যিলকদ ১৪৩৯   ||   আগস্ট ২০১৮

একটি ভিত্তিহীন বর্ণনা

যিলকদ মাসের রোযার বিশেষ ফযীলত

যে ব্যক্তি যিলকদ মাসে একটি রোযা রাখবে তার ঐ রোযার প্রতি ঘণ্টার/মুহূর্তের বিনিময়ে একটি কবুল হজ্বের সওয়াব লেখা হবে।

বারো চান্দের ফযীলত নামের বিভিন্ন পুস্তিকায় যিলকদ মাসের ফযীলত শিরোনামে এ বর্ণনাটি উল্লেখ করা হয়েছে।

এটি একটি ভিত্তিহীন বর্ণনা। কেউ কেউ তো এ বর্ণনার আরবী পাঠও আবিষ্কার করেছেন অথচ নির্ভরযোগ্য অনির্ভরযোগ্য কোনো ধরণের সূত্রেই তা খুঁজে পাওয়া যায় না।

কোনো কোনো পুস্তিকায় রোযার সাথে সাথে বিশেষ পদ্ধতির নামাযের কথাও রয়েছে, যেগুলোর কোনোই ভিত্তি নেই।

হাঁ, যিলকদ মাস ‘আশহুরে হুরুম’ তথা সম্মানিত চার মাসের অন্তর্ভুক্ত। সে হিসেবে এর গুরুত্ব রয়েছে। এ মাসে বেশি বেশি নেক আমল করা দরকার এবং গোনাহ থেকে বিশেষভাবে বিরত থাকা দরকার। আর এ মাস আশহুরে হুরুমের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে তাতে রোযা রাখা একটি উত্তম আমল। একটি বর্ণনায় এসেছে- এক সাহাবী রোযা রাখার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে নবীজী তাকে প্রতি মাসে একটি থেকে তিনটি পর্যন্ত রোযা রাখার উপদেশ দেন। তিনি আরো রোযা রাখার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে নবীজী বলেন-

صُمْ مِنَ الحُرُمِ وَاتْرُكْ

তুমি সম্মানিত মাসসমূহে রোযা রাখ এবং রোযা ছাড়। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৪২৮; সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস ৮৪২৬

এছাড়া আইয়ামে বীযের রোযা তো প্রতি মাসেই রাখা হয়। এসব বিষয় বিবেচনা করে এ মাসে রোযা রাখা অবশ্যই উত্তম আমল। কিন্তু এ মাসের রোযার বিশেষ কোনো ফযীলত হাদীসে পাওয়া যায় না। সুতরাং এ মাসে রোযা রাখার বিশেষ কোনো ফযীলতের কথা নিজ থেকে আবিষ্কার করা যাবে না।

 

 

advertisement