যিলকদ ১৪৪৩   ||   জুন ২০২২

খবর ... অতঃপর ...

* সব কিছুর ঊর্ধ্বে থেকে নির্বাচন করতে চাই : সিইসি

বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর.কম, ১৮ এপ্রিল ২০২২

# নিন্দুকেরা বলেন, ‘সব কিছুরভেতরে সততা, নিষ্ঠা, নিরপেক্ষতাও হয়তো আছে!

* মুরসালিনের ভাই বললেন,

এই দেশে কোনো বিচার নেই, কে করবে বিচার

প্রথম আলো, ২১ এপ্রিল ২০২২

# এটা শুধু এক ব্যক্তির নয়। মুরসালিনের ভাইয়ের একার কথা নয়। এখনকার সমাজব্যবস্থাটাই আস্তে আস্তে এদিকে অগ্রসর হচ্ছে। এমনটা ইচ্ছে করেই ধীরে ধীরে আমাদের মতো রাষ্ট্রগুলোতে বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। সমাজের অন্যান্য সেক্টরে নজর দিলেও তা দেখতে পাবেন। দেখা যাবে, সবকিছু সুন্দরভাবে সাজানো হচ্ছে। ভোটের ময়দান সাজানো হচ্ছে। সবই হচ্ছে, কিন্তু সাধারণ মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছে না। কারণ, সে মনে করে, আমি ভোট দেওয়া না দেওয়া বরাবর। যে পাশ হবে বলে আগে থেকে ঠিক করা আছে, সে-ই পাশ হবে। এমনিভাবে আদালতগুলোতে অনেকে বিচার চাইতে যাচ্ছে না। সে মনে করে, আমার মতো সাধারণ লোকের জন্য ইনসাফ নেই। আমি বিচার চাইলেও যার পক্ষে রায় হবে বলে নির্ধারিত, তার পক্ষেই রায় হবে। এমনিভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য সব সেক্টরে সাধারণ মানুষ নিজেদেরকে অসহায় ভাবছে। সমাজের এলিট শ্রেণি সবকিছুকে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিচ্ছে। সুতরাং মুরসালিনের ভাইয়ের বিচারবিভাগের প্রতি অনীহা আশ্চর্য হওয়ার মতো বিষয় নয়। এটা এখন রূঢ় ও তিক্ত বাস্তবতা আমাদের মতো দেশের জন্য।

* রেমিট্যান্স প্রবাহ হ্রাস

অগ্রণীর প্রায় অর্ধেক, ইসলামী ও জনতা ব্যাংকের এক-তৃতীয়াংশ কম

বণিক বার্তা, ২১ এপ্রিল ২০২২

# ওই লোকেরা এখন কোথায়? যারা করোনাকালে প্রতিদিন পাগলের মতো দেখাচ্ছিল, আজ এত শ কোটি এসেছে, কালকে এত শ কোটি আসবে। আমাদের রিজার্ভ ও রেমিট্যান্স এত মিলিয়ন পার হয়ে গেছে, এত বিলিয়ন পার হয়ে গেছে। তখনই কিছু বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ সতর্ক করেছিলেন, এটা সময়িক। মানুষ এখন করোনার ভয়ে বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছে। অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্য গুটিয়ে চলে আসছে, তাই বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স আসছে। তাদের কথাই তো সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। সে প্রবাহ তো কমে গেছেই। বাস্তবে যা এসেছিল তার থেকে পরিমাণে অনেক কম। হাঁকডাকের লোকেরা এখন কোথায়? বাস্তবতা বিবর্জিত চিন্তা করা লোকজন এবং যারা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে রিজার্ভ ও রেমিট্যান্সের প্রচার করেছিল তাদের ভাবা উচিত, এই খবর তাদের মুখোশ উন্মোচন করে দেয়।

*ধনী-দরিদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত কারোই আইন ও বিচার ব্যবস্থার ওপরে আস্থা নেই

-আলী রীয়াজ

মানবজমিন, ২১ এপ্রিল ২০২২

# আমরা নিজ থেকে কিছু না বলে অধ্যাপক আলী রিয়াজের কাছ থেকেই শুনি, ‘এই যে বিচার না চাওয়া সেটা হচ্ছে দেশে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে তার প্রমাণ। ধনী-দরিদ্র শিক্ষিত-অশিক্ষিত কারোই এখন আর আইন ও বিচার ব্যবস্থার ওপরে আস্থা নেই। প্রতিষ্ঠানের ওপরে আস্থা নেই, কেননা প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙ্গে পড়েছে। সেগুলো নিজে নিজে পড়েছে তা নয়, যে শাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে সেখানে প্রতিষ্ঠানের চেয়েও ব্যক্তি বড় হয়ে উঠেছে। ভিক্টিম যাঁরা তাঁরাই এখন ভীত সন্ত্রস্ত থাকেন। ভয়ের সংস্কৃতি আর বিচারহীনতার সংস্কৃতি মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে।

* রেলের ১০ ইঞ্জিন কেনায় অনিয়ম

কালের কণ্ঠ, ৭ মে ২০২২

# রেলের এসব অনিয়ম নতুন কিছু নয়। যারা বিগত কয়েক বছর থেকে রেলের কেনাকাটা ও অন্যান্য খরচাদি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, যারা অল্প-স্বল্প প্রকাশিত হওয়া রিপোর্টগুলো দেখেছেন তারা জানেন, বাংলাদেশে রেলওয়ের খরচ পৃথিবীর সব রেলওয়ের চেয়ে বেশি। সুযোগ-সুবিধার হালাত যে কী- তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, অনিয়ম না হলে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হত। ছোট একটি দেশ। রেলের মাধ্যমে জনগণকে সুবিধা দেওয়া গেলে আরও অনেক আগেই দেশ আরও উন্নত হতে পারত। কিন্তু হয়ে ওঠেনি। পৃথিবীতে অনেক আগেই হাইস্পিড রেল এসেছে। আমরা স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পার করে ফেলেছি। এখন পর্যন্ত বৃটিশরা যা রেখে গেছে তা নিয়ে পড়ে আছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম সরাসরি রেললাইন চালু হলে বি.বাড়িয়া কুমিল্লা না ঘুরে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা সময়ে যাতায়াত করা যেত। তখন বাণিজ্য নগরী ও রাজধানীর সাথে যোগাযোগ অতি সহজ হত। মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হত না। ব্যবসা-বণিজ্যও গতি পেত। কিন্তু সবকিছুর পেছনেই যে টাকা আর ভাগবাটোয়ারার হিসাব, সে কারণেই এসব প্রকল্প হচ্ছে না। যেগুলো চালু আছে সেগুলোও দিন দিন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ছে।

* ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করেছিলাম, তারা কথা রাখেনি : বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রথম আলো, ০৯ মে ২০২২

# সবাই জানেন বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেও একজন ব্যবসায়ী। তাদেরকে তাঁর থেকে বেশি কে চিনবে? সুতরাং বিশ^াস করার আগে তিনি একবার ভেবে নিতে পারতেন।

* বাংলাদেশ কখনওই শ্রীলংকা হতে পারে না : জাহিদ ফারুক

যাযাদি ডেস্ক, ১৪ মে ২০২২

# এ নিয়ে লম্বা কিছু বলার ইচ্ছা ছিল। অনেকে আবদারও করেছেন। দেখা যাক সামনে হয়ে ওঠে কি না। এখানে শুধু একটা কথা বলব, শ্রীলঙ্কা তো একটা দ্বীপ রাষ্ট্রের নাম। বাংলাদেশ আরেকটা রাষ্ট্রের নাম। খুব স্পষ্ট যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, রাজনৈতিক অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো ভবিষ্যতে হবে কি না সেটা ভবিষ্যতই বলবে। এর সহজ জবাব হল, শ্রীলঙ্কাকেও তাদের অর্থনীতি নিয়ে অনেক আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। তখন তারাও বলেছিল, কখনো আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা নিচে যেতে পারে না। আমাদের অর্থনীতি এত দুর্বল না। শ্রীলঙ্কাকে বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছিলেন, কিন্তু তারা পাত্তা দেয়নি। বাংলাদেশও এখন পাত্তা দিচ্ছে না। এদেশের বিভিন্ন সেক্টরের একশ্রেণির লোকেরা যে গুণগান গাইছে, অনেক ক্ষেত্রে অবান্তর অযৌক্তিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছে, এমন যুক্তিতর্ক শ্রীলঙ্কাও উপস্থাপন করেছিল ভুল পথে হাঁটার সময়। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। সুতরাং সাধু সাবধান!

* হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র আগামী বছরের মধ্যেই ফিরিয়ে আনব : ফখরুল

ইত্তেফাক, ১৪ মে ২০২২

# ফখরুল সাহেবদের এমন কথা শুনে জাতি হাসবে, না কাঁদবে; না নির্বিকার থাকবে- সেটা ভাবতেই সময় চলে যায়। অনেকে বলে থাকেন, তারা কেবল কথা বলার জন্যই রাজনীতি করেন। কাজের জন্য নয়।

* আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে : ইমরান খান

ইত্তেফাক, ১৫ মে ২০২২

# সব তত্ত্ব বাদ দিয়ে এখন তিনি হত্যার তত্ত্ব নিয়ে এসেছেন। লোকটি অতি কথা বলতে অভ্যস্ত। পৃথিবীতে অনেক নেতাই ভাষণে সেরা ছিল, কাজে অনেক দুর্বল ছিল। ইমরান খান তাদেরই একজন। রিয়াসাতে মদীনার নাম ব্যবহার করে মূলত তিনি ইসলামী শাসনব্যবস্থার বদনাম করেছেন। কাজের কাজ তিনি তেমন কিছুই করেন নাই। এখন আবার নতুন তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন। আসলে কোনো জাতি যদি ভাষণে ভুলে যায় তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় তারা প্রতারিত হয়। মুখের বড় বড় কথা আর বাস্তবায়ন করা এক কথা নয়। আরেকটি বিষয় খুবই স্পর্শকাতর। তা হল, একদিকে ইসলামের নাম ব্যবহার করা আরেকদিকে কার্যকর ক্ষেত্রে সেটার নিদর্শন না থাকা। ইমরান খান কেবল ইসলামের নাম ব্যবহার করেছেন। তার টিমে যে কজন লোক ছিল তাদের অধিকাংশই মোশাররফ আমলের মন্ত্রী ছিলেন। যাদের অধিকাংশই ধর্মকর্মের সাথে সম্পর্কহীন সেক্যুলার। মোশাররফের লোকদের বাছাই করেই মন্ত্রীসভায় নেওয়া হয়েছিল। তাদেরকে দিয়ে ইমরান সাহেব রিয়াসাতে মদীনা কায়েম করার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। কেউ উল্টো পথে চলে আবার সেটাকেই ইসলামের পথ বলে দাবি করে। এটাই দুঃখজনক বেশি। ইমরান খানের ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে। এখন আবার তিনি নতুন করে হত্যা ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন।

* কলকাতা কথকতা

বিঘার পর বিঘা জমি, বাংলো, ফ্ল্যাট, পিকে হালদারের সম্পত্তি দেখে চোখ কপালে ওঠে

মানবজমিন, ১৫ মে ২০২২

# পিকে হালদার একা নয়। একজন হাইলাইট হয়েছে। পিকে হালদার মানে হল, প্রশান্ত কুমার হালদার। এদের লোকেরা অনেকেই নাম সংক্ষেপে রাখে। যেন তাদেরকে ভালো করে চেনা না যায়। অন্তত কেউ যেন এ ভয় না করে, তিনি না আবার কদিন বাদে পাশর্^বর্তী দেশে পালিয়ে যান। যেমন প্রশান্ত কুমার হালদার হয়ে যান পিকে হালদার। সুরেন্দ্র কুমার সিনহা হয়ে যান এসকে সিনহা। এরকম অনেককে দেখবেন নাম সংক্ষেপ করে ফেলে। সংক্ষেপ করলে দ্রুত টাকা কামাতে সহজ হয়। পিকে হালদারের ব্যাংকের নাম হয়ে গেছে এখন গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। প্রশান্ত কুমার হালদার হলে তো মানুষের কাছে সে ব্যাংকের ইসলামী হওয়া একটু কঠিন লাগত।

এমন পিকে হালদার অসংখ্য। কিন্তু দেখার বিষয় হল, পিকে হালদাররা যে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালাতে পেরেছে এবং এক-দুটি নয়, অনেকগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে প্রায় দেউলিয়া করে ফেলেছে। এই যে পরিস্থিতি তৈরি করল, এর জন্য কি পিকে হালদার একা দায়ী? নিশ্চয় না।

বোঝার বিষয় হল, যারা আইন-কানুন সম্পর্কে ওয়াকিব আছেন, বিশেষ করে আর্থিক খাতের বিষয়ে যারা জানেন, আর্থিক খাতের টাকা সরাতে হলে খুব সহজে, এককভাবে কেউ পারে না। অনেকগুলো অথরিটি থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক আছে, অর্থমন্ত্রণালয় আছে, কোম্পানি শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত হলে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এ্যান্ড এ্যাক্সচেঞ্জ কমিশন আছে, ঢাকা স্টক এ্যাক্সচেঞ্জ, চিটাগং স্টক এ্যাক্সচেঞ্জ আছে, অনেক অফিসার এবং নিজস্ব ব্যাংকের অনেকগুলো স্তর তো পার হতেই হয়। প্রশ্ন হল, এতগুলো চোখ ফাঁকি দিয়ে পিকে হালদার কি একা একা এসব করে ফেলেছে? নিশ্চয় না। বরং বিভিন্ন স্তরের বড় বড় কর্তাদের এখানে হাত আছে। তাদের মাধ্যম হয়েই এধরনের অবৈধ সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার অবৈধ সুবিধা কি ফ্রি দেয়? এসব একা ভোগ করেনি পিকে হালদার। সুতরাং পিকে হালদারকে নিয়ে যেমন আলোচনা দরকার তেমনি দরকার যারা পিকে হালদারকে সহযোগিতা করেছে তাদেরও চিহ্নিত হওয়া। নইলে এমন প্রশান্ত কুমার হালদার তৈরি হতেই থাকবে।

* এবার সিনেমা হলে মিলল সয়াবিন তেল

নয়া দিগন্ত, ১৫ মে ২০২২

# সিনেমার চেয়ে সয়াবিন মজুতদারি আরও জমজমাট হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন খবরে তো দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে সয়াবিনের বড় বড় মজুত উদ্ধার করা হচ্ছে। প্রশ্ন হল, এর দ্বারা কাজ কী হচ্ছে? এসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা কতটুকু নেওয়া হচ্ছে? জেল-জরিমানা তাদের কতটুকু হচ্ছে? সামান্য জরিমানায় কি কিছু হয়? এসব ক্ষেত্রে বড় ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হলে নিশ্চয় মজুতদারি কমে যেত। শুধু মজুতদারদের আটকালেই তো হবে না। অল্প যে কজন ব্যবসায়ী এ সেক্টরগুলো নিয়ন্ত্রণ করে তারা যে দাম বাড়িয়ে দেয়, সে দামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারের কতটুকু সামঞ্জস্য আছে এবং মাঝে মাঝেই যে দাম বেড়ে গেলে সরকার কর কমিয়ে দেয় সে করহ্রাসের সুবিধা জনগণ কতটুকু পায়- এসব বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া দরকার। এদেশে এসব কাজ সাধারণত হয় না।

* পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির ২০ খাত চিহ্নিত

সরকারি অর্থের হরিলুট

ইউজিসির অনুসন্ধান : ড্রাইভার নিচ্ছে উপসচিবের সমান বেতন, বাংলোতে বসবাসের পরও বাড়ি ভাড়া উপচার্যের পকেটে। দু-একদিনের মধ্যে যাচ্ছে সব প্রতিষ্ঠানে সতর্কপত্র

যুগান্তর, ১৭ মে ২০২২

# এই লুট ও হরিলুটই স্বাভাবিক নিয়ম। একটি কথা আমরা ছোটকাল থেকেই শুনে আসছি, কোম্পানি কা মাল দরিয়া মে ডাল। তখনও কোম্পানি বলতে সরকারি সম্পদ বোঝাত। আমাদের দেশে দুর্নীতির যে অবস্থা, দুর্নীতির শেকড় যে কতদূর গিয়ে পৌঁছেছে এমন দু-চারটা ঘটনা দেখে অনুমান করতে পারেন। যারা খুব অবাক হন, কেন সরকারি চাকরির জন্য শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে? অনেকে এটার সমালোচনাও করেন। অনেককে এটার জন্য খুব চিন্তিতও দেখা যায়। ওখানে দুই ধরনের মানসিকতার লোকই থাকবে, যারা রাষ্ট্রের কাজে গিয়ে জনগণকে সেবা দিতে চায় তারা তো আছেনই, কিন্তু সরকারি চাকরি প্রার্থীদের একটা বিশাল অংশ যে আলাদিনের চেরাগের ব্যবহার তথা দুর্নীতি করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার চিন্তায় মগ্ন থাকে, এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। সুতরাং হরিলুট হওয়াই এখানে স্বাভাবিক।

সতর্কপত্র পাঠিয়ে কী হবে? প্রয়োজন, সমাজব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। জাতিকে নিছক শব্দজ্ঞানে শিক্ষিত না করে নীতি নৈতিকতার মানদ-েও উন্নীত করা।

* মানবাধিকার কমিশন বিলুপ্ত করল তালেবান সরকার

যুগান্তর ডেস্ক, ১৭ মে ২০২২

# কোন্ মানবাধিকার কমিশন? আমাদের মতো দেশ বা ভারতের মতো দেশের যে সমস্ত মানবাধিকার কমিশন থাকে সেগুলো? যেগুলো মানবাধিকার বলতে তার দলের, তার সমর্থকগোষ্ঠীর অধিকারকেই অধিকার মনে করে। সাধারণ মানুষের অধিকার যাদের কাছে কোনো জায়গা পায় না। সেই মানবাধিকার কমিশন?

সেগুলো হলে তো বিলুপ্ত হওয়াই উচিত। নিশ্চয় সেটা হলে কারজাই ও আশরাফ গনি মার্কা কমিশন আরও আগেই বিলুপ্ত করা উচিত ছিল। সত্যিকার অর্থে যে সমাজে, যে দেশে ইসলামী অনুশাসন থাকে সেখানে আলাদা মানবাধিকার কমিশন দরকার হয় না। কারণ, পুরো সরকারটাই ইনসানিয়াতকে রক্ষা করার জন্য। মানবতাবিরোধী কর্মকা-কে দমানোর উদ্দেশ্যেই ইসলামের সমাজব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বিধি-বিধানগুলো সাজানো হয়েছে।

* শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের নিন্দা করে বিষ আখ্যা দিলেন বাইডেন

কালের কণ্ঠ, ১৮ মে ২০২২

# কিন্তু এ বিষই তো ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমের এবং পৃথিবীর বিশাল অংশের শ্বেতাঙ্গদের দেমাগে, যা বিশ^ব্যাপী মানবতাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে।

* কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম ১০৩ টাকা

যুগান্তর, ১৮ মে ২০২২

# জোর করে এখন ডলারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। নতুন করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সবাই একই মূল্যে ডলার বিক্রি করবে। কিন্তু যারা বাজার-অর্থনীতি সম্পর্কে ধারণা রাখেন তারা জানেন, ডলারের মূল্য জোর করে কমিয়ে রাখার সুযোগ নেই। কারণ, এ যুগে জোর করে দমিয়ে রাখলেও আনুষ্ঠানিক জায়গাগুলোতে নির্ধারিত একটা মূল্য হয়তো থাকবে। অনানুষ্ঠানিক জায়গাগুলোতে বাস্তব দাম থেকে আরও অনেক বেড়ে যাবে। সুতরাং মূল্য ঠিক করে দেওয়া সমাধান নয়। ১০৩ টাকা কেন একসময় হয়তো আরও বেশি বেড়ে যাবে। চাপাচাপি করতে গেলে দাম আরও বাড়বে। তখন মানুষ ডলারকে বেশি মূল্যবান মনে করে বসবে। অনেকে বিনা কারণেই ডলার কিনে গচ্ছিত করার চেষ্টা করবে অর্থনীতির ধসের ভয়ে। গোড়াতেই নজর দেওয়া দরকার।  ডলার ব্যয়ের জায়গাগুলো সঙ্কুচিত হওয়া উচিত।

* ইউপি নির্বাচন

আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন ধর্ষণ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি

প্রথম আলো, ১৮ মে ২০২২

# এটা খুব সামান্য জিনিস। এর আগে এমনকি বিচারক পদে, এমপি পদেও এমন অনেক লোক মনোনয়ন পেয়েছেন, যারা হত্যা মামলারও আসামী ছিলেন। পরবর্তীতে বড় পদ পাওয়ার পর দেখা যায়, তাদের ওই মামলা প্রত্যাহার হয়! এ বেচারা তো শুধু চেয়ারম্যান; এ নিয়ে এত কথা বলার কী আছে?

* কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর

বিদেশে যেতে ফাঁকফোকরেরখোঁজে তাঁরা

অন্তত ৩৫০ জন সরকারি কর্মকর্তার বিদেশ সফরের সরকারি আদেশ রয়েছে। তাঁদের মে ও জুনে বিদেশ যাওয়ার কথা।

= ইউরোপ সফরই বেশি। ইউরোপে যাওয়ার কথা ১৪০ কর্মকর্তার।

= অর্থ মন্ত্রণালয় বিদেশ সফর নিষিদ্ধ করার পরও গেছেন কেউ কেউ।

= কোনো কোনো সংস্থা সফর বাতিল করেছে।

 প্রথম আলো, ১৮ মে ২০২২

# এমন বিদেশ সফরেই কোটি কোটি ডলার ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। কয়েক দিন আগে দেখলাম, একজন কর্মকর্তা ইউরোপে লম্বা শিক্ষাসফর করে এসেছেন। আসার পরের দিনই তিনি অবসরে চলে গেছেন। তিনি একজন এলজিআরডির সিনিয়র সচিব। রাষ্ট্রের হাজার হাজার ডলার খরচ করে এলেন। সচিব হয়েছেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদ পেয়েছেন। এরপর আর কোনো অফিসার নেই। তবুও তার শিক্ষার দরকার হয়েছে। অবশ্য শিক্ষা তো মিনাল মাহদি ইলাল লাহদিতিনি হয়তো এর উপর আমল করেছেন। তবে সবারই জানা কথা, এ শিক্ষাটা হল, রাষ্ট্রের কাজে লাগানোর জন্য। যিনি চলে যাবেন অবসরে, তিনি অবসরে যাওয়ার আগ মুহূর্তে সফরে গিয়েছেন। সে শিক্ষা হয়তো তিনি পরিবারেই কাজে লাগাতে পারবেন। রাষ্ট্রের তো আর কাজে আসছে না। এগুলো হরিলুটের সামান্য কিছু নমুনা। হরিলুট শুধু এক জায়গায় না। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এ হরিলুট ছড়িয়ে আছে। সাধারণ জনগণের টাকা এভাবেই ভাগ-বাটোয়ারা করে সমঝোতার মাধ্যমে ভোগ করছে বিভিন্ন গোষ্ঠী।

* সিলেটে পানি বাড়ছে, বিদ্যুৎহীন কয়েক লাখ গ্রাহক

বণিক বার্তা, ১৯ মে ২০২২

# বণিক বার্তা তো ছোট্ট করে হলেও খবরটা ছেপেছে। কিন্তু সিলেটের এবারের বন্যায় অধিকাংশ থানা এবং সিলেট মহানগরীর বড় অংশ এবং অধিকাংশ থানার সত্তর-আশি ভাগ তলিয়ে গেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র শ্রেণি চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। সামনেও তারা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। অনেক এলাকারই একমাত্র ফসল তলিয়ে গেছে। সেসব নিয়ে কিন্তু মূল ধারার গণমাধ্যমকে এবার সোচ্চার হতে দেখা যায়নি। কী কারণে এটি হল না? তাদের কি কোনো অদৃশ্য বাধা ছিল? ব্যক্তি উদ্যোগে কিছু মানুষ বিশেষত দ্বীনদার শ্রেণির কেউ কেউ সেসব এলাকায় সাহায্য-সহযোগিতা করছে। একটি প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, মূল ধারার মিডিয়া তো এমনিই জনগণের আস্থা হারিয়েছে। তারা তাদের আখের গোছানো নিয়ে ব্যস্ত থাকে। জনগণের কাজে তাদের আগ্রহ কম থাকে। এত বড় একটা বিপর্যয়, যা একাধিক জেলাকে গ্রাস করেছে সেটা কভারেজ করতে মিডিয়ার কেন এত অনাগ্রহ? এর জবাব স্পষ্ট নয়।

মিডিয়াকে বাংলায় বলে, গণমাধ্যম। এই নাম পরিবর্তন করার হয়তো সময় এসেছে। এদের অনেকেই আসলে নিজের পেট এবং ব্যক্তি নিয়ে ব্যস্ত। জনগণকে নিয়ে তাদের কাজ-কর্ম, পরিকল্পনা এবং প্রচার-প্রচারণা ক্রমেই কমে আসছে।

* বাংলাদেশ আমার অন্তরে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে : ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা

বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৯ মে ২০২২

# তা তো থাকবেই। কারণ, তার আমলেই তো এদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নিয়েছিল। বন্ধুত্বের একতরফা হক, শুধু উনাদের নেওয়া আর আমাদের শুধু দেওয়ার বিষয়টি তরান্বিত হয়েছে। সুতরাং উনার অন্তরে তো স্থান থাকার কথাই। এখান থেকে গিয়ে তিনি আরও বড় প্রমোশন পেয়েছেন।

* সয়াবিন তেল শরীরের জন্য ক্ষতিকর : বাণিজ্যমন্ত্রী

মানবজমিন, ১৯ মে ২০২২

# লোকটিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বানালেই মনে হয় বেশি ভালো হত। এদেশে এটা নতুন নয়। চালের দাম বেড়ে গেলে ভাত খাওয়া শরীরের জন্য ভালো নয়। আটার দাম বেড়ে গেলে ভাত খান, আটা খাবেন না। আলু উৎপাদন বেড়ে গেলে আলু খেতে উৎসাহিত করা হয়। আমাদের মন্ত্রী মাহোদয় এবং সরকারের উচ্চপদস্থ লোকেরা মাঝে মাঝেই এ ধরনের সবজান্তা হয়ে ওঠেন। নিজেদের দায়-দায়িত্বকে পাশ কাটানোর জন্য দায়িত্বহীন বক্তব্য দিয়ে থাকেন। সয়াবিন তেল ক্ষতিকর না উপকারী সে কথায় না গিয়ে তাঁর উচিত এর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা।

* বিচারপতি পরিচয়ে পুলিশ প্রটোকলে ঢাকা থেকে চাঁদপুরে গিয়ে আটক হলেন তিনি

প্র্রথম আলো, ২০ মে ২০২২

# এদেশে তো অতীতে আমরা দেখেছি, রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ উচ্চ আদালতের বিচারপতিকে স্যালুট না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে রুল জারি হয়েছিল। শুধু তাকেই না, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সবাইকে আদালতে গিয়ে মাথা নত করতে হয়েছিল- কেন বিচারককে রাস্তায় স্যালুট দিল না? সেটা তো ছিল আসল বিচারকের ঘটনা। নকল বিচারকরাও যে এমন করতে পারে, নাকানি চুবানি খাওয়াতে পারে- এ ঘটনা থেকে দেখা গেল। এবং শোনা যাচ্ছে, এমন আগেও ঘটেছে। এ ঘটনা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনার ত্রুটিগুলোকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

* গণকমিশনের ভিত্তি নেই, বিশৃঙ্খলা করলে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

যুগান্তর, ২০ মে ২০২২

# কেন পত্রিকায় তো প্রকাশিত হয়েছিল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহেব তাদের শ্বেতপত্র উন্মোচন করেছেন। বিষয়টি যদি মিথ্যা হয়ে থাকে তাহলে এখন সে তথাকথিত গণকমিশন কী জবাব দেবে? শুধু বিশৃঙ্খলা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে- একথা বলে কি মন্ত্রী সাহেব দায়িত্ব এড়াতে পারবেন? এদেশের পুরো একটা শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ এবং দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ, তাদের আস্থাভাজন উলামায়ে কেরাম এবং মাদরাসাগুলোকে যারা টার্গেট করেছে, এগুলোর বিরুদ্ধে যারা প্রকাশ্যে বিষোদ্গার করেছে, শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে, তারা আগের থেকেই দুর্নীতিবাজ, সমাজের মধ্যে দাগি লোক বলে চিহ্নিত; তাদের বিশৃঙ্খলা করার আর বাকি আছে কী?

সুতরাং বিশৃঙ্খলা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে- একথা না বলে বরং আরও আগেই কি তাদের জেলে থাকা উচিত ছিল না? তাদের বিষয়ে কি তদন্ত করা দরকার ছিল না? তারা কোন্ দায়িত্বে, কোন্ প্রয়োজনে, কীসের অধিকার বলে এমন কাজ করতে পারল? হাজার হাজার পৃষ্ঠা শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে, তথ্য নিতে গিয়ে তাদের যে খরচ হয়েছে সে টাকার জোগানদাতা কে? এগুলোর উৎস কেন বের করা হয়নি? কেন তাদেরকে ধরা হচ্ছে না? যে পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হবে সে পর্যন্ত দ্বীনদার শ্রেণির সন্দেহ থেকেই যাবে, নাকি এর পেছনে ক্ষমতায় থাকা লোকদের মদদ আছে। না হলে এরা এত বড় কর্মকা- করে কী করে? সরকার সুস্পষ্ট ব্যবস্থা নিলেই কেবল মানুষের সন্দেহ দূর হবে।

* অর্থনীতি এখন অটোপাইলটেচলছে

প্রথম আলো, ২১ মে ২০২২

# এর মানে অটোমেটেড সিস্টেমে সামান্য গ-গোল হলেই দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ার সমূহ আশঙ্কা।

* মেয়রকে কাদায় নামানোর চেষ্টার পর সড়ক সংস্কারের আশ্বাস

প্রথম আলো, ২১ মে ২০২২

# এ ধরনের চেষ্টা কত এলাকায় বা করা যায়?

* কারাগারে এক রাত কাটিয়ে সকালে হাসপাতালে হাজি সেলিম

প্রথম আলো, ২৩ মে ২০২২

# সদ্য জেল থেকে বের হওয়া এক ভদ্র লোক দেখা করতে এসেছিলেন। তিনিও মাঝে চরম অসুস্থ হয়ে যাওয়াতে জেলে থাকা অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তিনি শুনিয়েছেন, সেখানে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। কিছু এলাকা কিনে রেখেছে জেলে যাওয়া ভিআইপি, ভিভিআইপি লোকেরা। তারা সেখানে শুধু শাহী হালাতে থাকে না, বরং বিশেষ পানাহারসহ সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করে। বাড়িতে, ক্লাবে যেসব সুযোগ সুবিধা সব এখানে পায়। এ ঘটনা তো কয়েক দিন আগের। এরপর এ রিপোর্ট পড়ে সবই দেখা গেল। এই হল, এলিট শ্রেণির হাতে দেশের জিম্মিদশা। কোনো কারণে আইনের ফাঁকফোকরে তারা জেলে চলে গেলেও আইন-শৃঙ্খলা সবকিছুর ঊর্ধ্বে তারা।

* যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে গুলি, ১৯ শিক্ষার্থীসহ নিহত ২১

প্রথম আলো, ২৫ মে ২০২২

# আমেরিকার জন্য এগুলো নতুন বিষয় নয়। সেখানে স্কুলে, শপিং মলে, পথ-ঘাটে এরকম অবাধে গোলা-গুলি হতেই থাকে। এর বড় একটা কারণ হল, সেখানে অবাধে অস্ত্র রাখার স্বাধীনতা আছে। সহজেই অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়া যায়। মাঝে মাঝেই সেটার অপব্যবহার হয়। এসব দেশ অনেকের কাছেই স্বপ্নের দেশ, এসব দেশে যেতে সর্বস্ব ব্যয় করে ফেলে অথচ সে দেশের লোকদেরই শান্তি নেই। এসব ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশ রিপোর্ট করে, আক্রমণকারী বিষাদগ্রস্ত ছিল। প্রশ্ন হল, স্বপ্নের দেশ, এত সুযোগ-সুবিধার দেশ, সামরিকভাবে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ, সে দেশের মানুষের এমন অবস্থা হবে কেন?

গ্রন্থনা : ওয়ালিউল্লাহ খান

 

 

advertisement