খবর ... অতঃপর ...
জাতীয়
r বিশ্বের নেতৃত্বে পৌঁছার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের : ড. ইউনূস
আমার দেশ, ১৭ মার্চ ২০২৫
l এদেশের রাজনৈতিক নেতাদের যে অবস্থা, তাদের যে মানসিকতা, তা দেখলে মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়ে, তাঁরা দেশের নেতৃত্ব কতটুকু সফলভাবে দেবেন! বিশ্বনেতৃত্ব তো অনেক দূরেরই বিষয়। দেশে হয়তো এমন লোক অনেক আছেন, যারা যোগ্য, যারা দেশ বা বিশ্বের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা রাখেন, কিন্তু রাজনীতিতে তাদের স্থান কোথায়?
রাজনীতিতে এখন যেভাবে ঘুণে ধরেছে, সেক্ষেত্রে এমন যোগ্য লোকদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে তো দেখা যায় না। যোগ্য, দেশপ্রেমিক ও নিঃস্বার্থ কাউকে এদেশের নেতৃত্বে এগিয়ে আসতে তেমন একটা দেখা যায় না।
r খুলনায় জামায়াতের ইফতারে গোলাম পরওয়ার
দিল্লির আধিপত্যবাদের কালো থাবা ভর করছে কিছু রাজনৈতিক নেতার ওপর
আমার দেশ, ২৩ মার্চ ২০২৫
l এতে তো সন্দেহের অবকাশ নেই, ক্ষমতায় যেতে পাগলপারা হয়ে ওঠা লোকদের কথাবার্তা ও আচার-আচরণ থেকে বিষয়টি স্পষ্টই। তবে যারা নিজেদেরকে অধিকাংশ সময় ভারতবিরোধী হিসেবে জাহির করেন কার্যক্ষেত্রে তারাই বা কতটুকু প্রতিবেশী রাষ্ট্রটির আধিপত্য এবং অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকেন।
r টাকার দামে আগুন, ২০ টাকার ব্যান্ডেল ২৮০০ টাকা
আমার দেশ, ২৪ মার্চ ২০২৫
l সরকার নতুন টাকা না ছাপানোতে হয়তো এমনটি হয়েছে। কিন্তু ধর্মীয় দিক থেকে এ লেনদেন বৈধ কি না– এটা হয়তো অনেকে জানেন না।
ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা বলেন, এভাবে টাকার বিনিময়ে টাকা নিয়ে কমবেশ করা বৈধ কাজ নয়। ধর্মে অনুমোদিত নয়। এছাড়া কাজটি যে অযথা– তাতেও তো কোনো সন্দেহ নেই। নতুন টাকা কাউকে দেওয়ার জন্য এতগুলো টাকা গচ্চা দেওয়ার অর্থ কী?
এর চেয়ে ভালো সেই বেশি অংশ কাউকে দান করে দেওয়া। দরিদ্রকে বাড়তি এ টাকা দিলে সে আরেকটু বেশি উপকৃত হতে পারত। যাকে আপনি ঈদী দেবেন, তাকে পুরোনোটা দিলেও সে তো একই রকম উপকৃত হচ্ছে। এগুলো তো বোঝার বিষয়। টাকা তো টাকা। পুরোনো দিক বা নতুন! টাকা যেটাই দেওয়া হোক, সেটা দিলেই তো খুশি হবে।
r বেক্সিমকোর টাকায় ড্যাবের ইফতার, সমালোচনার ঝড়
ফ্যাসিস্টের অন্যতম হাতিয়ার বেক্সিমকোর টাকায় ইফতার মাহফিল করেছে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা। ইফতার মাহফিলের দাওয়াত কার্ড ও ব্যানারে লেখা ছিল, `ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় ড্যাব সিরাজগঞ্জের দোয়া ও ইফতার মাহফিল`।
ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এ ইফতার মাহফিলের স্পন্সর তথা অর্থদাতা ছিল পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের অন্যতম হাতিয়ার সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকোর নাম। বিষয়টি নজরে আসতেই নানা প্রশ্ন তোলেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিসহ সচেতন মহল।
আমার দেশ, ২৫ মার্চ ২০২৫
l এস আলমের গাড়িতে চট্টগ্রাম যাওয়া, বেক্সিমকোর টাকায় ইফতার করা– এমন অনেক কিছুই বিএনপির দ্বারা সম্ভব। বিএনপি এমন একটি দল, যার নেতারা অল্পতেই সব ভুলে যান এবং মিশে যান। বাংলাদেশে এর নজির আগেও আছে। ৯৬ পরবর্তীতে ২০০১ সনের সরকারেও এমন দেখা গেছে যে, বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্তৃক আগের স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের বিভিন্ন দোসরদেরকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এসব কারণেই এ যুগের নাগরিকদের বর্তমান বিএনপির ওপর বা বিএনপির নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখা কঠিন মনে হচ্ছে।
r শেখ মুজিবের জন্য দোয়া চাওয়া উপসচিব নমিতা দে ওএসডি
আমার দেশ, ২৫ মার্চ ২০২৫
l এসব নমিতাদের খালি ওএসডি করলে হবে না; চাকরিচ্যুতও করা জরুরি। কত আইনই তো অধ্যাদেশ দিয়ে করা হচ্ছে। তেমনি দেশে এমন একটা আইন হওয়া দরকার যে, ফ্যাসিবাদের যেকোনো প্রকারের সমর্থন, চাই তা প্রকাশ্যে হোক বা অপ্রকাশ্যে; তা যদি সরকারি কর্মচারী বা সরকার সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে সংঘটিত হয় এবং প্রমাণিতও হয়ে যায়, তাহলে অবশ্যই তাদের পদত্যাগ ও বহিষ্কার করেই এর সমাধান হওয়া উচিত। এর চেয়ে কম শাস্তি কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত নয়।
r ফ্যাসিবাদের পতনে এবারের ঈদ আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে : তারেক রহমান
আমার দেশ, ৩০ মার্চ ২০২৫
l নিঃসন্দেহে এবারের ঈদ বিগত বেশ কিছু বছরের ঈদের থেকে ব্যতিক্রম ছিল। এবারের রমযানও ব্যতিক্রম ছিল। কিন্তু সেটি হয়তো আরও ভালো হতে পারত, যদি গ্রামবাংলার বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির একশ্রেণির নেতাকর্মীর আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা পরিলক্ষিত না হত।
বিএনপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যাওয়ার আশা অব্যাহত রাখতে হলে, অবশ্যই তাদের ওই শ্রেণির নেতাকর্মীদের সংশোধন করতে হবে। তাদের এই প্রজন্মের ছাত্রদল-যুবদল রাজনীতি শিখেছে আওয়ামী লীগ থেকে। তাদের অনেকেই হয়তো সেটাকেই রাজনীতি মনে করে। তাদেরকে সংশোধন করতে হবে।
কোনোক্রমেই যেন তাদের প্রতি চাঁদাবাজি বা ফ্যাসিবাদের দোসরদের সহযোগিতা করা হচ্ছে, এমন আঙুল না ওঠে– সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তারেক রহমান সাহেব বিদেশে বসে সেটা করতে পারবেন তো?!
r নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন
নারীর জন্য ৩০০ সংরক্ষিত আসন, বিয়ে-তালাক, উত্তরাধিকারে সমান অধিকার দেওয়ার সুপারিশ
প্রথম আলো, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
l সংস্কার কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদনের সারাংশে এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে– `সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদের অধীনে নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্যমূলক বিধান বিদ্যমান, বিশেষ করে বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ ও ভরণপোষণের ক্ষেত্রে ধর্মীয় আইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক হওয়ায় নারীরা বৈষম্যের শিকার হোন।`
এসব নতুন কিছু নয়। এদেশে নারী অধিকারের নামে এই ধরনের কথাবার্তা বলা চিহ্নিত কিছু ব্যক্তি আছে। বিগত অনেক বছর থেকেই এদেরকে এসব কথা বলতে শোনা যায়।
এরা যেসকল নারীদের অধিকার নিয়ে কথা বলছেন সেই নারীরা আসলে কারা? তারা কি একটা তালিকা দিতে পারবেন? এক লাখ নারীর তালিকা দিতে পারবেন? এমন এক তালিকা, যেখানে তারা বিবাহ-তালাক ইত্যাদিকে অস্বীকার করেন! এক লাখ বাদ দিলাম। তারা এমন দশ হাজার মুসলিম নারীর তালিকা দিতে পারবেন?
এমনকি যারা উচ্চ শিক্ষিত ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া, তাদের একটা বড় তালিকা দিতে পারবেন যে, তারা ইসলামের বিবাহের বিধান মানতে চায় না। তারা ইসলামের বিধান মানে না। বা এটাকে তারা তাদের অধিকার আদায়ের পেছনে বাধা মনে করে– এমন কোনো তালিকা দিতে পারবেন?
কিছু ধর্মবিদ্বেষী কুরুচিপূর্ণ লোক আছে, তারা এসমস্ত বিষ এদেশে ছড়াতে চায়। যা আসলে বাংলাদেশের মূলধারার নারীদের কোনো দাবিও নয়, কথাও নয়। এটা একশ্রেণির মতলবী নারীদের কথা।
এখন সংস্কার কমিশনেও এ ধরনের নারী এবং এ ধরনের কিছু ব্যক্তি ভর করেছে। এদের সংস্কার প্রস্তাব নারী জাতির জন্য ভালো কিছু ডেকে আনবে বলে মনে হয় না।
r আ. লীগের মিছিলের প্রস্তুতির সময় বিএনপি নেতার ছেলে গ্রেপ্তার
কালবেলা, ২১ এপ্রিল ২০২৫
l এ কথা এখন প্রচারিত আছে, আওয়ামী লীগ নিজের নামে মিছিল না করতে পারলেও, নিজের লোক নামাতে না পারলেও ভাড়াটেদেরকে নামাচ্ছে। মাঝে মাঝে যে ২০-২৫ জনের আওয়ামী মিছিলের কথা শোনা যায়, সেখানে আসল আওয়ামী লীগ নাকি থাকে না; বরং কিছু ভাড়াটে লোকদেরকে নামানো হয়। এটা একটা কমন বিষয়।
এছাড়া এটাও শোনা যায় যে, আজকে ব্যাটারিচালিত অটো রিকশাওয়ালা, কালকে আরেক গোষ্ঠী, পরশু আরেক গোষ্ঠী, অমুক ছাত্র সংগঠন, অমুক কলেজ-ইউনিভার্সিটির ছাত্র, এভাবে বিভিন্ন গোষ্ঠী কর্তৃক ব্যাপক বিক্ষোভের দেশে পরিণত হয়েছে আমাদের এ দেশ।
অধ্যাপক ইউনূসের আমলে বাংলাদেশ হঠাৎ করে কয়েকগুণ বেশি গণতান্ত্রিক ও অধিকার আদায়ের উর্বর রাজ্য ও এলাকায় পরিণত হয়েছে।
অনেকেই বলে থাকেন, বিক্ষোভকারীদের বহু লোক আছে, যারা মূলত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সমর্থক বা কর্মী। তারা ওখানে ছদ্মবেশে গিয়ে রাষ্ট্র ও সরকারকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে লিপ্ত হবে।
r বিএনপি নেতার কাছে ছাত্রদল নেতার চাঁদা দাবি, বালুমহালে হামলার অভিযোগ
প্রথম আলো, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
l ঘরের বখাটে ছেলের বাবার কাছে নেশা ও অপকর্মের জন্য অর্থ দাবি করার মতোই এ ঘটনা এটি। বিএনপিকে ভাবতে হবে, তারা তাদের এ ধরনের কর্মী ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর লোকদের কীভাবে সামাল দেবে?!
r ঠিকাদারি লাইসেন্স ইস্যু
বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ
আমার দেশ, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
l অবশ্যই এটাকে মহৎ বলতে হবে। একজন উপদেষ্টার বাবা লাইসেন্স নিয়েছে। সেটা যদিও সংবাদে জানা গেছে যে, এ কাজ তাকে কেউ ভুল বুঝিয়ে করিয়েছে। যাতে এর মাধ্যমে কারও উদ্দেশ্য হাসিল করা যায়।
সেটা যদি সত্য হয়, তাহলে তো তিনি ব্যবহৃত হয়েছেন তার অনিচ্ছাতেই।
আর যদি সেটা নাও হয়, ধরেও নেওয়া হয়, এটা তিনি ইচ্ছাকৃত করেছেন, তবুও একজন মন্ত্রী পদমর্যাদায় থাকা ব্যক্তিত্ব যে সৎসাহস দেখিয়েছেন, মাফ চেয়েছেন এবং লাইসেন্স বাতিল করিয়েছেন, এজন্য অবশ্যই সাধুবাদ জানাতে হবে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো নেতা কর্তৃক এমন আচরণ খুবই কম পরিলক্ষিত হয়। ভুলের পরে শুধরে যাওয়া, শুধরে নেওয়ার নজির খুব কম এদেশে। এদেশে রয়েছে শুধু আধিপত্য বিস্তারের নজির। কেউ মুখ খুলতে না পারার নজির।
এছাড়া আরেকভাবেও এটাকে সুনজরে দেখতে হবে, সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে, সাংবাদিকরা বলতে পারছে, অমুক উপদেষ্টার বাবা এটা করেছে, সেটা করেছে– এটাও কম কথা না।
এটাও তো সরকারের উপদেষ্টাদেরই ভালো দিক যে, তারা বিগত ফ্যাসিবাদের মতো যে সাংবাদিকেরা এ ধরনের খবর বের করে ফেলে, তাদের ওপর জুলুমের খড়্গ চাপিয়ে দেয় না। তাদের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতনের স্টিম রোলার চালায় না। এমন কিছু হলে তো মানুষ বলতেই ভয় পেত। মানুষ যে বলতে পারছে, সেটাও ইতিবাচক একটা দিক।
যাইহোক, উপদেষ্টা আসিফ এই ক্ষমা চাওয়ার জন্য অবশ্যই সাধুবাদ ও মোবারকবাদ পাওয়ার যোগ্য।
এখানে আরেকটি বিষয়ও লক্ষণীয়, তা হল কেউ সরকারি কোনো দায়িত্বে থাকলে তার নিকটাত্মীয় কেউ কোনো ব্যবসা করতে পারবে না, লাইসেন্স নিতে পারবে না– এমন কথা তো আইনে লেখা নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিগত দিনগুলোতে এগুলোকে দুর্নীতির হাতিয়ার করে ফেলা হয়েছিল। তাই এখন এগুলো নিয়ে মাতামাতিও বেশি হয়।
r রানা প্লাজা ধসের এক যুগ
রেশমা উদ্ধার ছিল সাজানো নাটক
আমার দেশ, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
l রানা প্লাজা নামের একটি বহুতল ভবন ২৪ এপ্রিল ২০১৩ সালে সকাল ৮:৪৫ এ সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে ভবনটি ধসে পড়ে। ভবনের কয়েকটি তলা নিচে ডেবে যায়। কিছু অংশ পাশের একটি ভবনের ওপর পড়ে। এ দুর্ঘটনায় ১১৭৫ জন শ্রমিক নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়, যা বিশ্বের ইতিহাসে ৩য় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
এমন সাজানো নাটকে তো আওয়ামী লীগ সিদ্ধহস্ত ছিল। এখনো তারা তেমনি আছে। সুতরাং রেশমা উদ্ধারের বিষয়টি যে সাধারণ নাটক হতে পারে, সেটাতে খুব একটা আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
r কর্তা ও সরকার বংশের ৫৬ বছরের বিরোধ, কী থেকে শুরু, কেন এখনো মেটে না
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগের কথা। কর্তা বংশের ওয়াছিল উদ্দিন কর্তা ছিলেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। আজ থেকে ৫৬ বছর আগে সেই সময় মৌটুপি গ্রামে একটি সালিস বসে। ওয়াছিল সালিসে রায় ঘোষণা করেন। রায় চ্যালেঞ্জ করে বসেন সরকারবাড়ির আ. ওহাব সরকার।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, তখন ওয়াছিল উদ্দিন বলেন, `কর্তার রায় চ্যালেঞ্জ করছে সরকার। আমার আর কী দরকার?` সেই থেকে কর্তা বংশ ও সরকার বংশের বিরোধ শুরু।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, এই সালিসের কিছুদিন পর আ. ওহাব সরকারকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর সঙ্গে কর্তা বংশের লোকজন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। তিন বছর পর ওয়াছিল উদ্দিন কর্তার ছেলে কফিল উদ্দিন কর্তা খুন হন। সেই ঘটনায় সরকার বংশের নাম আসে। সেই থেকে দুই বংশের বিরোধ পাকাপোক্ত হয়। এর পর থেকে বংশদুটির লোকজন বিবাদ ছাড়া কোনো বছর পার করেছেন, এমনটা হয়নি। ৫৬ বছর ধরে চলছে এই বিরোধ।
প্রথম আলো, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
l এসব ঘটনা তো ইসলামপূর্ব ধ্বংসাত্মক ও হিংসাত্মক সমাজব্যবস্থার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ৯০ শতাংশের বেশি মুসলমানের এই দেশে যুগ যুগ থেকে এ ধরনের ঝগড়া-বিবাদ, হিংসা-বিদ্বেষ ও মারামারি জিইয়ে রাখা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়।
সংবাদটি শুনে মনে হচ্ছে, অনেকের মধ্যেই এ এলাকার অবস্থা উন্নত করা এবং ভুল পথে চলে আসা মানুষগুলোকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা আছে। কিন্তু নিশ্চয়ই কোনো স্বার্থবাদী মহলের এর পেছনে হাত আছে; যারা এটা হতে দেয় না।
এজন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ও ওখানকার শান্তি কমিটির জন্য আবশ্যক, গোড়ায় খোঁজ নেওয়া। মূলত কার কারণে মিলেমিশে যাওয়া, তৈরি হওয়া ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সেই কারণটি চিহ্নিত করা দরকার। কী কারণে, কাদের বাধায় বা কাদের স্বার্থে মিটমাট হচ্ছে না– সেগুলো আসলে খতিয়ে দেখতে হবে। সেগুলো চিহ্নিত করে ঠিক করতে পারলে, এ সমস্যার সমাধান হয়তো হবে।
তবে সবারই মনে রাখা দরকার, তারা তো আমাদেরই পাড়া-প্রতিবেশী। পরস্পর ভাই ভাই। অযথা কোনো কারণ ছাড়াই বা পুরোনো শত্রুতা জিইয়ে রাখার উদ্দেশ্যে মারামারি কাটাকাটি করা, খুবই জঘন্য একটি বিষয়।
এসব মানসিকতা পরিহার করে পরস্পরের ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সে লক্ষ্যে এলাকার মানুষের দ্বীনী ও নৈতিকতার উন্নতি ঘটানোর জন্য আলেম ও দাঈদেরও চেষ্টা করার দরকার আছে বলে মনে হয়।
প্রতিবেশী রাষ্ট্র
r রাস্তায় নামাজ পড়লে শাস্তির বিধান জারি করলো ভারত
আমার দেশ, ৩০ মার্চ ২০২৫
কাশ্মীরের জামিয়া মসজিদ, ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ বন্ধ!
আমার দেশ, ০১ এপ্রিল ২০২৫
রাস্তা নামাজের জন্য নয়: যোগী আদিত্যনাথ
আমার দেশ, ০১ এপ্রিল ২০২৫
l ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার এহেন কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে বিগত বেশ কিছু বছর থেকে। বৃহত্তর সংখ্যালঘুদের প্রতি এ ধরনের অমানবিক অনৈতিক ও অসাংবিধানিক আচরণ তারা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিক কারণে এতে মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মধ্যে ক্ষোভ ও ক্রোধ বেড়েই চলেছে। দীর্ঘমেয়াদে এর প্রতিক্রিয়া যে জঘন্য হতে বাধ্য, এতে কোনো বিবেকবান মানুষের সন্দেহ থাকার কথা নয়।
কারণ, দেশের কোটি কোটি নাগরিক যদি তাদের অধিকার না পায়, যদি তাদের ওপর নির্যাতন সরকারের পক্ষ থেকে এবং একশ্রেণির সংখ্যাগরিষ্ঠদের থেকে অব্যাহত থাকে, তাহলে একসময় তাদের সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণও ঘটতে পারে। যা বিশ্বের বৃহত্তর গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের দাবিদার ভারতের কারও জন্যই সুখকর হবে না নিশ্চয়ই।
r ইউনূস-মোদির ৪০ মিনিটের বৈঠক
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার কথা বললেন অধ্যাপক ইউনূস
প্রথম আলো, ৪ এপ্রিল ২০২৫
l সংবাদ মাধ্যমে যা শোনা গেছে, সেটি যদি ঠিক হয়, তাহলে এ বৈঠক ভারত-বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক। বিগত অন্তত বহুদিন পর একটা ভারসাম্যপূর্ণ বৈঠক হয়েছে, যেখানে উভয়পক্ষই তাদের দেশের স্বার্থের কথা বলেছে।
নিকট অতীতে বাংলাদেশের কোনো শীর্ষ নেতৃত্ব ভারতীয় নেতৃত্বের সামনে বসে এভাবে দেশের স্বার্থ তুলে ধরেছেন– এমন নজির পাওয়া যায় না। সুতরাং এই বৈঠকটি নিশ্চয় ব্যতিক্রম। এর প্রভাবও সুদূরপ্রসারী হওয়ার কথা।
r জম্মু কাশ্মীরে সশস্ত্র হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত
আমার দেশ, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
l এই হামলার ব্যাপকভাবেই নিন্দা হয়েছে। ভারতের মুসলমানরাও নিন্দা জানিয়েছে। শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ বহু দেশই এর নিন্দা জানিয়েছে। যেসব দেশের সাথে ভারত শত্রুর মতো আচরণ করে, তারাও এর নিন্দা জানিয়েছে।
তবে এ হামলা-পরবর্তীতে ভারতের যে আচরণ দেখা যাচ্ছে, এ হামলার পূর্বে তারা যে আচরণ করেছে, যেমন আমরা উপরের সংবাদগুলো থেকে জানতে পারলাম, তারা মুসলমানদের প্রকাশ্যে নামায পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে, খুব কাছাকাছি সময়ে ভারতে বিতর্কিত ওয়াকফ বিল পাশ করে মুসলমানদের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর ওপর নিজেদের আধিপত্য পাকাপোক্ত করতে এবং নিজেদের দখলে নিয়ে নিতে চাচ্ছে; অর্থাৎ ধর্মীয়ভাবে এবং আর্থিকভাবে মুসলিম সমাজকে মেরুদণ্ডহীন করে ফেলার চক্রান্তে তারা লিপ্ত হয়েছে। যদ্দরুন দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ লক্ষ করা গেছে। এরই মধ্যে এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।
এজন্য এই হামলাটি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হয়েছে অনেকের কাছে। সাথে দেখা গেছে, এ হামলার পর পর তারা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ওপর বিভিন্ন প্রকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের সাথে বিভিন্ন চুক্তি বাতিল করেছে। তাদের হাইকমিশন বন্ধ করে দিচ্ছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের তাদের দেশে থাকা একাউন্ট সিল করছে। একটা যুদ্ধ অবস্থার মতো পরিস্থিতি তারা তৈরি করে নিচ্ছে।
বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো থেকে তাদের আরও লোমহর্ষক বিভিন্ন সম্ভাব্য চক্রান্তের কথাও প্রচারিত হয়েছে। এসব থেকে কেউ কেউ ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকারের দিকেও সন্দেহের আঙুল ওঠাচ্ছেন যে, এগুলো কোনো সাজানো ব্যাপার নয় তো!
সে যাইহোক, আমরা এখানে থেকে তো আর পুরো ব্যাপারটা জানতে পারব না; তবে আগে-পরের ঘটনাপ্রবাহে বোঝা যায়, এই হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের প্রতি মানুষের সন্দেহ বাড়বে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে, তাদের অনেকেই, এমনকি খোদ সোনিয়া গান্ধীর মেয়ের জামাতাও এমন বিশ্লেষণ করছেন যে, ভারতে মুসলমান, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর যে নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে, এসব তারই প্রতিক্রিয়া। হিন্দুত্ববাদী সরকারের সে সমস্ত আচার-আচরণের খেসারত এখন ভারতীয়দের দিতে হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক
r রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
জাগো নিউজ, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
l অতি লোভ মানুষের ইহ ও পরকাল উভয়টাকেই শেষ করে। সে তার পরিবার পরিজনদের জন্য হতাশা আর কষ্টই রেখে গেছে।
গ্রন্থনা : ওয়ালিউল্লাহ খান