সফর ১৪৪৭   ||   আগস্ট ২০২৫

পাঠকের পাতা

পত্রিকাটি ছড়িয়ে পড়ুক বাংলার প্রতিটি ঘরে

আমি মাসিক আলকাউসার পত্রিকা প্রায় নিয়মিত পড়ি পত্রিকার সব লেখা সব সময় পড়তে পারি না, কিন্তু অধিকাংশ লেখা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ‘আপনি যা জানতে চেয়েছেন’ বিভাগটি নিয়মিত এই বিভাগ পড়ার কারণে আমি প্রয়োজনীয় অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাই যেমন, গত মে ২০২৫-এর সংখ্যায় কাযা নামায আদায় সম্পর্কে একটা প্রশ্ন ছিল, সেটা আমার জানা খুব দরকার ছিল পত্রিকায় সেটা দেখে খুব খুশি হয়েছিলাম এরকম প্রত্যেক সংখ্যায়ই খুব দরকারি কিছু প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাই

পত্রিকার শুরুতে ‘আনওয়ারুল কুরআন’ বিভাগে প্রকাশিত কিছু লেখাও ভালো লাগে কুরআনের হেদায়েত নিয়ে লেখাগুলো সহজে বুঝতে পারি এ লেখাগুলো আমার ভাইয়েরা, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সবাই পড়ে

মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক ছাহেব দামাত বারাকাতুহুমের লেখা প্রতি সংখ্যায় থাকলে আমরা পাঠকরা অনেক খুশি হব যদিও হুজুরের জুমার বয়ান ছাপা হয়; তবুও আলাদাভাবে আরও লেখা পেতে চাই জানি, হুজুর ব্যস্ত মানুষ কিন্তু অল্প হলেও হুজুরের লেখা সব সংখ্যায়ই থাকুক এটা আমরা প্রত্যাশা করি

কয়েক মাস আগে ‘হেযবুত তাওহীদ’ সম্পর্কে একটা লেখা ছাপা হয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ একটা লেখা ছিল, অনেক উপকৃত হয়েছি তাদের বিভ্রান্তি সম্পর্কে আরও দুয়েকটি লেখা ছাপলে আমরা উপকৃত হতে পারব ‘আহলে কুরআন’, ‘আহলে হাদীস’ ইত্যাদি বিভিন্ন ফেরকা সম্পর্কেও তথ্যবহুল কিছু লেখা ছাপা হলে ভালো হবে আমার পরিচিত কয়েকজন আছে, তারা নিজেদেরকে ‘আহলে কুরআন’ বলে

আমার জন্য এটা অনেক উপকারী একটা মাসিক পত্রিকা আমি কামনা করি, বাংলার প্রতিটি ঘরে পত্রিকাটি ছড়িয়ে পড়ুক এতে দ্বীন-ঈমান রক্ষায় সবারই অনেক উপকার হবে

সবশেষে এই পত্রিকার লেখক ও প্রকাশকদের জন্য দুআ করি, আল্লাহ তাআলা আপনাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে উত্তম প্রতিদান দান করুন আমীন

মুহাম্মাদ তকী,

তেজগাঁও, ঢাকা

 

জাতীয় ইস্যুতে নির্দেশনামূলক আরও লেখা চাই

সেই ২০০৫ সনের কথা আমি তখন দাওরায়ে হাদীস পড়ি আলকাউসারের প্রথম সংখ্যা হাতে পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত হয়েছিলাম সেই থেকে আলকাউসারের একজন নিয়মিত পাঠক আলকাউসারের প্রায় সবগুলো ভলিউম আমার ব্যক্তিগত লাইেব্রেরিতে আছে মাঝেমধ্যেই সেখান থেকে উপকৃত হই

তালিবুল ইলমের যামানায় আলকাউসারের ‘শিক্ষার্থীদের পাতা’ থেকে অনেক উপকৃত হয়েছি এ বিভাগে হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক ছাহেব দা. বা.-এর লেখা ও শিক্ষা পরামর্শগুলো আমি নিজে পড়তাম, সহপাঠীদের পড়তে উৎসাহ দিতাম ইদানীং দেখছি, শিক্ষা পরামর্শ ছাপা হয় না আশা করি আলকাউসার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দৃষ্টি দেবেন

আলকাউসারের সম্পাদক মহোদয় মুফতী আবুল হাসান মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ ছাহেব দা. বা.-এর লেখার আমি একজন গুণমুগ্ধ পাঠক জাতীয় ইস্যুতে তাঁর নির্দেশনামূলক লেখা থেকে অনেক খোরাক পাই হযরতের কাছে আমার অনুরোধ, বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইসলামপন্থিদের কর্মপন্থা কী হবে কী হবে ইসলামী রাজনীতিকদের কর্মপন্থা, কী হবে দায়ীদের কর্মপন্থা এবং সাধারণ মানুষ কীভাবে ইসলামের পথে এগিয়ে যাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখবেন ইনশাআল্লাহ

মোটকথা, জাতীয় ইস্যুতে হযরতের নির্দেশনামূলক আরও লেখা চাই

আবদুল্লাহ আলমারূফ

কেরানীগঞ্জ, ঢাকা

 

সঠিক বিষয় জানতে পারি, ভুল থেকে বাঁচতে পারি

মাসিক আলকাউসার পত্রিকা আমার কাছে একটি ব্যতিক্রমী ও নির্ভরযোগ্য ইসলামী পত্রিকা দীর্ঘদিন ধরে আমি এর একজন নিয়মিত পাঠক

পত্রিকাটির প্রতিটি বিভাগের লেখা তার বিষয়বস্তুর প্রতি অত্যন্ত স্পষ্ট ও প্রাসঙ্গিক উদাহরণস্বরূপ, ‘আপনি যা জানতে চেয়েছেন’, ‘প্রচলিত ভুল’ এবং ‘খবর... অতঃপর...’ বিভাগ

আপনি যা জানতে চেয়েছেন’ ও ‘প্রচলিত ভুল’ বিভাগটি আমাকে বেশি আকর্ষণ করে কারণ জীবনঘনিষ্ঠ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ে ইসলামের হুকুমগুলো সহজেই জানতে পারি এবং সমাজে ইসলামের নামে বহুল প্রচলিত যে ভুল প্রথা ও কুসংস্কার রয়েছে, তা থেকে বাঁচতে পারি 

মাসিক আলকাউসারের বিশেষ সংখ্যা ‘কুরআনুল কারীম সংখ্যা’-এর মাধ্যমে অনেক উপকৃত হয়েছি কুরআন কারীম সম্বন্ধে বহু অজানা বিষয় জানতে পেরেছি, আমাদের জানা কিছু ভুল বিষয় সংশোধন হয়েছে বিশেষ করে কুরআন কারীমের আয়াতসংখ্যা নিয়ে মানুষের মাঝে যে ভুল ধারণা রয়েছে, সে বিষয়ে সঠিক জ্ঞান লাভ করেছি আলকাউসার কর্তৃপক্ষের কাছে এমন বিষয়ভিত্তিক আরও বিশেষ সংখ্যা কামনা করছি

আলকাউসার কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, আলকাউসারের সাপ্লিমেন্ট ত্রৈমাসিক নারী ও ত্রৈমাসিক শিশুকিশোর প্রকাশের জন্য এগুলোর দ্বারা আমাদের ছোটরা এবং মা-বোনেরা অনেক উপকৃত হচ্ছেন আল্লাহ তাআলা এগুলোকে আরও সুন্দর আরও সমৃদ্ধ করুন

আলকাউসার পরিবারকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আল্লাহ তাআলা তাদের প্রচেষ্টাকে কবুল করুনআমীন

মুহাম্মাদ আলফাতিহ

মানিকগঞ্জ

 

পাহাড়পুরী রাহ.-এর বয়ান : আমার আত্মার খোরাক!

আমি আলকাউসারের অনেক পুরোনো পাঠক বলতে গেলে বুঝ হওয়ার পর থেকেই আলকাউসার আমার প্রতি মাসের খোরাক অনেক আগে আলকাউসারে হযরত মাওলানা আবদুল হাই পাহাড়পুরী রাহ.-এর কয়েকটি লেখা পড়েছি মাঝে অনেকদিন হুজুরের লেখা দেখি না এরই মধ্যে অনেক বছর কেটে গেছে হযরতও আল্লাহর কাছে চলে গেছেন আলহামদু লিল্লাহ, মাসিক আলকাউসারের কল্যাণে গত সংখ্যায় হযরতের একটি লিখিত বয়ান পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে লেখার শিরোনাম ছিল ‘দশটি আত্মিক রোগ ও চিকিৎসা’ লেখাটি পড়ে মনে হয়েছে, হযরত যেন আমাকেই বলছেন আমার অন্তরের রোগগুলোই একে একে চিহ্নিত করে দিচ্ছেন এবং সংশোধনের পথ বাতলে দিচ্ছেন

অন্তরের গভীর থেকে হযরতের জন্য দুআ করি, আল্লাহ তাআলা হযরতকে জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা দান করুন বয়ানটি যারা ধারণ করেছেন, যারা পত্রস্থ করে ছাপার উপযোগী করেছেন, সবাইকে আন্তরিক মোবারকবাদ!

বিশেষত মাসিক আলকাউসার কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক শুকরিয়া, গুরুত্বপূর্ণ এই বয়ানটি তাঁরা পাঠকের জন্য পরিবেশন করেছেন জাযাকুমুল্লাহু খাইরান! 

আবু মাবরুর

কুমিল্লা

 

আলকাউসারের আরও ব্যাপক প্রচার-প্রসার কামনা করি

শৈশব থেকে শহরেই বসবাস শহর মানেই সহজে প্রয়োজনটা হাতের নাগালে পাওয়া ফলে জীবনের সঠিক সময়েই আল্লাহ তাআলা আমাকে মাসিক আলকাউসার মিলিয়ে দিয়েছেন কিন্তু সবাই তো আর শহুরে নয় গ্রাম বা প্রত্যন্ত অঞ্চল বলতে যা বুঝি, সেখানেও কোটি কোটি মানুষের বাস সেখানকার অনেক মানুষ নামই জানে না মাসিক আলকাউসারের আবার অনেকে চাইলেও সঠিক সময়ে হাতে পান না

দুটি ঘটনা বলি

১. একবার এক তাবলীগী সফরে খাগড়াছড়ি গিয়েছিলাম সদর থানা ও তার আশপাশ চষে বেড়িয়েছিলাম তখন অবাক বিষয় হল, সেখানকার সাধারণ দ্বীনদার মানুষ তো দূরে থাক, মাদরাসাপড়ুয়া অনেকেই এ পত্রিকার নাম পর্যন্ত শোনেনি যারা শুনেছে, তাদের অনুযোগ, এখানে আলকাউসারের কোনো এজেন্ট বা কেন্দ্র নেই

সুতরাং আলকাউসার কর্তৃপক্ষ যদি প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর ব্যাপক প্রচার এবং এজেন্ট নিয়োগ বা কেন্দ্র স্থাপনের প্রতি মনোযোগী হতেন!

২. ঝালকাঠির রাজাপুর থানার এক প্রত্যন্ত অঞ্চল সেখানে আমার নানাজানের বাস তিনি বয়োবৃদ্ধ একজন প্রবীণ আলেমেদ্বীন এখন মাজুর হয়ে গেছেন সব সময় ঘরেই থাকা হয়

কিছুদিন আগে নানাবাড়ি গিয়েছিলাম গিয়ে পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যা নানাজানের সাথে দেখা করেই তাঁর হাতে আলকাউসারের মে ২০২৫ সংখ্যাটি দিলাম এই ৮৬ বছর বয়সে তিনি ওই রাতেই পুরোটা পড়ে শেষ করলেন কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, গ্রামে থাকার কারণে এবং বয়োবৃদ্ধ হওয়ার কারণে এমন আগ্রহ সত্ত্বেও নিয়মিত হাতে পান না প্রিয় পত্রিকাটি গ্রামে ডাক বিভাগের সেবাও ভালো না আবার তার পক্ষে পোস্ট অফিস থেকে গিয়ে আনাও সম্ভব না

হায়, প্রিয় এ পত্রিকাটির জন্য এমন কোনো পদ্ধতি যদি চালু করা যেত! বাংলার প্রতিটি অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্নভাবে মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া যেত!

হাসিব মাহফুজ

উত্তরখান, ঢাকা

 

 

advertisement