যিলকদ ১৪৩৯   ||   আগস্ট ২০১৮

সৃষ্টির প্রতি দয়া : মালী হল বাগানের মালিক

হাসসান বিন ইমদাদ

বন্ধুরা, আমি তোমাদের একটি গল্প শোনাতে চাই। আজে বাজে মিথ্যা গল্প নয়। একেবারে সত্য ঘটনা। নবীজীর সাহাবীদের শিক্ষামূলক ঘটনাবলির একটি । তো শুরু করছি ঘটনাটি- তোমরা তো নবীজীর নাতী, নবীজীর কলিজার টুকরা হাসান রাযিআল্লাহু আনহুকে অবশ্যই চিন। ঘটনাটি তাঁরই।

একবার তিনি মদীনার অলি-গলিতে হাঁটছিলেন। একটি বাগানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তাঁর দৃষ্টি পড়ল বাগানটির মালীর উপর। তিনি থমকে দাঁড়ালেন এবং অবাক হলেন। তিনি যে দৃশ্যটি দেখছিলেন সে দৃশ্য এখন দেখা খুব কঠিন। তিনি দেখছিলেন, বাগানের মালীর কাছে তিনটি রুটি। মালীটি এক টুকরো মুখে নেয় আরেক টুকরো কুকুরকে দেয়। যেন রুটিগুলো সমান ভাগে ভাগ করছে। কোনো কমবেশি করছে না। হাসান রা. কৌতুহল দমিয়ে রাখতে পারলেন না। জিজ্ঞেস করেই ফেললেন-

এই রুটিগুলো কি তোমার পুরো দিনের খাবার? মালীটি উত্তর দিলেন, হাঁ। হাসান রা. বললেন, তোমার পুরো দিনের খাবার মোটে তিনটি রুটি, তাও আবার কুকুরের সাথে ভাগাভাগি করে খেলে! কুকুর তো পথেঘাটে খুঁজে খাবার খেতে পারবে। (কী প্রয়োজন ছিল, তোমার সারাদিনের খাবারের অর্ধেকটা তাকে খাইয়ে দেওয়া?) মালীটি উত্তর দিল : এখানে তো কুকুর থাকে না। তাই কুকুরটিকে দেখে মনে হল, দূরের কোনো জায়গা থেকে এসেছে। ফলে সে অনেক ক্ষুধার্ত। আবার ফিরিয়ে দেওয়াও ভালো মনে হয়নি।

হাসান রা. তার কথায় মুগ্ধ হলেন। জিজ্ঞেস করলেন, এ বাগানটি কার? মালীটি বলল, আবান ইবনে উসমানের। হাসান রা. বাগানটি কিনে নিলেন, সঙ্গে মালীটিকেও। এরপর হাসান রা. এসে বললেন, আমি এ বাগানটি এবং সাথে তোমাকেও ক্রয় করেছি। তুমি আযাদ, আর বাগানটি আমার পক্ষ হতে তোমার জন্য হাদিয়া। এ কথা শুনে মালীটি খুব খুশি হল। আল্লাহ্র শুকরিয়া জ্ঞাপন করল। (দ্র. কিসাসুম মিনাত তারীখিল ইসলামী পৃ. ৬৭-৭০; তারীখে দিমাশক, খ. ১৩, পৃ. ২৪৬)

বন্ধুরা! একটু চিন্তা করলেই ঘটনাটি থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারব। হ

 

 

advertisement