জুমাদাল উলা ১৪৪৪   ||   ডিসেম্বর ২০২২

বিজয়ের পর ইসলাম কী করতে শেখায়

মাওলানা আবু হাসসান রাইয়ান বিন লুৎফুর রহমান

আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসেবে মনোনীত করেছেন। এই দ্বীনকে তিনি বহু বিষয়ে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছেন। একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হল, এটি পূর্ণাঙ্গ দ্বীন। সর্বজনীন দ্বীন। জীবনের প্রতিটি লগ্নে, প্রতিটি অঙ্গনে এই দ্বীন আমাদেরকে সঠিক পথনির্দেশনা প্রদান করে। এই চিরন্তন বিধান ও নির্দেশনা পালনের মাধ্যমেই আমরা লাভ করতে পারব ইহলৌকিক-পারলৌকিক সফলতা।

মানুষের ব্যক্তিজীবন এবং জাতীয় জীবনে সফলতা-ব্যর্থতা আছে। উত্থান-পতন আছে। কিন্তু এইসকল পরিস্থিতিতে একজন মুমিনের বিশ্বাস ও চেতনা, আচরণ ও কর্মপন্থা অন্য সবার থেকে ভিন্ন ও স্বতন্ত্র হওয়া উচিত। বিশেষত যেসব ক্ষেত্রে শরীয়তের সুস্পষ্ট নির্দেশনা বিদ্যমান; যার যথাযথ মূল্যায়ন করা মুমিন হিসেবে আমাদের অপরিহার্য দায়িত্ব।

যখন বিজয় অর্জিত হয়, জমিনের বুকে কর্তৃত্ব ও নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় তখন মুমিন-মুসলিম হিসেবে আমাদের বেশ কিছু করণীয় আছে। নিম্নে তা উল্লেখ করা হল।

এক.

সর্বপ্রথম আমাদের কর্তব্য হল, মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা, বিজয় একমাত্র আল্লাহর দান। তাঁর দয়া ও অনুগ্রহ না হলে বিজয় অর্জন কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

قَالَ الَّذِیْنَ یَظُنُّوْنَ اَنَّهُمْ مُّلٰقُوا اللهِ كَمْ مِّنْ فِئَةٍ قَلِیْلَةٍ غَلَبَتْ فِئَةً كَثِیْرَةًۢ بِاِذْنِ اللهِ  وَ اللهُ مَعَ الصّٰبِرِیْنَ.

যারা দৃঢ় বিশ্বাস করে যে, আল্লাহর সঙ্গে তাদের মিলিত হতে হবে, তারা বলতে লাগল, কত ক্ষুদ্র দল আল্লাহর হুকুমে বড় দলের উপর জয়ী হয়েছে। আর আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। -সূরা বাকারা (২) : ২৪৯

বস্তুত বিজয় অর্জন সম্পর্কে একজন মুমিনের অনুভব-অনুভূতি এমন হওয়াই কাম্য।

দুই.

বিজয় যেহেতু আল্লাহর দান ও নিআমত তাই মুমিন বান্দার কর্তব্য হল, এই নিআমতের উপর আল্লাহর শোকর আদায় করা। আর ত্রুটি বিচ্যুতির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

اِذَا جَآءَ نَصْرُ اللهِ وَ الْفَتْحُ، وَ رَاَیْتَ النَّاسَ یَدْخُلُوْنَ فِیْ دِیْنِ اللهِ اَفْوَاجًا،فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَ اسْتَغْفِرْهُ  اِنَّهٗ كَانَ تَوَّابًا.

যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং লোকদের দেখবেন তারা দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করছে। তখন আপনি স্বীয় রবের স্বপ্রশংস তাসবীহ পাঠ করতে থাকবেন এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল। -সূরা নাসর (১১০) : ১-৩

তিন.

বিজয় অর্জনের পর মুমিন বান্দার দায়িত্ব হল, বিনয়ী হওয়া, বিশৃঙ্খল না হওয়া। অবনত হওয়া, উদ্ধত না হওয়া। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

تِلْكَ الدَّارُ الْاٰخِرَةُ نَجْعَلُهَا لِلَّذِیْنَ لَا یُرِیْدُوْنَ عُلُوًّا فِی الْاَرْضِ وَ لَا فَسَادًا  وَ الْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِیْنَ.

ওই পরকালীন নিবাস আমি তাদের দেব, যারা যমীনের বুকে ঔদ্ধত্য প্রকাশ ও বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায় না। আর শুভ পরিণাম আল্লাহভীরুদের জন্য। -সূরা কাসাস (২৮) : ৮৩

রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বিজয়ীরূপে মক্কা নগরীতে প্রবেশ করলেন এবং যি তুয়া নামক স্থানে পৌঁছলেন, তখন ইয়ামানী লাল চাদরের অংশবিশেষ দ্বারা মস্তক ও চেহারা ঢেকে ফেললেন। আল্লাহ তাআলা যে এই বিজয় দ্বারা তাঁকে সম্মানিত করেছেন এদিকে লক্ষ করে আল্লাহর প্রতি বিনয় প্রকাশে এমনভাবে মাথা অবনত করলেন যে, তাঁর দাড়ি হাওদার মধ্যখান ছোঁয়ার উপক্রম হল। -আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া, খ. ৪, পৃ. ২৯৩

অথচ একদিন কুরাইশদের অত্যচারের দরুন এই মক্কা নগরী থেকেই তিনি হিজরত করতে বাধ্য হয়েছিলেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের নবীর উপর অসংখ্য দরূদ ও সালাম বর্ষণ করুন, যিনি আমাদের সামনে এই অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।

চার.

বিজয় অর্জিত হওয়ার পর মুমিন বান্দাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হল, যিনি বিজয় দিয়েছেন তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা। যিনি ভূখ- দিয়েছেন তাঁর বিধান নিজেদের জীবনে এবং সমাজের সব অঙ্গনে বাস্তবায়ন করা। আল্লাহ তাআলা তাঁর নেক ও অনুগত বান্দাদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন-

اَلَّذِیْنَ اِنْ مَّكَّنّٰهُمْ فِی الْاَرْضِ اَقَامُوا الصَّلٰوةَ وَ اٰتَوُا الزَّكٰوةَ وَ اَمَرُوْا بِالْمَعْرُوْفِ وَ نَهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ  وَ لِلهِ عَاقِبَةُ الْاُمُوْرِ.

তারা এমন যে, আমি তাদের পৃথিবীতে ক্ষমতা দান করলে তারা নামায কায়েম করবে। যাকাত প্রদান করবে এবং সৎকর্মের আদেশ দেবে এবং অসৎকার্য থেকে নিষেধ করবে। আর সবকিছুর পরিণাম আল্লাহর ইখতিয়ারে। -সূরা হাজ্জ্ব (২২) : ৪১

আল্লাহ প্রদত্ত শরয়ী বিধানের যথাযথ অনুসরণের দ্বারা ভূখণ্ডের অধিবাসীগণই উপকৃত হবে। সর্ব প্রকার কল্যাণ ও বরকতে তাঁরা ধন্য হবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

وَ لَوْ اَنَّ اَهْلَ الْقُرٰۤی اٰمَنُوْا وَ اتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَیْهِمْ بَرَكٰتٍ مِّنَ السَّمَآءِ وَ الْاَرْضِ وَ لٰكِنْ كَذَّبُوْا فَاَخَذْنٰهُمْ بِمَا كَانُوْا یَكْسِبُوْنَ.

যদি জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত ও পরহেযগারী অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের জন্য অবশ্যই উন্মুক্ত করে দিতাম আসমান ও যমীনের বরকতসমূহ। কিন্তু ওরা অস্বীকার করেছিল। অতএব আমি ওদের কৃতকর্মের কারণে ওদের পাকড়াও করেছি। -সূরা আরাফ (৭) : ৯৮

পাঁচ.

বিজয় অর্জিত হওয়ার পর মুমিন বান্দাদের সবচে বড় দায়িত্ব হল, আল্লাহপ্রদত্ত ভূখণ্ডকে সব ধরনের গোনাহ ও নাফরমানী থেকে মুক্ত রাখা। কেননা গোনাহ যখন ব্যাপক আকার ধারণ করে, আল্লাহর নাফরমানী সীমা অতিক্রম করে, তখন ভূখণ্ডের অধিবাসীদের উপর ধ্বংস ও বরবাদি নেমে আসে। বিভিন্ন কল্যাণ ও বরকত থেকে তাঁরা বঞ্চিত হয়ে যায়, এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে এই বিজয় পরাজয়েও রূপান্তরিত হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

وَ اِذَاۤ اَرَدْنَاۤ اَنْ نُّهْلِكَ قَرْیَةً اَمَرْنَا مُتْرَفِیْهَا فَفَسَقُوْا فِیْهَا فَحَقَّ عَلَیْهَا الْقَوْلُ فَدَمَّرْنٰهَا تَدْمِیْرًا.

আমি যখন কোনো জনপদ ধ্বংস করার ইচ্ছা করি, তখন তার ঐশ্বর্যশালী লোকদের (ঈমান ও সৎকর্মের) আদেশ করি। কিন্তু ওরা সেখানে অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়, ফলে সেই জনপদের ব্যাপারে (শাস্তির) কথা অবধারিত হয়ে যায়। অতঃপর আমি তা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করে দেই। -সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ১৬

ইউরোপের একটি সামুদ্রিক দ্বীপ হল সাইপ্রাস। আরবীতে বলা হয় কুবরুস। খলীফায়ে রাশেদ হযরত উসমান রা.-এর শাসনামলে ২৮ হিজরী সনে সাইপ্রাস দ্বীপের উপর মুসলিমদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। আল্লাহর ইচ্ছায় যখন এই বিজয় অর্জিত হল, তখন দেখা গেল সবাই আনন্দে উদ্বেলিত, কিন্তু একজন মানুষ ক্রন্দনরত। তিনি ছিলেন আল্লাহর রাসূলের বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবুদ দারদা রা.। তখন জুবাইর ইবনে নুফাইর তাঁকে জিজ্ঞাসা করল আপনি কেন কাঁদছেন? অথচ আজ আল্লাহ তাআলা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহকে সম্মানিত করেছেন।

তিনি বললেন, আফসোস তোমার প্রতি! নিশ্চয়ই এই জাতি ছিল বড় প্রতাপশালী জাতি। তাদের ছিল অনেক বড় রাজত্ব। কিন্তু যখন তারা আল্লাহর হুকুম নষ্ট করল তখন তিনি তাদের এই পরিণতি ঘটালেন, যা তুমি দেখতে পাচ্ছ। আল্লাহর বান্দারা যখন আল্লাহর বিধান পরিত্যাগ করে তখন তারা কীভাবে অপদস্থ হয়ে যায়! -আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া, ফাতহু কুবরুস অধ্যায় ৭/১১০

এত বড় বিজয় অর্জিত হওয়ার পরও হযরত আবুদ দারদা রা. যেই অজানা ভবিষ্যতের আশঙ্কায় ক্রন্দন করেছিলেন, সেই আশঙ্কাই আজ সত্যে পরিণত হয়েছে। হযরত শায়খুল ইসলাম তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম বলেন- এখন আমরা সেখানে গিয়ে হযরত আবুদ দারদা রা.-এর সেই শঙ্কার বাস্তবতা স্বচক্ষে দেখতে পাই। অর্থাৎ কুবরুসের বিশাল একটা অংশ মুসলমানদের হাত থেকে ছুটে গিয়েছে। আপনারা হয়তো শুনে থাকবেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এ অঞ্চল নিয়ে গ্রীক ও তুর্কীদের মাঝে যুদ্ধ চলছিল। গ্রীকরা বলছিল এটা  আমাদের এলাকা। আমরা এখানে শাসন করব। তুর্কী সরকার বলছিল, আমরা এখানে শাসন করব, এটা আমাদের অঞ্চল। একপর্যায়ে জাতিসংঘের সালিশিতে কুবরুস দ্বীপকে দুই ভাগ করা হয়। একটি অংশ দিয়ে দেয় গ্রীকদের। আরেক অংশ তুর্কীদের!... (দ্র. মাসিক আলকাউসার, অক্টোবর ২০১৯, পশ্চিমে পাড়ি জমানোর আগে একটু ভাবুনকুবরুস সফর : কিছু শিক্ষা, হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী)

হযরত আবুদ দরদা রা. কেঁদে কেঁদে যে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আজ তা স্বচক্ষে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই দ্বীপ আমাদের হাতে নেই। ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। আল্লাহ আমাদের এই বাস্তবতা উপলব্ধি করার তাওফীক দান করুন।

ছয়.

বিজয় অর্জিত হওয়ার পর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল, দেশে শান্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা এবং জনগণের ঈমান-আকীদা হেফাজতের জন্য আল্লাহর দরবারে সকাতর প্রার্থনা করা। যেমনটা করেছিলেন হযরত ইবরাহীম আ.। কুরআনের ভাষায়-

وَ اِذْ قَالَ اِبْرٰهِیْمُ رَبِّ اجْعَلْ هٰذَا الْبَلَدَ اٰمِنًا وَّ اجْنُبْنِیْ وَ بَنِیَّ اَنْ نَّعْبُدَ الْاَصْنَامَ.

স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম বললেন, হে আমার রব! এই শহরকে করুন নিরাপদ এবং আমাকে ও আমার সন্তান-সন্ততিকে প্রতিমার পূজা থেকে দূরে রাখুন। -সূরা ইবরাহীম (১৪) ৩৫

এমনকি আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদীনা মুনাওয়ারায় হিজরত করে এলেন, তখন দুআ করেছিলেন-

اللّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا المَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ، اللّهُمَّ وَصَحِّحْهَا، وَبَارِكْ لَنَا فِي مُدِّهَا وَصَاعِهَا، وَانْقُلْ حُمَّاهَا فَاجْعَلْهَا بِالْجُحْفَةِ.

হে আল্লাহ! মক্কার প্রতি আমাদের অন্তরে যে মহব্বত সেই পরিমাণ অথবা তার চেয়ে অধিক মহব্বত মদীনার প্রতি তৈরি করে দেন। হে আল্লাহ! মদীনাকে স্বাস্থ্যকর স্থানে পরিণত করুন এবং আমাদের জন্য মদীনার মুদ ও সা (বিশেষ ধরনের পরিমাপক) এর মধ্যে বরকত দান করেন। আর মদীনার জ¦রকে জুহফা নামক স্থানে স্থানান্তরিত করে দেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ২৯২৬

সুতরাং শাসকবৃন্দের দায়িত্ব হল, দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জনগণের ঈমান-আকীদা হেফাজতের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

সাত.

এই প্রসঙ্গে সর্বশেষ কথা হল, বিজয় অর্জন করা এক জিনিস। বিজয় অক্ষুণœ রাখা আরেক জিনিস। প্রত্যেক মুসলিম নাগরিকের দায়িত্ব হল, নিজ নিজ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি পূর্ণ সজাগ দৃষ্টি রাখা। নতুবা স্পেন, ফিলিস্তীন, কাশ্মীর, আরাকানের ভাগ্য-বিপর্যয় আমাদের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে। মিসর বিজেতা বিখ্যাত সাহাবী আমর ইবনুল আস রা. মুসলিম উম্মাহকে এই দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন-

أنتم في رباط دائم إلى يوم القيامة لكثرة الأعداء حولكم وتشوق قلوبهم إليكم...

কিয়ামত পর্যন্ত তোমাদেরকে সর্বদা এই ভূখণ্ডের পাহারার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকতে হবে। কেননা তোমাদের চারপাশে অসংখ্য শত্রু ওত পেতে আছে।... (আননুজূমুয যাহিরাহ ফী মুলূকি মিস্র ওয়াল কাহিরাহ ১/৯২)

আল্লাহ আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিসহ প্রতিটি মুসলিম ভূখণ্ডকে রক্ষা করুন, তাদেরকে ঈমান ও ইসলামের সাথে কবুল করুন, সর্বপ্রকার কল্যাণ দান করুন- আমীন। হ

 

 

advertisement