মুহাররম-১৪৩৩   ||   ডিসেম্বর-২০১১

চারটি মহৎ গুণ

হযরত মাওলানা মুফতি তকী উছমানী

 

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, চারটি গুণ এতই মূল্যবান যে, তা যদি তোমার মধ্যে থাকে তাহলে দুনিয়ার আর কী তোমার নেই সে চিন্তারই দরকার নেই।

এই চার গুণ কী

এই চার গুণ হচ্ছে

১. আমানত রক্ষা করা।

২. সত্য কথা বলা।

৩. উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া।

৪. রিজিক হালাল হওয়া। -মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৬৩৬৫

এই চারটি ছিফাত শুনতে সাধারণ ও ছোট ছোট কয়েকটি বাক্য মনে হলেও মূলত এর মাঝে পুরো দ্বীন ও তার সকল গুণাবলি নিহীত রয়েছে।

এবার আমরা এই চার ছিফাতের প্রতিটির উপর পৃথক পৃথক আলোকপাত করব ইনশাআল্লাহ।

প্রথম গুণ : আমানত রক্ষা করা

এ বিষয়ে কুরআন-হাদীসে অত্যন্ত তাকিদ এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, (তরজমা) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে এই আদেশ করেছেন যে, আমানতসমূহ তার হকদারের কাছে পৌঁছে দাও।-সূরা নিসা : ৫৮

হাদীস শরীফে আমানতের খেয়ানত করাকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুনাফিকের খাছলত বলে আখ্যায়িত করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, তিনটা স্বভাব যার মাঝে পাওয়া যাবে সে পাক্কা মুনাফিক। ১. ওয়াদা খেলাফ করা ২. আমানতের খেয়ানত করা ৩. মিথ্যা বলা।

এই তিন মন্দ স্বভাবকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুনাফিকের আলামত বলেছেন। সুতরাং একজন মুসলমানের মাঝে কখনোই এগুলো থাকতে পারে না।

মোটকথা, আমানত এমন একটি গুণ, যার মাধ্যমে একজন মুসলমান প্রকৃত মুসলমান হয়।

নবুওয়তের পূর্বে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কয়েকটি প্রসিদ্ধ গুণ

নবুওয়ত লাভের আগে থেকেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদিক ও আমীন অর্থাৎ সত্যবাদী ও আমানতদার বলে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তাঁর সবচেয়ে বড় দুশমনও তাঁর কাছে আমানত রাখতে প্রস্ত্তত ছিল।

এমনকি তিনি যখন মক্কা ছেড়ে মদীনায় হিজরত করলেন তখনও তাঁর কাছে মক্কাবাসীর আমানত গচ্ছিত ছিল এবং সে আমানত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি আলী রা.কে মক্কায় রেখে গিয়েছিলেন। তো এটা ছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ গুণ, যা মক্কার কাফেরদের মাঝেও প্রসিদ্ধ ছিল।

সুতরাং তাঁর উম্মত হওয়ার দাবিই হল আমানত রক্ষার বিষয়ে বিশেষভাবে মনোযোগী হওয়া।

আমানত শব্দের অর্থের ব্যাপকতা

সাধারণত আমানতের অর্থ এই মনে করা হয় যে, কেউ আমার কাছে কিছু অর্থ-সম্পদ গচ্ছিত রাখল এবং আমি তা হেফাযত করে রাখলাম। এরপর যখন সে তা ফেরত চাইল তখন তা ফেরত দিলাম। আর খেয়ানত অর্থ এ সম্পদ ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করে ফেলা।

যেহেতু জেনে বুঝে আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে আলহামদুলিল্লাহ এ জাতীয় খেয়ানত হয় না তাই আমরা নিজেদেরকে আমানতদার মনে করে সন্তুষ্ট। অথচ আমানতের অর্থ ও মর্ম অনেক ব্যাপক। অনেক বিষয় এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এক বয়ানে আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম এবং তা ছাপার হরফেও এসে গেছে।

দ্বিতীয় গুণ : সত্য কথা বলা

হাদীসে বর্ণিত দ্বিতীয় গুণ সিদকে হাদীস বা সত্য কথা বলা। অর্থাৎ মিথ্যা না বলা, ভুল বর্ণনা করা থেকে বেঁচে থাকা। দেখুন, একটি হচ্ছে সরাসরি মিথ্যা, যাকে সকলেই মিথ্যা মনে করে। যাদের মনে আল্লাহর ফযল ও করমে দ্বীন মোতাবেক চলার ও মিথ্যা থেকে বেঁচে থাকার প্রেরণা আছে তারা সাধারণত এ ধরনের সরাসরি মিথ্যা থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু কিছু মিথ্যা এমন আছে, যা প্রচ্ছন্ন এবং এমনভাবে সমাজের রগ-রেশায় মিশে গেছে যে, তা মিথ্যা ও গুনাহর কাজ হওয়ার অনুভূতিটুকুও মানুষের থাকে না।

যেমন, একজনের কথা অন্যজনের কাছে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে অসতর্কতা। এর ফলে একজন থেকে অন্যজন পর্যন্ত পৌঁছতে পৌঁছতে তা এমনভাবে বিকৃত হয় যে, আসল কথার সাথে তার কোনো মিলই থাকে না। একটা অবাস্তব কথা ছড়িয়ে পড়ে। এটা কেন হয়? এজন্য হয় যে, পূর্ব থেকেই এই প্রস্ত্ততি ছিল না যে, কথাটি যেভাবে বলা হচ্ছে সেভাবেই তা স্মরণ রাখব এবং নিখুঁতভাবে বর্ণনা করব। বরং এক রকম শোনে, আরেক রকম বোঝে, এরপর বর্ণনার সময় নিজের তরফ থেকে ঝাল-মরিচ লাগিয়ে বর্ণনা করা হয়। এরপর একে মিথ্যাও মনে করা হয় না।

বক্তব্যের বিকৃতির ধরণ

একবার আমার কাছে কয়েক জায়গা থেকে চিঠি এল যে, জনৈক ব্যক্তি

বিভিন্ন আলোচনায় আপনার উদ্ধৃতিতে বলছেন, টেপ রেকর্ডারে কুরআন তিলাওয়াত শোনা গান শোনার চেয়েও বড় গুনাহ। অথচ আমার (আমলনামা লিপিবদ্ধকারী) ফেরেশতাদেরও জানা নেই, আমি কখনো এমন মাসআলা বলেছি কি না। আমি চিন্তা করতে লাগলাম যে, এই কথাটা কোত্থেকে এল? তখন আমার মনে পড়ল যে, এক মজলিসে আমি ওয়ায করেছি। তখন এক ব্যক্তি আমাকে প্রশ্ন করেছিল যে, টেপ রেকর্ডারে সিজদার আয়াতের তিলাওয়াত শুনলে সিজদা ওয়াজিব হবে কি না? উত্তরে আমি বলেছিলাম, টেপ রেকর্ডারে যে তিলাওয়াত হয় তা প্রকৃত তিলাওয়াতের মধ্যে পড়ে না। এ কারণে তা শুনলে সাজদায়ে তিলাওয়াত ওয়াজিব হয় না। তো যেহেতু আমি বলেছি যে, টেপ রেকর্ডারের তিলাওয়াত প্রকৃত তিলাওয়াতের মতো নয় তাই সে এখান থেকে বুঝে নিয়েছে যে, প্রকৃত তিলাওয়াত না হওয়ার কারণে এটা হারাম বা নাজায়েয। এরপর আরো এক কাঠি বাড়িয়ে বলতে লাগল, টেপ রেকর্ডারে তিলাওয়াত শোনা গান শোনার চেয়েও খারাপ।

আর তা প্রচার করল আমার উদ্ধৃতিতে। এ ব্যক্তি তো জেনে-বুঝে মিথ্যা বলেনি; বরং অসতর্কতা ও অমনোযোগিতা থেকে নিজের ধারণাকে আমার কথা বলে বর্ণনা করেছে।

একটি স্বপ্ন, যা আমার সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে

গত কয়েক দিন আগে জনাব কলীম ছাহেব আমাকে বললেন, কিছু দিন আগে যেখানে ভূমিকম্প হয়েছিল সে এলাকায় এটা ছড়িয়ে পড়েছে যে, আপনি স্বপ্নে দেখেছেন, এখন রমযান মাস বলে ভূমিকম্পের মাত্রা অনেক কম ছিল। ঈদের পর বড় ধরনের ভূমিকম্প হবে।

বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাকে ফোনে প্রশ্নও করা হচ্ছে। আগের কথার তো একটা সূত্র পেয়েছিলাম, কিন্তু এর কোনো সূত্রই তো খুঁজে পাচ্ছি না। আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন, কীভাবে, কোত্থেকে তা বের হল।

বর্ণনার ক্ষেত্রে সতর্কতা

মোটকথা, বর্ণনার ক্ষেত্রে সতর্কতা আমাদের থেকে বিদায় নিয়েছে। অথচ শরীয়ত এ বিষয়ে কত গুরুত্ব দিয়েছে যে, কারো মুখ থেকে যেন কোনো ভুল কথা বের না হয়। শরীয়ত যত গুরুত্ব দিয়েছে আমরা তত উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছি। ফলে ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হচ্ছে, অবাস্তব ও ভিত্তিহীন কথাবার্তা ছড়িয়ে পড়ছে।

সুতরাং হয়তো কারো কোনো কথা বর্ণনা করাই বাদ দিন। আর যদি বর্ণনা করতেই হয় তাহলে আল্লাহর ওয়াস্তে নিজের উপর রহম করুন, কথাটি ভালোভাবে স্মরণ রাখুন এবং সঠিকভাবে বর্ণনা করুন।

একজন মুহাদ্দিসের সতর্কতা

আল্লামা খতীব বাগদাদী রাহ. কিফায়া গ্রন্থে একজন মুহাদ্দিসের কথা আলোচনা করেছেন। মুহাদ্দিসগণ হাদীস বর্ণনা করার সময় বলেন, অমুক আমাকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি একটি হাদীস বর্ণনা করার সময় বলতেন, ছানা অর্থাৎ হাদ্দাছানা পুরো শব্দ না বলে শুধু শেষ অংশ ছানা বলতেন। শাগরিদরা জিজ্ঞাসা করল, আপনি পুরো হাদ্দাছানা না বলে শুধু ছানা কেন বলেন?

তিনি উত্তরে বললেন, আমি উস্তাদের দরসে পৌঁছতে পৌঁছতে দরস শুরু হয়ে গিয়েছিল। আমি পৌঁছার আগেই উস্তাদ হাদ্দাছানা শব্দের প্রথম অংশ হাদ্দা বলে ফেলেছেন। আমি শুধু তার মুখে ছানা শব্দটুকু শুনেছি। সুতরাং এই হাদীসটি বর্ণনা করার সময় আমি যদি বলি, আমি আমার উস্তাদকে হাদ্দাছানা বলতে শুনেছি তাহলে তো কথাটা মিথ্যা হয়ে যাবে।

আলহামদুলিল্লাহ, এত সতর্কতার সাথে রাসূলের হাদীস আমাদের নিকট পৌঁছেছে। আর মুহাদ্দিসগণ রাসূলের বাণী সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এত সতর্কতা অবলম্বন করেছেন।

হযরত থানভী রাহ.-এর সতর্কতা

আমার আববাজান রাহ. বলতেন, হাকীমুল উম্মত থানভী রাহ. নিন্দা করে বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ‘‘সাধারণ নিয়মে বড়’’ এমন কেউ তোমাদের মধ্যে থাকবে ততক্ষণ তার সাথে মাশওয়ারা কর। যখন এমন কেউ থাকবে না তখন সমপর্যায়ের লোকদের সাথে মাশওয়ারা কর। যদি এমন কেউ না থাকে তাহলে ছোটদের সাথে মাশওয়ারা কর। মাশওয়ারা ছাড়া কোনো কাজ করবে না। এরপর তিনি বললেন, ‘‘সাধারণ নিয়মে বড়’’ একথা এজন্য বলেছি যে, বাস্তবে কে বড় কে ছোট তা তো জানেন একমাত্র আল্লাহ তাআলা। কারণ বড় ছোটর প্রকৃত মাপকাঠি তো তাকওয়া ও আল্লাহর আনুগত্য। কিন্তু সাধারণ নিয়মে পিতা সন্তান থেকে বড়, উস্তাদ শাগরিদ থেকে বড়, শায়েখ তার মুরিদ থেকে বড়। এসব হচ্ছে নিয়মের বড়-ছোট। বাস্তবে কে বড় তা তো আল্লাহই ভালো জানেন।

এরপর আববাজান বললেন, হযরত তো বলতে পারতেন, যতক্ষণ বড়রা থাকেন ততক্ষণ তাদের সাথে মশওয়ারা কর। কিন্তু যেহেতু চিন্তা ও মস্তিষ্কে সতর্কতার নিক্তি ঝোলানো আছে যে, মুখ থেকে যেন কোনো অবস্থাতেই কোনো অবাস্তব কথা বের না হয় তাই সরাসরি বড় না বলে ‘‘সাধারণ নিয়মে বড়’’ বলেছেন।

গাফলত ও উদাসীনতা অতি বড় বিপদ

যখন মানুষের মাঝে সহীহ কথা বলার ফিকির আসে তখন আল্লাহ তার অন্তরে সহীহ শব্দ ঢেলে দেন। সে তখন ঐ সহীহ শব্দ ব্যবহার করে। কিন্তু এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল অসতর্কতা ও উদাসীনতা। এদিকে ভ্রুক্ষেপই না করা যে, আমার মুখ দিয়ে কী কথা বের হচ্ছে। বেপরোয়াভাবে অবাস্তব কথা বলতে থাকা। এই প্রবণতা আমাদেরকে বর্ণনায় অসতর্ক বানিয়ে দিয়েছে।

বর্ণনায় সত্যবাদিতা হল মেপে মেপে কথা বলা এবং একশ ভাগ সহীহ বলতে চেষ্টা করা। কোনো কথা বলতে গিয়ে এমন অতিরঞ্জণ না করা যে, তা মিথ্যার পর্যায়ে চলে যায়। কথা বলতে গিয়ে তো আমাদের কিছু না কিছু অতিরঞ্জণ হয়ে যায়, কিন্তু তা যদি মিথ্যার পর্যায়ে চলে যায়। তাহলে এটা হবে বর্ণনায় সত্যবাদিতার পরিপন্থী। মোটকথা যখনই আমরা কিছু বলব সতর্কতার সাথে বলব।

আমার কথা যদি সর্বদা রেকর্ড করা হত

কথার ক্ষেত্রে কিভাবে আমরা সতর্ক হতে পারি আমার আববাজান রাহ. এর একটা সুন্দর মাপকাঠি বলে দিয়েছেন এবং আলহামদুলিল্লাহ তা আমার দিলে বসে গেছে। তিনি বলেছেন, যখন তুমি কোনো কথা বলবে বা লিখবে তখন

চিন্তা করবে যে, এটা আমাকে আদালতে প্রমাণ করতে হবে। আপনারাও এ বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখুন যদি আপনাদেরকে বলা হয় বেলা দশটা থেকে বারোটা পর্যন্ত আপনি যত কথা বলবেন সব রেকর্ড করা হবে এবং তা থানায় পেশ করা হবে। এর ভিত্তিতে আপনাকে গ্রেফতারির বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন বলুন, ঐ দুই ঘণ্টা কেমন সতর্কতার সাথে কথা বলবেন? আপনি তো সাবধান থাকবেনই ঐ সময় অন্য কেউ আপনার সাথে কথা বলতে এলে তাকেও বলবেন, ভাই, আমার কথা রেকর্ড হচ্ছে এবং উল্টাপাল্টা কিছু বললে আমার গ্রেফতারির পরোয়ানা আসতে পারে। সুতরাং এ মুহূর্তে আমার সাথে কোনো অপ্রয়োজনীয় কথা বলো না এবং আমার দ্বারাও অপ্রয়োজনীয় ও ত্রুটিপূর্ণ কথা বলো না। মোটকথা, তখন আমাদের মুখ থেকে মাপা মাপা কথা বের হবে এবং শুধু প্রয়োজনীয় ও মূল্যবান কথাই বলা হবে।

সকল কথাই রেকর্ড হচ্ছে

আমার আববাজান রাহ. বলতেন, ভাই! আল্লাহর পক্ষ থেকে সবার সাথেই তো রেকর্ডার লাগানো আছে। কিয়ামতের দিন এই রেকর্ডারের ভিত্তিতে আপনার সম্পর্কে ফয়সালা হবে। সুতরাং দুনিয়ার আদালতের পক্ষ থেকে আপনার কথা রেকর্ড করা হলে যেমন সতর্কতার সাথে কথা বলতেন ঠিক ঐ রকম সতর্কতার সাথেই কথা বলুন। সর্বদা স্মরণ রাখুন, আমার যবান থেকে যা কিছু বের হচ্ছে আখেরাতে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে। সুতরাং বুঝে-শুনে, আল্লাহকে ভয় করে কথা বলা আমার সার্বক্ষণিক কর্তব্য।

যাদের দিলে আল্লাহ তাআলার খওফ ও আযমত আছে তারা সতর্কতার সাথে কথা বলে এবং প্রয়োজন ছাড়া মুখ খোলে না। আল্লাহ তাআলা স্বীয় রহমতে আমাদেরকে আমানতদারি ও সত্যবাদিতার গুণ দান করুন। যাতে আমরা যা কিছু বলি একশ ভাগ সঠিক বলতে পারি। আমীন

 

(চলবে ইনশাআল্লাহ)

[অনুবাদ : মাওলানা ফজলুল বারী]

 

 

 

advertisement