জায়নবাদী পণ্য বয়কট : একটি প্রস্তাবনা
মাওলানা আবদুল মাজীদ চারসাদ্দা
একটি প্রস্তাবনা; আশা করি আপনি তা আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবেন।
এতদিন পর্যন্ত আমরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা এমন অনেক পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করেছি, যা পুরোপুরি ইসরাইলী ছিল কিংবা এর লাভের একটা অংশ ইহুদীদের স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
এখন আমাদের এই ভুলের প্রকৃত ও যথাযোগ্য প্রায়শ্চিত্তের পথ হল :
প্রথমত, সমস্ত মুসলিম ব্যবসায়ী ও ক্রেতাগণ অবিলম্বে এবং স্থায়ীভাবে এজাতীয় পণ্য-সামগ্রীর ক্রয়-বিক্রয় ও সকল ধরনের লেনদেন থেকে নিজেদের সম্পূর্ণরূপে বিরত রাখব।
দ্বিতীয়ত, নিজ আয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ গাজাবাসী ও ফিলিস্তিনের জন্য নির্ধারণ করব, যাতে পূর্বে আমার মাধ্যমে ইসরাইলের কাছে যে লভ্যাংশ পৌঁছেছে তার যথাযোগ্য প্রায়শ্চিত্ত হয়।
এই প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন চালিয়ে যাব, যাতে নিজেকে এই প্রবোধ দিতে পারি, `হে আল্লাহ! আমি অসচেতনতার কারণে ইসরাইলকে যে পরিমাণ সহায়তা করেছি, তার চেয়ে বেশি পরিমাণে গাজাবাসী ও ফিলিস্তিনের সহায়তা করার চেষ্টা করছি এবং ভবিষ্যতেও করব ইনশাআল্লাহ। হে আল্লাহ! আপনি আমার এতদিনের ভুল ক্ষমা করে দিন এবং আমার এ প্রচেষ্টা কবুল করুন।`
আশা করি, এর দ্বারা হৃদয়ে প্রশান্তি ও সুকূন আসবে এবং নিশ্চয়ই ইসরাইলের মোকাবেলায় ফিলিস্তিন অর্থনৈতিকভাবেও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায়, এর মাধ্যমে হয়তো কয়েক বছরের মধ্যে ফিলিস্তিন আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এবং বিশ্বের মানচিত্র থেকে ইসরাইলের নাম মুছে যাবে ইনশাআল্লাহ!
এর দ্বারা আমরা শুধু আত্মিক প্রশান্তিই পাব না; বরং আমাদের ব্যবসা ও জীবিকার মধ্যেও বরকতের দরজা খুলে যাবে। ব্যবসার সাথে সাথে এটি হবে ইসলামের জন্য একটা বড় খেদমত।
তাই আসুন, আল্লাহর নামে হিম্মত করে আমরা এটা শুরু করি।
আর যখন আমার কাছে ফিলিস্তিনীদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ জমা হবে, তখন তা বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেব, যারা সততার সাথে এ আমানত গাজা ও ফিলিস্তিনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের কাছে পৌঁছে দেবে।
[ভাষান্তর : মাওলানা ফজলুদ্দীন মিকদাদ]