জুমাদাল আখিরাহ ১৪৩৯   ||   মার্চ ২০১৮

দুআয়ে মাগফিরাতের আবেদন

গত ৬ জুমাদাল আখিরাহ ১৪৩৯ হিজরী/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ঈসাব্দ জুমার দিন সকালে হযরত হাফেজ্জী হুযূর রাহ.-এর বড় ছাহেবযাদা জনাব কারী আহমাদুল্লাহ আশরাফ ছাহেব আখিরাতের পথে রওয়ানা হয়ে গেলেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া বিন্নুরী টাউন করাচিতে তিনি পড়াশোনা করেছেন। জামাতে কাফিয়া পর্যন্ত পড়েছিলেন তিনি। এছাড়া ঘরেই তাঁর মুহতারাম আব্বাজান ও মুহতারামা আম্মাজানের কাছে কেরাতের মশক করেছিলেন।

সম্ভবত বাইতুল মুকাররম মসজিদের একেবারে শুরু থেকেই তিনি মুয়াযযিন ছিলেন। ১৯৮৭ সালে এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করেছেন। তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল করাচিতেই। তাঁর উর্দূ ছিল খুবই শানদার। আর সালামের উচ্চারণ ছিল খুবই বিশুদ্ধ এবং মনকাড়া।

ইনতিকালের আগে দীর্ঘদিন তিনি অসুস্থ ছিলেন। আগে যখন তিনি সুস্থ ছিলেন রাজনৈতিক বিষয়ে কখনো কখনো বেশ ভালো মন্তব্য করেছেন। ভালো পদক্ষেপও নিয়েছেন কখনো।

আল্লাহ তাআলা তাঁকে মাগফিরাত নসীব করুন। তাঁর কবরকে জান্নাতের বাগিচা বানিয়ে দিন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।

একই তারিখে জুমার দিন সকাল দশটার দিকে মিরপুর আরজাবাদ মাদরাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা মোস্তফা আজাদ ছাহেবও চলে গেলেন। রাহিমাহুল্লাহু তাআলা।

তিনি জামিয়া কোরআনিয়া লালবাগে পড়াশোনা করেছেন। পরে হযরত সদর ছাহেব হুযূর রাহ.-এর সঙ্গে গওহরডাঙ্গা চলে গিয়েছিলেন। দাওরায়ে হাদীস পড়েছেন সেখানেই।

আনুমানিক ১৯৭৮ সাল থেকে তিনি আরজাবাদ মাদরাসায় খেদমতে নিযুক্ত ছিলেন। হযরত মাওলানা শামসুদ্দীন কাসেমী রাহ.-এর জীবদ্দশায় সম্ভবত ১৯৯০ বা ১৯৯১ থেকে উক্ত মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম ছিলেন। হযরতের ইনতিকালের পর ইহতিমামের দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছেন। দাওরায়ে হাদীসে তিনি সুনানে আবু দাউদের দরস দিতেন।

মসজিদুল আমান পল্লবীতে কয়েকবার তাঁর পেছনে জুমার নামায পড়ার তাওফীক হয়েছে। বিভিন্ন প্রসঙ্গে সাহসিকতার সাথে স্পষ্ট ভাষায় হক কথা বলতে দেখে ভালো লেগেছে। ঐ মসজিদের ইমাম আমাদের শাগরেদ মাওলানা শুয়াইবের কাছ থেকে শুনেছি, তিনি আনুমানিক ২৮ বছর ঐ মসজিদের খতীব ছিলেন।

আল্লাহ তাআলা হযরতকে ভরপুর মাগফিরাত নসীব করুন। জান্নাতুল ফিরদাউসে জায়গা দান করুন- আমীন।

পাঠকবৃন্দের কাছে এই দুই হযরতসহ অন্যান্য সকল মারহুমীনের জন্য দুআয়ে মাগফিরাতের দরখাস্ত করছি।

-মুহাম্মাদ আবদুল মালেক

১১-০৬-১৪৩৯ হিজরী

 

 

 

advertisement