জুমাদাল উলা-জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪৫   ||   ডিসেম্বর ২০২৩

গাজা যুদ্ধের রোজনামচা

মাওলানা আবু খালেদ নাঈম সিদ্দীকী

বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩/১০ রবিউস সানি ১৪৪৫ :

টানা ২০ দিন ধরে অব্যাহত আছে গাজা যুদ্ধ।

গাজার চিকিৎসকরা বলছেন, ইসরাইল সবচেয়ে ভারী বোমাবর্ষণের কারণে ১৪ লাখেরও বেশি মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়ের জন্য তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেত-হানুন একমাত্র হাসপাতাল, যা উত্তর-গাজায় হাজারো রোগীদের সেবা দিয়ে আসছিল, তীব্র বোমাবর্ষণের কারণে অপারেশন ও অন্যান্য চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে নানা ধরনের রোগের প্রকোপ শুরু হয়েছে।

শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর :

গাজায় অবিলম্বে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ওআইসি।

হিজবুল্লাহ : বিশ্বের সব যুদ্ধ-জাহাজ এলেও হামাস থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করা হবে না।

ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ১৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী।

লেবানন মিডিয়া : গত ২০ দিনে ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে ১৭ ইসরাইলী সৈন্য নিহত হয়েছে।

হামাস : এই পর্যন্ত ইসরাইলের হামলায় হামাসের কাছে থাকা ৫০ জন জিম্মি নিহত হয়েছে।

গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষ নিহত লোকজনের যে সংখ্যাটি দেখাচ্ছে, তাতে আমার আস্থা নেই!এ সংশয় প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই নিহতের পূর্ণ সংখ্যা প্রকাশ করেছে গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ২২২ পৃষ্ঠার বিরাট ফাইলে গত ২০ দিনে বিমান বাহিনীর অভিযানে শহীদ হওয়া প্রায় ৭০০০-এর নাম-বয়স-জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার উল্লেখ রয়েছে! আরো বলা হয়েছে, আমাদের নাগরিকরা নাম পরিচয়হীন কোনো সত্তা নয় যে, চাইলেই তাদের অবহেলা করা যাবে!

শনিবার, ২৮ অক্টোবর :

ফিডার লাইন, টাওয়ার এবং নেটওয়ার্কের ওপর ইসরাইলী হামলায় গাজার যোগাযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন।

জাতিসঙ্ঘে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন।

আশ-শিফা হাসপাতাল গাজার সবচেয়ে বড় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। ইসরাইলী সামরিক বাহিনীর দাবি, হামাসের কেন্দ্রীয় কমান্ড গাজার এ হাসপাতালের নিচে অবস্থিত। হামাস জোর দিয়ে বলেছে, এসব অভিযোগ করে হাসপাতালকে লক্ষ্যবস্তু করার পথ প্রশস্ত করছে দখলদাররা।

ওদিকে পশ্চিম তীরেও শুরু হয়েছে আগ্রাসন। দক্ষিণে অবস্থিত জানুতা গ্রামে ২৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনী বাসিন্দা সেটেলার মিলিশিয়াদের সন্ত্রাসী হামলার কারণে বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

ফিলিস্তিনীদের প্রতি সমর্থন জানাতে শনিবার ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্য-যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়া জুড়ে লাখো মানুষের বিক্ষোভ।

নিউইয়র্কের গণপরিবহন স্টেশন গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল’-এ বিক্ষোভ করেছে জেভিপিনামে এক ইহুদী সংগঠন। তাদের হাতে থাকা বিভিন্ন ব্যানারে লেখা ছিল, ইহুদীরা এখনই যুদ্ধ বিরতি চায়, আমাদের নামে যুদ্ধ চলবে না। খবরে দেখা যায়, পুলিশ ব্যানার খুলে ফেলছে। বিদ্রোহীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

হামাসের হামলায় এ পর্যন্ত ১৪২৫ ইসরাইলী নিহত ও ৫৪৩১ জন আহত হয়েছে। ইসরাইল বলছে, নিহতদের মধ্যে ৩০৮ জন সৈন্য এবং ৫৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে।

রবিবার, ২৯ অক্টোবর :

ইসরাইলী বর্বরতায় শহীদের সংখ্যা ৮০০০ ছাড়িয়েছে। যাদের প্রায় অর্ধেকই শিশু।

রাশিয়ার মুসলিমপ্রধান অঞ্চল দাগিস্তানের রাজধানী মাখাচকালার বিমানবন্দরে ইসরাইল থেকে আসা একটি উড়োজাহাজ নামার পর কয়েক শ বিক্ষুব্ধ জনতা তার ওপর হামলা চালিয়েছে।

সোমবার, ৩০ অক্টোবর :

গাজা স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় : গাজায় ২৫টি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। ২৫টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস করা হয়েছে। দখলদাররা অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা অচল করে দিতে চাইছে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বজরংইসরাইলের সমর্থনে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সেখানে তারা ইসরাইলের প্রশংসা করে তাদের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট : হামাস কোনো সন্ত্রাসবাদী দল নয়। ইসরাইলের কাছে দাবি, এখনই যুদ্ধ বন্ধ করা হোক। গাজায় যা হচ্ছে এটা যুদ্ধ নয়, এটা গণহত্যা।

আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট : ফিলিস্তিনীরা সন্ত্রাসী নয়। তারা তাদের বৈধ অধিকার রক্ষা করছে। আলজেরিয়ানরা উপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে লড়ার সময় তাদেরও সন্ত্রাসী বলা হত।

মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর :

ইউনিসেফ : আহত-নিহত মিলে গাজায় প্রতিদিন ৪২০ জনেরও বেশি শিশু আক্রান্ত হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে সমুদ্রের লোনা পানি খাচ্ছে সেখানকার শিশুরা।

বুধবার, ১ নভেম্বর :

গাজার উত্তরে জাবালিয়ার শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। জাবালিয়ার ওই গণহত্যায় ১২০ জনেরও বেশি শহীদ হয়েছে।

গণহত্যার প্রতিবাদে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার হাই-কমিশনের এক পরিচালক পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেছেন, সহিংসতা ঠেকাতে জাতিসঙ্ঘ ব্যর্থ। যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেন ও অধিকাংশ ইউরোপ এই নৃশংস হামলায় পুরোপুরি জড়িত। অতীতে বসনিয়া, ইরাক, কুর্দিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে গণহত্যা ঠেকাতেও ব্যর্থ হয়েছে জাতিসঙ্ঘ।

গণহত্যার জেরে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক-ছিন্ন করেছে দক্ষিণ আমেরিকার কয়েক দেশ। তারা ইসরাইল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।

বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর :

জাবালিয়ায় আবারো হামলা। হতাহতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়ে গেছে। গাজা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় শহীদ ১৫৫ জন, ৭৭৭ জন গুরুতর আহত, হদিস নেই ১২০ জনের।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী এক ফিলিস্তিনী পরিবার জানিয়েছে, একই দিনে তাদের পরিবারের ৪২ জন আত্মীয় শহীদ হয়। ইসরাইলী বাহিনী কোনো সতর্কতা ছাড়াই বোমা হামলা চালিয়েছে। তাদেরকে বাড়ি খালি করতেও বলা হয়নি।

ইসরাইল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে জর্ডান।

শুক্রবার, ৩ নভেম্বর :

ইসরাইলী বাহিনীর দাবি, তারা গাজা শহর ঘেরাও করে ফেলেছে।

আমেরিকান টিভিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন, গাজায় ইসরাইল বেসামরিক নাগরিক ছাড়া অন্য কাউকে টার্গেট করছে না। পরমুহূর্তেই সামলে নিয়ে বলেন, আসলে টার্গেট ছিল সন্ত্রাসীরা।

শনিবার, ৪ নভেম্বর :

জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক সংস্থার পরিচালক : গাজার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসঙ্ঘের কিছুই করার নেই। এপর্যন্ত জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে থাকা ৩৮ জন ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে।

রোববার, ৫ নভেম্বর :

যুক্তরাষ্ট্র : যুদ্ধ বিরতি হলে হামাস পুনরায় সংঘটিত হবে। তাই আমরা যুদ্ধ বিরতি চাই না।

হামাসের সশস্ত্র শাখা : ইসরাইলের বিমান হামলার কারণে বন্দিদের ৬০ জন নিখোঁজ।

নেতানিয়াহুর বাড়ির বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভ ইসরাইলীদের। তারা হামাসের কাছে বন্দি ইসরাইলীদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে।

ইসরাইল অভিমুখে ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে সৌদির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইসরাইলী মিডিয়া বলেছে : আমাদেরকে রক্ষা করার জন্য সৌদিকে ধন্যবাদ!

সোমবার, ৬ নভেম্বর :

হামাস : দুই দিনে ইসরাইলের ২৪টি ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে।

ইসরাইল : স্থল হামলা শুরু হওয়ার পর হামলায় আমাদের ৩২ জন সৈন্য নিহত। হামাসের দাবি, এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি।

গাজায় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন এক ইসরাইলী মন্ত্রী।

অবরুদ্ধ গাজায় চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছে জর্ডান।

গাজায় বিমান হামলা আরো জোরদার করার পাশাপাশি স্থল অভিযানও শুরু করেছে ইসরাইল। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমের কাছে গাজার স্যাটেলাইট ছবি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে স্যাটেলাইট কোম্পানি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার স্যাটেলাইট ছবিগুলো মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদেরকে উদ্বিগ্ন করছে, তাই তা প্রকাশ নিষিদ্ধ।

এরদোগান : গাজা উপত্যকায় রক্তপাত বন্ধ করা তুরস্কের দায়িত্ব। গাজার ভাই-বোনদের কখনো একা ফেলে দেবে না তুরস্ক। ...আমরা দৃশ্যমানের চেয়ে আরো বেশি কিছু করা অব্যাহত রাখব।

ইসরাইল থেকে নিজেদের কূটনীতিক প্রত্যাহার করেছে চাঁদ।

মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর :

যুদ্ধের এক মাস পেরিয়েছে। ইতিমধ্যে ৩০ লাখ জনসংখ্যার ক্ষুদ্র এলাকা গাজাতে ২৫ হাজার টন বোমা ফেলেছে ইসরাইল।

বুধবার, ৮ নভেম্বর :

জো বাইডেন : গাজা পুনর্দখল ইসরাইলের জন্য ভালো হবে না। গাজার লড়াইয়ে কৌশলগত বিরতি দেওয়া উচিত।

স্পেনের এলমান্ডো পত্রিকাকে দেশটির এক ভাড়াটে যোদ্ধা : হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইল ভাড়াটে সৈন্য ব্যবহার করছে। প্রতি সপ্তাহে এজন্য ৪ হাজার ১৮৭ ডলার ব্যয় হচ্ছে। তাদেরকে উন্নতমানের অস্ত্রও দিচ্ছে।

৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে ৩৮ দফা হামলা হয়েছে। সাম্প্রতিক এসব হামলায় ৪৫ মার্কিন সেনা আহত হয়েছে।

গাজায় দ্রুত যুদ্ধ বিরতির দাবিতে পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ লেবার দলের এমপি ইমরান হোসেন।

বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর :

বিবিসির এক সাংবাদিক গাজায় প্রবেশ করে কোনো ভবন অক্ষত দেখতে পাননি।

ইসরাইলের গণহত্যায় মার্কিন সমর্থনের সমালোচনা করায় তোপের মুখে পড়েছেন ফিলিস্তিনী মার্কিন আইনপ্রণেতা রাশিদা তালিব।

গাজার যুদ্ধকে ফিতনা বলে পুনরায় সমালোচিত শায়েখ সুদাইস!

শুক্রবার, ১০ নভেম্বর :

সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, গাজায় প্রবেশের অনুমতি পাওয়া ত্রাণ প্রয়োজনের সমুদ্রে এক ফোঁটা পানির মতো। ডাল খেয়ে খেয়ে দিন কাটাচ্ছে অনেক পরিবার। বাচ্চারা খাবারের জন্য কান্নাকাটি করছে।

৫৯ বছর বয়সী ইতাফ জামালা : আমার ছেলেদের বেকারিতে পাঠাই, ৮ ঘন্টা পর কখনো কখনো তারা রুটি ছাড়াই ফিরে আসে।

গাজার এক চিকিৎসক : উকুন এবং চিকেন পক্সসহ বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে।

গাজার দুটি প্রধান হাসপাতালের ওপর হামলা করেছে ইসরাইলী বাহিনী। সেখানে প্রায় দুই হাজার রোগী ও ৫০ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ ছিল।

আলআকসা মসজিদে টানা পঞ্চম সপ্তাহের মতো জুমার নামাযের জন্য প্রবেশে বাধা দিয়েছে ইসরাইল। মাত্র চার হাজার ফিলিস্তিনীকে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে নামায পড়তে দেওয়া হয়েছে, যাদের অধিকাংশই ছিল বয়স্ক।

শনিবার, ১১ নভেম্বর :

আলজাজিরাকে গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক : আমরা মৃতদেহ দাফনের জন্য আশ-শিফা হাসপাতালের ভেতরেই গণকবর তৈরি করছি।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী : আশ-শিফা হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় থাকা ৩৯ শিশু অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে!

রোববার, ১২ নভেম্বর :

হামাস ও ইসরাইল যুদ্ধ নিয়ে গতকাল ১১ নভেম্বর সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে জরুরি সম্মেলনের আয়োজন করে আরব লিগ ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)।

সোমবার, ১৩ নভেম্বর :

পশ্চিম তীরে ২,৫০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনীকে গ্রেপ্তার।

গাজার এক ব্যক্তি প্রতিদিন ৫০-এরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষকে রুটি সরবরাহ করেন। তিনি বলেন, আমরা তা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করি।

ইসরাইলের সেনাবাহিনীর টুইট : অ্যাম্বুলেন্স এবং হাসপাতালগুলো বৈধ সামরিক লক্ষ্যবস্তু। পরে তারা টুইটটি মুছে দিয়েছে।

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী : হামাস সংঘাত সৃষ্টি করেনি, সংঘাতই হামাসকে সৃষ্টি করেছে।

আল-কাসসাম ব্রিগেডস : আমাদের মুজাহিদিনরা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ২০টি ইসরাইলী সামরিক যানকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।

নরওয়েজিয়ান প্রধানমন্ত্রী : সবচেয়ে জরুরি বিষয় হল, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করা। যাতে জরুরি সাহায্য প্রদান করা যেতে পারে।

মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর :

ইসরাইলী সেনাবাহিনীর একটি ভূয়া ভিডিও প্রকাশ : তাতে দেখানো হয়েছিল, হাসপাতালে হামাসের যেসব লোকজন থাকত হাসপাতালের দেয়ালে তাদের নামের একটি তালিকা ঝুলছে। কিন্তু ভালো করে দেখলে বুঝা যায়, সেগুলো আসলে বিভিন্ন বারের নাম, শনিবার, রবিবার। মুজাহিদদের নামের কোনো তালিকা নয়!

নেটিজেনদের দুনিয়ায় ইসরাইলী সেনাবাহিনীর মিথ্যাচারের এমন হাস্যকর চিত্রে উপহাসের ঝড় উঠেছে।

ইউএনআরডব্লিউএ : যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় গাজায় দখলদারদের ক্রমাগত বোমা হামলার শিকার হন ইউএনআরডব্লিউএ-র ১০০ জনেরও বেশি কর্মী। জাতিসংঘের ইতিহাসে এর আগে এক মাসে এত সংখ্যক কর্মী কখনো নিহত হয়নি।

গাজার আশ-শিফা হাসপাতালে ১৭৯ জন শহীদকে একটি গণকবরেদাফন করা হয়েছে। লাশগুলো পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। উপর্যুপরি হামলায় বাইরে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

গাজা যুদ্ধে পা হারিয়েছে শিশু মালাক। মালাকের মা অনেক বছর ধরে চেষ্টা করেও তার সন্তান হচ্ছিল না। বিবাহের দীর্ঘ ১৪ বছর পর মালাকের জন্ম হয়। আলজাজিরাকে তার মা আবেগ আপ্লুত হয়ে বলছিলেন, এটি আমার সেই মেয়ে, যার জন্য আমি ১৪ বছর অপেক্ষা করেছি। আজ সে তার পা হারিয়েছে।

বুধবার, ১৫ নভেম্বর :

গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আশ-শিফা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে অভিযান শুরু ইসরাইলী সৈন্যের।

যুদ্ধের কারণে আমেরিকান এক সংস্থার বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা।

শুধু হাসপাতালগুলোতেই গণহত্যা চালিয়ে এপর্যন্ত ৭০০ জন শহীদ করেছে ইসরাইল।

এরদোগান : আমি অকপটে বলছি, ইসরাইল একটি সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র। শার্লি এবদো ঘটনায় ২২ জন হত্যার নিন্দা জানাতে বিশ্বনেতারা প্যারিসে বৈঠক করেছিলেন, কিন্তু গাজায় হাজার হাজার হত্যার বিষয়ে আজ তারা নীরব!

লুপস ম্যাগাজিন : গাজা উপত্যকা আন্তর্জাতিক আইনের কবরস্থানে পরিণত।

অস্ত্র এবং গোয়েন্দা-সামগ্রী খুঁজতে ইসরাইল আশ-শিফা হাসপাতাল পরিদর্শন করে। কিন্তু কিছুই পায় না। তাদের দাবি অনুযায়ী হামাসের সে সুড়ঙ্গগুলো কোথায় গেল?

আলজাজিরার রিপোর্টার : না কোনো বন্দি পেয়েছে, না কোনো সুড়ঙ্গ, না কোনো নেতা আর না কোনো ঘাঁটি। দখলদার বাহিনী আশ-শিফা হাসপাতালে প্রবেশ করার সময় যেমন এসেছিল তেমনি খালি হাতে চলে গেল।

বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর :

হাসপাতালে হামাস উপস্থিতির অভিযোগ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয় ইসরাইল। তাই আবারো হামলা চালিয়েছে।

ইসরাইলের দাবি, আশ-শিফা অভিযানে তাদের দাবির পক্ষে প্রমাণ মিলেছে। এরপর তারা হাসপাতালের একটি অব্যবহৃত ভবনের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। তারা প্রথমে কোনো সম্পাদনা বা কাটছাঁট ছাড়াই ভিডিওটি প্রকাশ করেছে। পরে তারা ওই ভিডিওটি আবার ডিলেট করে দেয়। এরপর তারা পুনরায় ভিডিওটি প্রকাশ করছে। কিন্তু নতুন ভিডিওর সাথে পুরোনো ভিডিও-এর অমিল পাওয়া গিয়েছে। এই বিষয়টিও ইসরাইলী বাহিনীর দাবির মিথ্যাচারকেই সামনে এনেছে।

বিবিসি : ইসরাইল বলেছিল, তারাই এডিট ছাড়া পুরো ভিডিও প্রকাশ করবে। কিন্তু ভিডিওটি গবেষণা করে দেখা গেছে, এটি এডিট করা হয়েছে!

হামাস নেতা ওসামা হামদান : শত্রু বাহিনীই আশ-শিফা হাসপাতালে কথিত অস্ত্র বাক্সে করে নিয়ে এসেছিল।

গাজা উপত্যকায় শহীদ ছেলেকে বিদায় জানানোর সময় এক ফিলিস্তিনী মা বলছিলেন, দুনিয়া ও আখেরাতে তোমার প্রতি আমি সন্তুষ্ট।

ওমান সালতানাতের মুফতী : বয়কট-অস্ত্রশত্রুকে বশীভূত করার সবচেয়ে সফল একটি অস্ত্র। তাই পণ্য-বয়কট জাতীয় কর্তব্য মনে করি। আমি সবাইকে পণ্য-বয়কটের আহ্বান জানাই।

গাজা যুদ্ধে ইসরাইলী আক্রমণের কারণে গাজা উপত্যকায় ২২ হাজার আবাসন ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর :

বেথেলহেমে ফিলিস্তিনীদের গ্রেপ্তার করে মারধর করেছে দখলদার সেনাবাহিনী।

সব ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ফিলিস্তিনী মোবাইল কোম্পানি যোগাযোগ পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে।

আলজাজিরা : গাজার সবাই নতুন রেডিওর মাধ্যমে চব্বিশ ঘন্টা সরাসরি সম্প্রচার শুনতে পারবেন।

ইউনিসেফ : নিরাপদ আশ্রয়হীন প্রায় মিলিয়ন শিশু। ৪৬০০ জন শহীদ (প্রতি ১০ মিনিটে একটি শিশু)। ৯০০০ জন আহত।

শনিবার, ১৮ নভেম্বর :

ইসরাইলী হামলায় ইন্দোনেশিয়া-হাসপাতালে ৪০ জন শহীদ। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

জাবালিয়ায় আলফাখৌরা গণহত্যায় প্রায় ২০০ জন শহীদ।

গাজায় এত আক্রমণ সত্ত্বেও জার্মান চ্যান্সেলর শুলজের দাবি, ইসরাইল আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি  প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আক্রমণ করতে গিয়ে ইসরাইলকে ক্রোধে অন্ধ না হওয়ার আহ্বান বোরেলের।

আলজাজিরা : আশ-শিফা হাসপাতালের রোগীরা ক্ষুধা ও ব্যথা ও অনাহারে রয়েছে। বাস্তুচ্যুতরা এক টুকরো রুটিও খুঁজে পাচ্ছে না।

এরদোগান গাজা থেকে আঙ্কারায় নেওয়া ফিলিস্তিনী ক্যান্সার রোগীদেরকে দেখতে গিয়েছেন। এপর্যন্ত ২৬ জন রোগী তুরস্কের রাজধানীতে পৌঁছেছেন।

নেসেটের ডেপুটি স্পিকার : এখনই গাজা জ্বালিয়ে দিন। জ্বালানী বা পানি কিছুই প্রবেশের অনুমতি দেবেন না।

আশ-শিফার অর্থোপেডিক প্রধান : আমরা রোগীদেরকে না নিয়ে হাসপাতাল ছাড়ব না।

আল-কুদস ব্রিগেডস : আমরা রাতে সংঘর্ষের সময় বেত-হানুন এবং বেত-লাহিয়ার পশ্চিমে দুটি জায়োনিস্ট ট্যাঙ্ক এবং একটি বুলডোজার ধ্বংস করেছি।

গাজায় সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস : সক্ষমতা এবং সরবরাহের অভাবে গাজা সিটি এবং উত্তরে আমাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে স্থগিত  হয়ে আছে।

ইসরাইলী-আমেরিকান গবেষক : যুদ্ধবিরতিই একমাত্র সমাধান। সামরিক অভিযান কোনো সমাধান নয়।

গাজায় আটক ইসরাইলী বন্দিদের পরিবার তাদের পরিবারের দ্রুত মুক্তির দাবিতে জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের সামনে মিছিল করেছে।

তেল আবিবে বামপন্থী দলগুলো গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে এই প্রথম বিক্ষোভের আয়োজন করেছে।

ফিলিস্তিন মিডিয়া ফোরাম : সাংবাদিক মুস্তাফা আস-সাওয়াফ, তার স্ত্রী এবং তার এক ছেলে ইসরাইলী হামলায় শহীদ হয়েছেন।

হামাস : আমরা এই ভূমিতেই থাকব, কোনো অভিবাসন চলবে না, যতই গণহত্যা চালাও না কেন। যুদ্ধ দীর্ঘ বা সংক্ষিপ্ত যাই হোক এর মূল্য অবশ্যই দিতে হবে।

আল-কুদস ব্রিগেড : আমাদের মুজাহিদরা  বিভিন্ন অক্ষে জায়োনিস্ট শত্রু বাহিনীর সাথে ভয়ানক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

রবিবার, ১৯ নভেম্বর :

দ্য ইকোনমিস্ট : ইসরাইল এখনো আশ-শিফা হাসপাতালকে হামাসের কমান্ড সেন্টার হিসেবে প্রমাণ করতে পারেনি।

আলজাজিরা : ইন্দোনেশিয়া-হাসপাতালের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। দখলদারদাররা আক্রমণ জোরদার করছে। তারা এটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিতে চাইছে।

ইন্দো-হাসপাতাল ডিরেক্টর : হাসপাতালের অভ্যন্তরে ৭০০ জন আহত এবং ২০০০-এরও বেশি বাস্তুচ্যুত লোক রয়েছে।

হামাস নেতা ওসামা হামদান : দখলদাররাই ৭ই অক্টোবরে ফেস্টিভ্যালে বোমা হামলা করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।

গাজায় ইসরাইলী হামলায় এপর্যন্ত ৫৬ জন সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন।

ফিলিস্তিনী প্রিজনার্স ক্লাব তার মৃত্যুর জন্য ইসরাইলকে দায়ী করছে।

ইয়েমেন উপকূলের নিকটবর্তী লোহিত সাগরের দক্ষিণে সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় ইসরাইলের মালিকানাধীন একটি জাহাজ আটক করেছে হুথিরা। হেলিকপ্টার দিয়ে জাহাজে ল্যান্ড করে জাহাজটি দখল করে নেয় হুথিরা।

ইসরাইলী সেনাবাহিনী : লোহিত সাগরের দক্ষিণে ইয়েমেনের কাছে হুথিদের পণ্যবাহী জাহাজ ছিনতাই অত্যন্ত বিপজ্জনক ঘটনা।

ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী : গাজার পরিস্থিতি হতবাক করেছে! ইসরাইলকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে হবে।

ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় : আজ আন্তর্জাতিক শিশু দিবস। গাজার যুদ্ধে ৩,০০০ শিক্ষার্থীসহ সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি শিশু শহীদ হয়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গাজার ৬৪টি স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। ২৬০টিরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সোমবার, ২০ নভেম্বর :

১৯৩৫ সালের এই দিনে ব্রিটিশদের সাথে লড়াই করে শহীদ হয়েছেন ইজ্জুদ্দিন আল-কাসসাম।

ডাঃ  মুনির আল-বারশ : দখলদাররা ইন্দোনেশিয়া-হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসা লোকদেরকেও তাড়া করেছিল। তাদের লক্ষ্য করে বোমা মেরেছিল।

ইউরোপ-হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ : ইন্দোনেশিয়া-হাসপাতাল থেকে আহত, অঙ্গবিচ্ছেদ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ ডিগ্রি পর্যন্ত পুড়ে যাওয়া রোগী ভর্তি একটি বাস আমাদের হাসপাতালে পৌঁছেছে।

বৃষ্টির পানি গাজায় তাঁবুতে বাস্তুচ্যুত মানুষের তৃষ্ণা মেটায়।

জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার  প্রধান : গাজায় এখন যা ঘটছে তা অবশ্যই গণহত্যা।

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী : গাজায় ইন্দোনেশিয়া-হাসপাতালে হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

ইসরাইলী হামলায় ফিলিস্তিনী সাংবাদিক আয়াত খাদুরার শাহাদাত।

আল-কাসসাম ব্রিগেডস : গত ৭২ ঘণ্টায় আমরা ১০টি সৈন্যবাহী ট্রাকসহ ৬০টি জায়নবাদী সামরিক যান ধ্বংস করেছি।

৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৩৮৮ জন ইসরাইলী সেনা নিহত হয়েছে। তন্মধ্যে স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে ৬৮ জন মারা গেছে।

মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর :

গাজায়  ইসরাইলী দখলদারদের গণহত্যায় ১৩,৩০০ শহীদ। এর মধ্যে ৭.৭৫ নারী ও শিশু। ৩১০০০ আহত। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে ৬৫০০ জন। এর মধ্যে ৪৪০০ জন নারী ও শিশু।

লেবাননের নাগরিক প্রতিরক্ষা : দক্ষিণ লেবাননের কাফার কিলা শহরে ইসরাইলী বোমা হামলায় একজন মহিলা নিহত এবং ২ জন আহত হয়েছে।

দখলদার ইসরাইলের গাজার মসজিদগুলোতে হামলার পরিসংখ্যান : ৮৩টি পুরোপুরি বিধ্বস্ত; ২৫৩টি পরিপূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত; ১৭০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত।

আলআওদা হাসপাতাল থেকে আলজাজিরা প্রতিনিধি জানিয়েছে, দখলদার বাহিনীর দ্বারা বারবার বোমা হামলা হওয়াতে উত্তর গাজায় পরিচালিত শেষ চিকিৎসা সুবিধাও ধ্বংসের মুখে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল : ইসরাইলী সেনাবাহিনী লেবাননের সীমান্তে ১,০০,০০০ সৈন্য মোতায়েন করেছে। হিজবুল্লাহর হাতে ১,৫০,০০০-এরও বেশি মিসাইল আছে।

সাবেক ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী : ইসরাইলই কয়েক দশক আগে আশ-শিফার নীচে বাঙ্কারগুলি তৈরি করেছিল!

অীরড়ং : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী সপ্তাহে ইসরাইল ভ্রমণে যাচ্ছেন।

ইসরাইলী সেনাবাহিনী : উত্তর গাজায় চলমান যুদ্ধের সময় দুই সেনা নিহত এবং পাঁচজন আহত।

বুধবার, ২২ নভেম্বর :

অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। ৪ দিন স্থায়ী হবে, যা পরবর্তীতে আরো বাড়ানো হতে পারে। গাজায় আটক ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে। দখলদাররা ১৫০ জন মুক্তি দেবে। সূত্র : হামাস আন্দোলন

আনসারুল্লাহ হুথি : আমরা হামাসের যে কোনো পদক্ষেপের সাথে আছি।

তুর্কি রাষ্ট্রপতি : এ ৪ দিনে আমাদের অবশ্যই গাজা পুনর্গঠন করতে হবে। ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা : ইসরাইল আরো বেশি নাগরিকের মুক্তির জন্য যুদ্ধবিরতি বাড়াতে প্রস্তুত।

নেতানিয়াহু : জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হলেই যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাবে এই কথা বলা বোকামি।

ইসরাইলী অফিসারদের কাছ থেকে কভারেজ বন্ধ করার হুমকি পেয়েছেন গাজার আলজাজিরা প্রতিনিধি।

বোরেল সতর্ক করে বলেছেন : ...আমাদের অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার জন্য আরো সহানুভূতি দেখাতে হবে।

আশ-শিফার চিকিৎসক : ইসরাইলী দখলদার বাহিনী আমাদেরকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।

ইসরাইলী হামলার কারণে ঘোড়ায় টানাগাড়ি যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রাক্তন এক আমেরিকান কূটনীতিক : আমরা ৪,০০০ ফিলিস্তিনী শিশুকে হত্যা করলেও যথেষ্ট হবে না।

ওই কূটনীতিক নিউইয়র্কে একজন মিশরীয় কর্মীকে অপমান করেছে এবং পবিত্র কুরআন এবং নবীজীর রওজার অবমাননা করেছে।

পলিটিকো পত্রিকা :  জো বাইডেনের প্রশাসন গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির অনাকাক্সিক্ষত পরিণতি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। সাংবাদিকদের আগমন ঘটলে সেখানে সংঘটিত ইসরাইলী বর্বরতা প্রকাশ পেয়ে যেতে পারে। এতে করে ইসরাইলের প্রতি মানুষের অনুভূতির মধ্যে আরো পরিবর্তনঘটবে।

যুদ্ধ বিরতির পর গাজায় ঘর-বাড়ি ছেড়ে যাওয়া মানুষ আবার মিশর সীমান্ত দিয়ে নিজেদের বাস্তু-ভিটায় দলে দলে ফিরে আসছেন। 

 

 

advertisement