রবিউল আউয়াল ১৪৪৪   ||   অক্টোবর ২০২২

খবর অতপর......

* যা যা চেয়েছি, ভারত সব দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের

ইত্তেফাক, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

ভারত সফরে গিয়ে কিছুই আনতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী : মির্জা ফখরুল

প্রথম আলো, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

ভারত সফর থেকে শূন্য হাতে আসিনি

প্রথম আলো, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

# বিভিন্ন শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য থেকে গোড়ার কথা ধরে নেওয়া যায়। আসলে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত যে আমাদেরকে কতটুকু দেয় বা পেছনের দিনগুলোতে কত কী দিয়েছে এবং এর মোকাবেলায় আমাদের থেকে নিয়েছে কী পরিমাণ তা এখন আর ওয়াকিফহাল মহলের অজানা নয়। একতরফা বন্ধুত্বের খেসারত এই দেশ এবং জনগণ কতভাবে দিচ্ছে তা তো হিসাব করে শেষ করা যাবে না। কখনো পানিতে মারা, কখনো পানিতে ভাসানো, কখনো ভাতে মারা (চাল-পেঁয়াজ ইত্যাদি রপ্তানি বন্ধ করে বা দাম বাড়িয়ে দিয়ে) কখনো একতরফা ট্রানজিট, কখনো ঋণের নামে বিভিন্ন কৌশলে কয়েকগুণ আদায় করার তেলেসমাতি সাহায্য এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের সাম্প্রতিক কথা ধরে নিলে, এদেশের শাসন পরিচালনার নিয়ামক শক্তিও ভারত। সুতরাং শূন্য হাতে ফেরার তো প্রশ্নই আসে না। এছাড়া পাওয়া যাই হোক আমাদের প্রতিবেশীকে দেওয়ার ক্ষেত্রে তো আমাদের দু হাত প্রসারিত রয়েছে।

আর ওবায়দুল কাদের সাহেবের ইস্ত্রি করা কথা-বার্তা শুনে তো অনেক বিষণœ মানুষও হেসে ওঠেন। হঠাৎ মনে পড়ছে, ২০১৭ সালে যখন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল নামল তখন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জুলুম নির্যাতন বন্ধে চাপ দিতে বাংলাদেশ ভারতের দিকে চেয়ে ছিল। তখন ভারত কিন্তু মিয়ানমারের পক্ষই নিয়েছে। বাংলাদেশকে লক্ষ লক্ষ শরণার্থীর চাপ বয়ে যেতে হচ্ছে এখনো। সে সময় যখন চীন ও ভারতের ভূমিকা চরমভাবে প্রশ্নের সম্মুখীন এমতাবস্থায় হঠাৎ করেই দেখা গেল, একদিন ওবায়দুল কাদের সাহেব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে উপস্থিত। তিনি ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ভারত থেকে আসা ত্রাণের বস্তা বিতরণ করছেন শরণার্থীদের মাঝে। আর ভারতের এহসানের বর্ণনা দিচ্ছেন স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে। এদেশে অনেককেই দেখা যায়, কে কোন্ দেশের বড় পক্ষের লোক বা এজেন্ট- এটি খোঁজ করতে। সেটা তো আর কারও গায়ে লেখা থাকে না। আচার-আচরণ কথা-বার্তা দিয়ে অনেকে অনুমান করে ফেলেন।

 

*ফোর্বসের তালিকায় সিঙ্গাপুরের ৪২তম শীর্ষ ধনী সামিট পাওয়ারের আজিজ খান

ইত্তেফাক, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

# বাংলাদেশে বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানী এবং ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর বিষয়ে মাঝে মাঝেই পত্র-পত্রিকায় অনেক কথাই প্রকাশিত হয়। দেশের জনগণের টাকা একতরফাভাবে কিছু কোম্পানি কাজ করে বা না করে, বিদ্যুৎ সাপ্লাই দিয়ে বা না দিয়ে আইন সিদ্ধভাবে (!) হাতিয়ে নিচ্ছে সেগুলোর ভার তো আর দেশীয় ব্যাংক বইতে পারবে না। তাই সিঙ্গাপুরের মতো জায়গা-ই এর জন্য হয়তো উপযুক্ত।

 

* সম্মানীর বিনিময়ে বাইরের কলাম লেখকদের দিয়ে ইতিবাচক নিবন্ধ লেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রথম আলো, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

# খবরটি প্রচারিত হওয়ার পর কয়েকটি পত্রিকায় এ নিয়ে বেশ মাতামাতি দেখা গেল। কেউ কেউ টানটান নাতীদীর্ঘ নিবন্ধও লিখলেন। আবার কেউ রম্য রচনাও গাইলেন। যেন একটা নতুন জঘন্য কথা বলে ফেলেছেন মন্ত্রী সাহেব। বিষয়টি কি আসলে নতুন? বিগত প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় থেকে আমরা কী দেখছি? পত্র-পত্রিকার সংখ্যা, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের পরিমাণ গাণিতিক হারে বাড়ছে। তো সেগুলোতে যেসব বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, কলামিস্ট সাহেবরা লিখছেন অথবা তাদের বুদ্ধিদীপ্ত টিভি বিতর্ক ও টকশো পেশ করছেন তাদেরকেও কি যথেষ্ট মনে হচ্ছে না মন্ত্রী মহোদয়ের। তাদের মধ্যেও কি ভালো ইংরেজি জানা কেউ নেই। নিশ্চয়ই মন্ত্রীর কথায় তারা নারাজ হয়েছেন। তাঁদের থেকে নিবন্ধ লিখিয়ে দেশের মানুষের টাকায় বিজ্ঞাপন আকারেও তো বাইরে প্রচার করতে পারেন। আর বিদেশী প্রভুদের খুশি করতে কাড়ি কাড়ি ডলারে লবিস্ট নিয়োগের কথা তো হর হামেশাই প্রকাশ পায়।

 

* ৮০ হাজার কোটি খোয়ালেন বেজোস, মাস্কের লোকসান ৭০ হাজার কোটি, অথচ লাভ করলেন অম্বানী-আদানিরা!

আনন্দ বাজার, কোলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

# এসবই শেয়ার বাজারের তেলেসমাতি। কয়েকদিন আগে আরও দেখলাম, পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছে বিশে^র দ্বিতীয় ধনী হয়েছিলেন আদানী। হয়েছিলেন শব্দটি দেখেই অনুমান করে ফেলেছি, ব্যাপারটি আসলে কী? একটি লোক গতকালকে চার পাঁচ নম্বর ধনী, আজ আবার দুই নম্বর; তাও বলা হচ্ছে, হয়েছিলেন। এর মানে, তিনি ধনী থাকেননি। কী এমন বিষয় ঘটল? হঠাৎ করে কি তিনি আলাদিনের চেরাগ হতে পেয়েছিলেন? কিছুক্ষণ পরে কি আবার খসে গিয়েছিল। না ব্যাপারটি এমন নয়। আসলে বম্বে শেয়ার বাজারে ওই কদিনে হঠাৎই আম্বানী আদানীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারমূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল। আর আদানী বাবু বিশে^র সেরা ধনী হবেন না তো আর হবেন কে? নরেন্দ্র মোদীজীর ঘনিষ্ঠজন বলে কথা। অন্যদিকে নিউইয়র্ক ও অন্যান্য শেয়ার বাজারে বেজোসদের প্রতিষ্ঠানের শেয়ারমূল্য নিম্নমুখী হয়েছে। যার কারণে কাগজে-কলমে তাদের কারও সম্পদমূল্য বেড়েছে আবার অন্যদের কমেছে। হাল আমলের শেয়ার বাজারের চরিত্রগুলোই এমন। হঠাৎই কাউকে আসমানে উঠিয়ে দেয় আবার কাউকে ধপাস করে জমিনে ফেলে দেয়। পুঁজিবাদী অর্থনীতির বহু অসংলগ্নতার একটি উদাহরণমাত্র এটি।

 

* হাওয়ায় ভাসছে ওরিয়নের শেয়ার, নির্বিকার বিএসইসি

শেয়ারবাজারে হাওয়ায় ভাসছে ওরিয়নের চার শেয়ার। গত এক মাস যাবৎ পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে শেয়ারগুলো। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরের যেন লাগামই টেনে ধরতে পারছে না নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। লাগামহীন শেয়ারদর বৃদ্ধি পাওয়া এই চার কোম্পানির মধ্যে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা, বিকন ফার্মা এবং কোহিনূর কেমিক্যালস লিমিটেড।

শেয়ার নিউজ, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

#  কেন, কয়দিন আগেই তো BSEC  -এর চেয়ারম্যান বললেন, তদন্ত শেষে এক একটি অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৬ মাস থেকে এক বছর লেগে যায়। কর্তৃপক্ষ পর্যবেক্ষণ করবেন এরপর বিবেচনা করবেন তারপর করবেন তদন্ত! শেষমেষ হয়তো দেখবেন কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়! গ্রাম্য প্রবাদ আছে চোর গেলে বুদ্ধি বাড়ে

 

* সেমিনারে বক্তারা

ভারতে পাহাড়-বন ধ্বংসের প্রভাবে সংকটে হাওর

প্রথম আলো, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

# বন্ধুদের একটু আধটু জ্বালাতন সহ্য করে যাওয়াই ভালো। এত মাতামাতির কী আছে?

 

* নির্বাচন ইস্যুতে আ. লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না : শেখ হাসিনা

যুগান্তর প্রতিবেদন১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

# কীভাবে নির্বাচন করতে হবে সেটা তো সংবিধান সংশোধন করে ঠিকই করে ফেলা হয়েছে। এখন সেই বিধানের বাইরে আবার কী করে যাওয়া যায়? এদেশের বিভিন্ন এ্যাথলেটরা বড় বড় অলিম্পিক বা অন্যান্য বড় বড় টুর্নামেন্টে দলে দলে অংশগ্রহণ করে থাকে আর ফিরে আসে খালি হাতে। তখন সান্ত্বনাস্বরূপ অনেকেই বলেন, জয়-পরাজয় মুখ্য নয় অংশগ্রহণই বড় কথা। এদেশের নির্বাচন নিয়েও বর্তমানে সেভাবে বলা যেতে পারে। জনগণের ভোটাধিকার বড় কথা নয়, নির্বাচন ও সংবিধানই বড় কথা। মাঝে মাঝে আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমন ভান করে থাকি, যেন সংবিধান কোনো আসমানী বাণী। আবার যখন মন চায় সংবিধানকে কেটে-ছিঁড়ে ফেলতেও দ্বিধা করি না। এ পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের সংবিধান পনের বারেরও অধিক মৌলিকভাবে সংশোধিত হয়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্র থেকে রাষ্ট্রপতি শাসিত পদ্ধতি আবার সংসদীয় পদ্ধতি, বহুদলীয় গণতন্ত্র থেকে একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থা, মার্শাল ল, আবার বহুদলীয় ব্যবস্থা, ব্যক্তি বিশেষকে স্বপদে ফেরাবার ব্যবস্থা, বিচারকদের অপসারণের জন্য একবার এ নিয়ম আবার ওই নিয়ম, নির্বাচন পরিচালনার জন্যে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন করে একবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আনয়ন আবার ভিন্ন সংশোধনীতে সেটাকে বাতিলকরণ- কোনো যোগ্যতা ফলানোর প্রচেষ্টারই তো কমতি রাখা হয়নি আমাদের সংবিধানে!

 

* জাতিসংঘের নারী অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করলো কাবুল

ইত্তেফাক, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

# আসলে কি কাবুল নারী অধিকার লঙ্ঘন করেছে, না মাতৃজাতীকে তার সঠিক সম্মান দিয়েছে, মাতৃজাতিকে পণ্য হওয়া থেকে রক্ষা করেছে? বিশ^ব্যাপী ক্ষমতাবান ও পুঁজিবাদীরা নারীদেরকে যেভাবে তাদের অর্থ উপার্জন ও প্রবৃত্তির জন্য পণ্য বানিয়ে ফেলেছে কেউ তাতে বাধ সাধলেই ওরা একসাথে নারী অধিকার নষ্ট হল বলে চেঁচিয়ে ওঠে। কিন্তু সাধারণ মানুষ জেনে গেছে আসলে পেছনের মতলব কী?

 

* লন্ডন সেন্ট্রাল মসজিদে রানির স্মরণসভা

কালের কণ্ঠ, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

# শরঈ মাসআলার দিক না আনলেও অনেকেই বিষয়টিকে অতি উৎসাহীর পরিচায়ক বলে মনে করছে।

 

* ইসরাইল শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করছে : ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী

যুগান্তর, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

# তারা শান্তিকামী ছিল কবে?

 

* ভুয়া বাবার নাম দিয়ে শেয়ার কিনলেন সাকিব!

বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

# প্রশ্ন হল, তুলনামূলক অখ্যাত বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও সাকিবের কি কিছু হয়েছে? মাত্র কয়েকদিন আগেও জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও সাকিবকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বানানো হয়েছে। অনেকে বলেছেন, এটি জুয়াড়ি সংশ্লিষ্টতার উপহার। যার বাসায় বিশেষ জায়গায় তৈরি হওয়া খাবার আসে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাধ্য কার? সমস্যা হল, এরা অসংখ্য অবুঝ তরুণের রোল মডেল। এভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কেমন তৈরি হবে তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

* দেশের ডাকে সিপিএল ছাড়লেন শামসী, জাতীয় দল ফেলে তার বদলী সাকিব-

কালের কণ্ঠ, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

# অন্য আরো বহু ক্ষমতাবানের মতো দেশ প্রেমের উজ্জ্বল নমুনা রাখছেন আরকি!

 

* একের পর এক মর্টার শেল নিক্ষেপ : মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে ফের তলব

মানবজমিন, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী বললেন, মিয়ানমারের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সংযম দেখাচ্ছে বাংলাদেশ

সমকাল, ১৮ সেপ্টেম্বর ২২

সীমান্তে গুলি ছোড়া হলে বরদাশত করব না; মিয়ানমারের প্রতি হুইপ আবু সাঈদ

প্রথম আলো, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে এক মাসে চতুর্থ দফায় তলব

ইনকিলাব, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

# অনেকেই ভাবছেন, আমরা শুধু ভারতবাদীই না, বরং গান্ধিবাদিই হয়ে যাচ্ছি কি না? পড়শীরা মারতে থাকবে, গোলা ছুড়তে থাকবে আমরা শুধু কথার ফুলঝুড়ি ছুড়ে যাব। শেষ পর্যন্ত অসহায়ত্বের প্রদর্শনস্বরূপ জাতিসংঘের দুয়ারে দাঁড়াব! তবে যে যাই বলুক নিজেদের সামর্থ্য বা প্রস্তুতি ছাড়া যুদ্ধে জড়ানো বোকামিই বটে। হ

 

 

advertisement