জুমাদাল আখিরাহ ১৪৩৯   ||   মার্চ ২০১৮

হিজাযের মর্যাদা, স্বাতন্ত্র্য ও তা রক্ষার অপরিহার্যতা

(আমীর ফয়সাল বিন আব্দুল আযীযের উদ্দেশে)

[হজ¦-ওমরার উদ্দেশ্যে এবং বিভিন্ন ইলমী ও পরামর্শ-মজলিসে অংশগ্রহণের জন্য এই লেখকের  বারবার সৌদি আরবে যাওয়া হয়। কিছু সূত্রে সংবাদ পেলাম, সৌদি আরবের উন্নতি-অগ্রগতি ও নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির শিরোনামে আধুনিক প্রযুক্তি ও বিনোদনব্যবস্থা বিস্তারের লক্ষ্যে এবং প্রতিবেশী উন্নত আরব দেশগুলোর অনুকরণে পশ্চিমা সংস্কৃতির কিছু কিছু বিষয় অবলম্বন করা যায় কি না- এ বিষয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। এর পেছনে আরব তরুণ-প্রজন্মের বর্তমান অস্থিরতা নিরসন এবং মিসরের সাংবাদিকতার প্রভাব ও গণমাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন বিনোদন প্রোগ্রামের কারণে উ™ূ¢ত আশঙ্কা রোধের চিন্তা কার্যকর। এই চিন্তা-ভাবনা ও সংবাদের সত্যতা সম্পর্কে এই লেখক পুরোপুরি নিশ্চিত হতে না পারলেও বিষয়টি তাকে শঙ্কায় ফেলে দেয় এবং রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলদের সাথে আলোচনার প্রয়োজন অনুভূত হয়।

সৌভাগ্যক্রমে এ সময় মামলাকার ওলীয়ে আহ্দ ও উযীরে আ‘যম আমীর ফয়সাল মদীনা মুনাওয়ারায় আসেন। সুবর্ণ সুযোগ মনে করে তাঁর সাথে সাক্ষাত ও একটি একান্ত মজলিসের অনুমতি প্রার্থনা করি, যে মজলিসে আমার সফরসঙ্গী ছাড়া আর কেউ উপস্থিত থাকবেন না।

তিনি আমার ইচ্ছা গ্রহণ করেন এবং পূর্ণ ধৈর্য্য ও মনোযোগের সাথে আমার বক্তব্য শোনেন। আমার কথার মাঝে একবারের জন্যও কথা বলা থেকে বিরত থাকেন। (উমারা-উযারা তো দূরের কথা, সাধারণ আমলা- অফিসারদের কাছেও তো এর প্রত্যাশা করা যায় না।)

মনে রাখার সুবিধার্থে আমি একটি

লিখিতপত্রও প্রস্তুত করে নিয়েছিলাম, যা তাঁকে এই মজলিসেই পাঠ করার অনুরোধ করি। তিনি লেখাটি আমার কাছ থেকে নিয়ে আমার সামনেই তা পাঠ করেন।

এরপর আলাপচারিতার মধ্যে কিছু কথার ব্যাখ্যা জানতে চান এবং কিছু সংশয়ের নিরসনও করেন। তিনি বলেন, মামলাকা হারামাইনকে এক মহান আমানত মনে করে এবং নিজেকে এই আমানতের দায়িত্বশীল ও তা পালনে নিজের মধ্যে পূর্ণ হামিয়্যাত পোষণ করে। ইসলামের শিক্ষা ও বিধান এবং আকাইদ ও আখলাক-বিরোধী কার্যকলাপ সে কিছুতেই অনুমোদন করবে না। ব্যক্তিগতভাবেও তিনি এই পবিত্রভূমিকে উম্মাহর চোখের তারা ও হৃদয়ের স্পন্দন বলেই বিশ্বাস করেন এবং এই ভূমির বিষয়ে প্রত্যেক মুসলিমের উদ্বিগ্ন হওয়ার এবং দায়িত্বশীলদের উপদেশ ও নির্দেশনা দানের অধিকারও গভীরভাবে উপলদ্ধি করেন।

এই সাক্ষাতের পর লেখকের অনেকবার সেই পবিত্র ভূমিতে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে নানাবিধ পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে। ভেতর-বাহিরের বিভিন্ন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কারণে সৌদি হুকুমতও তাৎক্ষণিক পরিবর্তনের পথে চলতে থাকে। এই প্রেক্ষাপটে দায়িত্বশীলদের সাথে আবারো যোগাযোগের প্রয়োজন অনুভব করি, বিশেষত আমীর ফয়সালের সাথে। যিনি ঐ সময় মামলাকার ওলিয়ে আহ্দ (ক্রাউন প্রিন্স), উযীরে আ‘যম ও হিজাযে বাদশাহের নায়েব ছিলেন। নিম্নোক্ত পত্রটি তাঁরই উদ্দেশে ১৩৮১ হিজরীর কাছাকাছি কোনো এক সময় লেখা হয়]

 

সম্মানিত যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী! (হাফিযাহুল্লাহু তাআলা ওয়া রাআহু)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আল্লাহ তাআলা আপনার উপর তাঁর দানসমূহ কায়েম-দায়েম রাখুন, তাঁকে রাজিখুশি করে এমন কাজের তাওফীক দান করুন, যা উম্মাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা অর্জন করবে এবং ভবিষ্যত প্রজন্ম যা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

জনাবওয়ালা!

আপনি জানেন, এই দেশ আর দশটি দেশের মতো নয়, যাকে শিক্ষা-দিক্ষা, নাগরিক সেবা, রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন ও জনমত প্রভাবিত করার জন্য পূর্ব-পশ্চিমের কোনো দেশের দিকে তাকাতে হবে। এটা তো ঐ রাষ্ট্র, যার সম্পর্কে আল্লাহর ইরাদা ও ফয়সালা এই যে, তা হবে ইসলামের রাজধানী, দ্বীনের দুর্গ ও মুসলমানদের হৃদয় ও আত্মার প্রশান্তির স্থল। এই দেশ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমানত। তাঁরই আবির্ভাবের বদৌলতে তা অন্ধকার থেকে আলোতে এসেছে। অজ্ঞাতবাসের গুহা থেকে খ্যাতি ও প্রসিদ্ধির রৌদ্রালোকিত ভুবনে উঠে এসেছে। ইতিহাসের আস্তাকুড় থেকে দুনিয়ার মারকাযিয়্যাতের সুউচ্চ মাকামে উপনীত হয়েছে। আরবী ভাষা ও সংস্কৃতি আজ প্রতিষ্ঠিত পৃথিবীর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে, অসংখ্য জাতি-গোষ্ঠীর মাঝে, সুদীর্ঘ কাল ধরে। সুতরাং এখানে আছে দ্বীন-ধর্ম, আমানত ও শরাফতের প্রশ্ন, আছে ইতিহাসের বাস্তবতার প্রতি মান্যতা ও মুসলিম-জাহানের আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা ও মূল্যায়নের প্রশ্ন। আছে প্রজ্ঞাপূর্ণ রাজ্যচালনারও প্রশ্ন। এই সবকিছুর দাবি হচ্ছে, এখানে  যে নীতি ও বিধান প্রণীত হবে, যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, রাষ্ট্রীয় পলিসি নির্ধারিত হবে, যে   জীবন-ধারা গৃহীত হবে তাতে প্রতিফলিত হতে হবে এই দেশ ও রাষ্ট্রের স্বকীয়তা, আন্তর্জাতিকতা এবং এর চিরন্তন বার্তা ও  পয়গাম। এর উসূল-আকাইদের পরিপন্থী সকল বিষয় থেকে এবং এমন সকল পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে, যা হবে এর মর্যাদা ও বিশিষ্টতায় কালিমা লেপনের শামিল। সেসবের দ্বারা এই দেশ ও তার নাগরিকদের বস্তুগত ও সুযোগ-সুবিধাগত উন্নতি সাধিত হলেও। কমিউনিস্ট রাশিয়া ও পুঁজিবাদী আমেরিকার রাষ্ট্রনায়কেরা তাদের রাষ্ট্র ও মতাদর্শের জন্য যে পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করেছে এই দেশ ও তার নেতৃবৃন্দকে আপন বিশ্বাস ও আদর্শের জন্যে এর চেয়েও বেশি ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে। ওরা তো ওদের মতাদর্শ বিরোধী, তাদের গৃহীত জীবনদর্শন ও জীবনধারা পরিপন্থী ক্ষুদ্রতম কোনো কিছুও অনুমোদন করেনি। তা দ্বারা বৃহৎ কোনো বস্তুগত স্বার্থ হাসিল হলেও।

একটি মহল মনে করে, সুখী ও আয়েশী জীবনযাত্রার ব্যবস্থা ও উপকরণ গ্রহণে, পশ্চিমপন্থী সভ্য দুনিয়ার অনুকরণে, স্বাধীন প্রচারমাধ্যম, বিধিনিষেধহীন অবাধ অনুষ্ঠানমালা ও পশ্চিমা লাইফ-স্টাইল অবলম্বনে (যার সাথে দেশের প্রকৃত উন্নতি-অগ্রগতির কোনো সম্পর্ক নেই) দোষের কিছুই নেই। এতে বরং জনসাধারণের উদ্বেগ-অস্থিরতা দূর হয় এবং তারা ভুল পথে পরিচালিত হওয়ার চিন্তা-ভাবনা থেকে নিবৃত্ত হয়ে যায়। (কিন্তু আমাকে ক্ষমা করবেন) আমি ইতিহাস ও বাস্তবতার আলোকে এই চিন্তাধারার সাথে একমত নই। আমার মতে, এটা কোনো সমাধান নয়। সমুদ্রের নোনা পানি তৃষ্ণার্তের তৃষ্ণা মেটায় না, তা আরো তীব্র করে দেয়।

এক্ষেত্রে সঠিক সমাধান হচ্ছে, ইসলামের সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা, দেশের শিল্প-বাণিজ্যের উন্নতি, হালাল-জীবিকার সহজলভ্যতা, স্বাবলম্বিতা ও কর্মসংস্থানের বিস্তার, নতুন শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সুলভমূল্য এবং বৈধ ও নির্মল বিনোদনের পর্যাপ্ততা, যার ক্ষেত্র মোটেই সীমাবদ্ধ নয়, যেমনটা শরীয়ত ও মানব স্বভাবের ব্যাপারে অজ্ঞ লোকদের ধারণা।

যে কোনো রাষ্ট্রেরই এক বড় বিপদ হচ্ছে, অন্ধ অনুকরণ ও অপরিণত চিন্তা, যা যে কোনো প্রকারের চিন্তা ও দর্শনের তোড়ে ভেসে যায়, কিছুমাত্রও মোকাবিলা করতে পারে না এবং যা সর্বপ্রকার প্রচার-প্রপাগাণ্ডা  ও দাবি-দাওয়ার সম্মুখে নতি স্বীকার করে। এই প্রবণতা যে কোনো জাতি ও রাষ্ট্রের জন্যেই বিপদ। এটি কিছুকালের মধ্যেই অনাচার, অসহিষ্ণুতা ও নৈতিক অবক্ষয়ের বিস্তার ঘটাতে পারে। বহু দেশ এর শিকার হয়েছে এবং সেসব অঞ্চলের নেতৃত্ব অবশেষে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে।

এই প্রবণতা এই পবিত্র ভূমির শান-শওকত, এর স্বাতন্ত্র্য ও স্বকীয়তাকে দুর্বল করে দিবে, আপন সোনালী অতীত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে এবং এই পবিত্র ভূমি ও তার নেতৃত্ব আর আল্লাহর রহমত ও নুসরতের মাঝে দেয়াল তুলে দিবে। এই নাযুক যামানায় তো, যখন দুশমন অতি ধুরন্ধর ও শক্তিশালী, পদে পদে আল্লাহর মদদ ও নুসরতের প্রয়োজন, যা ছাড়া কোনোরূপ বিজয়, মর্যাদা ও নিরাপত্তার প্রত্যাশা সম্পূর্ণ অমূলক।

এই দেশও যদি এই পথে চলা শুরু করে, যার মন্ত্রনা কেউ কেউ দিচ্ছেন; এবং মিসর, সিরিয়া ও লেবাননের মতো অবাধ স্বাধীনতা, শরীয়ত ও আখলাকের সীমা বহির্ভূত ভোগ-বিলাসের  পথ অবলম্বন করে, তদ্রƒপ অন্যান্য আরব দেশের দেখাদেখি এই দেশও ‘আরব জাতীয়তাবাদ’কে গ্রহণ করে এবং আর দশটা জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রের কাতারে নেমে আসে, যাদের না আছে কোনো স্বাতন্ত্র্য ও মর্যাদা, না দাওয়াত ও পয়গাম, তাহলে এই দেশও ঐ রকম আর দশটা দেশের মতোই একটা দেশে পরিণত হবে, যার না পৃথিবীর জাতিপুঞ্জের মাঝে আলাদা কোনো বিশেষত্ব থাকবে, না মানুষের হৃদয়ে কোনো সম্মানের স্থান। (আল্লাহ হেফাযত করুন) শুধু তাই নয়, এর দ্বারা শতাব্দীর পর শতাব্দীব্যাপী দায়ী, মুজাহিদ ও মুসলিমজনতার ত্যাগ-তিতিক্ষাকে নস্যাৎ করে দেওয়া হবে, যা তাঁরা ইসলামের খাতিরে বরণ করেছেন।

এমন একটি দেশ ও জাতির বিশেষ কী মর্যাদা থাকতে পারে, যারা শুধু ভোগ করে বেড়ায়, পশু-পাখীর মতো উদরপূর্তি করে, এরপর কীটপতঙ্গের মতো মরে যায়, যাদের কোনো বার্তা ও পয়গাম থাকে না, নীতি ও বিশ্বাস থাকে না, স্বাতন্ত্র্য ও নৈতিকতা থাকে না এবং যারা মুসলিমজাহানের তরফ থেকে প্রাপ্ত সম্মান ও মর্যাদা বিসর্জনের সাথে সাথে পশ্চিমা দুনিয়ার কাছেও আপন স্বকীয়তা ও ঐতিহাসিক মর্যাদা বিসর্জন দিয়ে দেয়, যা একটুখানি সাহস ও সদিচ্ছার দ্বারা, একটুখানি ত্যাগ ও কোরবানীর দ্বারাই বহাল রাখা যেত! এটা তো ভীরুতা ও নতজানুতার এমন নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত, যা থেকে এই উন্নত রাষ্ট্রের কর্ণধারদের আমি অনেক ঊর্ধ্বের বলে মনে করি।

আমি এমন এক ইনসান হিসেবে যে আপন দ্বীন ও ঈমান, জ্ঞান ও সংস্কৃতি বরং ইনসানিয়াত ও মনুষ্যত্বের জন্যও এই ভূমিরই কৃপাধন্য, আপনাকে আপনার উন্নত দৃষ্টি, দৃঢ় মনোবল ও উচ্চ যোগ্যতার দোহাই দিচ্ছি, যে পদ-মর্যাদা, প্রভাব-প্রতিপত্তি আল্লাহ আপনাকে দান করেছেন তা ব্যবহার করুন। ব্যক্তি ও সমাজজীবনের যে কোনো ক্ষেত্রে আত্মপ্রকাশকারী এই আশঙ্কার মোকাবেলা করুন এবং আরব ও মুসলিম দেশগুলোর স্বকীয়তা রক্ষার জন্য, সাহিত্য-সাংবাদিকতা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিল্প-সংস্কৃতির চর্চাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবার জন্য পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করুন, যার দ্বারা এই জাতি, বিশেষত নতুন প্রজন্মের মন-মস্তিষ্কে দ্বীনী ও ঈমানী জযবা, ইসলামী গাইরত ও হামিয়্যাত পয়দা হবে; হুসনে আখলাক ও সচ্চরিত্রের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হবে এবং পাপচার ও মন্দ স্বভাব-চরিত্রের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হবে। এভাবে তাদের চারিত্রিক শুদ্ধি ও মন-মস্তিষ্কে ইসলামী চেতনা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করে তাদেরকে ঐ মহান দায়িত্বভার গ্রহণের যোগ্য করে তুলুন, যার প্রত্যাশা গোটা দুনিয়ার মুসলমান তাদের সম্পর্কে লালন করে। দাওয়াত ও জিহাদের যে ক্ষেত্র ও সুযোগ আল্লাহ আপনাকে দান করেছেন তা সবসময়, সব জায়গায় সবাইকে দেওয়া হয় না।

کہ  آ تی نہیں فصل گل روز روز

‘ফুল ও বসন্ত প্রতিদিন আসে না।’

আমি অন্তরের অন্তস্তল থেকে দৃঢ় প্রত্যাশা রাখব, আপনি এই সুযোগকে গনীমত মনে করবেন এবং আপনার বার্তা ও বিশ্বাসকে কর্মক্ষেত্রে বাস্তবায়িত করবেন। এই পবিত্র ভূমি তার চারপাশের পরিবর্তন ও ঘটনাধারা এবং আভ্যন্তরীণ অস্থিরতা ও চিন্তার বিক্ষিপ্ততার কারণে ইতিহাসের অতি নাযুক ও কঠিন সময় অতিক্রম করছে। এখন এক একটি মুহূর্তের গুরুত্ব  মাস ও বছরের সমান। ভুল গন্তব্যের দিকে একটি ক্ষুদ্র পদক্ষেপও এই দেশ ও জাতিকে এত দূরে নিয়ে যেতে পারে যেখান থেকে তার ফিরে আসা কঠিন হয়ে পড়বে।

পরিশেষে এই স্পষ্ট ভাষণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এই দেশ ও দেশের কর্ণধারদের প্রতি খুলূস ও কল্যাণকামিতা, আরব ও মুসলমানদের জন্যে মর্যাদা, নিরাপত্তা, নেতৃত্ব ও ইমামতের শুভকামনাই আমাকে স্পষ্টভাষণে উদ্বুদ্ধ করেছে। ষ

[অনুবাদে : মুহাম্মাদ যাকারিয়া আবদুল্লাহ]

 

advertisement