জুমাদাল উলা ১৪৩৪   ||   মার্চ ২০১৩

কাদিয়ানী সম্প্রদায় ও জাতীয় দৈনিকের বিজ্ঞাপন : একটি পর্যালোচনা-২

মাওলানা মুহাম্মাদ যাকারিয়া আব্দুল্লাহ

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের প্রতারণার একটি কৌশল এই যে, সরলপ্রাণ মুসলমানদের তারা বলে, ‘কারো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। সরাসরি আমাদের বইপত্র পড়ুন... ইত্যাদি।যেন তাদের ধর্মমত সম্পর্কে অলিমগণ যা বলেন সব অপপ্রচার। যেন তাদের বইপত্রে এসব নেই। অথচ আলিমগণ স্বয়ং গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর বইপত্র থেকে অসংখ্য উদ্ধৃতিসহযোগে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।

আলোচিত বিজ্ঞাপনের শেষেও এধরনের কথা একটি অনুরোধ শিরোনামে বলা হয়েছে। কথাটা হুবহু তুলে দিচ্ছি :

‘‘সবার কাছে সবিনয় আবেদন, কারো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে আমাদের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে আমাদের কাছ থেকে অথবা কমপক্ষে আমাদের প্রকাশনা অধ্যয়ন করুন অথবা নিম্নলিখিত ওয়েবসাইটগুলো ব্রাউজ করুন। ...’’

গত কিস্তিতেও গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর নবুওত দাবির বিষয়ে সরাসরি তার বইপত্র থেকেই উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছিল, যেগুলোতে তার নবুওত দাবি অন্যান্য কুফরী স্পষ্টভাষায় রয়েছে। তার অনেক বই বাংলাদেশের কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের পক্ষ হতে অনুদিত হয়েছে এবং হচ্ছে। তাতে সকর কুফরী স্পষ্টভাষায় আছে। সুতরাং অনুরোধের প্রকৃত উদ্দেশ্য, মির্জা কাদিয়ানীর কুফরী বর্ণনায় পরিপূর্ণ ঐসব বইপত্রের অধ্যয়নে সাধারণ মুসলিমদের লিপ্ত করা। এদের এই প্রতারণার বিষয়ে সাবধান থাকা অপরিহার্য।

গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর একটি বইয়ের নামএক গলতী কা ইযালা এটিএকটি ভুল সংশোধননামে অনুদিত হয়েছে। ভিতরের প্রচ্ছদে অনুবাদকের নাম দেওয়া হয়েছে এভাবে-বঙ্গানুবাদ : মৌলভী মোহাম্মাদ।

পরের পৃষ্ঠায় লেখা আছে-

প্রকাশনায় : আহমদীয় (সম্ভবত প্রুফের ভুল) মুসলিম জামা বাংলাদেশ। বকশী বাজার রোড, ঢাকা-১২১১।

প্রকাশকাল : প্রথম উর্দূ সংস্করণ : নভেম্বর, ১৯০১ ঈসাব্দ

প্রথম বাংলা সংস্করণ :

ডিসেম্বর ১৯৬৪ ইং

দ্বিতীয় বাংলা সংস্করণ :

রজব : ১৪২২, আশ্বিন : ১৪০৮

অক্টোবর : ২০০১

মুদ্রণে : ইন্টারকম এসোসিয়েট্স

মতিঝিল, ঢাকা

এই পুস্তিকার নামই দেয়া হয়েছে একটি ভুল সংশোধন। কিন্তু কী সেই ভুল, যা সংশোধনের জন্য মির্জা সাহেবের এই রচনা? ভুলটি হচ্ছে, কিছু লোক, যারা হয়তো কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের স্বরূপ না জানার কারণে দলে যোগ দিয়েছিল, তাদেরকে যখন মুসলিমরা সাবধান করলেন যে, ব্যক্তি তো নবুওয়ত দাবি করে। তখন এই সরলপ্রাণ প্রতারিতরা জবাব দিয়েছেন, ‘না তিনি নবুওয়ত দাবি করেন না।এদের এই জবাবটিই হচ্ছে সেইভুল’, যা সংশোধনের জন্য মির্জা সাহেব এই পুস্তিকা রচনা করেছেন। মির্জা সাহেবের নিজের ভাষায় :

‘‘আমার জামাতের কিছুলোক, যারা আমার পুস্তকাদি মনোযোগ সহকারে পড়ার সুযোগ পায় নি এবং জ্ঞাতব্য বিষয়সমূহ পূর্ণভাবে অবগত হবার জন্য যথেষ্ট সময় আমার সাহচর্যে থাকে নি, তারা আমার দাবী প্রমাণ সম্বন্ধে জানার স্বল্পতাবশতঃ কোন কোন ক্ষেত্রে বিরুদ্ধবাদীদের আপত্তি শুনে যে উত্তর দিয়ে বসেন, তা বাস্তব ঘটনার সম্পূর্ণ বিপরীত। ফলে সত্য পথে থেকেও তাদেরকে লজ্জা পেতে হয়। কয়েকদিন , এরূপ এক ব্যক্তির নিকটে কোন বিরুদ্ধবাদী আপত্তি জানায় যে, তুমি যার নিকট বয়াত (শিষ্যত্ব গ্রহণ) করেছো, তিনি নবী রাসূল হবার দাবী করেছেন। এর উত্তর শুধু অস্বীকার জ্ঞাপক শব্দে দেয়া হয়েছিল। অথচ এরূপ উত্তর সঠিক নয়। সত্য কথা এই যে, আমার প্রতি অবতীর্ণ আল্লাহর পবিত্র ওহী (বাণী)-সমূহে নবী, রসূল মুরসাল শ্রেণীর শব্দ একবার দুবার নয়, শত শত বার বিদ্যমান রয়েছে। অতঃপর (আমার) ওহীতে এসব নেই, তা বলা কীরূপে সত্য হতে পারে? পরমুত পূর্বের তুলনায় এসব শব্দ আরও স্পষ্ট ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

‘‘বাইশ বছর পূর্বে লিখিত আমারবারাহীনে আহমদীয়ানামক পুস্তকেও এসব শব্দের ব্যবহার কিছু কম হয় নি। পুস্তকে প্রকাশিত আল্লাহর ওহীগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে-

هو الذى ارسل رسوله بالهدى ودين الحق ليظهره على الدين كله

 ‘‘হুয়াল্লাযী আরসালা রসূলাহু বিলহুদা ওয়া দীনিল হাক্কে লিইউযহিরাহু আলাদ্দীনে কুল্লিহি’’ (বারাহীনে আহমদীয়া, ৪৯৮ পৃঃ দ্রষ্টব্য) এতে স্পষ্টভাবে আমাকে রসূল বলা হয়েছে। আবার,এরপর পুস্তকেই আমার সম্বন্ধে আল্লাহর ওহী আছে-

جري الله في حلل الأنبياء

 ‘‘জারিউল্লাহে ফি হুলালিল আম্বিয়া’’ অর্থাৎ - নবীগণের পোষাকে আল্লাহর রসূল। (বারাহীনে আহমদীয়া, ৫০৪ পৃঃ দ্রষ্টব্য) আবার পুস্তকেই উক্ত ওহীর সাথে আল্লাহর ওহী আছে-

محمد رسول الله، والذين معه أشداء على الكفار، رحماء بينهم.

 ‘‘মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহে ওয়াল্লাযীনা মাআহু আশিদ্দাউ আলাল কুফ্ফারে রুহামাউ বাইনাহুম।’’ ঐশী বাণীতে আমার নাম মুহাম্মদ রাখা হয়েছে এবং রসূলও। পুস্তকের ৫৭৭ পৃষ্ঠায় লিখিত আর একটি ওহী এই,

دنيا ميں ايك نذير ايا

 ‘‘দুনিয়া মে এক নযীর আয়া’’

অর্থাৎ পৃথিবীতে একজননযীর’ (সতর্ককারী) এসেছেন। ওহীটির আর এক বর্ণনা আছে।

دنيا ميں ايك نبى ايا

 ‘‘দুনিয়া মে এক নবী আয়া’’ অর্থাৎ-পৃথিবীতে একজন নবী এসেছেন। এরূপে বারাহীনে আহমদীয়ায় আরও বহু স্থানে আমাকে রসূল বলে সম্বোধন করা হয়েছে।’’ (পৃষ্ঠা : -)

এরপর এই মিথ্যা দাবিপ্রমাণে জন্য গোটা পুস্তিকায় যেভাবে কুরআন মজীদের আয়াতসমূহের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং নানা অপযুক্তি অপকৌশলের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে তা উপলব্ধি করলে যে কেউ শিউরে উঠবেন। প্রসঙ্গে পরে আসছি।

একই পুস্তিকার পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে-

‘‘অতএব স্মরণ রাখতে হবে যে মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর প্রতিবিম্বরূপে আমি নবী বা রসূল হওয়া অস্বীকার করি না। অর্থেই সহী মুসলিমেও প্রতিশ্রুত মসীহকে নবী বলা হয়েছে।

‘‘আল্লাহ হতে যিনি গায়েবের সংবাদ পান, তাঁর নাম নবী না হলে কী নামে তাঁকে অভিহিত করা যাবে? যদি বল তাঁকেমুহাদ্দাসবলা উচিত তাহলে আমি বলতে চাই যে, কোন অভিধানেইতাহদীসেরঅর্থ গায়েবের সংবাদ দেয়া নয়; কিন্তু নবুওয়তের অর্থ গায়েবের সংবাদ দেয়া। নবী আরবী হিব্রু, উভয় ভাষার শব্দ। হিব্রুতে শব্দের উচ্চারণনাবীএবং এটানাবাধাতু হতে উৎপন্ন হয়েছে। এর অর্থ আল্লাহর নিকট হতে জেনে গায়েবের সংবাদ দেওয়া। নবীর জন্য শরীয়তদাতা হওয়ার শর্ত নেই। নবুওয়ত আল্লাহর অপার্থিব দান। এর দ্বারা গায়েবের সংবাদ ব্যক্ত হয়।

‘‘সুতরাং আমি যখন আজ পর্যন্ত খোদার নিকট হতে প্রায় দেড়শত ভবিষ্যদ্বাণী লাভ করে স্বচক্ষে পূর্ণ হতে দেখেছি তখন আমার নবী রসূল হওয়া আমি কীরূপে অস্বীকার করতে পারি? যখন স্বয়ং খোদাতাআলা আমাকে নবী রসূল আখ্যা দিয়েছেন, তখন আমি কীরূপে এটা প্রত্যাখ্যান করতে পারি এবং তাঁকে ছেড়ে অন্যকে ভয় করি?’’

আরো বলা হয়েছে-

‘‘কিন্তু আমার বক্তব্য এই যে,আঁ হযরত (সঃ)-এর পর, যিনি প্রকৃতপক্ষে খাতামান্নাবীঈন ছিলেন, আমাকে নবী রসূল নামে অভিহিত করলে কোন আপত্তির কথা নয় এবং এতে খাতামিয়্যতের মোহরও ভাঙ্গে না। কারণ আমি বার বার বলেছি যে-

وآخرين منهم لما يلحقوا بهم

আয়াতানুযায়ী আমি বুরুজীভাবে সেই খাতামুল আম্বিয়া এবং খোদা আজ হতে বিশ বছর পূর্বে বারাহীনে আহমদীয়া (নামক পুস্তকে) আমার নাম মুহাম্মদ (সঃ) আহমদ (সঃ) রেখেছেন এবং আমাকে আঁ হযরত (সঃ)-এরই সত্তা নির্ধারিত করেছেন। সুতরাং এভাবে আমার নবুওয়তের দ্বারা আঁ হযরত (সঃ)-এর খাতামুল আম্বিয়ার মর্যাদায় কোন ধাক্কা লাগে  নি। কারণ ছায়া আপন মূল সত্তা হতে পৃথক নয়। যেহেতু আমি প্রতিবিম্বস্বরূপ মুহাম্মদ (সঃ), সুতরাং প্রকারে খাতামান্নাবীঈনের মোহর ভাঙ্গে নি। কারণ মুহাম্মদ (সঃ)- এর নবুওয়ত মুহাম্মদ (সঃ) পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ আমি যখন বুরুজীভাবে আঁ হযরত (সঃ) এবং বুরুজী রঙ্গে সমস্ত মুহাম্মদী কামালাত মুহাম্মদী নবুওয়তসহ আমার প্রতিবিম্বের দর্পনে প্রতিফলিত হয়েছে, তখন স্বতন্ত্র ব্যক্তি কোথা হতে আসলেন, যিনি পৃথকভাবে নবুওয়তের দাবী করলেন।’’-পৃষ্ঠা : ১০

মির্জা কাদিয়ানীর জিল্লী-বরুজী দর্শন সম্পর্কে গত কিস্তিতে কিছু কথা বলা হয়েছে।

***

মির্জা কাদিয়ানীর আরেকটি পুস্তিকা ‘‘তাজাল্লিয়াতে ইলাহিয়া’’ এরও বাংলা অনুবাদ হয়েছে। অনুদিত পুস্তিকার প্রচ্ছদে লেখা আছে : তাজাল্লিয়াতে ইলাহিয়া বা ঐশী বিকাশ। নীচে লেখকের নাম। ভিতরে প্রকাশক, অনুবাদক, প্রকাশকাল ইত্যাদি দেওয়া আছে এভাবে :

‘‘প্রকাশক : মাহবুব হোসেন-

ন্যাশনাল সেক্রেটারী ইশায়াত

আহমদীয়া মুসলিম জামা, বাংলাদেশ

বকশী বাজার রোড, ঢাকা-১২১১

ভাষান্তর : মৌলবী মোহাম্মদ

সাবেক ন্যাশনাল আমীর

আহমদীয়া মুসলিম জামা, বাংলাদেশ

প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি ১৯৮২

(৪র্থ সংস্করণ), জুন ২০০৯

সংখ্যা : ২০০০ কপি

মুদ্রণে : বাড--লিভস্

২১৭/, ফকিরেরপুল ১ম লেন

মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।

এই পুস্তিকার দু-একটি উদ্ধৃতি দেখুন :

‘‘কিন্তু প্রকৃত কথা হলো, নবী কখনও শাস্তি আনে না। বরং কোন জাতি শাস্তি লাভের উপযুক্ত হলে যুক্তি দ্বারা তাদের ধ্বংসের পথ হতে সৎপথে ফিরিয়ে আনার চূড়ান্ত চেষ্টা করার জন্য নবীর আবির্ভাব হয় এবং তাঁর প্রকাশ প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। নবীর প্রকাশ না হলে কঠিন শাস্তি অবতীর্ণ হয় না। কুরআন শরিফে আল্লাহতায়ালা বলেছেন-

وما كنا معذبين حتى نبعث رسولا

অর্থাৎ, ‘‘যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা রসুল প্রেরণ করি, ততক্ষণ কোন জাতিকে দন্ডিত করি না।’’ (১৭  : ১৫)

তবে একি হল যে, একদিকে মহামারীতে দেশ উজাড় হয়ে যাচ্ছে এবং অপরদিকে ভূমিকম্পের তান্ডবলীলাও পিছু ছাড়ছে না? হে মোহাচ্ছন্ন জগৎ! অনুসন্ধান কর! দেখ তোমাদের মধ্যেও নিশ্চয় কোথাও খোদার প্রেরিত পুরুষের আবির্ভাব হয়েছে-যাকে তোমরা অস্বীকার করছ।’’ (পৃষ্ঠা : -)

আরো লেখা আছে, ‘‘আমি যদি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর উম্মত না হতাম এবং তাঁর অনুসরণ না করতাম, অথচ পৃথিবীর সমস্ত পর্বতের সমষ্টি বরাবর আমার পুণ্য কর্মের উচ্চতা ওজন হতো, তা হলেও আমি কখনও খোদার সাথে বাক্যালাপ তাঁর বাণী লাভের সম্মানের অধিকারী হতে পারতাম না। কেননা এখন মুহাম্মদী নবুওয়াত ব্যতিরেকে অপর সমস্ত নবুওয়াতের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। নব বিধান নিয়ে কোন নবী আসতে পারেন না। কিন্তু বিধান (শরিয়ত) বিহীন নবী আসতে পারেন, যদি তিনি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুগামী হন। এভাবে, আমি একাধারে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতী এবং নবী। আমার নবুওয়াত-অর্থাৎ ঐশীবাণী লাভ হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুওয়াতের প্রতিবিম্বস্বরূপ। তাঁর নবুওয়াতকে বাদ দিয়ে আমার নবুওয়াতের কোনো অস্তিত্ব নেই। এটা সেই মুহাম্মদী নবুওয়াত, যা আমার মধ্যে পূর্ণ বিকাশ লাভ করেছে।’’ (পৃষ্ঠা : ১৯)

এই কুফরী কথাগুলো পুস্তিকাতেই বোল্ড করা আছে। ধরনের বক্তব্য মির্জার রচনাবলিতে অজস্র। আর তা থাকাই তো স্বাভাবিক। কারণ এটাই তার ধর্মের মূল বিষয়। সুতরাং সাধারণ পাঠকের বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়, কেন এরা সরাসরি তাদের রচনাবলি পাঠ করতে সাধারণ মুসলমানদের আহবান করে।

رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ.

 (চলবে ইনশাআল্লাহ)

 

 

advertisement