যিলকদ ১৪৪৬   ||   মে ২০২৫

জাতীয় কনফারেন্স পাকিস্তান
ফিলিস্তিন ও মুসলিম উম্মাহর করণীয়
ইসরাইলী ও জায়নবাদী পণ্য বয়কট এবং মুসলিম দেশগুলোর প্রতি কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান

[পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে `ফিলিস্তিন ও মুসলিম উম্মাহর করণীয়` শীর্ষক জাতীয় কনফারেন্সে দারুল উলূম করাচির রেক্টর ও পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের শরীয়া এপিলেট বেঞ্চের সাবেক বিচারপতি মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা দেন, এখন সকল মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিহাদ ফরয হয়ে গেছে কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন এবং ইসরাইলী ও জায়নবাদী পণ্য ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ বয়কটের ডাক দেন

একইসঙ্গে ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা দেশগুলোর সঙ্গে অবিলম্বে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানানো হয় পাশাপাশি ফিলিস্তিনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং মুসলিম দেশগুলোর মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়

এই কনফারেন্সের মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বের নিকট একটি শক্তিশালী বার্তা দেওয়া হয়েছে যে

`এখন শুধুই বিবৃতির সময় নয়; বরং কার্যকর পদক্ষেপের সময়`]

 

`মজলিসে ইত্তেহাদে উম্মত পাকিস্তান`-এর আয়োজনে ১০ এপ্রিল ২০২৫ ঈ. (১১ শাওয়াল ১৪৪৬ হি.) বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের পাক-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে একটি জাতীয় কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয় এই কনফারেন্সে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ইসলামী ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন বর্ষিয়ান আলেম মুফতী মুনীবুর রহমান এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের শরীয়া এপিলেট বেঞ্চের সাবেক বিচারপতি মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা কারী হানীফ জলন্ধরী, পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর হাফেজ নাঈমুর রহমান, সাবেক সিনেটর মুশতাক আহমদ খান, সাবেক গভর্নর হাজ্বী গোলাম আলী, হামাস নেতা ড. জুহায়ের নাজিসহ অন্যান্য ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ

কনফারেন্সে সর্বসম্মত ঘোষণাপত্র পেশ করেন মুফতী মুনীবুর রহমান ছাহেব ঘোষণাপত্রে তিনি বলেন, সব মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর জিহাদ ফরয হয়ে গেছে বিশ্ব বিবেক আজ মৃতপ্রায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো নির্লিপ্ত ও অকার্যকর

তিনি আরও বলেন, আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের প্রত্যক্ষ সমর্থন, অস্ত্র, অর্থ, সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তায় ইসরাইল গাজায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনীদের ওপর এই শতাব্দীর সবচেয়ে বিভীষিকাময় গণহত্যা চালাচ্ছে, যা ইতিহাসে নজিরবিহীন এটি এখন কেবল একটি যুদ্ধ নয়; বরং ফিলিস্তিনীদের `পরিকল্পিত গণহত্যা ও জাতি নিধন`

কনফারেন্সে শায়খুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম তাঁর ভাষণে বলেন `আজ আমরা এখানে একত্র হওয়ার পরিবর্তে গাজার ভূমিতে একত্র থাকতাম কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজ এক বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা পুনরায় কেবল একটি কনফারেন্সের আয়োজন করতে পারছি সে সকল মুজাহিদীনের সহযোগিতায়, বাইতুল মাকদিসের সুরক্ষায়, উম্মতে মুসলিমার হেফাজতে এবং ইসলামী গায়রতের স্বার্থে আমরা আজ পর্যন্ত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারিনি`

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান কনফারেন্সে বলেন `আজ মুসলিম শাসকদের বোঝানো দরকার যে, উম্মতে মুসলিমা তাদের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করছে আমাদের সরকার উম্মাহর নয়, আমেরিকার সন্তুষ্টির জন্য কাজ করছে স্বাধীনতার অধিকার না কাশ্মীরীদের থেকে কেড়ে নেওয়া যাবে, না ফিলিস্তিনীদের থেকে কেড়ে নেওয়া যাবে`

কনফারেন্সে কোনো কোনো বক্তা বলেন, আজ যদি পাকিস্তান ফিলিস্তিনীদের জন্য যুদ্ধ না করে, তবে সেটা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আদর্শের বিরোধী হয়ে দাঁড়াবে

একজন বক্তা বলেন, প্রশ্ন ওঠে, যদি আমরা ফিলিস্তিনীদের পাশে দাঁড়াই, তাহলে দেশের অর্থনীতি চলবে কীভাবে? আমি বলছি, এমন অর্থনীতির ওপর ধিক্কার, যা ইহুদীদের করুণা ও দয়ার ওপর নির্ভরশীল

হামাস নেতা ড. জুহায়ের নাজি বলেন, `ফিলিস্তিন মানেই বাইতুল মাকদিস ও নবীদের ভূমি আজ নির্যাতিত গাজার মানুষ তাকিয়ে আছে মুসলিম উম্মাহ, আলেম সমাজ এবং পাকিস্তানের দিকে`

মাওলানা কারী হানীফ জালন্ধরী  বলেন, `মানবাধিকার, নারী ও শিশু অধিকার নিয়ে কথা বলা পশ্চিমারা আজ মানবতার খুনি কিন্তু সমগ্র বিশ্ব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে দুঃখজনক যে ওআইসি ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোও নির্বিকার ইসরাইল যেমন অত্যাচারী, বর্বর ও সন্ত্রাসী, তেমনি মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর শাসকরাও সমানভাবে এর অংশীদার`

তিনি সতর্ক করে বলেন, `গাজার পর লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেনে হামলা করা এবং সৌদি আরব, জর্দান ও মিসরকে হুমকির ওপর রাখা এটাই গ্রেটার ইসরায়েলের মূল পরিকল্পনা`

 

কনফারেন্সে পেশকৃত ঘোষণাপত্র

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

আজ ইসলামাবাদের পাক-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে `মজলিসে ইত্তেহাদে উম্মত পাকিস্তান`-এর উদ্যোগে `ফিলিস্তিন ও মুসলিম উম্মাহর করণীয়` শীর্ষক একটি জাতীয় কনফারেন্স  অনুষ্ঠিত হয় এতে পুরো পাকিস্তানের ধর্মীয় বিভিন্ন দল ও সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন কনফারেন্সে সর্বসম্মতভাবে নিম্নলিখিত ঘোষণাপত্র গৃহীত হয় :

আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের প্রত্যক্ষ সমর্থন, অর্থ, অস্ত্র, সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তায় ইসরাইল গাজায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনীদের ওপর চলতি শতাব্দীর সবচেয়ে বিভীষিকাময় গণহত্যা চালাচ্ছে নিকট অতীতের ইতিহাসে সারা বিশ্বে এর নজির নেই এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নারী-শিশু-বৃদ্ধ-যুবাসহ প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ শহীদ হয়েছেন, দুই লাখের মতো মানুষ গুরুতর আহত ও পঙ্গু হয়েছেন এবং ৭০ শতাংশের বেশি এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে নাগরিক সেবার সব ধরনের অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে অধিকাংশ হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রশাসনিক ও জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে এটি কেবল একটি যুদ্ধ নয়; বরং ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনীদের `পরিকল্পিত ও সংগঠিত গণহত্যা (Genocide)`

মনে হচ্ছে, আজ বিশ্ব বিবেক মৃতপ্রায় যারা নিজেদের মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য সংগ্রাম করছে, তাদের সন্ত্রাসী বলা হচ্ছে আর খুনী, জালেম ও দখলদারদেরকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে জাতিসংঘ, নিরাপত্তা পরিষদ এখন অকেজো প্রতিটি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আমেরিকা ভেটো দিচ্ছে মানবাধিকার, নারী অধিকার, শিশু অধিকার, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো নির্লিপ্ত ও অকার্যকর

এমন পরিস্থিতিতে শরীয়তের `আল-আকরাব ফাল-আকরাব` (নিকটতমের দায়িত্ব আগে) নীতির আলোকে সকল মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর জিহাদ ফরয হয়ে গেছে, যার ফলে ফিলিস্তিনীদের সাহায্য করা সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য অপরিহার্য কর্তব্য কুরআনের আয়াত, রাসূলের হাদীস ও স্বীকৃত ফিকহী নীতিমালা একথার সাক্ষ্য দেয়

وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُوْنَ فِیْ سَبِیْلِ اللهِ وَالْمُسْتَضْعَفِیْنَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَآءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِیْنَ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَاۤ اَخْرِجْنَا مِنْ هٰذِهِ الْقَرْیَةِ الظَّالِمِ اَهْلُهَا وَ اجْعَلْ لَّنَا مِنْ لَّدُنْكَ وَلِیًّا وَّاجْعَلْ لَّنَا مِنْ لَّدُنْكَ نَصِیْرًا.

তোমাদের হল কী, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না; এবং (লড়াই করছ না) অসহায় পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের রব, এই জনপদ থেকে আমাদের বের করুন, যার বাসিন্দারা জালেম; আর আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য নির্ধারণ করুন কোনো অভিভাবক এবং আপনার পক্ষ হতে আমাদের জন্য নির্ধারণ করুন কোনো সাহায্যকারী সূরা নিসা (০৪) : ৭৫

সকল মুসলিম শাসক ও সমগ্র উম্মাহ আল্লাহর দরবারে এ বিষয়ে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হবে এবং কোনো অজুহাতই তখন গ্রহণযোগ্য হবে না

জাতিসংঘ তার প্রস্তাবের মাধ্যমে ১৯৬৭ সালে জেরুজালেমসহ অন্যান্য অধিকৃত ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডে ইসরাইলের দখলকে অবৈধ ও জোরপূর্বক দখল বলে ঘোষণা করেছে ইসলামী শরীয়াহ ও আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে নিজের মাতৃভূমি স্বাধীন করার সংগ্রাম ফিলিস্তিনীদের ধর্মীয়, ন্যায্য ও নৈতিক অধিকার তাছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালত গাজায় ইসরাইলী বর্বরতাকে `গণহত্যা` আখ্যা দিয়েছে

যেসব দেশ ইসরাইলকে সমর্থন দিচ্ছে, তারা আন্তর্জাতিক চুক্তি ও আইন লঙ্ঘনের অপরাধে অপরাধী তাই ফিলিস্তিন ইস্যুতে কোনো চুক্তিই মুসলিম দেশগুলোর জন্য এই জিহাদে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে না

ফিলিস্তিনীদের সপক্ষে নিজ নিজ দেশে মুসলমানরা জোরালো দাবি ওঠাবে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র উঠিয়ে নয় ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, এরূপ কর্মকাণ্ড সর্বদাই উম্মাহর মাঝে বিভেদ ও পতন ডেকে এনেছে

আমরা দাবি জানাচ্ছি, ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (OIC) জরুরি ভিত্তিতে ফিলিস্তিনীদের পুনর্বাসনের জন্য একটি তহবিল গঠন করুক এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক

যেসব মুসলিম রাষ্ট্র ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে, তারা যেন তা অবিলম্বে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আগ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন করে, নিজ নিজ রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনে এবং ইসরাইলী রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার করে

যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের দায়িত্ব পালন করছে না, মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যেন সেসব সংস্থার সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হোক এবং যেহেতু বর্তমানে পাকিস্তান এর সদস্য, তাই পাকিস্তান এতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করুক

মূলত মুসলিম উম্মাহর পক্ষ থেকে কথা বলা ও তাদের দাবির বাস্তবায়ন করা সংশ্লিষ্ট মুসলিম সরকারগুলোর দায়িত্ব তবে যতক্ষণ না সরকার তাদের দায়িত্ব পালন করছে, ততক্ষণ উম্মাহর কর্তব্য হল :

ক. নির্ভরযোগ্য দাতব্য সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ফিলিস্তিনীদের নিকট আর্থিক সহায়তা পাঠানো

খ. লেখনী, বক্তৃতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মিছিলের মাধ্যমে বিশ্বকে নিজেদের অনুভূতির কথা জানানো

গ. গাজার অবরুদ্ধ মানুষদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠানো

ঘ. চিকিৎসাসেবার জন্য মোবাইল হাসপাতাল (কনটেইনার কনভয়) গঠন, যাতে ঔষধ, অপারেশন থিয়েটার, ল্যাবরেটরি, এক্স-রে, আল্ট্রাসাউন্ড, সিটিস্ক্যান এবং চিকিৎসক ও প্যারামেডিক স্টাফ থাকবে Doctors without Borders নামক সংগঠনকে সক্রিয় করা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ানদেরকে বিনামূল্যে সেবা প্রদানে উৎসাহিত করা

ঙ. যেসব ব্যবসায়ী সংস্থা ইসরাইলের সাথে বাণিজ্য করে, শান্তিপূর্ণভাবে তাদের পণ্য বর্জন করা এবং যারা নিজেদের দোকান থেকে এসব পণ্য সরাবে না, তাদেরও বর্জন করা

চ. আগামী শুক্রবারকে `ফিলিস্তিনের নির্যাতিত ও অবরুদ্ধ মানুষের জন্য সংহতির দিন` ঘোষণা করে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ মিছিল ও বিক্ষোভ করা

ছ. বিশ্ব বিবেককে নাড়া দেওয়ার জন্য আধুনিক ইলেকট্রনিক ও সামাজিক মাধ্যমের সব প্ল্যাটফর্মে সোচ্চার হওয়া

জ. নির্যাতিত ও অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনীদের জন্য ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর গড়ে তুলতে ও বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিতে একটি সর্বদলীয় কনফারেন্সের আয়োজন করা, যাতে কেউ অনুপস্থিতির অজুহাত দেখাতে না পারে যদি অন্য কেউ এর উদ্যোগ না নেয়, তবে `মজলিসে ইত্তেহাদে উম্মত পাকিস্তান` নিজে এই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবে

এই কনফারেন্স  মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওই বিবৃতির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে, যাতে তিনি ফিলিস্তিনীদের গাজা ত্যাগ করতে বলেছেন এবং ইঙ্গিতে গাজা দখলের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই `ইসরাইলসহ` পুরো অঞ্চলটি ফিলিস্তিনীদের স্বদেশভূমি এবং এটি তাদের আইনি ও স্বাভাবিক অধিকার আমেরিকা চাইলে অন্যত্র ইসরাইলীদের বসতি স্থাপন করতে পারে

[প্রতিবেদন প্রস্তুতকরণ ও উর্দু থেকে অনুবাদ : মাওলানা মুনশী মুহাম্মাদ মহিউদ্দীন]

 

 

advertisement