জুমাদাল উখরাাহ ১৪৩৪   ||   এপ্রিল ২০১৩

নিজের ইলমী মারকাযের সাথে সম্পর্ক রাখার গুরুত্ব এবং আদাবে ইসলামিয়ার উপর কাজ করার প্রয়োজনীয়তা

মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক

[২৭ শাবান ১৪৩১ হিজরীতে হাইআতু আবনাইল জামিয়ার (জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া ঢাকা) মজলিসে প্রদত্ত বয়ান।]

আলহামদুুলিল্লাহ, আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মুযাকারা এবং বাহামী তাবাদুলায়ে খেয়ালের (পরস্পর চিন্তা-বিনিময়) জন্য বসিয়েছেন। এটা খুব জরুরি বিষয়।

কেন্দ্রের সাথে সম্পর্ক রাখা

একটি জরুরি বিষয় হল, কেন্দ্রের সাথে সম্পর্ক রাখা। এটা শুধু ইলম-আমলের জন্য নয়। ইলম-আমল, আদব-আখলাক, চিন্তা- চেতনা, এমনকি নিজের দুনিয়াবী যিন্দেগীর ক্ষেত্রেও খুব জরুরি। একজন লোকের জিন্দেগীতে যে কোনো বিষয়ে কোনো মুরববীর ছায়ার নীচে থাকা যে কত স্বস্তিদায়ক এটা কল্পনাও করা যায় না।

আমার তো কোনো চিন্তাই নেই

হযরত প্রফেসর হামীদুর রহমান বলেন, ‘আমার তো কোনো চিন্তাই নেই। আমার কোনো পেরেশানী নেই যে কোনো সমস্যা আসে, মাসআলার সমস্যা আসুক, মুফতী সাহেব আছেন। অন্য কোনো বিষয় আসে মুশীর (পরামর্শদাতা নির্দিষ্ট মুরুববী) আছেন, তিনি ফয়সালা করবেন। মুশীরকে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি ফয়সালা দিলেন। ব্যস, আমান্না-সাল্লামনা (বিশ্বাস করলাম, মেনে নিলাম) আর কোনো পেরেশানী নেই। ইজতিহাদ করতেই যাই না।)

ইজতিহাদের ক্ষেত্র আছে। একটা হল ইজতিহাদ ফীল ইবাদত, এবং ইজতিহাদ ফীল ইলম (ইলম ইবাদতের ক্ষেত্রে ইজতিহাদ তথা সর্বোচ্চ মেহনত করা) ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে সবাইকে ইজতিহাদ করতে হয় না। ব্যস, তোমার তালীমী মুরুববী বা ইসলাহী মুরুববী বা নিজের দুনিয়াবী যিন্দেগীর মুরুববীর শরণাপন্ন হও। তিন বিষয়ের (তালীম, ইসলাহে নফস, শুউনুল হায়াত) জন্য একজনই মুরববী হতে পারেন। আবার তিনজন মুরুববীও হতে পারেন।

কেন্দ্রের সাথে সম্পর্ক রাখা খুব জরুরি। বিশেষভাবে যার যে হুযূরের সাথে মুনাসাবাত হয়, তাঁর সাথে মশওয়ারার সম্পর্ক রাখা। আর ইলমী বিষয়ে তো যখন যে উস্তাযকে পাই জিজ্ঞেস করে নেবো। এটা নিজেকে শুযূয বা বিচ্ছিন্নতা (চিন্তার শুযূয, আকীদার শুযূয, মাসলাকের শুযূয) থেকে বাঁচানোর জন্য যেমন জরুরি, তেমনি নিজের জীবনকে স্বস্তিপূর্ণ বানানোর জন্য, পেরেশানী থেকে বাঁচানোর জন্যও জরুরি।

দ্বিতীয় বিষয় : তাকওয়া।

তৃতীয় বিষয় : যার যে দায়িত্ব, যে যে শোগলে আছি, সে শোগলকে যথাযথ আঞ্জাম দেওয়া। এই দুটো বিষয় যদি আমরা ইখলাস ইতকানের সাথে করতে পারি তাহলে আমরা কামিয়াব। এটা জরুরি নয় যে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে যে, এই এই আমাদের অবদান এই এই কিতাব আমরা তৈরি করেছি। এই এই কারনামা আঞ্জাম দিয়েছি।

 

কাজ বড় ব্যাপক বিষয়

চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেই যে কারনামা হয়, আর না হয় কারনামা হয় না-এই কথা কিন্তু ঠিক নয়।কাজহওয়া দরকার।কাজকিন্তু বড় ব্যাপক জিনিস। কারো মাথায় ঢুকে, যদি মাদরাসায় খেদমত করতে পারে, তাদরীস করতে পারে-শুধু এটাই কাজ। ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। ঠিক আছে, এটাকে সবচেয়ে বড় কাজ বলেন। সুযোগ পেলে এটাকে গনীমত মনে করা দরকার। অবশ্যই এটা হওয়া দরকার; আমার এতে ভিন্নমত নেই। কিন্তু যদি পরামর্শক্রমে কারো জন্য স্থির হয় যে সে তাদরীস না করে ইমামত বা খেতাবাত করবে, মসজিদভিত্তিক তালীম চালু করবে, তাহলে সেকিছুই করছে না’- ধারনা ঠিক নয়। হতে হবে পরামর্শক্রমে, নিজের খাহেশ মোতাবেক নয়। নিজের মন চেয়েছে-শুধু এই ভিত্তিতে নয়। হতে হবে মুরুববীদের পরামর্শক্রমে। মুরুববীদের পরামর্শক্রমে যে খেদমতই আমার যিম্মায় আসুক, আমি সে খেদমতে ইখলাস, ইত্তিবায়ে সুন্নত, ইসতিকামাত ইতকানের পরিচয় দিব, তাহলে আমি কামিয়াব। তাদরীসের কখনো সুযোগ হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। হয় নি, তো ঠিক আছে। আবার তাদরীসের মাঝে একেকজন একেকটা ঠিক করে রাখে। দাওরার কিতাব পেলে তো হল।

দাওরা- মেশকাতের কোনো কিতাব পায় নি, হাদীসের কোনো কিতাব পায়নি-তাহলে তার তাদরীস নাকেস  থাকল। নিজেদের পক্ষ তেকে এত সীমাবদ্ধ করার দরকার কী?

 

দিনের খেদমত ব্যাপক বিষয়। খেদমত করতে হবে তারীকা মত। খেদমত কোন্টা আমার জন্য বেশি উপযোগী- সেটা ঠিক করবেন আমার মুরুববী, আমার মুশীর। এই দুটি কথা যদি যেহেনে থাকে তাহলে কোনো পেরেশানি নেই। আমি আরব থেকে এবার একটা রিসালা এনেছি, নাম ‘‘ছালাছুনা তরীকাতান লিখিদমাতিদ দ্বীন’’ (দ্বীনের খেদমতের ত্রিশটি পদ্ধতি) আমরা তো ধরে রেখেছি ‘‘ছালাছাতু তুরুকিন’’ (তিনটি পদ্ধতি)

 

মনে করুন কারো তাদরীসের সাথে মুনাসাবাত হয় নি এবং পারিবারিক বা অন্য কোনো সমস্যার কারণে সে এখন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে সে গোমরাহ হয়ে যায় নি। ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে আপনি বলবেন যে সে আপনার সিলসিলা থেকে বের হয়ে গেছে-এই ধারনা ঠিক নয়। সে যদি ব্যবসায়ী হওয়া সত্ত্বেও তার ইবাদত-আমল ঠিক রাখে এবং সে তার পেশায় একজন আদর্শ পেশাদার হয়, আদর্শ ব্যবসায়ী হয়-

التاجر الصدوق الأمين مع النبيين والصديقين والشهداء

এই হাদীসের মিসদাক যদি হয় তাহলে কি সে আমাদের মাদরাসাওয়ালদের চেয়ে পিছনে?

কিন্তু ব্যবসায়ী হয়ে সে দাড়ি রাখা ছেড়ে দিল, নিজের আসাতিযায়ে কেরামের সাথে যোগাযোগ ছেড়ে দিল, নিজের মারকাযের সাথে সম্পর্ক রাখার কথা ভুলে গেল-এটা ঠিক না। ব্যবসায়ী হওয়া সত্ত্বেও সে আসবে। আমি বলিনি, এখানে কেউ আছে বা ভবিষ্যতে কেউ হবে। যদি হয়ে গেল, সে- আসবে এই মজলিসে। সে- একজনআবনাউল জামিয়া সে যে পেশাতে আছে সে পেশার বিষয়ে আসাতিযায়ে কেরাম জরুরি পরামর্শ দিবেন, যেন সে নিজ পেশায় আদর্শ হতে পারে।

কিছু ভুল ধারনা

কেউ ঠিক করে রেখেছে, আমি যদি একটা কিতাব লিখতে পারি, যদি একজন লেখক হতে পারি, তাহলে আমি খেদমত করলাম। এটা হয় নি তো যেন তিনি কোনো খেদমত- করেন নি।

আল্লাহ তাআলা যাকে খেমদতের যে তরীকা সহজ করে দিয়েছেন সে যদি সেটার মূল্যায়ন না করতে পারে, সেটাকে দিল থেকে গ্রহণ না করতে পারে এবং তাতে ইতকান পয়দা করার চেষ্টা না করে তাহলে সে কখনো কামিয়াব হতে পারবে না। আলকাউসারে হুযূরের (হযরত মাওলানা আবুল বাশার সাহেব) লেখা ছেপেছে-আপন পেশায় যেন থাকে শ্রদ্ধার দৃষ্টি (জুমাদাল উলা ১৪৩১ হিজরী, মে-২০১০) এই পেশা কি শুধু দুনিয়াবী পেশা? নাকি সবকিছু? আপনাকে আল্লাহ দ্বীনের যে খেদমতের সুযোগ করে দিয়েছেন তা নিয়ে আপনি সন্তুষ্ট থাকুন।

আপনি ভাবলেন যে, আর কোনো কিছুর সুযোগ হল না- তো এটা করি। এটা হল হীনম্মন্যতা। আপনি যেটা করছেন সেটা যে কোনো খেদমত না-এটা কে বলল আপনাকে? এটাও তো একটা খেদমত। এটাও তো করতে হবে। এখন আপনি এটাকেই গ্রহণ করুন। মনে করুন, এটা আমার শোগল, আমার মাশগালা। এর মধ্যে কীভাবে আমি ইখলাস পয়দা করবো, কীভাবে ইতকান পয়দা করবো-আমাকে সে চেষ্টা করতে হবে। এই বিষয়ে আমাকে মশওয়ারা নিতে হবে।

আমরা যে যেটাকে দ্বীনের কাজ মনে করি সেটা না করতে পারলে ভাবি কি-আমি কিছুই করতে পারলাম না। এতে সমস্যা হলো, যেটাকে তিনি কাজ মনে করছেন সেটার তো তিনি সুযোগ পাচ্ছেন না। আর যে কাজে আছেন সেটাকে তিনি কাজ- মনে করেন না। এখন সময় যে যাচ্ছে বছরের পর বছর? বেকার যাচ্ছে না? কারণ যে কাজে আছেন সেটা তো তিনি কাজ- মনে করছেন না। এটাতে তো তিনিআপাততআছেন। আর যেটাকে কাজ মনে করেন সেটার তো সুযোগ হচ্ছে না। বা তেমন সুযোগ পাচ্ছেন না। এজন্যই এই মেজায ছাড়তে হবে। আমার উস্তায আমাকে যে কাজে লাগিয়ে দিয়েছেন সে কাজ- হল আমার প্রধান কাজ। এটার মধ্যে আমি মাহারাত পয়দা করার, ইমতিয়ায পয়দা করার চেষ্টা করবো। মুদাররিস হলে একজন আদর্শ মুদাররিস, খতীব হলে একজন আদর্শ খতীব হওয়ার চেষ্টা করবো। তাদরীসের মধ্যে নিচের দিকের কিতাবও যদি হয় তারপরও আমি এই চেষ্টা চালাবো। শুধু এই চিন্তাতে থাকা-কবে আমাকে উপরে তারাক্কী দিবে-এগুলো ঠিক নয়। আমি তো খুব কষ্ট পাই, যখন শুনি কোনো মাদরাসায় কিতাবের জন্য কারো মন খারাপ হয়েছে, কাকে কোন কিতাব দিবে-এটা তো মুনতাযিমীন ঠিক করবেন। হ্যাঁ, তারাও অনেক সময় লোক চিনতে ভুল করেন বা গলদ রাওয়িয়্যাহ (তরীকা) অবলম্বন করেন। সেটা তাদের ব্যাপার। সেটার দায়দায়িত্ব তাদের উপর বর্তাবে। কিন্তু আমি তো আমাকে যেটা দিয়েছে তাতে মাহারাত দেখানোর চেষ্টা করবো।

উর্দূ কায়দা, মীযান, এসো আরবী শিখি পড়ানো কি কম যোগ্যতার ব্যাপার? এই তো হুযূর (মাওলানা আবদুল মতীন সাহেব) শেকায়াত করলেন যে আমাদের দিকে মুরাজাআ হয় না। অথচ আমরা নিজেরা মুরাজাআ করি। নিজেরা মুযাকারা করি। এটার কারণ কী? কারণ হল, আমি আমার কাজের মধ্যে ইতকান পয়দা করতে চাচ্ছি না। আমি যখন মানুষের সুয়ালের উর্ধ্বে হয়ে গেছি, তালিবে ইলমদের কোনো শেকায়েত নেই আমার ব্যাপারে, ইনতেযামিয়া কোনো শেকায়েত করে না, ইনতেযামিয়া দেখে যে আর দশজনের মত তিনি একজন মুদাররিস, তার ব্যাপারে কী শেকায়েত করবো, অন্যেরা আমার ব্যাপারে শেকায়াত করে না-ব্যস, আমি মুতমায়িন! এইভাবে আমি যত বছরই মুদাররিসী করি, আমার কোনো ইলমী তারাক্কী হবে না। আমি কামিয়াব মুদাররিস হতে পারবো না।

নিজের ইসলাহের জন্য, নিজের ইলমের ইযাফার (বৃদ্ধির) জন্য, ঈমান হেফাযতের জন্য মুতালাআ করে এবং মুযাকারা করে যদি অমি নিজেকে মজবুত করতে থাকি, সেটা কাজ। মাদরাসা আমাকে যে যিম্মাদারী দিয়েছে সে যিম্মাদারীর মাঝে ইতকানের পরিচয় দিয়ে যদি আমি অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করি, তাহলে সেটা কাজ।

মূল কাজ হল নিজের ইসলাহ, নিজের তারাক্কীর চেষ্টা করা। আদব-আখলাক ঠিক করা। মুদাররিস হলে একজন আদর্শ মুদাররিস, খতীব হলে একজন আদর্শ খতীব হওয়ার চেষ্টা করা। বা যে কাজে আছি, উদাহরণস্বরূপ : দাওয়াতের কাজে আছি তো আদর্শ দায়ী হওয়ার চেষ্টা করা। এরপর নেযামুল আওকাত বানিয়ে হুযূররা যে কর্মসূচী দিবেন তার জন্য একটা সময় বরাদ্দ রেখে সে সময়ে তা করা। সেটাও একটা কাজ, সেটারও দরকার আছে। কারণ অনেক সময় আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করা যায় এমন কিছু না থাকলে মানুষের মন মানে না। মনে হয় যেন কিছুই হয় নি। ঠিক আছে, আগ্রহ-উদ্দীপনা বাকি থাকার জন্য এরকম কাজও করতে হয়। তাছাড়া কত কাজের প্রয়োজন তো আছেই। তাসনীফের ময়দানে কত কাজের দরকার!

কাজ অনেক আছে, সমাজের হালাতের জায়েযা নিলে বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জরুরতগুলো চিন্তা করে বের করতে পারলে অনেক বিষয় সামনে আসবে।

এখন আমরা কাজ খুঁজে পাই না। অষ্টম শতাব্দী বা নবম শতাব্দীর তাকিউদ্দীন আলমাকরিযীর কিতাব আছে-আলমাওয়ায়েয ওয়াল ইতিবার ফিল খুতাতি ওয়াল আছার-মিশরের তারীখ (ইতিহাস) কিসের তারীখ? কয়টা মসজিদ কোন জায়গায়, কয়টা খানকাহ কত জায়গায়, জাতীয় যাবতীয় বিষয়। দাওয়াতী, আমলী, ঈমানী, ইকতিসাদী (অর্থনীতি-বিষয়ক), ইলমী, জুগরাফী (ভূগোল-বিষয়ক)-সব ধরনের তথ্য তিনি সে কিতাবে জমা করেছেন।

আসাতিযায়ে কেরামের নির্দেশনা অনুযায়ী যদি আমরা নিজ নিজ এলাকা থেকে জমা করি তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাসের মাওয়াদ (বিভিন্ন উপাদান) জমা হতে থাকবে। দ্বীনী হালতের মধ্যে এটাও লিখব যেএলাকায় দ্বীনী ব্যক্তিত্ব কে বর্তমান আছেন বা কয়েক বছর আগে মরহুম হয়ে গেছেন। তাঁর সম্পর্কে জানতে তাঁর কোনো খলীফা বা কোনো শাগরিদের কাছে যান, নোট করেন। মাওয়াদ জমা করেন। মাদরাসা আছে, এখন সেটা দুর্বল অবস্থায় দেখা যায়। অনেক পুরানো মাদরাসা, পঞ্চাশ-ষাট বছর আগের। একশবছর আগের মাদরাসা কি শুধু হাটহাজারী নাকি এই দেশে? হাটহাজারীর চেয়ে আরো পুরানো মাদরাসা আছে। গ্রামে গিয়ে দেখেন।

কীভাবে কাজ করবো?

নিযামুল আওকাত তৈরি করা ছাড়া কিন্তু এগুলো হবে না। নেযামুল আওকাত যে তালিবুল ইলমদের নেই সে মাদরাসার যিম্মাদারী, ইলমের হক আদায় করতে পারবে না। অন্য কাজের তো কথাই নেই। নেযামুল আওকাত যার থাকবে সে সব কাজ যথাযথ আদায় করে একটু একটু করে এই কাজগুলো করতে পারে।

একটি কাজ

একটি ইলমী কাজ। আল আদাবুল ইসলামিয়্যাহ। আমাদের নিজেদের ফায়েদার জন্য। নিজেদের যেন আদবের ইলম হয় এবং নিজের যিন্দেগীর মধ্যে যেন আদব বাস্তবায়ন করতে পারি সে জন্য আমরা এটার মুতালাআও করব, মাওয়াদও জমা করব। কিতাবী আকারে আসলে দশের ফায়দা হবে।

(চলবে ইনশাআল্লাহ)

 

 

 

advertisement