ফিরে দেখা ১৪৪৬ হিজরী
‖ আমরা যাঁদের হারিয়েছি
মাওলানা মুহাম্মাদ যহীরুল ইসলাম
(পূর্ব প্রকাশের পর)
৬ রজব [আরবের চাঁদ দেখা অনুসারে] (৬-১-২০২৫), সোমবার
শায়েখ আবু ইয়াসির সারিয়া রিফায়ী রাহ.
সিরিয়ার বিশিষ্ট দাঈ আলেম। ১৩৬৭ হি./ ১৯৪৮ ঈ. সনে দামেশকের আলকনাওয়াত পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শায়েখ আবদুল কারীম রিফায়ী রাহ. সর্বজনশ্রদ্ধেয় দাঈ আলেম। দামেশকের খালিদ ইবনে ওয়ালীদ স্ট্রিটে অবস্থিত জামে যায়েদ ইবনে ছাবেত মসজিদে ইমাম ও খতীব ছিলেন। সমকালীন জালেম শাসকদের বিরুদ্ধে তিনি সাহসিকতার সাথে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করতেন। ১৯৮০ সনে হাফেজ আলআসাদের শাসনামলে তিনি দেশত্যাগে বাধ্য হন। ১৯৯৩ সনে দামেশকে ফিরে আসলে পুনরায় জামে যায়েদ ইবনে ছাবেত মসজিদে খতীব পদে যুক্ত হন। ২০১১ সালে বাশার আলআসাদের শাসনের বিরুদ্ধে সিরিয়া বিপ্লব শুরু হওয়ার পর তিনি বিপ্লবকে সমর্থন দিয়েছিলেন। ২০১২ সালে দ্বিতীয়বারের মতো দেশত্যাগে বাধ্য হন। প্রথমে কায়রোতে এরপর ২০১৩ সালে ইস্তাম্বুলে চলে যান। মৃত্যু পর্যন্ত ইস্তাম্বুলেই দ্বীনী ও দাওয়াতী কার্যক্রম চালিয়ে যান। তাঁর লেখা ‘মুযাক্কিরাতুন ফী যামানিছ ছাওরাহ’ (বিপ্লবের সময়ের স্মৃতিকথা) পাঠক মহলে সমাদৃত।
৭ রজব (৮-১-২০২৫), বুধবার
মাওলানা মুকাদ্দাস আলী রাহ.
৭ রজব সিলেট জকিগঞ্জের সর্বজনশ্রদ্ধেয় বুযুর্গ আলেম মাওলানা মুকাদ্দাস আলী রাহ. আখেরাতের সফরে চলে যান। আনুমানিক ১৩৫২ হিজরিতে (১৯৩৩ ঈ.) জকিগঞ্জের সোনাসার এলাকার বারগাত্তা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ফখরুদ্দীন মুরাদাবাদী রাহ., হযরত মাওলানা ইবরাহীম বলিয়াভী রাহ. ও কারী তায়্যিব ছাহেব রাহ. প্রমুখ আকাবিরে দেওবন্দের শাগরেদ ছিলেন। ১৩৭৭ হিজরীতে তিনি দারুল উলূম দেওবন্দে দাওরায়ে হাদীস সমাপ্ত করেন। ১৩৭৯ হি. থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জকিগঞ্জের মুন্সিবাজার মাদরাসায় সহীহ বুখারীর দরস দিয়ে আসছিলেন। প্রায় ৬৭ বছর তিনি সহীহ বুখারীর দরস প্রদান করেছেন। ইসলাহ ও তাযকিয়া-তরবিয়তের ময়দানে জনসাধারণ পর্যায়েও তাঁর ব্যাপক খেদমত ছিল। আবদুল কারীম শায়খে কৌড়িয়া রাহ. (১৯০১-২০০১ ঈ.)-এর খলীফা ছিলেন।
৯ রজব (১০-১-২০২৫), জুমাবার
মাওলানা মুফতী ইউসুফ হাসান রাহ.
৯ রজব চলে গেছেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট মসজিদের প্রাক্তন খতীব মাওলানা ইউসুফ হাসান রাহ.। বাইতুল ফালাহ মোহাম্মদপুর মাদরাসার শায়খুল হাদীস ছিলেন। তিনি বরেণ্য আলেম মাওলানা ইবরাহীম হাসান ছাহেবের বড় ভাই।
১২ রজব (১৩-১-২০২৫), সোমবার
মাওলানা আবদুন নূর রাহ.
সিলেট কাসিমুল উলূম দরগাহ মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস। হযরত আকবর আলী রাহ. (দরগাহ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা)-এর খলীফা ছিলেন। আকবর আলী রাহ. ছিলেন কারী তায়্যিব ছাহেব রাহ.-এর খলীফাদের একজন। ১৪০২ হিজরীতে দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে ফারেগ হয়ে সিলেটের জামিয়া তাওয়াক্কুলিয়া, জামিয়া ইসলামিয়া কৌড়িয়াসহ কয়েকটি মাদরাসায় খেদমত আঞ্জাম দেন। ১৪২৪ হিজরী থেকে ইন্তেকাল পর্যন্ত কাসিমুল উলূম দরগাহ মাদরাসায় খেদমত করে যান।
১৪ রজব (১৫-১-২০২৫), বুধবার
মাওলানা সায়্যিদ জাফর মাসউদ হাসানী রাহ.
১৪ রজব ওয়াযেহ রশীদ হাসানী নদভী রাহ. (১৪৪০ হি.)-এর ছাহেবযাদা মাওলানা সায়্যেদ জাফর মাসউদ হাসানী রাহ. ইন্তেকাল করেন। ওয়াযেহ রশীদ হাসানী হলেন আবুল হাসান আলী নদভী রাহ.-এর ভাতিজা এবং রাবে হাসানী নদভী রাহ.-এর ছোট ভাই। ২০২৩ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত দারুল উলূম নদওয়াতুল উলামার ‘নাযেরে আম’ (তত্ত্বাবধায়ক) ছিলেন। হযরত আবুল হাসান আলী নদভী রাহ.-এর তুরাছের সফল আরবী অনুবাদকও ছিলেন।
১ শাবান (১-২-২০২৫), শনিবার
মাওলানা মুফীযুদ্দীন রাহ.
শাবান মাসের প্রথম দিনে চলে যান উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম হযরত মাওলানা ইউসুফ বিন্নুরী রাহ.-এর ঘনিষ্ঠ শাগরেদ মাওলানা মুফীযুদ্দীন রাহ.। মোমেনশাহী জেলার গফরগাঁও থানাধীন কদম রসুলপুর গ্রামে আনুমানিক ১৯৪০ সনে তাঁর জন্ম। ১৩৮৯-৯০ হিজরী শিক্ষাবর্ষে জামিয়া ইসলামিয়া বিন্নুরী টাউনে দ্বিতীয়বার দাওরায়ে তাকমীল করেন। মুফতী ওলী হাসান টোংকী রাহ., মাওলানা ইদরীস মিরাঠী রাহ.-এরও শাগরেদ ছিলেন তিনি। ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ায় অধ্যয়নকালে হযরত মাওলানা আতহার আলী রাহ.-এর বিশেষ সান্নিধ্য লাভ করেন। ১৯৭৪ সনে হযরত আতহার আলী রাহ.-এর হুকুমে ময়মনসিংহের জামিয়া ইসলামিয়ায় খেদমতে নিযুক্ত হন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৯৭ প্রায় দীর্ঘ দুই যুগ এ প্রতিষ্ঠানে ইহতিমাম ও তালীমাতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আঞ্জাম দেন এবং দীর্ঘসময় সহীহ বুখারীসহ অন্যান্য হাদীসের কিতাবের দরস প্রদান করেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত নারাছুগঞ্জে এক মসজিদে ইমাম ও খতীব হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। এই সময়ে একপর্যায়ে তিনি পাশের একটি মাদরাসার দায়িত্ব পালন করেন এবং মোমেনশাহী শিকারীকান্দা জামিয়াতুস সুন্নাহ মুযাহিরুল উলূম মাদরাসায় খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে সহীহ বুখারীর দরসও প্রদান করেন। অতঃপর ২০০৭ থেকে আমৃত্যু শিকারীকান্দা মাদরাসাতে শায়খুল হাদীস হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
২৮ শাবান (২৮-২-২০২৫), জুমাবার
শহীদ মাওলানা হামীদুল হক হক্কানী রাহ.
পাকিস্তানের বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব, আলেম ও রাজনীতিবিদ। মাওলানা শহীদ সামীউল হক রাহ. (১৪৪০ হি.) এর ছাহেবযাদা। পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলূম হাক্কানিয়া আকোরাখট্টক-এর প্রতিষ্ঠাতা শাইখুল হাদাীস মাওলানা আবদুল হক হক্কানী রাহ. (১৪০৯ হি.) এর নাতি। তিনি দারুল উলূম আকোরাখট্টক মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম ছিলেন। ২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে মাওলানা সামীউল হক রাহ. এর শাহাদাতের পর তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রধান নিযুক্ত হন। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বাদ জুমা দারুল উলূম হক্কানিয়ায় একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় তিনি শহীদ হন।
৩ শাওয়াল (২-৪-২০২৫), রবিবার
মাওলানা মুযযাম্মিল হক রায়হান রাহ.
শাওয়ালের শুরুতে ইন্তেকাল করেন উত্তরবঙ্গের হযরত মাওলানা মুযযাম্মিল হক রায়হান রাহ.। হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক ছাহেব দামাত বারাকাতুহুমের খেড়িহরের উস্তাযদের মধ্যে তিনি একজন। তাঁর কাছে তিনি হেদায়া আওয়াল পড়েছেন। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার অন্তর্গত মাস্টারপাড়ার অধিবাসী। তাঁর পিতা মাওলানা আবদুশ শাফী রাহ. ছিলেন শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমাদ মাদানী রাহ. ও মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ.-এর শাগরেদ। কুড়িগ্রামের সমাজ সংস্কারে পিতা-পুত্রের বিশেষ অবদানের কথা লোকমুখে স্বীকৃত। ইন্তেকালের সময় তাঁর বয়স ছিল আনুমানিক ৭৫ বছর।
৫ শাওয়াল (৪-৪-২০২৫), জুমাবার
শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী রাহ.
৫ শাওয়াল জুমাবার হযরত হাফেজ্জী হুজুর রাহ.-এর ছোট ছাহেবযাদা মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী রাহ. ইন্তেকাল করেন। করাচীর জামিয়া ইসলামিয়া বিন্নুরী টাউনে দাওরায়ে হাদীস সমাপ্ত করেছিলেন।
কিছুকাল লালবাগ জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়ায় শিক্ষকতা করেন। এরপর জামিয়া নূরিয়ায় খেদমতে নিযুক্ত হন। আগস্ট ২০১৫ ঈ. থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নূরিয়া মাদরাসার মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন।
নভেম্বর ২০১৪ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। ইসলাম ও দেশ বিরোধী ইস্যুগুলোতে তিনি সক্রিয় ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতেন।
২৭ শাওয়াল [আরবের চাঁদ দেখা অনুসারে] (২৫-৪-২৫), জুমাবার
শহীদ ড. ফায়েক নাঊক রাহ.
গাজার আলআকসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দখলদারদের হামলায় হাজারও শহীদানের কাফেলায় তিনিও যুক্ত হন।
২৬ শাওয়াল (২৫-৪-২৫), জুমাবার
মাওলানা আবদুল মান্নান দানিশ রাহ.
২৬ শাওয়াল ইন্তেকাল করেন আলজামিআতুল ইসলামিয়া কাসিমুল উলূম পটিয়া মাদরাসার (স্থাপিত : ১৯৩৮ ঈ.) স্বনামধন্য প্রবীণ উস্তায হযরত মাওলানা আবদুল মান্নন দানিশ রাহ.। ৪৩ বছর যাবৎ তিনি পটিয়া মাদরাসায় খেদমত করে আসছিলেন। ১৯৮৩ সনে পটিয়ার হাজ্বী ছাহেব রাহ.-এর আহ্বানে পটিয়ায় খেদমতে যুক্ত হয়েছিলেন। হযরত মাওলানা শাহ হারুন বাবুনগরী (১৪০৬ হি.), শায়খুল হাদীস উবায়দুর রহমান রাহ. ও মাওলানা ইয়ার মুহাম্মাদ রাহ. প্রমুখ তাঁর উস্তাযদের অন্যতম। ‘আফকারে দানিশ’ নামে তিনি একটি (কাব্যগ্রন্থ) রচনা করেন। ‘লামিয়াতুল মুজিযাত’, ‘তা‘লীমুল মুতাআল্লিম’সহ নেসাবে তালীমের কিছু কিতাবের ব্যাখ্যাগ্রন্থও রচনা করেন তিনি। ইন্তেকালের সময় তাঁর বয়স আনুমানিক ৮৬ বছর ছিল।
২৭ শাওয়াল (২৬-৪-২০২৫), শনিবার
মাওলানা আমীনুল হক রাহ.
মাত্র এক দিনের ব্যবধানে ২৭ শাওয়াল পটিয়া মাদরাসার আরেকজন সিনিয়র উস্তায হযরত মাওলানা আমীনুল হক রাহ. ইন্তেকাল করেন। তিনি পটিয়ার প্রতিষ্ঠাতা মুফতী আযীযুল হক রাহ. (মৃ. ১৩৮০ হি.)-এর সরাসরি শাগরেদ ছিলেন বলে জানা যায়। ১৩৮৩ সনে জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া বিন্নুরী টাউনে দ্বিতীয়বার দাওরায়ে হাদীস পড়েন। হযরত মাওলানা ইউসুফ বিন্নুরী রাহ. ও মুফতী ওলী হাসান টোংকী রাহ.-এরও শাগরেদ ছিলেন তিনি। ১৩৮৪ হিজরী থেকে পটিয়া মাদরাসায় খেদমতে যুক্ত হন। ৬০ বছরের অধিককাল তিনি জামিয়া পটিয়ায় তাদরীস এবং পরবর্তীতে সদরে মুহতামিমের দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছেন।
২৯ শাওয়াল (২৮-৪-২০২৫), সোমবার
শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা সায়্যেদ মুহাম্মাদ আকিল রাহ.
শায়খুল হাদীস যাকারিয়া কান্ধলভী রাহ.-এর খাস শাগরেদ, খলীফা ও জামাতা। ১৩৮৬ হিজরীতে (১৯৬৭ ঈ.) তিনি মাযাহেরুল উলূম সাহারানপুরের উস্তাযুল হাদীস হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৩৯০ হিজরী থেকে ৫০ বছরেরও অধিককাল তিনি সাহারানপুরের ‘সদরে মুদাররিস’ ছিলেন।
৪ যিলকদ (৩-৫-২০২৫), শনিবার (জুমাবার দিবাগত রাত ১টায়)
আল্লামা সুলতান যওক নদভী রাহ.
৪ যিলকদ নমুনায়ে আকাবির আল্লামা সুলতান যওক নদভী রাহ. ইন্তেকাল করেন। তিনি তাঁর যিন্দেগীতে আকাবিরের বড় এক কাফেলাকে পেয়েছেন। যাদের কারো তিনি শাগরেদ ছিলেন; কারো ছিলেন আস্থা ও স্নেহের পাত্র। ১৩৭২ হিজরী থেকে ১৩৭৭ হিজরী পর্যন্ত (শরহে বেকায়া থেকে তাকমীল) পটিয়া মাদরাসায় অধ্যয়ন করেন। এরপর মুফতী (আযীযুল হক) ছাহেব রাহ. (১৩৮০ হি.) ও অন্যান্য মুরব্বির নেগরানীতে কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়া, আযীযুল উলূম বাবুনগরসহ কয়েকটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। শিক্ষকতার বড় একটি সময় তিনি পটিয়াতেই কাটিয়েছেন। ১৪০৫ হিজরীতে ‘দারুল মাআরিফ আলইসলামিয়া’ প্রতিষ্ঠা করেন। বাকি জীবন তাঁর স্বপ্নের এ প্রতিষ্ঠানেই অতিবাহিত করেন। বাবুনগর মাদরাসায় শিক্ষকতাকালীন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী রাহ. তাঁর কাছে খুসূসীভাবে ইস্তেফাদা করেছেন। হযরত মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ (আদীব হুজুর) দামাত বারাকাতুহুম ও ড. আ. ফ. ম. খালেদ ছাহেব দামাত বারাকাতুহুম তাঁর বিশিষ্ট শাগরেদদের অগ্রগণ্য।
‘নুকূশে যিন্দেগী’ নামে হযরত রাহ. আত্মজীবনী সংকলন করে গেছেন। যা বাংলা ভাষায় ‘আমার জীবন কথা’ নামে ছেপেছে।
৫ যিলকদ (৪-৫-২০২৫), রবিবার
হযরত মাওলানা গোলাম মুহাম্মাদ বেস্তানবী রাহ.
যিলকদের ৫ তারিখে চলে যান দারুল উলূম দেওবন্দের মজলিসে শূরা সদস্য, মহারাষ্ট্রের সুপ্রসিদ্ধ মাদরাসা জামিয়া ইসলামিয়া ইশাআতুল উলূম আক্কেলকুয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মুহতামিম হযরত মাওলানা গোলাম মুহাম্মাদ বেস্তানবী রাহ.। কুরআন শিক্ষার প্রচার প্রসারে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। মকতব প্রতিষ্ঠা, মসজিদ নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণে তাঁর বিশেষ অবদান স্মরণীয় থাকবে। ১৪১৯ হিজরী মোতাবেক ১৯৯৮ সন থেকে তিনি দারুল উলূম দেওবন্দের শূরা সদস্য ছিলেন।
১৩ যিলকদ (১২-৫-২০২৫), সোমবার
শায়খুল হাদীস মুফতী মুহাম্মাদ আনওয়ার শাহ রাহ.
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়্যা পাকিস্তানের সাবেক নাযেমে ইমতিহান। তিনি মুফতী মাহমুদ রাহ., ইউসুফ বিন্নুরী রাহ., ইদ্রীস মিরাঠী রাহ. এবং সলিমুল্লাহ খান ছাহেব রাহ. প্রমুখ মহান ব্যক্তিদের তত্ত্বাবধানে কাজ করেছেন। মুফতী মাহমুদ ছাহেব রাহ. ও হযরত বিন্নুরী রাহ.-এর খাছ শাগরেদ ছিলেন। দীর্ঘকাল মুলতানের জামিআ কাসিমুল উলূমে হাদীসের দরস প্রদান করেছেন।
১৯ যিলকদ (১৮-৫-২০২৫), রবিবার
মাওলানা আহমদ আবদুল্লাহ চৌধুরী রাহ.
হবিগঞ্জ জেলার বুযুর্গ আলেম, হাজারো আলেম তালেবে ইলমের উস্তায। হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার অন্তর্গত হিয়ালা গ্রামে ১৯৬৭ সনে তাঁর জন্ম। ১৯৮৯ সনে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন। হবিগঞ্জ কাসিমুল উলূম মাদরাসায় দীর্ঘ ১২ বছর শিক্ষকতা করেন। (২০০৩-২০০৭) বি. বাড়িয়ার জামিয়া দারুল আরকাম মাদরাসায় খেদমতে ছিলেন। জামেউল উলূম (মিরপুর-১৪) মাদরাসায় দীর্ঘ ১৫ বছর (২০০৭-২০২২ ঈ.) তাদরীসের খেদমতে ছিলেন এবং নায়েবে ইহতিমামের দায়িত্ব পালন করেছেন।
২৩ যিলকদ (২২-৫-২০২৫), বৃহস্পতিবার
মাওলানা মাহমুদুল হাসান রাহ.
কুমিল্লা মনোহরগঞ্জের লৎসর গ্রামের প্রবীণ বুযুর্গ আলেম মাওলানা মাহমুদুল হাসান বিন মওলভী আবদুল আওয়াল রাহ. যিলকদের ২৩ তারিখে ইন্তেকাল করেন। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জিরি মাদরাসার প্রথমসারির আকাবিরদের তিনি পেয়েছিলেন। জিরি মাদরাসার মুরব্বিগণ বিশেষত শায়খুল হাদীস ও (দ্বিতীয়) মুহতামিম মুফতী নূরুল হক ছাহেব রাহ. (১৪০৮ হি.) তাঁকে অনেক স্নেহ করতেন। জিরি মাদরাসায় তিনি মুফতী আবদুস সালাম চাটগামী রাহ. ও ওলামাবাজারের হযরত মাওলানা নূরুল ইসলাম আদীব হুযুর দামাত বারাকাতুহুমের সহপাঠী ছিলেন। তাকমীল জামাত সমাপ্ত করার পর প্রায় দুই বছর জিরি মাদরাসায় উস্তাযদের কাছে ছিলেন।
তিনি মারকাযুদ দাওয়াহর মুহতারাম মুদীর হযরত মাওলানা মুফতী আবুল হাসান মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ ছাহেব দামাত বারাকাতুহুম ও আমীনুত তালীম হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক ছাহেবের বড় মামা।