জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪৪   ||   জানুয়ারি ২০২৩

দিরাসাতে উলইয়ার তালিবে ইলমদের প্রতি
নিজেদের প্রস্তুত করুন ফেতনার ইলমী ও দাওয়াতী মোকাবেলার জন্য

মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক

الحمد لله وسلام على عباده الذين اصطفى، أما بعد:

তালিবে ইলমের যিন্দেগীর অন্যতম মূল উদ্দেশ্য নায়েবে রাসূল ও ওয়ারিসে নবী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা। এটা স্পষ্ট যে, নিয়াবাতে নবুওত এবং বিরাসাতে রিসালাত শুধু মর্যাদার বিষয় নয়; অনেক বড় ও নাজুক যিম্মাদারিও বটে। তাই তালিবে ইলমের জন্য ফরয, সেই মহান যিম্মাদারি পালনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা এবং এর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা।

নায়েবে নবীর অনেক যিম্মাদারি। একটি যিম্মাদারি কুরআন মাজীদে বর্ণিত হয়েছে-

اُدْعُ اِلٰی سَبِیْلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَ الْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَ جَادِلْهُمْ بِالَّتِیْ هِیَ اَحْسَنُ اِنَّ رَبَّكَ هُوَ اَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِیْلِهٖ وَ هُوَ اَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِیْنَ.

তুমি নিজ প্রতিপালকের পথে মানুষকে ডাকবে হিকমত ও সদুপদেশের মাধ্যমে আর (যদি কখনো বিতর্কের দরকার পড়ে, তবে) তাদের সাথে বিতর্ক করবে উৎকৃষ্ট পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক যারা তার পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে, তাদের সম্পর্কে ভালোভাবেই জানেন এবং তিনি তাদের সম্পর্কেও পরিপূর্ণ জ্ঞাত, যারা সৎপথে প্রতিষ্ঠিত। -সূরা নাহ্ল (১৬) : ১২৫

অন্য আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন-

قُلْ هٰذِهٖ سَبِیْلِیْۤ اَدْعُوْۤا اِلَی اللهِ عَلٰی بَصِیْرَةٍ اَنَا وَ مَنِ اتَّبَعَنِیْ وَ سُبْحٰنَ اللهِ وَ مَاۤ اَنَا مِنَ الْمُشْرِكِیْنَ.

(হে নবী!) বলে দাও, এই (দ্বীন ও শরীয়ত)-ই আমার পথ, আমি পরিপূর্ণ উপলব্ধির সঙ্গে আল্লাহর দিকে ডাকি এবং যারা আমার অনুসরণ করে তারাও। আল্লাহ (সব রকম) শিরক থেকে পবিত্র। যারা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক করে, আমি তাদের অন্তর্ভুক্ত নই। -সূরা ইউসুফ (১২) : ১০৮

আরেকটি যিম্মাদারি হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

يَحْمِلُ هَذَا الْعِلْمَ مِنْ كُلِّ خَلَفٍ عُدُولُهُ يَنْفُونَ عَنْهُ تَحْرِيفَ الْغَالِينَ وَانْتِحَالَ الْمُبْطِلِينَ وَتَأْوِيلَ الْجَاهِلِينَ.

(قال الحافظ صلاح الدين العلائي : في "بُغْيَة المُلْتَمِس في سُبَاعِيَّاتِ حديثِ الإمامِ مالك بن أنس" ص ৪৩-৫৩ : "هذا حديث حسن غريب صحيح". وللمزيد يُراجَع تعليقةُ الشيخ عبد الفتاح أبو غدة رحمه الله تعالى في "خمس رسائل في علوم الحديث" ص ৪৩১-১৪১)

এই ইলম ধারণ করবে প্রত্যেক (যুগের) উত্তরসূরিদের মধ্যে আস্থাভাজন ব্যক্তিরা। তারা ইলম থেকে চরমপন্থীদের বিকৃতি, বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচার এবং মূর্খদের অপব্যাখ্যা দূর করবে। -সুনানে কুবরা, বায়হাকী ১০/২০৯, আততামহীদ, ইবনু আবদিল বার ১/৫৯

এই নসগুলোতে একদিকে যেমন যিম্মাদারির বর্ণনা রয়েছে, তেমনি সেই যিম্মাদারি পালনের জন্য কী কী বিষয় জরুরি- সেটার উল্লেখও আছে। অতএব একজন তালিবে ইলমকে সেইভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। প্রস্তুতি ছাড়া তো কোনো কাজই সুষ্ঠুভাবে আঞ্জাম দেওয়া সম্ভব নয়; সেখানে আল্লাহর নবীর প্রতিনিধিত্ব কত নাজুক বিষয়। 

ইমাম ইবনুল ওযীর ইয়ামানী (৭৭৫ হি.-৮৪০ হি.) রাহ. বলেন-

لكِنّ المُحامِيَ عَن السّنةِ، الذابَّ عَن حِماها كالمجاهد فِي سَبِيل الله تَعَالَى، يُعِدّ للْجِهَاد مَا اسْتَطَاعَ من الْآلَاتِ وَالْعُدّةِ وَالْقُوَّةِ كَمَا قَالَ الله سُبْحَانَهُ : وَأَعِدُّوْا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِّنْ قُوَّةٍ.

অর্থাৎ যারা দ্বীন ও শরীয়ত এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ ও আদর্শের হেফাযত করেন তারা আল্লাহর পথের মুজাহিদগণের মতো। মুজাহিদগণ জিহাদের আগে শক্তি-সামর্থ্য অর্জন করেন এবং জিহাদের জন্য অস্ত্রশস্ত্র ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করেন; যেমনটি আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজীদে ইরশাদ করেছেন-

وَأَعِدُّوْا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِّنْ قُوَّةٍ.

-ঈসারুল হক আলাল খল্ক, ইবনুল ওযীর, পৃষ্ঠা ২৪

অতএব যারা যবান ও কলমের মাধ্যমে দ্বীন ও শরীয়তের হেফাযত করে এবং ফেতনাসমূহের মোকাবেলা করে কিংবা তাদের কাতারে শামিল হতে চায় তাদের উচিত যথাসম্ভব প্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং নিজেকে এর জন্য প্রস্তুত করা। কারণ কোনো জিহাদই -চাই তা অস্ত্রের জিহাদ হোক কিংবা যবান ও কলমের জিহাদ- প্রস্তুতি গ্রহণ ব্যতীত সম্ভব নয়।

আমাদের অবস্থা যেন কখনো তাদের মতো না হয়, যাদের সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

إِنَّمَا النَّاسُ كَالإِبِلِ المِائَةِ، لاَ تَكَادُ تَجِدُ فِيهَا رَاحِلَةً.

মানুষ তো সেই একশ উটের মত, যেগুলোর মধ্যে একটি বাহনও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৪৯৮

আমাদের এ দেশে মাশাআল্লাহ প্রতি বছর হাজার হাজার তালিবে ইলম দাওরায়ে হাদীস সমাপন করেন। তাদের অনেকে দিরাসাতে উলইয়ার জন্য পরবর্তীতে কোনো কোনো বিভাগে দাখেলা নেন। কিন্তু কথা হল, যদি আমরা নিজেদের মুহাসাবা করি তাহলে আমরা কতজন আমানতে ইলম ধারণ এবং আগত-অনাগত ফেতনাসমূহের মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত হয়েছি? কিংবা অন্তত এই মানসে মেহনত করছি? জানা কথা, এখানে كم নয়, كيفيت-ই মুখ্য। কিন্তু সেই কাইফিয়ত হাসিলের ফিকির আমাদের কতজনের মধ্যে রয়েছে? কতজন সে আলোকে নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করছি? দুঃখজনক হলেও বাস্তব, দিন যত গড়াচ্ছে আমাদের মধ্যে ইহসাসে যিম্মাদারি আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। ফেতনার মোকাবেলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করাটাও যে আমাদের যিম্মাদারি এবং অনেক বড় যিম্মাদারি সেটা যেন আমরা ভুলেই গিয়েছি। হাকীকত ভুলে আমরা রেওয়াজে মুবতালা হয়ে পড়েছি। আল্লাহ তাআলাই আমাদের হেফাযতকারী।

আমাদের আকাবির-আসলাফ কিন্তু এমন ছিলেন না। তাঁরা ওয়ারিসে নবীর যিম্মাদারি আদায়ের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছিলেন। দ্বীনের নুসরত ও হেফাযত এবং ফেতনার রদ ও মোকাবেলার যোগ্যতা অর্জন করে তবেই তাঁরা ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। সেজন্য তাঁদের মুবারক অস্তিত্বই বহু ফেতনা প্রতিহত করার জন্য যথেষ্ট ছিল। বাতিলপন্থীরা তাঁদের ভয় করত। কোনো ফেতনা ছড়ানোর আগে বহুবার ভাবত। হযরাতুল উস্তায শায়খুল ইসলাম দামাত বারাকাতুহুম তাঁর অনন্য কিতাব নুকূশে রফতেগাঁয় অনেক আকাবিরের আলোচনায় এ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। আল্লামা যফর আহমাদ উসমানী রাহ. সম্পর্কে লেখেন-

وه ان مقدس ہستيوں ميں سے تهے جن كا صرف وجود بهى نہ جانے كتنے فتنوں كےليے آڑ بنا رہتا ہے۔

দিন দিন এ ধরনের ব্যক্তিত্ব কমে যাচ্ছেন। মুরব্বীগণ ক্রমে চলে যাচ্ছেন, অথচ তাঁদের শূন্যস্থান পূরণ হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে (আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন) সামনে যে ভয়াবহ ফেতনা আসছে তা মোকাবেলা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। সেজন্য এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। সব ধরনের ফেতনা মোকাবেলার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।

যাহোক উপরে যে দুটি যিম্মাদারির কথা বলা হয়েছে সেগুলো ফেতনা মোকাবেলার অন্যতম প্রধান মাধ্যম। উভয় মাধ্যমেই আমাদের মাহারাত হাসিল করতে হবে।

প্রথম মাধ্যম : দাওয়াত

আজকাল দাওয়াতকে আমাদের সমাজে হালকা মনে করা হয়, অথচ বিষয়টা মোটেও হালকা নয়। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যিম্মাদারি। এর সুনির্দিষ্ট উসূল ও আদাব রয়েছে। উপরে দাওয়াত সংক্রান্ত যে আয়াতদ্বয় আছে সেখানেও মৌলিক কিছু আদাব ও উসূল বর্ণিত হয়েছে। যথা-

১. দাওয়াত দিতে হবে হিকমাহ ও আলমাওইযাতুল হাসানাহর মাধ্যমে।

২. পূর্ণ বসীরতের সঙ্গে দাওয়াত দিতে হবে।

৩. দাওয়াতের সময় কখনো বিতর্কেরও দরকার পড়ে। তবে সেটা হতে হবে উৎকৃষ্ট পন্থায়।

এই প্রত্যেকটা বিষয় -হিকমাহ, আলমাওইযাতুল হাসানাহ, বসীরত, জিদাল বিল্লাতি হিয়া আহসান- অত্যন্ত ব্যাপক ও গভীর অর্থবহ বিষয়। এগুলোকে তার ব্যাপকতা ও গভীরতাসহই বুঝতে হবে। ভাসাভাসা, অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ বুঝ কোনো ক্ষেত্রেই গ্রহণযোগ্য নয়। দাওয়াতের হক আদায় এবং এর দ্বারা ফেতনার মোকাবেলা করতে হলে প্রথমে দায়ীর সিফাত এবং দাওয়াতের উসূল ও আদাব গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে এবং সেগুলো নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে।

দ্বিতীয় মাধ্যম : ফেতনার ইলমী মোকাবেলা

এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই কাজ যারা আঞ্জাম দেবেন, হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী তাদের প্রতি আল্লাহ তাআলার বিশেষ নুসরত রয়েছে। ইমাম ইবনুল ওযীর রাহ. বলেন-

وَقد ثَبت فِي الصَّحِيح أَن جِبْرِيل عَلَيْهِ السَّلَام كَانَ مَعَ حَسّان بن ثَابت يُؤَيّدهُ مَا نافح عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي أشعاره، فَكَذَلِك مَن ذَبّ عَن دينه وسُنّتِه مَنْ بعده، إِيمَانًا بِهِ، وحُبًّا، وَنُصْحا لَهُ، ورجاءَ أَن يكون من الْخلف الصَّالح الَّذين قَالَ فيهم رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم: يحمل هَذَا الْعلم من كل خلف عدولهُ، ينفون عَنهُ تَحْرِيف الغالين، وانتحال المبطلين.

-ঈসারুল হক আলাল খল্ক, ইবনুল ওযীর, পৃষ্ঠা ২৪

তবে এটা সবার পক্ষে আঞ্জাম দেওয়া সম্ভব নয়। এর জন্য বিশেষ প্রস্তুতি গ্রহণ করা জরুরি। হাদীসে দুইটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে-

১. عَدْل হওয়া।

عَدْل-এর মৌলিক সিফাতগুলো হল সিদ্ক ও আমানাত, যব্ত ও ইতকান এবং ইতিদাল ও ইসতিকামাত।

২. সালাফ থেকে যথাযথ পন্থায় ইলম হাসিল করা।

যথাযথ পন্থায় শব্দটি এজন্য বলা হয়েছে যে, বর্তমানে আমাদের অনেকের কাছে ইলম হাসিল করা কাকে বলে- সেটা স্পষ্ট নয়। শুধু তথ্য সংগ্রহ করা-কে অনেকে ইলম হাসিল করা মনে করে।

ইলম হাসিল করার অর্থ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আরেক হাদীস থেকে প্রতিভাত হয়।  সাহাবী আবদুর রহমান ইবনে আবযা রা. থেকে বর্ণিত, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিলেন। খুতবায় তিনি প্রথমে মুসলমানদের বিভিন্ন গোত্রের প্রশংসা করলেন। এরপর বললেন-

مَا بَالُ أَقْوَامٍ لَا يُفَقِّهُونَ جِيرَانَهُمْ؟! وَلَا يُعَلِّمُونَهُمْ؟! ولَا يُفَطِّنُونَهُمْ؟! وَلَا يَأْمُرُونَهُمْ؟! وَلَا يَنْهَوْنَهُمْ؟! وَمَا بَالُ أَقْوَامٍ لَا يَتَعَلَّمُونَ مِنْ جِيرَانِهِمْ؟! وَلَا يَتَفَقَّهُونَ؟! وَلَا يَتَفَطَّنُونَ؟!

وَاللهِ لَيُعَلِّمَنَّ قَوْمٌ جِيرَانَهُمْ، وَيُفَقِّهُونَهُمْ، وَيُفَطِّنُونَهُمْ، وَيَأْمُرُونَهُمْ، وَيَنْهَوْنَهُمْ، وَليَتَعَلَّمَنَّ قَوْمٌ مِنْ جِيرَانِهِمْ، وَيَتَفَقَّهُونَ، وَيَتَفَطَّنُونَ، أَوْ لَأُعَاجِلَنَّهُمُ الْعُقُوبَةَ...

(قال الحافظ ابنُ السَّكَن : "إسناده صالح"، كما نقله في "كنز العمال" /৬৮৫)

ওই সম্প্রদায়ের কী হল যে, তারা প্রতিবেশীদেরকে দ্বীনের বুঝ দান করে না, তাদেরকে দ্বীন শিক্ষা দেয় না, তাদের মধ্যে (দ্বীনী ও দুনিয়াবী বিষয়ে) সচেতনতা তৈরি করে না, তাদেরকে সৎ কাজের আদেশ করে না এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করে না?

ওই সম্প্রদায়েরই বা কী হল যে, তারা প্রতিবেশী থেকে দ্বীন শেখে না, দ্বীনের বুঝ অর্জন করে না এবং সচেতনতা অর্জন করে না?

আল্লাহর কসম! হয়ত তারা তাদের প্রতিবেশীদের দ্বীন শেখাবে, দ্বীনের বুঝ দান করবে, তাদেরকে সচেতন করে তুলবে, সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে। আর যারা জানে না ওরা তাদের থেকে শিখবে, সঠিক বুঝ গ্রহণ করবে এবং (দ্বীনী ও দুনিয়াবী) সচেতনতা অর্জন করবে। নতুবা আমি তাদেরকে দুনিয়াতেই নগদ শাস্তি দেব। -আলমুজামুল কাবীর, তবারানী

দেখুন : মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১/১৬৪; আলইসাবা ফী তাময়ীযিস সাহাবা, ইবনে হাজার আসকালানী ১/২২-২৩

এখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেছেন- তাআল্লুম, তাফাক্কুহ ও তাফাত্তুন। সুতরাং সালাফ থেকে আমাদের এ সব কয়টি বিষয়ই অর্জন করতে হবে। তবেই বলা যাবে, আমরা সালাফ থেকে ইলম হাসিল করেছি। নতুবা শুধু কিছু শব্দ ও তথ্য সংগ্রহ হবে- ইলম নয়।

এখন এসবের তাফসীল বয়ান করা মাকসাদ নয়। তাই শুধু শিরোনামগুলো উল্লেখ করা হল। নিচে আমাদের দেশে প্রচলিত বড় বড় কিছু কুফরী ফেতনা সম্পর্কে লিখিত কিতাবাদির একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা পেশ করা হল। নিজের ও অন্যদের ঈমান-আমলের হেফাযতের জন্য আমরা এগুলি মুতালাআ করব এবং এসব ফেতনা সম্পর্কে যারা অভিজ্ঞ তাদের শরণাপন্ন হব। শুধু নিজের মুতালাআর উপর ইতিমাদ করব না।

القاديانية

- التصريح بما تواتر في نزول المسيح، لإمام العصر المحدث الكبير الشيخ محمد أنور شاه الكشميري رحمه الله تعالى، مكتب المطبوعات الإسلامية

২২- قاديانى فتنہ اور ملت اسلامیہ كا موقف، از مولانا مفتى محمد تقى عثمانى حفظہ الله، ومولانا سميع الحق صاحب رحمہ الله، مكتبۂ معارف القرآن كراچی

- قاديانى كيوں مسلمان نہيں، از مولانا محمد منظور نعمانى رحمہ الله، الفرقان بكڈپو،لکھنؤ

- قاديانيت پر غور كرنے كا سيدها راستہ، از مولانا محمد منظور نعمانی رحمہ الله، الفرقان بكڈپو،لکھنؤ

- قاديانى مذہب كا علمى محاسبہ(جديد) ، از مولانا الياس برنى رحمہ الله، تصحیح  ، ترقيم واضافہ : عبد الرحمن باوا، ختم نبوت اكيڈمى ، لندن

- القادياني والقاديانية : دراسة وتحليل ، للشيخ أبو الحسن علي الندوي رحمه الله تعالى، الدار السعودية للنشر، جدة

(أو ترجمته :قاديانيت  مطالعہ وجائزه، مجلس نشريات اسلام كراچی)

- رئيس قاديان، از مولانا ابو القاسم رفيق دلاورى رحمہ الله، عالمى مجلس تحفظ ختم نبوۃ ملتان

- محمدیہ پاكٹ بك بجواب احمدیہ پاكٹ بك،  از مولانا عبد الله معمار امرتسرى رحمہ  الله، المكتبة السلفية، لاهور

- اسلام اور قاديانيت ايك تقابلى مطالعہ، از مولانا عبد الغنى پٹیالوی  رحمہ الله، احتساب قاديانيت جلد ১৭، عالمى مجلس تحفظ ختم نبوۃ ملتان

১০- عشره كاملہ، از شيخ محمد يعقوب پٹیالوى رحمہ اللہ، احتساب قاديانيت جلد ১৮، عالمى مجلس تحفظ ختم نبوۃ ملتان

১১- شہادة القرآن باعلى النداء بان المسیح رفع حيا الى السماء ، از ابراہیم مير سيالكوٹى رحمہ اللہ، شعبۂ نشر واشاعت مركزى جمعيت اہل حديث  پاکستان

১২- تحفۂ  قاديانيت، از حضرت مولانا محمد يوسف لدھیانویى رحمہ الله، عالمى مجلس تحفظ ختم نبوت كراچی

১৩- عقيدة الامۃ فى معنى ختم النبوۃ، از علامہ خالد محمود رحمہ الله، حافظی بكڈپو ديوبند

১৪- رد قاديانيت کے زریں اصول  ، از حضرت مولانا منظور احمد چنيوٹى رحمہ الله، ادارۂ تاليفات ختم نبوت، اردو بازار، لاہور

১৫. ইসলাম ও কাদিয়ানিয়াত দুটি আলাদা ধর্ম, মূল : হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ ইদরীস কান্ধলভী রাহ., অনুবাদ : মাওলানা মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, তাহাফফুজে খতমে নবুওত প্রকাশনী, হযরতপুর, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা

১৬. জুমার বয়ানে আকীদায়ে খতমে নবুওত, মাওলানা মুহাম্মাদ সাজিদুল ইসলাম, তাহাফফুজে খতমে নবুওত প্রকাশনী, হযরতপুর, কেরাণীগঞ্জ, ঢাকা

১৭. মির্যা কাদিয়ানী ও তার নবুওত দাবি, মাওলানা মুহাম্মাদ আশিক বিল্লাহ তানভীর, পরিবেশনায় : রাহনুমা প্রকাশনী, বাংলাবাজার, ঢাকা

أهل القرآن ومنكرو الحديث

- مفتاح الجنة في الاحتجاج بالسنة،للحافظ جلال الدين السيوطي رحمه الله تعالى، دار السلام، القاهرة

- امام ابن ماجہ اور علم حديث، از حضرت مولانا محمد عبد الرشيد نعمانى رحمہ الله، مكتبۃ البشرى، كراچی

- حجيت حديث، از  حضرت مولانا مفتى محمد تقى عثمانى حفظہ الله،  اناركلى، لاہور

- تدوين حديث، از مولانا مناظر احسن گيلانى  رحمہ الله، المیزان، اردو بازار، لاہور

- نصرة الحديث، از حضرت مولانا حبيب الرحمن اعظمى رحمہ الله، دار المآثر الاسلامیہ، انڈیا

- حجيت حديث، از حضرت مولانا محمد ادريس كاندهلوى رحمہ الله، زمزم پبلشرز ،كراچی

- فتنۂ انکار حدیث، از حضرت مولانا مفتی  ولی حسن  ٹونکی رحمہ اللہ، ختم نبوت اكيڈمى ، لندن

- آثار الحديث، از مولانا ڈاكٹر خالد محمود رحمہ الله، دار المعارف، كراچی

- كتابت حديث عہد رسالت و عہد صحابہ ميں، از حضرت مولانا مفتى محمد رفیع عثمانى رحمہ الله، ادارة المعارف كراچی

১০- السنة ومكانتها في التشريع الإسلامي، للدكتور مصطفى السباعي رحمه الله، دار السلام، القاهرة

১১- دفاع عن السنة،للدكتور محمد ابن محمد أبي شهبة رحمه الله، مكتبة السنة، القاهرة

১২- دراسات في الحديث النبوي وتاريخ تدوينه، للدكتور مصطفى الأعظمي رحمه الله، المكتب الإسلامي

 

الإسماعيلية و البَهائية

- ہمارے اسماعيلى مذہب كى حقيقت اور اس كا نظام، از ڈاكٹر زاہد على، نامى پریس،حيدرآباد دكن

الإسماعيلية، للشيخ إحسان إلهي ظهير رحمه الله، دار ابن حزم، القاهرة

- البَهائِية : نقد وتحليل، للشيخ إحسان إلهي ظهير رحمه الله، إدارة ترجمان السنة،لاهور

- البابِية : عرض ونقد، للشيخ إحسان إلهي ظهير رحمه الله، إدارة ترجمان السنة،لاهور

(اور شيعہ اماميہ اثنا عشریہ کے بارےمیں جاننے کےلیےدرج ذيل تين كتابوں   كا مطالعہ كيا جاسكتا ہے  :

- ايرانى انقلاب، امام خمينى اور شيعيت،از حضرت مولانا محمد منظور نعمانى رحمہ الله تعالى، الفرقان بكڈپو،لکھنؤ

- شيعہ سنى اختلاف اور صراط مستقيم، از حضرت مولانا محمد يوسف لدھیانوی رحمہ الله، مكتبہ لدھیانوی، كراچی

৩. সাহাবা ও আহলে বাইত, মাওলানা আবদুর রহমান, উস্তায : মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা

কিতাবটি মারকাযুদ দাওয়াহ থেকে প্রকাশিতব্য ইনশাআল্লাহ)

 

النصرانية

- عيسائيت كيا ہے، از  حضرت مولانا مفتى محمد تقى عثمانى حفظہ الله، مكتبہ دار العلوم كرا چى

(অথবা এর অনুবাদ খৃষ্টধর্মের স্বরূপ, হযরত মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম দামাত বারাকাতুহুম কৃত, মাকতাবাতুল আশরাফ)

- بائبل كيا ہے، از  حضرت مولانا مفتى محمد تقى عثمانى حفظہ الله، مكتبہ دار العلوم كرا چى

إظهار الحق، للشيخ العلامة رحمت الله الكيرانوي(১৩০৮هـ) رحمه الله، الرئاسة العامة للبحوث العلمية والإفتاء، الرياض

- بائبل سے  قرآن تك (اظہار الحق كا اردو ترجمہ اور شرح وتحقيق)، اردو ترجمہحضرت مولانا اكبر على رحمہ الله، شرح وتحقيق : حضرت مولانا مفتى محمد تقى عثمانى حفظہ الله، مكتبہ دار العلوم كرا چى، جدید تحقیق شدہ ایڈیشن

- المناظرة الكبرى بين العلامة الشيخ رحمت الله والدكتور القِسِّيس فَنْدَر، تحقيق وتعليق : الدكتور  محمد عبد القادر خليل، مطابع الصفا، مكة المكرمة

- کتاب الاستفسار، از حضرت مولانا سید آل حسن مہانی (১২৮৭هـ) رحمہ اللہ، دار المعارف، اردو بازار، لاہور

৭. খৃষ্টধর্ম না পৌলবাদ, হযরত মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম দা. বা., মাকতাবাতুল আশরাফ

৮. খৃষ্টবাদ বিকৃতি : তথ্য ও প্রমাণ, হযরত মাওলানা আব্দুল মতিন দা.বা., রিসালাতুল ইসলাম বাংলাদেশ

৯. বাইবেল বিকৃতি : তথ্য ও প্রমাণ, হযরত মাওলানা আব্দুল মতিন দা. বা., মাকতাবাতুল আযহার

১০. ইঞ্জিল ও প্রচলিত ইঞ্জিল : একটি পর্যালোচনা, মাওলানা মুনশী মুহাম্মাদ মহিউদ্দিন, মারকাযুদ দাওয়াহ প্রকাশনী

১১. বাইবেল কি আল্লাহর বাণী, মূল : আহমেদ দিদাত, অনুবাদ ও টীকা : মাওলানা মুনশী মুহাম্মাদ মহিউদ্দিন, মাকতাবাতুল হাসান, মাদানীনগর

العَلْمَانية (ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ)

- اسلامى حكومت ودستور مملكت عقل ونقل كى روشنى ميں،  افادات  : حكيم الامت مجدد الملت حضرت مولانا  اشرف على تهانوى رحمہ الله،  انتخاب وترتيب : مولانا محمد زيد مظاہرى ندوى حفظہ الله، ادارہ افادات اشرفيہ ہتورا باندہ يوپى

- اسلام اور سياست، مجموعۂ افادات حضرت حكيم الامت رحمہ الله ودیگر اكابرين، ترتيب جديد : مولانا محمد اسحق ملتانى، ادارۂ تاليفات اشرفيہ، ملتان

- آثار رحمت، از افاضات حضرت مولانا  جليل احمد على گڑھی رحمہ الله، الناشر : شيروانى  ناظمِ كتب خانۂ تجديداتِ اشرفيہ وصيانۃ المسلمین، جامعہ اشرفیہ گلی  ؀ ১৬৮ نيلا گنبد اناركلى،  لاہور

- حكيم الامت کے سياسى افكار،از حضرت مولانا مفتى محمد تقى عثمانى حفظہ الله، مكتبۂ معارف القرآن كراچی

- اسلام اور سياسى نظريات، از حضرت مولانا مفتى محمد تقى عثمانى حفظہ الله، مكتبۂ معارف القرآن كراچی

- اسلام اور سياست حاضره، از حضرت مولانا مفتى محمد تقى عثمانى حفظہ الله،  مكتبہ دار العلوم كراچی

- نفاذ شريعت اور اس کے مسائل، از حضرت مولانا مفتى محمد تقى عثمانى حفظہ الله، مكتبۂ دار  العلوم كراچی

- عصر حاضر میں غلبۂ  دين كا نبوى طريقۂ كار، از مولانا محمد زاہد اقبال  حفظہ الله، دار النعيم، اردو بازار، لاہور

- اسلامى نظام خلافت اور ہمارى ذمہ داری، از مولانا محمد زاہد اقبال حفظہ الله، ادارۂ نشريات محمود حسنؒ، لاہور

১০- نظریہ پاكستان اور قومى بيانیہ ما بعد نائن اليون کے تناظر میں، نگارشات : ابو عمار زاہد الراشدى، ترتيب وتدوين : محمد عمار خان ناصرومحمد يونس قاسمى، الشريعہ اكادمى، كتاب محل، لاہور

১১. দেশ জাতি সমাজ প্রাসঙ্গিক ভাবনা, হযরত মাওলানা মুফতী আবুল হাসান মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ দামাত বারাকাতুহুম, মারকাযুদ দওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা

 

التجدد والإلحاد

- الانتباہات المفیدۃ عن الاشتباہات الجديدة، از حكيم الامت حضرت مولانا  اشرف على تهانوى رحمہ الله، مكتبۃ البشرى، كراچی

- اشرف الجواب لشفاء المرتاب، از حكيم الامت رحمہ الله، دار الكتاب ديوبند

بصائر وعبر، از حضرت مولانا محمد يوسف بنورى رحمہ الله، مكتبۂ بينات،جامعۃ  العلوم الاسلامیۃ، علامہ بنورى  ٹاون، كراچی

- دور حاضر کے فتنے اور اُن كا علاج، از حضرت مولانا محمد يوسف بنورى رحمہ الله، مكتبۂ بينات، جامعۃ  العلوم الاسلامیۃ، علامہ بنورى  ٹاون، كراچی

- دور حاضر كے تجدد پسندوں كے افكار، از حضرت مولانامحمد يوسف لدھیانوی رحمہ الله، مكتبہ لدھیانوی، كراچی

- اسلام اور جدت پسندى، از حضرت مولانا مفتى محمد تقى عثمانى حفظہ الله، مكتبہ دار العلوم كراچی

- مسلم ممالك میں اسلاميت اور مغربيت كى كش مكش، از حضرت  مولانا  ابو الحسن على ندوى رحمہ الله،  مجلس نشريات اسلام ، كراچی

- ہمارے عائلى مسائل، از حضرت مولانا مفتى محمد تقى عثمانى حفظہ الله، دار الاشاعت، كراچی

- عائلى قوانين شريعت كى روشنى ميں، از حضرت مولانا مفتی  ولی حسن  ٹونکی رحمہ اللہ، مجلس دعوت وتحقيق اسلامى، علامہ بنورى  ٹاون، كراچی

১০- اسلام اور دور حاضر كے شبہات  ومغالطے، از افادات حضرت مولانا مفتى محمد تقى عثمانى حفظہ الله، جمع  وترتيب : مولانا عمر انور بدخشانى، زمزم پبلشرز ،كراچی

১১- سود پر تاريخى فيصلہ، از حضرت مولانا مفتى محمد تقى عثمانى حفظہ الله، ترجمہ : ڈاکٹر مولانا محمد عمران اشرف عثمانى حفظہ الله،  مكتبۂ معارف القرآن كراچی

১২- اسلام اور جديديت كى كش مكش،از محمد ظفر اقبال، ادارۂ علم ودانش

১৩- جديديت، حسن عسكرى، ادارہ فروغ اسلام لاہور

১৪- ماذا خسر العالم بانحطاط المسلمين، للشيخ أبو الحسن علي الندوي رحمه الله تعالى، دار القلم، دمشق

আপাতত এ কয়টি কুফরী ফেতনা সম্পর্কে বলা হল। এধরনের আরো যত কুফরী ও বিদআতী ফেতনা আমাদের সমাজে রয়েছে সবগুলো সম্পর্কে আমাদের নিজেদের সচেতন হওয়া জরুরি এবং সাধারণ মানুষকেও সচেতন করা জরুরি। আর তারা তাদের মতবাদ প্রচারে দ্বীন ও শরীয়ত এবং কুরআন ও সুন্নাহ্য় যত খেয়ানত ও তাহরীফ করেছে, ইনসাফের সঙ্গে তরীকামতো সেগুলোর মজবুত ইলমী রদ করা আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ যিম্মাদারি। তবে সেটার জন্য প্রথমে নিজেদের প্রস্তুত হতে হবে। ইস্তিদাদ ও মাহারাত হাসিল করতে হবে। মাহারাত ও ইস্তিদাদ ছাড়া ময়দানে নামলে উল্টো ক্ষতিই হবে। সেজন্য এখন থেকেই নিজেদের প্রস্তুত করুন। যোগ্য ওয়ারিসে নবী হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলুন।

একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা- এই সূচিতে পেশকৃত কিতাবসমূহ মুতালাআর মাকসাদ হল, নিজেকে প্রস্তুত করা। অর্থাৎ এই কিতাবগুলো থেকে আপনি বিভিন্ন তথ্য আহরণ করবেন, রদের উসলূব শিখবেন এবং উসূলী ইলম হাসিল করবেন। এরপর যখন ফেতনা মোকাবেলা করার পর্ব আসবে তখন আপনার কাজ হবে- প্রথমে বাতিলপন্থীদের যারা গুরু তাদের বক্তব্য, লেখা ইত্যাদি পড়া, সেগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং সমস্যা ও গোমরাহীগুলো চিহ্নিত করা। এরপর হাসিলকৃত ইলম ও উসলূবের সাহায্যে ইনসাফের সঙ্গে তরীকামতো সেগুলোর রদ করা। সেজন্য দেখা যাবে, তালিকায় উল্লেখিত অনেক কিতাবই এমন, যেগুলোতে সরাসরি আমাদের সমাজে প্রচলিত শুবুহাতের রদ নেই। তবে সে সংক্রান্ত মালুমাত ও উসূলী ইলম অবশ্যই আছে। এ ধরনের কিতাবগুলো থেকে আমরা সেই উসূলী ইলম ও মালুমাত হাসিল করব এবং শুবুহাতের রদের সময় সালীকার সাথে সেগুলো ব্যবহার করব।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তাওফীক দান করুন- আমীন।

وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين.

বান্দা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক

১৮-০৫-১৪৪৪ হি.

 

 

advertisement