শাবান-রমযান ১৪৪৪   ||   মার্চ-এপ্রিল ২০২৩

পারভেজ মোশাররফের করুণ মৃত্যু
তাবৎ ক্ষমতাসীনদের শিক্ষার উপকরণ

মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ

গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রোববার দুবাইয়ের আমেরিকান হসপিটালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক সেনা শাসক পারভেজ মোশাররফ।

কে ছিলেন পারভেজ মোশাররফ? একসময়ের পরাক্রমশালী একনায়ক, যার কথা নড়চড় করার সুযোগ ছিল না কোনো অনুসারীর। দুনিয়ার তাবৎ ইসলামবিদ্বেষীরা ছিল যার বন্ধু। আমেরিকা ও তার সহযোগীদের খুশি করার জন্য যিনি বিকিয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তান রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব। সরাসরি নিজের দেশ ও দেশের মাটিকেই ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন পড়শী রাষ্ট্রের মুসলমানদের হত্যাকারী ও নির্যাতনকারীদেরকে। পৃথিবীর দৃশ্যমান মুসলিম-অমুসলিম বড় বড় ক্ষমতাবানেরা ছিল তার রক্ষাকর্তা। তার সকল ইসলাম-বিদ্বেষ ও জুলুম-নির্যাতনকে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়েছেন তারা। এখানে গণতন্ত্র, মানবাধিকারসহ তাদের লোকদেখানো বুলিগুলো কোনো কিছুর প্রতিবন্ধক হয়নি। সে কারণেই হয়তো বিশ^মিডিয়ায় পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুর খবর ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে। বাংলাদেশের বড় বড় কিছু পত্রিকাও অনলাইন সংস্করণে প্রধান শিরোনাম হিসেবে খবরটির প্রচার করেছে। হয়তোবা তাদের স্বপক্ষের লোকটির চলে যাওয়ার বেদনা থেকেই। পৃথিবীব্যাপী পারভেজ মোশাররফ ও তার মতো ব্যক্তিদের অবস্থা তো এমন থাকে যে, তারা বা তাদের সহযোগী ও সাঙ্গ-পাঙ্গরা তাদের মৃত্যু হতে পারে এ চিন্তাও মনে হয় কখনো করে না। তারা মনে করে, এসএসএফ ও এলিট ফোর্সের নিরাপত্তা তো আছেই। একদিকে বহু স্তরের নিরাপত্তা ও বেষ্টনী, অন্যদিকে সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, আদালতসহ রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোতে গোলামি করা লোকেরা। তো এদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করে এত দুঃসাহস কার? যুগ যুগ থেকে তারাই শোষণ করে যাবে জনগণকে। এসব একনায়ককে কখনো মনে হয় না তারা তাদের মতো আগের যামানার একনায়কদের পরিণতির কথা স্মরণ করে থাকে। কিন্তু কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে

اَیْنَ مَا تَكُوْنُوْا یُدْرِكْكُّمُ الْمَوْتُ وَلَوْكُنْتُمْ  فِیْ  بُرُوْجٍ مُّشَیَّدَۃٍ .

তোমরা যেখানেই থাক (একদিন না একদিন) মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই; চাই তোমরা সুরক্ষিত কোনো দুর্গেই থাক না কেন। সূরা নিসা (৪) : ৭৮

وہ بادشاہ بھی سانسوں کی جنگ ہار گئے + جو اپنے گرد ہمیشہ سپاہ رکھتے تھے

নিঃশ্বাসের যুদ্ধে সে বাদশাও হেরে গেছে/যে চারপাশে সদা সেনাদল রাখত।

পারভেজ মোশাররফও মারা গেছেন। ২০১৬ সাল থেকে বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর এক সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন মোশাররফ। ক্ষমতাচ্যুত করেন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে। এরপর নিজেকে প্রথমে চীফ এক্সিকিউটিভ, পরে তথাকথিত গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। এর আগের বছর ১৯৯৮ সালে দুজন সিনিয়রকে ডিঙিয়ে তাকে সেনা প্রধান করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। জবরদস্তি ক্ষমতা দখলের পরপরই অন্যান্য একনায়কের মতো মোশাররফ নেমে পড়েন বিরোধীদের চরমভাবে দমনে। নওয়াজ শরীফকে প্লেন হাইজ্যাকের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারদণ্ড দেওয়া হয়। একে একে দেশ থেকে বিতাড়িত হয় মূল ধারার রাজনীতিকেরা। রাষ্ট্রের কিছু উপদল এবং ভাষা ও অঞ্চলভিত্তিক উগ্রপন্থী দলকে মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়। মিটিং-মিছিলে লোকদেরকে বেপরোয়াভাবে হত্যা করতেন তিনি। কিছু বিচারক তো হালুয়া-রুটির লোভে এমনিতেই তার পক্ষ নিয়েছিলেন; কিন্তু বিচারকদের বেশিরভাগ, যারা তার অন্যায়ে মাথা নত করেননি, তাদেরকে গৃহবন্দী করে ফেলা হয়েছিল। জরুরি অবস্থা জারি করে সংবিধানের মৌলিক অধিকারের ধারাগুলো স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। এসবই ইতিহাসের অংশ। কিন্তু আমরা আজ সেসব বিষয়ে বিশদ আলোচনায় যেতে চাই না। আমরা সংক্ষিপ্ত দু-চারটি কথা বলতে চাই।

মোশাররফের ইসলাম-বিদ্বেষ

পারভেজ মোশাররফের সবচেয়ে বড় গুণটি (!) নিয়ে বলতে গেলে বলতে হয়, জবরদস্তি ক্ষমতা দখলের পরপরই অন্যান্য একনায়কদের মতো তিনিও কিছু মজার মজার কথা ও স্লোগান চালু করেন। যেমন, পাকিস্তান ফাস্টর্, উন্নয়ন ও রৌশন খেয়াল তথা মুক্তচিন্তা এইসব শব্দ ব্যবহার শুরু করেন। এসবের আড়ালেই নিজের জবরদস্তি ক্ষমতায় থাকা, লুটপাট করা ও ইসলাম-বিদ্বেষের ভিত তৈরি করতে থাকেন। ক্ষমতা স্থায়ী করার জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তি ও দলগুলোকে দমিয়ে দেওয়া তো তার একটা কৌশল ছিল। কিন্তু যেটি মোশাররফের মূল এজেন্ডা ছিল তা হচ্ছে, ইসলাম ও মুসলমানদের দমন ও অবনমন। সে লক্ষে ক্ষমতায় বসেই দেশের মাদরাসাগুলোর উপরে হরেক রকমের চাপ ও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে থাকেন। তাকে অনুসরণ করে বিশ্বের অন্যান্য দেশে তার মতো লোকেরা এখনো সে কাজ করে যাচ্ছে। তার কুখ্যাত ইসলাম-বিদ্বেষের একটি নমুনা হল, ইসলামাবাদে লাল মসজিদ প্রাঙ্গণের হামলা। সেখানে দেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিক ও শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরামের পরামর্শ সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে সশস্ত্র অপারেশন পরিচালনা করা হয়। শহীদ করা হয় আলেম-উলামাসহ অসংখ্য তরুণী ও ইলমে ওহীর ছাত্রীদের।

এভাবে যতদিন তিনি ক্ষমতায় ছিলেন ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইসলামের শত্রুদের ক্রীড়নকের ভূমিকা পালন করে গেছেন। কিন্তু তার যে সিদ্ধান্ত এবং যে কাজটি শুধু পাকিস্তানেই নয়, বরং পুরো ইসলামী বিশ্বের জন্য জঘন্য একটি ক্ষত তৈরি করে গেছে, তা হচ্ছে ৯/১১-এর পর পাকিস্তানকে তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে জড়ানো। পারভেজ মোশাররফ শুধু সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে জড়িতই করেননি; বরং সে দেশের মাটি ব্যবহার করতে দিয়েছেন আমেরিকাসহ ভিনদেশীদেরকে। সেখান থেকেই পরিচালিত হয়েছে আফগানিস্তানের ইসলামী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ ও বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ। অভিজ্ঞ মহলের দৃষ্টিতে তৎকালের পাকিস্তান সরকারের এ সিদ্ধান্ত শুধু পাকিস্তানই নয়, বিশ্বব্যাপী সশস্ত্র প্রতিরোধ ও অসহিষ্ণুতা বিস্তারের কারণ হয়েছে। এভাবে একটি স্থায়ী ক্ষতির ভিত্তি স্থাপন করে গেছেন পারভেজ মোশাররফ। এর প্রতিক্রিয়ায় যা কিছু হয়েছে এবং যা কিছু হচ্ছে তাতে বিশ্বের জালেম শাসকদের তো তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি। তারা নিজের নিরাপত্তার জন্য এসএসএফ বাহিনী, এলিট ফোর্স বানিয়ে নিয়েছে। যার হাজার হাজার কোটি টাকার খরচ যোগাচ্ছে সাধারণ জনগণ। কিন্তু এসবের খেসারত দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানসহ বিশ্বের মুসলমানেরা।

পারভেজ মোশাররফ আরেকটি যে জঘন্য অপরাধ করেছেন তা হচ্ছে, পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার জনক, মুহসিনে পাকিস্তান (পাকিস্তানের প্রতি অনন্য অনুগ্রহকর্তা) খ্যাত ড. আব্দুল কাদীর খানের অবমাননা। সম্পূর্ণ অন্যায় ও মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ একটি বিবৃতি লেখা হয়। যাতে ড. আব্দুল কাদীর খান কতৃর্ক পাকিস্তানের এটমি প্রযুক্তি পাচারের অভিযোগ তাঁর মুখ দিয়ে জবরদস্তি ঘোষণা করানো হয়। এভাবে একটি দেশের অন্যতম মুহসিন ব্যক্তিটিকে বিশ্বের কাছে অসম্মানিত করা হয়। নিশ্চয় এটি ছিল বিদেশীদের এজেন্ডা, যা তাদের গোলাম পারভেজ মোশাররফ বাস্তবায়ন করেছেন। এরপর তো আব্দুল কাদীর খানকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। কিন্তু যখন তিনি আদালতের নির্দেশে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পান তখনই ওই মিথ্যুকদের মুখোশ উন্মোচন করে দেন।

এত কিছুর পরও একসময় মোশাররফকে মাথা নত করতে হয়েছে এবং গণরোষে পড়ে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। এরপর তার বিরুদ্ধে বহু মামলাও হয়েছে পাকিস্তানে। মাওলানা আব্দুর রশীদ গাজি হত্যা মামলা, বালুচ নেতা নবাব আকবর বিগটি হত্যামামলাসহ আরও অনেক হত্যামামলা এবং ক্ষমতায় বসে আইন ভঙ্গের জন্য বিশ্বাসঘাতকতা মামলা। সে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় নির্বাসনে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে।

আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলে এবং দুর্নীতিবিরোধী কমিশন নেবের মাধ্যমে বিরোধী রাজনীতিকদের দমন-পীড়নে সিদ্ধহস্ত হলেও তিনি গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে প্রকাশিত শুধু সংযুক্ত আরব আমিরাতের আটটি ব্যাংকে তার রয়েছে  ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলার। আর দেরহাম রয়েছে ৫ কোটি। লন্ডনে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, পাকিস্তানে সুবিশাল ফার্ম হাউসসহ অঢেল সম্পদ। আর এ লোকটিই কিনা মিঠা মিঠা নীতিবাক্য উচ্চারণ করে গেছেন জবরদস্তি ক্ষমতা দখল করার পর।

কেউ মৃত্যুবরণ করলে তার ব্যক্তিগত দোষত্রুটি চর্চা করা বারণ। তাই আমরা মোশাররফের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকছি। কিন্তু ক্ষমতাবান ও সমাজের প্রভাবশালীরা কর্ম ও সিদ্ধান্ত দিয়ে একটি রাষ্ট্র ও সমাজের যেসকল উপকার বা অপকার করে, সেসবের আলোচনা ও চর্চা থাকা আবশ্যক। যেন এর থেকে পরবর্তীরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। এবং সাধারণ জনগণও ধোঁকায় না পড়ে সতর্ক থাকতে পারে। সে উদ্দেশ্যেই মোশাররফকে নিয়ে দু-চারটি কথা আরজ করা হল।

কিছু শিক্ষা

এক. পারভেজ মোশাররফের মতো লোকদের করুণ মৃত্যুতে পৃথিবীর তাবৎ ক্ষমতা প্রদর্শনকারী শাসকদের ও দাম্ভিক জালেমদের শিক্ষা নেওয়ার মতো উপকরণ রয়েছে। একজন একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার পরও তার কী করুণ পরিণতি হল। ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর থেকে নিজ দেশেও থাকতে পারেননি। মামলা-মোকাদ্দমাগুলো সশরীরে উপস্থিত হয়ে মোকাবেলা করার সাহসও করেননি।

দুই. আরবীতে একটি প্রবাদ আছে

اتَّقِ شَرَّ مَنْ أَحْسَنْتَ إِلَيْه.

তুমি যার প্রতি অতিরিক্ত অনুগ্রহ করছ। তার অনিষ্ট থেকে সতর্ক থেকো।

নওয়াজ শরীফ সাদাসিধে ও অধিক অনুগত মনে করে দুজন অফিসারকে ডিঙিয়ে পারভেজ মোশাররফকে সেনাপ্রধান বানিয়েছেন; সে লোকই কিনা নওয়াজ শরীফের কেবল ক্ষমতাই কেড়ে নেয়নি; বরং দেশান্তরও করেছে। এখান থেকে পৃথিবীর ক্ষমতাবানেরা শিক্ষা নিতে পারে, যাদেরকে তারা বিভিন্ন বাহিনীতে বিশ্বস্ত ও অনুগত মনে করছে, যাদেরকে দেশের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলোতে বসাচ্ছে, তারাই যে পতনের কারণ হবে না একসময় সে কথা হলফ করে বলা যায় না। ইন্দিরা গান্ধিসহ অনেককেই কিন্তু তার দেহরক্ষীরাই হত্যা করেছিল।

তিন. পৃথিবীব্যাপী দেশে-বিদেশে গণতন্ত্রের বুলি আওড়ানো হলেও, স্বাধীন বিচারব্যবস্থার স্লোগান প্রচলিত থাকলেও বর্তমানে ক্ষমতাবানদের চেয়ার আটকে রাখার একটি বড় হাতিয়ার হচ্ছে বিচার বিভাগ। অনুগত লোকদের এসব জায়গায় বসিয়ে তারা দুষ্টের লালন এবং শিষ্টের দমন করিয়ে থাকে। নিজেদের সকল অপকর্ম ঢাকার মাধ্যম বানিয়ে থাকে এ বিভাগের কিছু লোককে। মোশাররফও এমনিভাবে কিছু বিচারককে তার আনুগত্যের কাজে লাগিয়েছিলেন। তারা নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়ে গেছে মোশাররফের অপকর্মগুলোকে। আজ সেই বিচারকেরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তাদের নাম উঠলেই মানুষ ছি ছি করে। যতদিন পৃথিবী থাকবে এই লোকদের কৃতকর্ম কালো অধ্যায় হয়েই থাকবে। এখান থেকে অন্যান্য দেশের অন্যায় কাজের সমর্থন দেওয়া বিচারকেরা যদি কিছু শিক্ষা নেয় তবে সেটি একটি ভালো ব্যাপারই হবে।

এভাবে বললে আরও অনেক কিছু বলা যায়। আজ এ পর্যন্তই থাক। পারভেজ মোশাররফ চলে গেছেন এমন একটি জগতে, যেখান থেকে আর ফেরা যায় না। এমন একটি জগতে, যেখানে ছলচাতুরি তো দূরের কথা মুখই খোলা যায় না। নিজের দুনিয়াবি জীবনের সবকিছুর সাক্ষ্য দিতে থাকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো। যত মিথ্যা, যত প্রতারণা, যত অন্যায়, যত জুলুম সবকিছুর বিস্তারিত বিবরণ নিজের সামনেই উপস্থিত থাকবে। কোনো কিছুই অস্বীকার করার উপায় থাকবে না। আমাদের সকলেরই সে সময়ের কথা ভেবে জীবন যাপন করা দরকার।

 

 

advertisement