শাবান-রমযান ১৪২৮   ||   সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০০৭

পাঠকের পাতা

লক্ষ পাঠকের হাতে পৌঁছুক

সালামবাদ, জনাব সম্পাদক সাহেব ও আলকাউসার পরিবারের সবার প্রতি এক গুচ্ছ সদ্যফোটা লাল গোলাপ শুভেচ্ছা। আমি আলকাউসারের নতুন একজন পাঠক। আমার এক উস্তাদের নিকট শুনে মাসিক আলকাউসার পড়া শুরু করেছি। আমার কাছে পত্রিকার সবকটি বিভাগই ভালো লেগেছে। তবে বেশি ভালো লেগেছে শিক্ষা পরামর্শ বিভাগ। আশা করি নিয়মিত চালু রাখবেন। আরও সুন্দর ও সমৃদ্ধ হোক আলকাউসার এবং লক্ষ লক্ষ পাঠকের হাতে পেঁৗছে থাক এই আশা রেখে আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি।

এইচ. এম. ইয়াহইয়া বিন হাবীব

চান্দিপুর, দিরাই, সুনামগঞ্জ।

 

কুফলের বিষবৃক্ষ সিনেমা

পত্রিকার পাতা উল্টালেই প্রতিদিন চোখে পড়ে হত্যার খবর। প্রথম পৃষ্ঠাতেই চার রঙ্গা রঙ্গিন লাশের ছবি। পত্রিকাজুড়ে তেমন কোনো আনন্দের সংবাদ থাকে না। পাতার পর পাতা থাকে সমাজের নানা অবক্ষয়ের চিত্র। শত আইন করেও বন্ধ করা যাচ্ছে না ধর্ষণ, খুন, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস। আইন শুধু বিচারকের এজলাশেই পড়ে থাকে। এর কারণ কী? কেন এমন হচ্ছে? এর কি কোন বিহিত নেই।

এই অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ হল-আমাদের নৈতিক চরিত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। কারণ, অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ সিনেমা, গানে ছেয়ে গেছে দেশ। আমাদের বাতাস যত না দুষিত হয় বিষাক্ত গ্যাসে তার চেয়ে বেশি দুষিত হয় পুতিগন্ধময় গান বাদ্যে। অবশ্য আগে শুধু শহরেই গান বাদ্যের ছড়াছড়ি ছিল। কিন্তু টিভি, সিডি ও ভিসিআর ইত্যাদির সহজলভ্যতার কারণে এমন কোনো গ্রাম নেই যা এই পরিবেশ দুষণ থেকে মুক্ত।

তাহলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম কীভাবে সৎ ও চরিত্রবান হবে? দেশি-বিদেশি শতাধিক স্যাটেলাইট চ্যানেলে রাতদিন প্রদর্শিত হয় অশ্লিলতা। যদ্বারা উসকে দেওয়া হয় জৈবিকতা। ইসলামী শাসন ব্যবস্থা না থাকার কারণে যুব সমাজের জৈবিকতা পাশবিকায় পরিণত হয়।

সিনেমার হত্যার দৃশ্য ও রক্তারক্তি দেখে উঠতি বয়সীরা তার অনুসরণ করার চেষ্টা করে। চাঁদাবাজী ও লুণ্ঠনের দৃশ্যগুলো যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে দেখানো স্টাইলে চাঁদাবাজী করতে। আর আমাদের অনুকরণপ্রিয় যুব সমাজও ওই প্রদর্শিত দৃশ্যগুলোকে বাস্তবে পরিণত করে।

সমাজে মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়েছে নারী-পুরুষের অবাধ-অবৈধ মেলামেশা এই সিনেমারই কল্যাণে। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এই অবাধ মেলামেশা সমাজে অশান্তির কারণগুলোর অন্যতম।

আমরা যদি চাঁদাবাজী, খুন, সন্ত্রাসী ও ধর্ষণ ইত্যাদি হ্রাস করতে চাই তবে বন্ধ করতে হবে এগুলোর ছিদ্রপথ সিনেমাকে। বিনোদনের নামে এই চরিত্র বিধ্বংসী ফাঁদ থেকে যাতে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম মুক্ত থাকে এজন্য এখনই আমাদের সচেতন হতে হবে। আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি, প্রতিদিন এমন তিনজনকে সিনেমা দেখা থেকে বিরত রাখবো যারা সিনেমা দেখবে বা দেখে। মহান আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

মুহা. শফিকুল ইসলাম মারুফ

সিরাজগঞ্জ

 

আপনাদের চিঠি/লেখা পেয়েছি

* মুহা. আতাউল্লাহ আল মাহমুদ সিরাজী

    বাগবাটী, সিরাজগঞ্জ।

* মুহা. মশিউর রহমান হাবীব

    আল্লাহর দরগা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া।

* মুহা. লোকমান সিরাজী

    পটিয়া মাদরাসা, চট্টগ্রাম।

* মুহা. আরেজ আলী সরদার

    শেরপুর, বগুড়া।

* উমর ফারুক আসলাম

    ফরিদাবাদ জামেয়া, ঢাকা।

আপনাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

 

 

advertisement