রমযান ১৪৪৫   ||   মার্চ ২০২৪

রোযা রাখার ভিত্তিহীন ফযীলত

বারো চান্দের ফযীলতবিষয়ক একটি পুস্তিকায় রোযা রাখার ফযীলত বিষয়ে দুটি বর্ণনা উল্লেখ করা হয়েছে :

এক. যে ব্যক্তি রোযা রাখে, আল্লাহ পাক তাহাকে বেহেশতের মধ্যে যমরদ পাথরের তৈরি বাড়ি দেবেন। ঐ বাড়ির এক হাজার দরজা হবে। প্রত্যেক দরজার সামনে এক একটি করে বৃক্ষ হবে।

দুই. যে ব্যক্তি রমযান মাসে খাস আল্লাহর রেযামন্দীর জন্য মনে মনে সওয়াবের কথা ভেবে রোযা রাখে, সে যেন ছয় শত হাজার (অর্থাৎ ছয় লক্ষ) উট কোরবানী করল এবং ছয় শত হাজার (অর্থাৎ ছয় লক্ষ) বৎসরের ইবাদত করল।

দুটি বর্ণনাই ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে এগুলো খুঁজে পাওয়া যায় না।

তাছাড়া বর্ণনাগুলোর ভাষা ও উপাস্থাপন থেকেই ইলমে হাদীসে পারদর্শীগণ বোঝেন, এসব বর্ণনা একদম বানোয়াট।

যাইহোক, উপরোক্ত বর্ণনা জাল ও ভিত্তিহীন। রোযা রাখার ফযীলত বিষয়ে বহু সহীহ বর্ণনা রয়েছে; যা আমাদের অনেকেরই জানা। আমরা সেগুলোই আলোচনা করব; এজাতীয় ভিত্তিহীন বর্ণনা থেকে বেঁচে থাকব।

 

 

advertisement