পাঠকের পাতা
পাঠকদের উদ্দেশে নিবেদন
আলহামদু লিল্লাহ! আমি আলকাউসার পত্রিকার কেবলমাত্র একজন পাঠকই নই, চেষ্টা করি এই পত্রিকা আমার সকল পরিচিতদের নিকট পৌঁছে দিতে। আল্লাহর শোকর! এ পর্যন্ত যাদের নিকট আমি পৌঁছাতে পেরেছি, তারা প্রায় সকলেই এখন আলকাউসারের নিয়মিত গ্রাহক ও পাঠক।
বিশেষত দ্বীন পালনে আগ্রহী শিক্ষিত মহলে আলকাউসার প্রচার করে আমি কল্পনাতীত সাড়া পেয়েছি। তাই ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রিয় পাঠকদের সমীপে অনুরোধ জানাচ্ছি, তারা নিজেরাও যেন এর প্রচার-প্রসারে অংশ নেন।
আরেকটি নিবেদন হল, আলকাউসার নামে ‘পত্রিকা’ হলেও এটি মূল্যবান কিতাব-পত্রের মতোই উপকারী ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই অন্যান্য পত্রিকার মেয়াদ গত হয়ে যাওয়ার পর সেগুলো গুরুত্বহীন হয়ে পড়লেও আলকাউসারের বিষয়টি এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। এজন্য বিগত সংখ্যার পত্রিকাগুলো যত্নসহকারে সংরক্ষণ করা পাঠকদের কর্তব্য বলে বিবেচনা করি। আশা করি, পাঠকগণ পূর্ব থেকেই এ বিষয়ে সচেতন আছেন।
–ফাতিহ ইবনে ইসলাম
জাজিরা, শরীয়তপুর
আলকাউসার আঁধার পথের আলো
একদিন ছিলাম ভবঘুরে এক মুসাফির! কাফেলায় চলতাম সবার সঙ্গে। কিন্তু কেন চলতাম জানতাম না। সকালের সাবাহি মকতব শেষে দুপুরের পাঠশালায়। রাতে আব্বু ও ভাইয়াদের শাসনে জোর করে বসতাম পড়ায়। শুধু পড়া আর পড়া। মাথাটা ঝুঁকে থাকত বিরক্তিতে।
একদিন ভর্তি হলাম মাদরাসায়। তখন কিছুটা মন বসল পড়ালেখায়। কিন্তু, শুধু যে পড়লে ও মুখস্থ করলেই হয় না বরং বুঝে বুঝে, চিন্তা করে করে, প্রতিটি শব্দ তাহকীক করে করে পড়তে হয়, তা জানতাম না।
অবশেষে আসমানের করুণা নেমে এল। আমার জীবনে বসন্ত হয়ে এলেন মাওলানা আলিমুদ্দিন জৈন্তাপুরী হাফি.। তার সান্নিধ্য লাভের সুযোগ হল। তখন তিনি শেখালেন, এভাবে নয়; বরং ওভাবে পড়তে হয়! এক হল পড়া, আরেক হল বুঝে বুঝে পড়া। মুসান্নিফ কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা সঠিকভাবে বুঝতে পারা। মর্ম উদ্ধারের ক্ষেত্রে ধারণা বা ভ্রমের শিকার না হওয়া ইত্যাদি। তাঁর কথাগুলো শুনে খুবই বিস্ময় লাগত। তাহলে এতদিন...!
হুজুরের কাছে ছিল একগাদা আলকাউসার। তিনি ‘শিক্ষার্থীদের পাতা’ পড়তে বলতেন। তখন আমি নিয়ম করে শিক্ষার্থীদের পাতা পড়তাম। অন্যান্য প্রবন্ধ-নিবন্ধও পড়তাম। নোটও করতাম। অনুভূত হত এক স্বর্গীয় সুখ!
সত্যি বলতে কী, আলকাউসার আমার আঁধার পথে আলোর মশাল। কণ্টকাকীর্ণ পথকে কুসুমাস্তীর্ণ করার হাতিয়ার। সর্বোপরি কিতাব-পরিচিতি, মুতালাআয় গভীরতা, আদাব-মুআশারা ইত্যাদি জীবন সাজানোর অনেক কিছু শিখেছি, শিখছি এবং শিখে যাব ইনশাআল্লাহ। তখন এবং এখনো অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষার প্রহর গুণতে থাকি; কবে আসবে আলকাউসার, ইলমের সৌরভ নিয়ে!
বিশেষত সূচি খুলেই দেখি শিক্ষার্থীদের পাতা। মুহতারাম আমীনুত তালীম ছাহেবের লেখা।
হযরত মুদীর ছাহেবের লেখার কথা আজ থাক। তাঁর পাঠকপ্রিয়তার কথা তো সবার মুখে মুখে।
আল্লাহ প্রিয় আলকাউসারকে আরও প্রসার দান করুন, উপকারী বানান। কবুল করুন। কিয়ামত তক তার প্রবাহ যেন কল কল রবে বয়ে যায় মুমিনের হৃদয়ে। শীতল ও তৃপ্ত করে তোলে বিশুদ্ধ জ্ঞান ও ইলম দিয়ে– আমীন।
–সুহাইল আহমদ
মারকাযুল হিদায়া, সিলেট
আরও প্রচার-প্রসার দরকার
শৈশব থেকেই গ্রামে বসবাস। গ্রামে তো আর সহজে সব প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে আলকাউসার নামে যে, কোনো মাসিক পত্রিকা আছে, তা জানতামই না। এমনকি মাসিক পত্রিকা বলে যে কিছু আছে, তাও জানতাম না।
গত বছর যখন ঢাকায় এক মাদরাসায় ভর্তি হলাম, তখনই আলকাউসার সম্পর্কে জানলাম। আলকাউসার একটি যুগোপযোগী উপকারী মাসিক পত্রিকা। যা থেকে মানুষ অনেক সত্য-সঠিক বিষয়ে জানতে পারে এবং অবগত হতে পারে।
প্রিয় আলকাউসার পরিবারের কাছে আশা করব, পত্রিকাটি আরও প্রচার-প্রসার করার জন্য। গ্রাম থেকে গ্রামের মানুষও যেন জানতে পারে, শিখতে পারে এবং উপকৃত হতে পারে।
–আব্দুল্লাহ আলফাজেল
কালাউক লাখাই, হবিগঞ্জ