্রন্থে সংরক্ষিত আছে এবং বহু তালিবুল ইলম এখনো তা থেকে উপকৃত হচ্ছে এবং হবে (ইনশাআল্লাহ)।
তো সময় ও অবস্থার পরিবর্তনে নতুন নতুন আরও কত কিছুই তো জানার প্রয়োজন অনুভূত হয়, কিন্তু হঠাৎ কেন যেন ‘শিক্ষা পরামর্শ’ একরকম বন্ধই হয়ে গেল!
তবে হাঁ, ভবিষ্যতে যদি আবার কোনোদিন আলকাউসার পরিবার আমাদের এই আকুতির প্রতি সদয় হতেন এবং আমাদের তালিবুল ইলমের যামানায় আবার এই বিভাগের কার্যক্রম চালু করে আমাকে এবং আমার মতো বহু তালিবুল ইলমকে উপকৃত হওয়ার সুযোগ করে দিতেন, তবে কৃতজ্ঞ হতাম।
–সাকিব বিন হাবীব
গেন্ডা, সাভার, ঢাকা
আলকাউসার জেনারেল শিক্ষিত ভাইদের জন্যও সমান উপকারী
আমার মনে হয়েছে, মাসিক আলকাউসার পত্রিকাটি যেভাবে মাদরাসার ছাত্রদের জন্য উপকারী, তেমনি জেনারেল শিক্ষিত ভাইদের জন্যও সমান উপকারী। পত্রিকাটি কেউ নিয়মিত পড়লে সমসাময়িক বিষয়ে ইসলামী দৃষ্টিকোণ পরিষ্কারভাবে জানতে পারবে। বিশেষ করে সম্পাদক সাহেব এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে উত্তম বিনিময় দান করুন।
জেনারেল শিক্ষিত ভাইদের কাছে বেশি করে পৌঁছানো হোক আলকাউসার। আমি অনুমানিক দশ বছর থেকে আলকাউসারের পাঠক। এ দীর্ঘ সময় আলকাউসার থেকে কতভাবে যে উপকৃত হয়েছি, তা বলার ভাষা আমার নেই। শুধু সংশ্লিষ্ট সকলকে বলব, জাযাকুমুল্লাহ।
–মারুফ আহমাদ
আলকাউসারের পরশে শুদ্ধ হয়েছি!
আমি একসময় অবিন্যস্ত চিন্তা-দর্শনের মাঝে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম; মহান রবের কৃপায় একদিন ‘আলকাউসার’ নামের কষ্টিপাথরের সন্ধান পেলাম।
তাতে সযত্নে নিয়মিত স্থান পায়– কুরআন-সুন্নাহ্র দ্যুতিময় আলো, সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহের বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ, শরয়ী বিধানাবলির ব্যাখ্যাধর্মী ও বোধগম্য উপস্থাপন, গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী ব্যক্তিত্বদের জীবনবৃত্তান্ত ও তাদের অমূল্য বক্তব্য, শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিবেচিত পরামর্শ ও প্রশ্নোত্তর, জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়াবলির শরয়ী সমাধান, প্রিয় সম্পাদক সাহেবের বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধ, শ্রদ্ধেয় হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক ছাহেবের হৃদয়ছোঁয়া বক্তব্য ইত্যাদি।
পত্রিকাটির পরশে আমার যওক-রুচি ও চিন্তা-অনুভূতি ক্রমশ শুদ্ধতার আবরণে আবৃত হয়ে চলেছে!
ইসলামকে তার ‘স্বরূপে’ জানার স্বার্থে বাংলা ভাষাভাষী মুসলিম মাত্রই ম্যাগাজিনটির পাঠক হওয়া উচিত!
আল্লাহ পত্রিকাটিকে উত্তরোত্তর সাফল্য ও ব্যাপক প্রসার দান করুন!
–আসাদ জামান
টেকনাফ, কক্সবাজার