জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪৭   ||   ডিসেম্বর ২০২৫

প্রতিদিন কুরআনুল কারীমের সংস্পর্শে

মুহাম্মাদ আশিক বিল্লাহ তানভীর

একটি আদর্শ রুটিন সফল জীবনের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি যে ব্যক্তি আদর্শ রুটিন রক্ষা করে জীবন পরিচালিত করে, পৃথিবীতে সে সফল হয় রুটিন ছাড়া জীবন গন্তব্যহীন পথিকের ন্যায়; যে দিনভর সফর করে রোদে পুড়ে, বৃষ্টি ভিজে সাঁঝের বেলা ক্লান্ত শরীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে কিন্তু কোনো ঠিকানায় পৌঁছতে পারে না যে যেই পেশায় সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে, তার জীবনে রয়েছে আদর্শ রুটিন রক্ষা করার উপাখ্যান যার রুটিন যত সুন্দর, তার জীবন তত সুন্দর

একজন সফল মুমিনও এর ব্যতিক্রম নয় ওই মুমিন সফল, যে তার ঈমানী যিন্দেগীর জন্য একটি বিশেষ রুটিন রক্ষা করে সেই রুটিন তাকে সফলতার অভীষ্ট লক্ষ্যে অগ্রসর করতে থাকে বস্তুত দুনিয়াবী যিন্দেগী সুশৃঙ্খল ও পরিপাটি হওয়া, নির্মল ও পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করা, মানুষের উপকার করা, আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে অগ্রসর হওয়া, সর্বোপরি জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করে চিরস্থায়ী জান্নাত লাভ করাই হচ্ছে মুমিন জীবনের চূড়ান্ত সফলতা এই অভিলাষে অগ্রসরমান একজন মুমিন জীবনের পরতে পরতে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলে আখেরাতে সে হয় চূড়ান্ত সফলকাম, সে পৌঁছে যায় তার আসল ঠিকানায়

একজন সফল মুমিন যে আঙ্গিকে তার জীবন বিনির্মাণ করে, তন্মধ্যে গুরুত্বের সঙ্গে প্রাধান্য পায় আলকুরআনুল কারীম কুরআন বিহীন একটি সত্তা পতিত গৃহের তুল্য

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন

إِنَّ الَّذِي لَيْسَ فِي جَوْفِه شَيْءٌ مِنَ القُرْآنِ كَالبَيْتِ الخَرِبِ.

قال الإمام الترمذي : هذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ.

যার অন্তরে কুরআনের কোনো অংশ নেই, তা বিরান ঘরের মতো জামে তিরমিযী, হাদীস ২৯১৩

অন্তর্জগতে আলো জ্বালতে হলে কুরআনের বিকল্প নেই দিলের দুনিয়া আবাদ করে খাঁটি মানুষ হতে হলে কুরআনের নূর হাসিল করতে হবে কুরআনকে উপেক্ষা করে গোটা দুনিয়া রাঙিয়ে ফেললেও হৃদয়জগৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকবে কুরআন বিহীন আধুনিক পৃথিবী যতটা চাকচিক্যময় হবে, অন্তঃকরণ ততটাই কালিমাযুক্ত হবে নব্য জাহিলিয়ত আমাদেরকে চোখে আঙুল দিয়ে সে দৃশ্য দেখিয়ে দেয়

কুরআনের সাথে গভীর প্রেম ও সখ্যতা ব্যতীত মুমিনের জীবন অসম্পূর্ণ ও প্রাণহীন জীবনে সব আছে, কিন্তু কুরআন নেই, তাহলে বাস্তবিকপক্ষে সেই জীবনের কোনো মূল্য নেই কুরআন ব্যতীত একজন মুমিনের অস্তিত্ব কল্পনাও করা যায় না আল্লাহ তাআলা বলেন

اَلَّذِیْنَ اٰتَیْنٰهُمُ الْكِتٰبَ یَتْلُوْنَهٗ حَقَّ تِلَاوَتِهٖ، اُولٰٓىِٕكَ یُؤْمِنُوْنَ بِهٖ، وَمَنْ یَّكْفُرْ بِهٖ فَاُولٰٓىِٕكَ هُمُ الْخٰسِرُوْنَ.

যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি, তারা যখন তা তিলাওয়াত করে, যেভাবে তিলাওয়াত করা উচিত, তখন তারাই তার প্রতি (প্রকৃত) ঈমান রাখে আর যারা তা অস্বীকার করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত লোক সূরা বাকারা (০২) : ১২১

কাজেই ঈমানের অনিবার্য দাবি হচ্ছে, আল্লাহর কিতাবের সাথে প্রগাঢ় সম্পর্ক তৈরি করা আর একেই আয়াতে যথাযথ তিলাওয়াত বলে অভিহিত করা হয়েছে এবং প্রকৃত ঈমানের সঙ্গে শর্তযুক্ত করা হয়েছে পবিত্র কালামুল্লাহ্র তিলাওয়াত তখনই যথাযথ হয়, যখন মুমিনের যিন্দেগীজুড়ে বিরাজ করে কুরআনী রুটিন যেই রুটিনে থাকে কুরআন কারীম তিলাওয়াতের জন্য কিছু সময় সহীহ-শুদ্ধ তিলাওয়াতের গুঞ্জন কুরআনের পয়গামের প্রতি আত্মসমর্পণ আর গোটা জীবন ঘিরে পরিবৃত হয় কুরআনী বিধানের অনুপম প্রকাশ

মাওলানা আবুল হাসান আলী নদবী রাহ. তাঁর অত্যন্ত চমৎকার কিতাব ‘দস্তূরে হায়াত’-এ বলেছেন

প্রতিটি মুমিনের কর্তব্য কুরআন মাজীদ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দৈনন্দিন রুটিনে ওযীফা হিসেবে নির্ধারণ করবে যথাসাধ্য তা রক্ষা করে চলবে কঠিন অসুস্থতা কিংবা চরম ব্যস্ততা ব্যতীত তা কখনো লঙ্ঘন করবে না যে কুরআন মাজীদ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন

لَا يَاْتِيْهِ الْبَاطِلُ مِنْۢ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهٖ  تَنْزِيْلٌ مِّنْ حَكِيْمٍ حَمِيْدٍ.

কোনো মিথ্যা এর পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না; না এর সম্মুখ দিক থেকে এবং না এর পেছন থেকে এটা প্রজ্ঞাময়, প্রশংসার্হ (আল্লাহ)-এর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ সূরা হা-মীম সাজদাহ (৪১) : ৪২

আহ্, সেই কালামের তিলাওয়াত! দিনের যতটুকু সময় এতে ব্যয় হল এটাই তো জীবনের পুঁজি সৌভাগ্য ও সফলতার পাথেয় তো এতটুকুই!! আমি তো তিলাওয়াতের এই ক্ষণগুলোতে মহামহিম আল্লাহর অতি নৈকট্য লাভ করে আছি! আমার অনুভব অনুভূতিতে যেন ছুঁয়ে যায় আল্লাহ তাআলার সেই কথা

لَوْ اَنْزَلْنَا هٰذَا الْقُرْاٰنَ عَلٰي جَبَلٍ لَّرَاَيْتَهٗ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنْ خَشْيَةِ اللهِ وَتِلْكَ الْاَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُوْنَ.

আমি যদি এ কুরআনকে অবতীর্ণ করতাম কোনো পাহাড়ের ওপর, তবে তুমি দেখতে তা আল্লাহর ভয়ে অবনত ও বিদীর্ণ হয়ে গেছে আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্য এ কারণে বর্ণনা করি যে, তারা যেন চিন্তাভাবনা করে সূরা হাশর (৫৯) : ২১

আরে, পাহাড় তো জড়পদার্থ! আর আমি তো আশরাফুল মাখলুকাত আমাকে সম্বোধন করে আল্লাহ তাআলা ঈমানের ডাক দিয়েছেন! কুরআনের বার্তা আমাকে লক্ষ করে নাযিল করেছেন! শুধু তাই নয়, কুরআনে বিশ্বাসীদের তখন সে কী হালত হয়, আল্লাহ তাআলা তা-ও বলে দিয়েছেন

اِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ الَّذِيْنَ اِذَا ذُكِرَ اللهُ وَجِلَتْ قُلُوْبُهُمْ وَاِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ اٰيٰتُهٗ زَادَتْهُمْ اِيْمَانًا وَّعَلٰي رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُوْنَ.

মুমিন তো তারাই, (যাদের সামনে) আল্লাহকে স্মরণ করা হলে তাদের হৃদয় ভীত হয়, যখন তাদের সামনে তাঁর আয়াতসমূহ পড়া হয়, তখন তা তাদের ঈমানের উন্নতি সাধন করে এবং তারা তাদের প্রতিপালকের ওপর ভরসা করে সূরা আনফাল (৮) : ২

সেই শিহরনের বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন

اَللهُ نَزَّلَ اَحْسَنَ الْحَدِيْثِ كِتٰبًا مُّتَشَابِهًا مَّثَانِيَ تَقْشَعِرُّ مِنْهُ جُلُوْدُ الَّذِيْنَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ ثُمَّ تَلِيْنُ جُلُوْدُهُمْ وَ قُلُوْبُهُمْ اِلٰي ذِكْرِ  اللهِ .

আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম বাণী এমন এক কিতাব, যার বিষয়বস্তুসমূহ পরস্পর সুসামঞ্জস্য, (যার বক্তব্যসমূহ) পুনরাবৃত্তিকৃত, যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে এর দ্বারা তাদের শরীর রোমাঞ্চিত হয় তারপর তাদের দেহ-মন বিগলিত হয়ে আল্লাহর স্মরণে ঝুঁকে পড়ে এটা আল্লাহর হেদায়েত, যার মাধ্যমে তিনি যাকে চান সঠিক পথে নিয়ে আসেন আর আল্লাহ যাকে বিপথগামী করেন, তাকে সঠিক পথে আনার কেউ নেই সূরা যুমার (৩৯) : ২৩

এ হালত পয়দা করতে দুটি কাজ আমাদের জন্য সহায়ক হতে পারে

এক. পবিত্র কুরআনের যে মর্যাদা ও পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের যে ফাযায়েল রয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া এর ফলে মহান রবের যে নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জিত হয়, তা অনুধাবন করা এর বিনিময়ে যে পুণ্য লাভ হয় এবং জান্নাতী যে নায-নিআমত রয়েছে তা উপলব্ধিতে ধারণ করা

দুই. পবিত্র কুরআন মাজীদের সাথে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, ফুকাহা, মুহাদ্দিসীন, উলামায়ে রব্বানী ও আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দাদের যে গভীর প্রেমময় সম্পর্ক ছিল এবং এ সম্পর্কের যে দ্যুতি ছিল, সেগুলো অধ্যয়ন করা পূর্ববর্তী আউলিয়ায়ে কেরামের তিলাওয়াত কেমন ছিল? সেই তিলাওয়াতের কাইফিয়ত কীরূপ ছিল? কুরআনের হেদায়েত গ্রহণে তাদের নীতি ও আদর্শ কেমন ছিল? কুরআনের প্রতি কেমন আদব, ভালবাসা, শ্রদ্ধা ও আনুগত্য ছিল? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগতি লাভ করা” (দ্রষ্টব্য : দস্তূরে হায়াত, পৃ. ২২৭-২২৯)

মোটকথা, এভাবে যদি কুরআনের সাথে আমরা সম্পর্ক তৈরি করতে পারি, তবেই আমাদের ঈমানী যিন্দেগী বাক্সময় হবে দৈনন্দিন জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য সময় কুরআনের জন্য বরাদ্দ করতে হবে কতভাবেই তো জীবনের মুহূর্তগুলো কেটে যায় একদিন নিভে যায় বাতি কিন্তু কুরআনের সাথে কতটুকু সময় কাটল সে হিসাব কজন রাখি ডিভাইসের পেছনে অপচয় হতে থাকে জীবনের মূল্যবান সময়; কিন্তু কেন যেন ব্যস্ততার সকল অজুহাত এসে জমা হয় কুরআনের জন্য বরাদ্দ রাখা সময়গুলোতে; কেন?!

কুরআনের সাথে মুমিনের সম্পর্ক যত আন্তরিক হবে, তার জীবন তত মসৃণ হবে সম্পর্ক যত গভীর হবে, জীবন তত সুশৃঙ্খল হবে সম্পর্ক যত ঘনিষ্ঠ হবে, স্রষ্টার কৃপা তত বেশি অর্জিত হবে এজন্য চাই আন্তরিক প্রচেষ্টা ও আল্লাহর দরবারে দিল থেকে মিনতি

এ মুহূর্তে হাদীসে বর্ণিত একটি দুআ স্মরণ করতে পারি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, কোনো পেরেশানগ্রস্ত ব্যক্তি যদি এই দুআ পড়ে

اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ عَبْدُكَ، اِبْنُ عَبْدِكَ، اِبْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِيْ بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ سَمَّيْتَ بِه نَفْسَكَ، أَوْ عَلَّمْتَه أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ، أَوْ أَنْزَلْتَه فِي كِتَابِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِه فِي عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِيْ، وَنُوْرَ صَدْرِيْ، وَجِلَاءَ حُزْنِيْ، وَذَهَابَ هَمِّيْ.

(হে আল্লাহ! আমি আপনার গোলাম আপনার গোলামের সন্তান আপনার বাঁদির পুত্র আপনার হাতে রয়েছে আমার পূর্ণ কর্তৃত্ব আপনি আমার ব্যাপারে যা চান তাই হয় আমার প্রতি আপনার ফয়সালা অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত আমি আপনার ওইসকল নামের ওসীলা দিয়ে প্রার্থনা করছি, যা আপনি নিজের জন্য নির্ধারণ করেছেন অথবা আপনার কোনো সৃষ্টিকে তা জানিয়ে দিয়েছেন কিংবা আপনার কিতাবে অবতীর্ণ করেছেন অথবা আপনার গায়েবী ভান্ডারে তা নিজের কাছে সংরক্ষিত রেখেছেন সব নামের ওসীলা দিয়ে আপনার নিকট মিনতি জানাচ্ছি কুরআনকে আমার হৃদয়ের বসন্ত বানিয়ে দিন আমার দিলের নূর বানিয়ে দিন আমার পেরেশানির উপশম বানিয়ে দিন আমার দুর্দশা বিদূরণকারী বানিয়ে দিন)

এভাবে দুআ করলে আল্লাহ তাআলা ওই বান্দার দুঃখদুর্দশা দূর করে দেবেন এবং এর পরিবর্তে তার জন্য সুখ-সমৃদ্ধির ব্যবস্থা করে দেবেন মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৩৭১২

এটি অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত একটি দুআ যার শব্দে শব্দে রয়েছে ঈমান ও সমর্পণের অনুপম নাযরানা তবে বিশেষভাবে যে বিষয়টি এখানে বিবেচ্য, তা হল, নবীজী দুআ শিখিয়ে দিচ্ছেন আয় আল্লাহ! আপনি কুরআনকে আমার হৃদয়ের বসন্ত বানিয়ে দিন আমার দিলের নূর বানিয়ে দিন আমার পেরেশানীর উপশম বানিয়ে দিন আমার দুর্দশা বিদূরণকারী বানিয়ে দিন

প্রকৃতপক্ষে কুরআনের মাঝেই রয়েছে সেই বার্তা ও শক্তি, যা মুমিনের সকল সমস্যার সমাধান করতে পারে জাগতিকভাবে এবং আধ্যাত্মিকভাবে তার হৃদয়-উদ্যানে বসন্তের ফল্গুধারা প্রবাহিত করতে পারে অন্তর্জগৎকে আলোকিত করতে পারে সকল দুশ্চিন্তা ও পেরেশানী বিদূরিত করতে পারে জীবনের নানা সংকট ও অস্থিরতার সমাধান করতে পারে শুধু তাই নয়, সকল সমস্যা উপশম করে কুরআন প্রদান করে সুখ-সমৃদ্ধি ও শান্তির পয়গাম জীবনকে সুশৃঙ্খল করে তোলে চিত্ত ও চিন্তাকে স্বস্তি প্রদান করে অন্তরে প্রশান্তি বয়ে আনে তবে এগুলো তখনই সম্ভব হবে, যখন কুরআনকে আমরা একমাত্র নিয়ামক হিসেবে গ্রহণ করতে পারব 

 

 

advertisement