জুমাদাল আখিরাহ ১৪৩১   ||   জুন ২০১০

৫৫ মুসলমানকে খৃষ্টান বানানোর অপচেষ্টাঃ প্রত্যেক মুসলমানের চোখ-কান খোলা রাখা কর্তব্য

একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, ঋণ দেওয়ার নাম করে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলা থেকে ৫৫ জন মুসলিম নর-নারী ও শিশুকে বাস যোগে ময়মনসিংহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথিমধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের নিকট তাদেরকে বাস থেকে নামানো হয়। সেখানে একজন বিদেশী ও দু’জন দেশীয় খৃষ্টান তাদেরকে গোসল করতে বলে এবং যীশুকে বিশ্বাস করে কি না জিজ্ঞাসা করে। যীশুর প্রসঙ্গ উত্থাপিত হওয়ায় তাদের সন্দেহ হয়, একজন পথচারী মাওলানাকে তারা সন্দেহের কথা বললে তিনি তৎক্ষণাৎ এলাকাবাসীকে অবহিত করেন এবং নিকটবর্তী থানায় সংবাদ দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইউনাইটেড প্যান্টিক্যাস্টল চার্চ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান (প্রধান ধর্মযাজক) আমেরিকান নাগরিক (ফাদার) রেভা জেমস করভিন, (ফাদার) রেভা সমর সাংমা ও (ফাদার) রেভা প্রদীপ সাংমা এবং তাদের নিয়োগপ্রাপ্ত দুই পালক শামসু ও রফিকুলকে আটক করেছে। অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় এই যে, এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, একটি পরিকল্পিত ছকের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খৃষ্টানকরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। বিশেষত দেশের দরিদ্র অঞ্চলগুলো এই আগ্রাসনের শিকার। উত্তরবঙ্গের কোনো কোনো অঞ্চলে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের মাঝে এই প্রক্রিয়া ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তবে এইসব ঘটনা মিডিয়ায় প্রচারিত হয় না। ফলে প্রকৃত অবস্থা কতটা ভয়াবহ তা সাধারণ মুসলমানদের অগোচরেই থেকে যায়। ইতিমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে, এখনো যদি আমরা সচেতন না হই তাহলে-আল্লাহ না করুন-এই ভূখণ্ডকেও পূর্ব তিমুরের ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে! উপরোক্ত ঘটনায় যে মাওলানা ও এলাকাবাসী মুসলমানদের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় অর্ধশতাধিক মানুষের ঈমান রক্ষা পেয়েছে আমরা তাদেরকে আন-রিক মোবারকবাদ জানাই। প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরকেও তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রত্যেক মুসলমান যদি চোখ-কান খোলা রাখেন এবং যেকোনো সন্দেহজনক তৎপরতা চোখে পড়ামাত্র তা আলিম-উলামা ও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন তাহলে বহু অপতৎপরতা সহজেই নস্যাৎ করে দেওয়া সম্ভব। উপরের ঘটনাটি তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পাশাপাশি একটি সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে একদল মেধাবী ও উদ্যমী মুসলমানকে এখনই এই ফেৎনার মোকাবেলায় অবতীর্ণ হওয়া কর্তব্য। বলাবাহুল্য, এটি দাওয়াত ফী সাবীলিল্লাহর অনেক বড় একটি ক্ষেত্র। এ প্রসঙ্গে দেশের উলামা-মাশায়েখ, সর্বস্তরের দ্বীনদার মুসলমান এবং প্রশাসন ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সুদৃষ্টি ও পৃষ্ঠপোষকতা একান্ত প্রয়োজন। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন।

 

advertisement