মুহাররম ১৪৪০   ||   অক্টোবর ২০১৮

দুআর ভুবন

মুহিউদ্দিন ফারুকী

মসজিদে প্রবেশের দুআ

চারদিকে আযান হচ্ছে- আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। আযান শোনার সময় একজন মুমিনের কাজ হচ্ছে মুআযযিনের ডাকে সাড়া দেয়া। আযানের জবাব দেওয়া ও দুআ পড়া। সেই সাথে সমস্ত কাজ রেখে নামায আদায়ের জন্য প্রস্তুত হওয়া এবং মসজিদে যাওয়া।

তুমি যখন মুআযযিনের ডাকে সাড়া দিয়ে মসজিদে যাবে তখন ডান পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করবে। বিসমিল্লাহ বলবে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ ও সালাম পেশ করবে এবং মসজিদে প্রবেশের দুআ পড়বে। সবগুলো একসাথে এভাবে পড়বে-

بِسْمِ اللهِ

وَالصّلاَةُ وَالسّلاَمُ عَلى رَسُوْلِ اللهِ

اَللّهمّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ.

অর্থ : আল্লাহর নামে (প্রবেশ করছি)। দরূদ ও সালাম আল্লাহর রাসূলের উপর। হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন। -আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, ইবনুস সুন্নী, হাদীস ৮৮; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৭৭১; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৬৪১৭; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৩৪১২; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭১৩

মসজিদ হতে বের হওয়ার দুআ

জামাতে নামায আদায় করে যখন তুমি  মসজিদ থেকে বের হবে তখন বাম পা আগে দিয়ে বের হবে। আর বের হওয়ার সময়ও  বিসমিল্লাহ বলবে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ ও সালাম পেশ করবে এবং আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ প্রার্থনা করবে। কারণ তাঁর অনুগ্রহ ছ্ড়া আমরা কোনো কাজেই সফল হতে পারব না। তেমনি বের হওয়ার পর শয়তান যেন তোমাকে কোনো ধোঁকা দিতে না পারে, গুনাহে লিপ্ত করতে না পারে সেজন্য আল্লাহর আশ্রয় চাইবে-

بِسْمِ اللهِ

وَالصّلاَةُ وَالسّلاَمُ عَلى رَسُوْلِ اللهِ

اللّهُمّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ

اللّهُمّ اعْصِمْنِي مِنَ الشّيْطَانِ الرّجِيمِ

 

অর্থ : আল্লাহর নামে (বের হচ্ছি)।

দরূদ ও সালাম আল্লাহর রাসূলের উপর।

হে আল্লাহ! আমি আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি।

হে আল্লাহ! বিতাড়িত শয়তান হতে তুমি আমাকে রক্ষা কর।

-সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৭৭১, ৭৭৩; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৬৪১৭; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৩৪১২; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭১৩

 

 

advertisement