যিলহজ্ব ১৪৪৬   ||   জুন ২০২৫

খবর... অতঃপর...

r নারী সংস্কার কমিশনের বিরুদ্ধে বাধ্য হলে আন্দোলনে নামব : জামায়াত আমির

আমার দেশ, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নারী সংস্কার কমিশন জাতির চিন্তা-চেতনা, তাহজিব-তমদ্দুন এবং আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি। আর কমিশন প্রত্যাখ্যান করলে তাদের রিপোর্টও শেষ হয়ে যায়।

l আর কোন্ দিন তারা বাধ্য হবেন? কমিশন তো ইতিমধ্যে প্রতিবেদন জমাই দিয়ে দিয়েছে। প্রতিবেদনে কী আছে সেটাও জানা গেছে।

 

r ফরিদপুর জেলা এনসিপির কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতির মেয়ে

বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১ মে ২০২৫

l পতিত ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার বিভিন্নজনের কাঁধে ভর করে আবার পুনর্বাসিত হতে চেষ্টা করবে। ইতিমধ্যে অনেকেই তো বিএনপিতে যোগ দিয়েছে বলে শোনা যায়। দেখা যাক সামনে কী হয়?

 

rআমার লাখ লাখ শ্রমিক ভোটের দাবিতে ক্ষুধার্ত’

আমার লাখ লাখ শ্রমিক ভোটের দাবিতে ক্ষুধার্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিয়ষক সহসম্পাদক ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা। বৃহস্পতিবার (১ মে) ঢাকার নয়াপল্টনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অনুরোধ করে বলেন, আমার লাখ লাখ শ্রমিক আজকে তারা ক্ষুধার্ত। তবে ভাতের জন্য নয়, কাপড়ের জন্য নয়, লবণের জন্য নয়, ভোটের দাবিতে তারা ক্ষুধার্ত। বিগত ১৭ বছর এই শ্রমিক ভোট দিতে পারেনি।

কালবেলা, ১ মে ২০২৫

l শ্রমিকরা ভোট দেওয়ার জন্য ক্ষুধার্ত হয়ে আছেন, নাকি নেতা শ্রমিকদের ভোট পাওয়ার জন্য ক্ষুধার্ত হয়ে আছেন? ভোট পেয়ে নেতারা ক্ষমতায় বসে যুগ যুগ ধরে শোষণই করে আসছেন। খেটে খাওয়া মানুষের সাথে সাধারণত ভোটের কোনো সম্পর্ক থাকে না। ভোটের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ কখনোই দেখা যায়নি। তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে প্রায়ই শোনা যায়, ভোট দিয়ে নেতা বানিয়ে কী লাভ? আমাদের খাটাখাটনির তো শেষ নেই। আমরা তো খেটেই যাই। যতটুকু পারিশ্রমিক আমরা পাই, তাতে তো আমাদের হাতে কোনো টাকা জমে না। দৈনন্দিন খরচ চালাতেই আমাদের হিমশিম খেতে হয়। ভোটের প্রতি তাদের আগ্রহ কোথায় দেখলেন?

 

r খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরছেন জুবাইদা রহমান

লন্ডনে চিকিৎসা শেষে আগামী ৫ মে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তার সফরসঙ্গী হিসেবে দেশে আসছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। প্রায় ১৭ বছর পর বাংলাদেশে ফিরছেন তিনি।

যুগান্তর, ২ মে ২০২৫

l বিএনপি বেগম খালেদা জিয়াকে দিয়ে চাঙ্গা হওয়ার চেষ্টা করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তার স্বাস্থ্য দল পরিচালনার মতো অবস্থায় নেই। অবশ্য তার সাথে তারেক জিয়ার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে নিয়ে আসার মানে হচ্ছে, বিএনপি আগামীতে হয়তো তাকেই সামনে নিয়ে আসবে। যদি তারেক জিয়া তার সকল মামলা শেষ করে আগামী নির্বাচনের আগে দেশে ফেরার সুযোগ না পান, তখন হয়তো জুবাইদা রহমান হবে বিএনপির চালিকাশক্তি। দেখা যাক, দীর্ঘ প্রবাসে থাকা ডাক্তার জুবাইদা রহমান বিএনপির হাল ধরতে পারেন কি না? অগোছালো অনিয়ন্ত্রিত বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন কি না?

 

r বাংলাদেশ দরিদ্র নয়, দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

ইত্তেফাক, ৩ মে ২০২৫

l একথা তো সত্য। সন্দেহের কোনো অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। দেশের যতটুকু সম্পদ রয়েছে, সেগুলার যদি সুব্যবস্থাপনা ও সুষম বণ্টন হয়, তাহলে আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের দরকার হবে না। তাদের কাছে হাতও পাততে হবে না। দেশের মানুষ সুন্দরভাবেই জীবনযাপন করতে পারবে। আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে, আমরা ইসলাম ছেড়ে দিয়েছি। ইসলামের সুষম বণ্টনব্যবস্থা ছেড়ে দিয়েছি। ইসলামের ইনসাফভিত্তিক ব্যবস্থা ছেড়ে দিয়েছি। যে দুর্নীতিকে ইসলাম অঙ্কুরেই বিনাশ করে দেয়, আমরা সেটাকেই জিইয়ে রাখার ব্যবস্থা করেছি। আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে দুর্নীতি, ক্ষমতাবানদের মাধ্যমে দুর্নীতিতে আমরা চ্যাম্পিয়ন হই বারবার। এগুলো তো সত্য কথা।

কিন্তু এখন যারা ক্ষমতায় আছেন, তারাই বা কী করছেন? তারা শুধু মুখের কথা বললে হবে না। তারা কি আমলাতন্ত্রকে দমাতে পেরেছেন? নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন? সেটা তো মনে হয় না। অফিস-আদালতে গেলে বোঝা যায় না, তারা আমলাতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন। কয়েকজন উপদেষ্টার পিএস, এপিএসকে সরিয়ে দেওয়া থেকেও একথা প্রচারিত হচ্ছে, মোটা অঙ্কের দুর্নীতি করার পরই তাদেরকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এধরনের বিপ্লবী সরকারের ওপরও যদি এজাতীয় দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ সওয়ার হয়, তাহলে অন্যদের কী অবস্থা হবে? শুধু মুখে কথা বলে কি কোনো লাভ আছে?

 

r মায়ের সঙ্গে নিজের কার্টুন শেয়ার করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাইলেন তারেক রহমান

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে নিজের কার্টুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে গত শুক্রবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমান এই আহ্বান জানান।

পোস্টে তারেক রহমান ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল নিয়ে মেহেদী হকের একটি কার্টুন জুড়ে দেন।

কালের কণ্ঠ, ৪ মে ২০২৫

l ব্যাঙ্গাত্মক ছবি প্রকাশ করা যদি স্বাধীনতা হয়, সে স্বাধীনতা তারেকই চাইতে পারে! সেটা তারেক জিয়ার জন্য প্রযোজ্য। সেটা সাধারণ জনগণ চায় না। সাধারণ জনগণ সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নামে আর হলুদ সাংবাদিকতা, অপসাংবাদিকতা ফিরিয়ে আনতে চায় না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসে এ কমিশন সে কমিশন বানিয়েছে। অথচ তারও আগে দরকার ছিল শ্বেতপত্র প্রকাশ করা। সাংবাদিকতার নামে কুরুচিপূর্ণ ও অপসাংবাদিকতা করা সাংবাদিকদের তালিকা করা। কারা এদেশকে ইন্ডিয়া-বান্ধব বানানোর জন্য বছর বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে? কোন্ সাংবাদিকেরা, শিক্ষিত নামের কোন্ মতলবিরা টকশোতে বসে অন্যায় কাজগুলোকে সমর্থন দিয়েছে? এমনকি জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সময়ও কারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে ছিল, তাদের তালিকা করা হলে বোঝা যেত, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাহস আছে। যারা বিক্ষোভ আন্দোলন করেছেন তারা তো জানের ঝুঁকি নিয়ে করেছেন। কিন্তু  যারা ক্ষমতায় বসেছেন, তারা তো ন্যূনতম সাহসও দেখাতে পারছেন না। তারা সে সাহস দেখাতে পারলে সব খুনি ও দুর্নীতিবাজ এবং তাদের দোসর সাংবাদিকদের ধরতে পারতেন।

আজ বিএনপি নিজের মতলবে অপসাংবাদিকতা করা দুষ্ট লোকদের সঙ্গে যাচ্ছেন। তারেক রহমানও লন্ডনে বসে সে মতলবের সাফাই গাচ্ছেন। তারেক রহমান মনে করছেন, ওসব সাংবাদিক লিখে লিখেই বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে। বুঝতে হবে, পেপার-পত্রিকার লেখা কোনো দলকে ক্ষমতায় আনবে না। যদি আনত তাহলে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় টিকে থাকত। কারণ, দেশের অল্প কিছু সংবাদমাধ্যম ছাড়া সবগুলোই বছরকে বছর ধরে তাদের গুণগান গেয়েছিল। এটা বিএনপির মনে রাখা দরকার।

 

r ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া

আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস (ইউএনএসডব্লিউ)।

রোববার (৪ মে) সকালে এ সংক্রান্ত নথি আপিল বিভাগে দাখিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

ইত্তেফাক, ৪ মে ২০২৫

l যে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের ডিগ্রিই ভুয়া, সেই ট্রাইব্যুনালের রায়গুলোও পুনর্বিবেচনা করা দরকার। সেগুলো পুনরায় পড়া ও যাচাই করার অবকাশ রয়েছে। এ ধরনের ভুয়া লোকদের দিয়েই বিগত পতিত সরকার দেড় দশকেরও বেশি সময় জনগণের ওপর নির্যাতন করে গেছে।

 

r নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে অন্যগুলোও বাতিলযোগ্য : উমামা ফাতেমা

ইত্তেফাক, ৪ মে ২০২৫

l সংস্কার কমিশনে যেই থাকুক, তাদেরকে দিয়ে তো সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে। তাদের প্রস্তাব দেওয়ার মানেই এই না যে, এ প্রস্তাবই জনগণের জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে। যেকোনো সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবই আলোচনার দাবি রাখে। সেখান থেকে জনগণের জন্য যতটুকু নেওয়া যায়, ততটুকুই নেওয়ার উপযুক্ত। এরচেয়ে বেশি নয়। নারী সংস্কার কমিশন পুরো বাতিলের কথা অনেকে বলছেন এজন্য যে, সেখানে তারা এত ফালতু কথা নিয়ে এসেছে, এত বেহুদা কথা নিয়ে এসেছে, যা নারী ও নারী উন্নয়নের সাথে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জেগেছে, যারা এ কাজ করেছেন, তারা আদতে এ কাজের যোগ্য ছিলেন কি না? অথবা তারা কাজটা ঠান্ডা মাথায় করেছেন কি না? ঠান্ডা মাথায় করে থাকলে এত অযথা জিনিস কেন ঢুকিয়েছেন? তারা তো ইউরোপে বসে এই রিপোর্ট তৈরি করেননি। তারা যে দেশে বসে কাজটি করেছেন, তারা সে দেশের মন-মানস, সভ্যতা-সংস্কৃতি, হাজার বছর ধরে চলে আসা ইতিহাস-ঐতিহ্য নজরে নেননি কেন? তারা এগুলো নজরে না নিয়েই নিজেদের মতো করে প্রতিবেদন দিলেন, তাতে করে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে, আসলেই কি তারা এ কাজের যোগ্য? সে জায়গা থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, পুরোটা কেন বাতিল করা হবে না? যোগ্য লোককে দিয়ে আবার যদি কমিশন করতে হয়, তাহলে কেন আগে কমিটি গঠনের সময় যোগ্য লোকদের কথা বিবেচনা করা হয়নি। অন্যান্য সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনগুলোও আলোচনার দাবি রাখে। সব সংস্কার কমিশনেরই বাছাইকৃত অংশ নিতে হবে। কোনো কমিশনেরই হয়তো সব প্রস্তাব নেওয়া যাবে না।

 

r হেফাজতে ইসলামকে লিগ্যাল নোটিশ এনসিপি নেত্রীসহ ৬ নারীর

নারীকে জনসভায় অবমাননার অভিযোগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) তিন নেত্রী ও তিন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। সোমবার দুপুরে অ্যাডভোকেট পলাশের মাধ্যমে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।

এই নোটিশের বিষয়ে ক্যামেলিয়া শারমিন চূড়া বলেন, ‘সম্প্রতি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সমাবেশে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নারীদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যেই অবমাননাকর, অশ্লীল ও গর্হিত ভাষায় বক্তব্য প্রদান করেন। এমন বক্তব্য শুধু নারীর সম্মানহানিই নয়, এটি মানবাধিকার, সংবিধান ও সুস্থ সমাজের চেতনার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য আক্রমণ। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এ ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য যারা দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’

সমকাল, ৫ মে ২০২৫

l এদের লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার কী অধিকার? যারা লিগ্যাল নোটিশ দিলেন, তাদের কী অধিকার নষ্ট হয়েছে? আর অন্য দিক থেকেও বিষয়টি একটু হাস্যকর। কারণ বাস্তবে অশ্লীল কথা বলা হয়ে থাকলেও সংস্কার কমিশন তো অশ্লীল শব্দই আইন থেকে উঠিয়ে দিতে সুপারিশ করেছে। হেফাজতের লোকেরা কারো বিপক্ষে বলে থাকলে, যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে নোটিশ পাঠাবে। এনসিপিকে এটা বুঝতে হবে, তারা এ পর্যন্ত দেশে কত জন লোককে তাদের সদস্য বানাতে পেরেছে। এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির লোকেরাই যদি এসব নিয়ে বিতর্কে জড়ায়, তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। তারা এসব সদস্যদের নিয়ে জনগণের দোরগোড়ায় ভোটের জন্য যাবে, নাকি তারা ভিন্ন কোনো চিন্তা করবে?

এখানে আরেকটি কথা বলে রাখা দরকার, ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিপক্ষে যেকোনো প্রতিবাদ সভা হোক, সেখানে বক্তাদের ইসলামের শালীনতা, ইসলামের কথা বলার আদব অবশ্যই মেনে চলা দরকার। অযথা কোনো ব্যক্তির ওপর আক্রমণ করা, গালি দেওয়া ইসলামে নিষিদ্ধ; এটা সবারই জানা। কারো কাজ বা নীতির বিরোধিতা অবশ্যই করা যেতে পারে, অন্যায় বলে থাকলে, ইসলামের বিপক্ষে বলে থাকলে, অবশ্যই বিরোধিতা করা উচিত; কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ করা, গালি দেওয়া উচিত নয়। এটা সবারই মনে রাখা দরকার।

 

r গাজীপুরে হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

কলের কণ্ঠ, ৫ মে ২০২৫

l যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছে, তারা যদি এদেশে হামলার শিকার হয় এবং হামলাকারীরা এত বড় দুঃসাহস দেখাতে পারে, তাহলে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অবশ্যই ভাববার অবকাশ আছে। কারা হামলা চালাতে পারে সেগুলো তো খুবই স্পষ্ট। সে সূত্র ধরেও যদি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পাকড়াও করতে না পারে, তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষের চিন্তা বাড়বে বৈ কমবে না।

আরেকটি বিষয় এখানে লক্ষণীয়, যারা বিপ্লব ঘটিয়েছেন, তাদের মধ্যে হাসনাত আব্দুল্লাহ ধর্মীয় চিন্তার দিক থেকে অনেকটা ব্যতিক্রম। তিনি খোলামেলাই বিভিন্ন সময় ইসলামের কথা বলেন। সে কারণেও তাকে টার্গেট করা হয়েছে কি না সেগুলোও দেখার বিষয় আছে। অবশ্যই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অন্যান্য সকলের এসব বিষয় খতিয়ে দেখা দরকার যে, এধরনের হামলার পেছনে ভেতরে ভেতরে ধর্মবিরোধী ভারতপন্থি ইন্টেলিজেন্স কাজ করে কি না?

 

r শাপলা চত্বরে নিহত ৯৩ জনের তথ্য প্রকাশ করল হেফাজতে ইসলাম

বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৫ মে ২০২৫

l এত বছর পরে হলেও এতটুকু সাহস সঞ্চার হয়েছে। এটাও কম কী?

গ্রন্থনা : ওয়ালিউল্লাহ খান

 

 

advertisement