মুহাররম ১৪৩১   ||   জানুয়ারী ২০১০

নসীহতের পদ্ধতি

নসীহত শব্দটি মূলত আরবী। আরবী ভাষায় এ শব্দের অর্থ কল্যাণকামিতা। এজন্য উপদেশ-নসীহতের উদ্দেশ্যও কল্যাণকামিতা ছাড়া অন্য কিছু হওয়া উচিত নয়। কল্যাণকামিতার প্রতি উদ্বুদ্ধদ করে হাদীস শরীফে বলা হয়েছে-‘দ্বীন হচ্ছে কল্যাণকামিতা।’ সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, কার প্রতি কল্যাণকামিতা ইয়া রাসূলাল্লাহ? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর প্রতি, তাঁর কিতাবের প্রতি, মুসলমানদের নের্তৃবৃন্দের প্রতি এবং সাধারণ মুসলমানদের প্রতি। নসীহত ফলদায়ক হওয়ার জন্য অপরিহার্য বিষয় হচ্ছে ইখলাস ও বিচক্ষণতা।

এ দু’ টো বিষয় না হলে নসীহত ফলদায়ক হওয়ার আশা করা উচিত নয়। নসীহতের ক্ষেত্রে সহজ কিছু নীতি এখানে উল্লেখ করছি :

  • ১. সর্বাবস্থায় ধৈর্য্যশীল হওয়া প্রয়োজন। যাকে নসীহত করা হচ্ছে সে তা গ্রহণ করবেই এমন মনে করা উচিত নয়। তদ্রূপ তাৎক্ষণিকভাবে নসীহত গ্রহণ না করলেও হতাশ হওয়া উচিত নয়। কেননা, হতে পারে এ মুহূর্তে সে তা গ্রহণ করেনি, কিন্তু এক সময় করবে। তদ্রূপ একজন গ্রহণ না করলে অন্যজন করবে।
  • ২. নসীহতের ক্ষেত্রে নম্রতা ও কোমলতা অপরিহার্য। সর্বদা ক্রদ্ধ হওয়া বা কঠিন বাক্য ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে বিরক্তি ও দূরত্ব সৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে কোমলতা নৈকট্য ও মুহব্বত সৃষ্টি করে।
  • ৩. সালাফে সালেহীনের কর্ম ও সাধনা এবং ত্যাগ ও মুজাহাদা বেশি বেশি আলোচনা করা উচিত।
  • ৪. ভুল-ত্রুটি সংশোধনের ক্ষেত্রে সাবধানতার পরিচয় দেওয়া প্রয়োজন।
মনে রাখতে হবে, যাকে সংশোধন করা হচ্ছে তার কল্যাণকামিতাই উদ্দেশ্য, ব্যক্তিগত ক্ষোভ চরিতার্থ করা উদ্দেশ্য নয়।

 

advertisement