রবিউল আউয়াল ১৪৪৫   ||   অক্টোবর ২০২৩

স্মরণ কর যখন ইবরাহীমকে তার রব পরীক্ষা করলেন

মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ আলহাসান

পরীক্ষার মাধ্যমেই খাঁটি বন্ধু চেনা যায়। অবশ্য যে খাঁটি বন্ধু, সে অবশ্যই বন্ধুর জন্য নিজেকে পরীক্ষার মুখোমুখি করে। কারণ বন্ধুর সন্তুষ্টির জন্য নিজের সবকিছু বিসর্জন দেওয়া তার নিকট চরম সুখের, পরম আনন্দের।

যে আল্লাহ জগতের সবকিছু সৃষ্টি করেছেন মানবের তরে। যার দয়ার ঝরনাধারায় সিক্ত হয় মানবের প্রতিটি শিরা-উপশিরা প্রতিটি ক্ষণে, প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসেÑ তাঁর প্রতি মানবহৃদয় ব্যাকুল হওয়াই স্বাভাবিক। তাঁর হুকুমের সামনে সমর্পিত হয়ে নিজের সর্বস্ব কুরবানী করার মানসিকতাই হল প্রকৃত মনুষ্যত্ব।

যুগে যুগে যেসকল মহামানব আল্লাহর প্রেমে মাতোয়ারা ছিলেন। দিয়েছিলেন প্রভুপ্রেমের অগ্নি-পরীক্ষা, তাঁদের সর্বাগ্রে রয়েছেন সায়্যিদুনা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম। তাঁর ব্যাপারেই আল্লাহ তাআলা বলেনÑ

وَ اِذِ ابْتَلٰۤي اِبْرٰهٖمَ رَبُّهٗ بِكَلِمٰتٍ فَاَتَمَّهُنَّ..

আর (স্মরণ কর) যখন ইবরাহীমকে তাঁর রব কয়েকটি বিষয় দ্বারা পরীক্ষা করলেন আর তিনি সেগুলো পুরণ করলেন। Ñসূরা বাকারা (২) : ১২৪

ইবরাহীম আ.-কে যেসকল বিষয় দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছিল তার কয়েকটি :

১. নিজ সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা

এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেনÑ

قَدْ كَانَتْ لَكُمْ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ فِيْۤ اِبْرٰهِيْمَ وَ الَّذِيْنَ مَعَهٗ اِذْ قَالُوْا لِقَوْمِهِمْ اِنَّا بُرَءٰٓؤُا مِنْكُمْ وَ مِمَّا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ كَفَرْنَا بِكُمْ وَ بَدَا بَيْنَنَا وَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةُ وَ الْبَغْضَآءُ اَبَدًا حَتّٰي تُؤْمِنُوْا بِاللهِ وَحْدَهٗۤ اِلَّا قَوْلَ اِبْرٰهِيْمَ لِاَبِيْهِ لَاَسْتَغْفِرَنَّ لَكَ وَ مَاۤ اَمْلِكُ لَكَ مِنَ اللهِ مِنْ شَيْءٍ رَبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَ اِلَيْكَ اَنَبْنَا وَ اِلَيْكَ الْمَصِيْرُ.

তোমাদের জন্য ইবরাহীম ও তাঁর অনুসারীদের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। যখন তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিল, তোমাদের সঙ্গে এবং তোমরা যাদের উপাসনা কর তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদের মানি নাতোমাদের ও আমাদের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হল চিরকালের জন্য; যতক্ষণ না তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আন। Ñসূরা মুমতাহিনা (৬০) : ৪

অনুরূপভাবে সূরা মারইয়ামের ৪৮ নং আয়াতে আছেÑ ইবরাহীম আ. তাঁর পিতাকে বলেনÑ

وَ اَعْتَزِلُكُمْ وَ مَا تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ وَ اَدْعُوْا رَبِّيْ عَسٰۤي اَلَّاۤ اَكُوْنَ بِدُعَآءِ رَبِّيْ شَقِيًّا..

আর আমি পরিত্যাগ করছি তোমাদের ও আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের উপাসনা কর তাদের এবং আমি আমার রবের ইবাদত করব। আশা করি আমি আমার রবের ইবাদাত করে বিফল হব না। Ñসূরা মারইয়াম (১৯) :  ৪৮

২. আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়া

এ বিষয়ে কুরআনে ইরশাদ হয়েছেÑ

قَالُوْا حَرِّقُوْهُ وَ انْصُرُوْۤا اٰلِهَتَكُمْ اِنْ كُنْتُمْ فٰعِلِيْنَ، قُلْنَا يٰنَارُ كُوْنِيْ بَرْدًا وَّ سَلٰمًا عَلٰۤي اِبْرٰهِيْمَ،وَ اَرَادُوْا بِهٖ كَيْدًا فَجَعَلْنٰهُمُ الْاَخْسَرِيْنَ.

 তারা (একে অন্যকে) বলতে লাগল, তোমরা তাকে আগুনে জ্বালিয়ে দাও এবং নিজেদের দেবতাদেরকে সাহায্য কর, যদি তোমাদের কিছু করার থাকে।

(সুতরাং তারা ইবরাহীমকে আগুনে নিক্ষেপ করল) এবং আমি বললাম, হে আগুন! ঠাণ্ডা হয়ে যাও এবং ইবরাহীমের পক্ষে শান্তিদায়ক হয়ে যাও।

তারা ইবরাহীমের বিরুদ্ধে এক দুরভিসন্ধি আঁটল, কিন্তু আমি তাদেরকেই করলাম মহা ক্ষতিগ্রস্থ। Ñসূরা আম্বিয়া (২১) : ৬৮-৭০

৩. স্বদেশ ত্যাগ

এর বর্ণনা কুরআন কারীমে এভাবে এসেছেÑ

وَ قَالَ اِنِّيْ ذَاهِبٌ اِلٰي رَبِّيْ سَيَهْدِيْنِ.

আর (ইবরাহীম) বললেন, আমি আমার বরের কাছে যাচ্ছি, অবশ্যই তিনি আমাকে পথ দেখাবেন। Ñসূরা সাফ্ফাত (৩৭) : ৯৯

وَ نَجَّيْنٰهُ وَ لُوْطًا اِلَي الْاَرْضِ الَّتِيْ بٰرَكْنَا فِيْهَا لِلْعٰلَمِيْن.

আর তাঁকে ও লূতকে উদ্ধার করে সেই ভূখণ্ডের দিকে নিয়ে গেলাম, যেখানে আমি বিশ্ববাসীর জন্য বরকত রেখেছি। Ñসূরা আম্বিয়া (২১) : ৭১

وَ قَالَ اِنِّيْ مُهَاجِرٌ اِلٰي رَبِّيْ اِنَّهٗ هُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ.

আর তিনি (ইবরাহীম) বললেন, আমি আমার রবের পানে হিজরত করছি। নিশ্চয় তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান। Ñসুরা আনকাবুত (২৯) : ২৬

৪. স্ত্রী ও দুধের শিশুকে জনশূন্য তরুলতাহীন মরু প্রান্তরে রেখে আসা

এই দিকেই ইঙ্গিত রয়েছে ইবরাহীম আ. এর এই দুআতেÑ

 رَبَّنَاۤ اِنِّيْۤ اَسْكَنْتُ مِنْ ذُرِّيَّتِيْ بِوَادٍ غَيْرِ ذِيْ زَرْعٍ عِنْدَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيْمُوا الصَّلٰوةَ فَاجْعَلْ اَفْىِٕدَةً مِّنَ النَّاسِ تَهْوِيْۤ اِلَيْهِمْ وَ ارْزُقْهُمْ مِّنَ الثَّمَرٰتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُوْنَ.

হে আমার রব! আমি আমার এক সন্তানকে আপনার সম্মানিত ঘরের নিকট এক শস্যহীন প্রান্তরে (এনে) আবাদ করেছি। আমার রব! তারা (অর্থাৎ সে ও তার বংশধর) যেন নামায কায়েম করে। অতএব আপনি মানুষের অন্তর তাদের প্রতি অনুরাগী করে দিন এবং তাদের ফলমূল থেকে রিযিক দান করুন, সম্ভবত তারা শোকর করবে। Ñসূরা ইবরাহীম (১৪) : ৩৭

ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত এক দীর্ঘ হাদীসে আছে যে, দুধের শিশু ইবরাহীম আ. ইসমাঈল ও তার মাকে মরুভূমিতে রেখে আসার সময় সানিয়্যানামক স্থানে এই দুআ করেছিলেন। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ৩৩৬৪

৫. সন্তান কুরবানী

ইবরাহীম আ. নিঃসন্তান অবস্থায় জীবন কাটান। বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার পর সন্তান লাভ করেন। যেমন কুরআনে কারীমে বর্ণিত হযরত ইবরাহীম আ.-এর বক্তব্যÑ

اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِيْ وَهَبَ لِيْ عَلَي الْكِبَرِ اِسْمٰعِيْلَ وَ اِسْحٰقَ اِنَّ رَبِّيْ لَسَمِيْعُ الدُّعَآءِ.

সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে বৃদ্ধ বয়সে ইসমাঈল ও ইসহাক দান করেছেন। নিশ্চয় আমার রব দুআ শোনেন। Ñসূরা ইবরাহীম (১৪) : ৩৯

বৃদ্ধ বয়সে পাওয়া কলিজার টুকরো একমাত্র সন্তান ইসমাঈলকে (তখনো ইসহাক আ.-এর জন্ম হয়নি) আল্লাহর হুকুমে কুরবানী করার মতো কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়েছে তাঁকে। সে বিবরণ কুরআনে কারীমের ভাষায়Ñ

 رَبِّ هَبْ لِيْ مِنَ الصّٰلِحِيْنَ، فَبَشَّرْنٰهُ بِغُلٰمٍ حَلِيْمٍ، فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يٰبُنَيَّ اِنِّيْۤ اَرٰي فِي الْمَنَامِ اَنِّيْۤ اَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَا ذَا تَرٰي قَالَ يٰۤاَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِيْۤ اِنْ شَآءَ اللهُ مِنَ الصّٰبِرِيْنَ، فَلَمَّاۤ اَسْلَمَا وَ تَلَّهٗ لِلْجَبِيْنِ، وَ نَادَيْنٰهُ اَنْ يّٰۤاِبْرٰهِيْمُ، قَدْ صَدَّقْتَ الرُّءْيَا اِنَّا كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ، اِنَّ هٰذَا لَهُوَ الْبَلٰٓؤُا الْمُبِيْنُ، وَ فَدَيْنٰهُ بِذِبْحٍ عَظِيْمٍ.

(ইবরাহীম আ. বললেন :) হে আমার রব! আমাকে একজন সৎপুত্র দান করুন।অতএব আমি তাঁকে সুসংবাদ দিলাম এক সহনশীল পুত্রের। অতঃপর সে যখন তার পিতার সঙ্গে ছোটাছুটি করার বয়সে উপনীত হল; তখন তিনি বললেন, ‘হে আমার ছেলে! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে যবেহ করছি। এখন তুমি চিন্তা করে দেখ তোমার অভিমত কী?’

সে বলল, ‘হে আমার বাবা! আপনাকে যে আদেশ করা হয়েছে, আপনি তা করে ফেলুন। আল্লাহ চাহেন তো, আপনি আমাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল পাবেন!

অতঃপর যখন তাঁরা উভয়ে আদেশ মান্য করলেন এবং পিতা পুত্রকে কাত করে শুইয়ে দিলেনÑ (তখন তাদের মনের যে অবস্থা ছিল তা বর্ণনাতীত)

আর আমি তাঁকে ডেকে বললাম, ‘হে ইবরাহীম! যথেষ্ট, যথেষ্ট হয়েছে। থামুন, আপনি স্বপ্ন সত্যে পরিণত করে দেখিয়েছেন।আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদের প্রতিদান দিয়ে থাকি। নিশ্চয়ই এটা ছিল সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আর আমি তাঁর পুত্রের পরিবর্তে দান করলাম এক মহান কুরবানীর পশু। Ñসূরা সাফ্ফাত (৩৭) : ১০০-১০৭

ফলাফল

এই হল ইবরাহীম আ.-এর অগ্নি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত চিত্র। নিজেকে খোদার প্রেমে বিলীন করেছেন।

কিন্তু মহান আল্লাহ কি তার প্রেমিকদেরকে বিলীন হতে দেন?! তিনি তো বরং তাদের চির উদ্ভাসিতই করেন।

ইবরাহীম আ. আল্লাহর জন্য তাঁর পিতা ও গোত্রকে ত্যাগ করেছেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে উত্তম পরিবার দান করেছেন। দিয়েছেন ইসমাঈল, ইসহাক ও ইয়াকুবের মতো সন্তান। যারা সবাই নবী হয়েছেন। ইরশাদ হয়েছেÑ

فَلَمَّا اعْتَزَلَهُمْ وَ مَا يَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللهِ وَهَبْنَا لَهٗۤ اِسْحٰقَ وَ يَعْقُوْبَ وَ كُلًّا جَعَلْنَا نَبِيًّا.

অতঃপর যখন তিনি পৃথক হয়ে গেলেন ওদের থেকে এবং ওরা আল্লাহ ছাড়া যাদের পূজা করত তাদের থেকে, তখন আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব এবং উভয়কে করলাম নবী। Ñসূরা মারইয়াম (১৯) : ৪৯

আল্লাহর প্রেমে নিজ সত্তাকে বিসর্জন দিতে চেয়েছেন; কিন্তু আল্লাহ তাআলা তাকে করেছেন সমুন্নত এবং তার পরবর্তী সমস্ত নবীকে পাঠিয়েছেন তাঁরই বংশে। ইরশাদ হয়েছেÑ

وَ تَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْاٰخِرِيْنَ،سَلٰمٌ عَلٰۤي اِبْرٰهِيْمَ، كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ.

এবং তার জন্য পরবর্তীদের মধ্যে এ রীতি চালু রেখেছি যে, (তারা বলে)Ñ সালাম বর্ষিত হোক ইবরাহীমের ওপর। আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদের প্রতিদান দিয়ে থাকি। Ñসূরা সাফ্ফাত (৩৭) : ১০৮-১১০

وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا نُوْحًا وَّ اِبْرٰهِيْمَ وَ جَعَلْنَا فِيْ ذُرِّيَّتِهِمَا النُّبُوَّةَ وَ الْكِتٰبَ فَمِنْهُمْ مُّهْتَدٍ  وَ كَثِيْرٌ مِّنْهُمْ فٰسِقُوْنَ .

নিশ্চয় আমি নূহ ও ইবরাহীমকে প্রেরণ করেছিলাম এবং উভয়ের বংশধরদের জন্য স্থির করেছিলাম নবুওত ও কিতাব। Ñসূরা হাদীদ (৫৭) : ২৬

অনুরূপ হযরত ইসমাঈল আ. কুরবান হতে প্রস্তুত হয়েছিলেন, তো মহান আল্লাহ তাঁকে নবী হিসেবে কবুল করলেন এবং তাঁরই বংশে পাঠালেন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে।

আমাদের জন্য শিক্ষা

ইবরাহীম আ.-এর পরীক্ষা এবং আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে বিস্ময়কর সাহায্য ও পুরস্কারের ঘটনাবলি কুরআনে কারীমে কেন উল্লেখ করা হল? যেন এগুলো পড়ে প্রভু-প্রেমের তৃষ্ণা আমাদের অন্তরেও তৈরি হয়। তাঁর হুকুমের সামনে সবকিছু কুরবানী করার প্রেরণা লাভ হয়। এটাই তো ঈমান। এটাই তো সাফল্যের চাবিকাঠি; দুনিয়া ও আখেরাতে।

আল্লাহ তাআলা বলেনÑ

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِيْهِمْ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَنْ كَانَ يَرْجُوا اللهَ وَ الْيَوْمَ الْاٰخِرَ  وَ مَنْ يَّتَوَلَّ فَاِنَّ اللهَ هُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيْدُ.

নিশ্চয় তোমাদের জন্য তাদের (ইবরাহীম ও তার অনুসারীদের কর্মপন্থার) মধ্যে আছে উত্তম আদর্শ, প্রত্যেক এমন ব্যক্তির জন্য, যে আল্লাহ ও আখেরাত দিবসের আশা রাখে। আর কেউ মুখ ফিরিয়ে নিলে (সে যেন মনে রাখে) আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, সকল প্রশংসার অধিকারী। Ñসূরা মুমতাহিনা (৬০) : ৬

জীবন নদী পাড়ি দেওয়ার সময় ছোট বড় বহু পরীক্ষার সম্মুখীন আমরাও হতে পারি। তখন যদি ইবরাহীমী আদর্শকে আঁকড়ে ধরতে পারি। আল্লাহর হুকুমের সামনে জাগতিক সকল স্বার্থকে কুরবানী করতে পারি; তবেই তো মিলবে আল্লাহর সন্তুষ্টি, আখেরাতের সফলতা। আল্লাহ আমাদের এমন সৎসাহস দান করুনÑ আমীন। 

 

 

advertisement