রবিউল আওয়াল-রবিউল আখির ১৪৩৪   ||   ফেব্রুয়ারি ২০১৩

২০.০২.১৪৩৪ হিজরী ০৩.০১.২০১৩ ঈ. বৃহস্পতিবার

প্রতি ইংরেজী মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার আসর থেকে ইশা পর্যন্ত মারকাযুদ দাওয়ায় তালাবা-মুদাররিসিনের জন্য মাসিক মুহাযারা অনুষ্ঠিত হয়। এ মাসের মুহাযারা পেশ করেন, মারকাযুদ দাওয়ার আমীনুত তালীম মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক ছাহেব দামাত বারাকাতুহুম। গত মাসের মত এ মাসেরও বিষয় ছিল ‘তাওহীদ’। তিনি বলেন, ‘তাকবিয়াতুল ঈমান’ কিতাবটি আকীদার ক্ষেত্রে হিন্দুস্তানের বুনিয়াদী কিতাব। এটি বার বার মুতাআলা করা দরকার। তাওহীদ বুঝতে হলে শিরক বুঝতে হবে। যেমন সুন্নত বোঝার জন্য বিদআত বুঝতে হয়। একবার এক ব্যক্তি আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, তাওহীদ শব্দটি কুরআন বা হাদীসে আছে কি? সহীহ মুসলিম ৮৩২ নং হাদীস, মুসনাদে আহমদ ৮০৪০ নং হাদীসে তা স্পষ্টভাবে  রয়েছে।  এছাড়া ‘কুতুবে তিসআর’ (হাদীসের প্রসিদ্ধ নয় কিতাব) মধ্যে পঁচিশ জায়গায় এর শাওয়াহিদ বা সমর্থনে রেওয়ায়াত রয়েছে।

কোন কোন কিতাব থেকে আমরা তাওহীদ বিষয়ে অধ্যয়ন করতে পারি, একপর্যায়ে  সে বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, তাকবিয়াতুল ঈমান, শাহ ইসমাইল শহীদ রহ.;খুতুবাতে উসমানী, আল্লামা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী; ইরশাদুত তালিবীন, সানাউল্লাহ পানিপথি রহ.; মিআতু মাসায়িল, শাহ ইসহাক রহ.; নাছীহাতুল মুসলিমীন, খুররাম আলী ইত্যাদি কিতাব থেকে আমরা তাওহীদ বিষয়ে অধ্যয়ন করতে পারি। এছাড়া মাওলানা মনযুর নুমানী রহ.-এর এ বিষয়ক কিতাবগুলো তো রয়েছেই।

এরপর শিরকের হাকীকত এবং তার বিভিন্ন সূরত সম্পর্কে উসূলী ও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করেন। 

 

advertisement