জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪৩   ||   জানুয়ারি ২০২২

এটি হাদীস নয়
যে ব্যক্তি আযানের সময় কথা বলবে মৃত্যুর সময় তার কালিমা নসীব হবে না

একটি দেয়ালে কাগজ সাঁটানো। তাতে লেখা, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেন, যে ব্যক্তি আযানের সময় কথা বলবে মৃত্যুর সময় তার কালিমা নসীব হবে না।

এটি একটি জাল বর্ণনার বক্তব্য; এখানে একটু ভিন্ন ভাষায় পেশ করা হয়েছে। উক্ত জাল বর্ণনাটি সম্পর্কে এ বিভাগেই ইতিপূর্বে (ডিসেম্বর ২০০৫) লেখা হয়েছে। বর্ণনাটি হল-

مَنْ تَكَلَّمَ عِنْدَ الأَذَانِ خِيفَ عَلَيْهِ زَوَالُ الإِيمَانِ.

যে ব্যক্তি আযানের সময় কথা বলবে তার ঈমান চলে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

আল্লামা সাগানী রাহ. একে জাল বলেছেন। -রিসালাতুল মাউযূআত ১২; কাশফুল খাফা ২/২২৬, ২৪০

এ বর্ণনার ঈমান চলে যাওয়ার আশংকা রয়েছে’- এ কথাকেই মৃত্যুর সময় তার কালিমা নসীব হবে নাবলে ব্যক্ত করা হয়েছে। সুতরাং এ কথাটি জাল ও ভিত্তিহীন।

আযানের সময় আযানের উত্তর দেওয়া উচিত। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

إِذَا سَمِعْتُمُ النِّدَاءَ، فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ.

যখন আযান শুনবে তখন মুআযযিন যা বলে তোমরাও তাই বল (অর্থাৎ আযানের জবাব দাও)। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩৮৩

আর আযানের জবাব কীভাবে দেবে তাও হাদীসে শেখানো হয়েছে; মুআযযিন যা বলে তা-ই বলবে, তবে হাইয়া

 

আলাস সালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহ-এর সময় লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহবলবে। এরপর দরূদ শরীফ পড়বে, তারপর দুআ পড়বে।

এক হাদীসে আযানের জবাব উল্লেখ করে বলা হয়েছে- যে ব্যক্তি দিল থেকে আযানের জবাব দেবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (দ্র. সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩৮৫)

সুতরাং আমরা আযানের সময় কথাবার্তা গল্পগুযবে লিপ্ত না থেকে আযানের জবাব  দেব এবং এ মহা ফযীলত লাভের চেষ্টা করব। 

 

 

advertisement