রবিউল আখির ১৪৪৪   ||   নভেম্বর ২০২২

আলকুরআনের দৃষ্টিতে অভিশপ্ত যারা

মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল হাকীম

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

 

নয়. মিথ্যাবাদীর প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত

মিথ্যা একটি গুরুতর পাপ। জঘন্য অপরাধ। কুরআন ও সুন্নাহর বিভিন্ন জায়গায় এর নিন্দা করা হয়েছে। কুরআনে কারীমে মিথ্যাবাদীর প্রতি অভিসম্পাতের কথা এসেছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

فَمَنْ حَآجَّكَ فِیْهِ مِنْۢ بَعْدِ مَا جَآءَكَ مِنَ الْعِلْمِ فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ اَبْنَآءَنَا وَ اَبْنَآءَكُمْ وَ نِسَآءَنَا وَ نِسَآءَكُمْ وَ اَنْفُسَنَا وَ اَنْفُسَكُمْ  ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَلْ لَّعْنَتَ اللهِ عَلَی الْكٰذِبِیْنَ.

তোমার কাছে ইলম আসার পর যে কেউ তোমার সঙ্গে এ বিষয়ে তর্ক করে, তাকে বলে দাও, এসো, আমরা ডেকে নিই আমাদের সন্তানদেরকে ও তোমাদের সন্তানদেরকে, আমাদের স্ত্রীগণকে ও তোমাদের স্ত্রীগণকে, আমাদের নিজেদেরকে ও তোমাদের নিজেদেরকে অতঃপর আমরা মুবাহালা (তথা বিনীত নিবেদন) করি এবং মিথ্যাবাদীদের উপর অভিসম্পাত পাঠাই। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ৬১

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন-

وَالَّذِیْنَ یَرْمُوْنَ اَزْوَاجَهُمْ وَ لَمْ یَكُنْ لَّهُمْ شُهَدَآءُ اِلَّاۤ اَنْفُسُهُمْ فَشَهَادَةُ اَحَدِهِمْ اَرْبَعُ شَهٰدٰتٍۭ بِاللهِ اِنَّهٗ لَمِنَ الصّٰدِقِیْنَ، وَالْخَامِسَةُ اَنَّ لَعْنَتَ اللهِ عَلَیْهِ اِنْ كَانَ مِنَ الْكٰذِبِیْنَ.

যারা নিজের স্ত্রীদেরকে অপবাদ দেয়, আর নিজেরা ছাড়া তাদের কোনো সাক্ষী না থাকে, এমন কোনো ব্যক্তিকে যে সাক্ষ্য দিতে হবে তা এই যে, সে চারবার আল্লাহর কসম করে বলবে, (স্ত্রীকে দেওয়া অভিযোগের ক্ষেত্রে) অবশ্যই সে সত্যবাদী। আর পঞ্চমবার বলবে, যদি সে মিথ্যাবাদী হয় তবে তার উপর আল্লাহর অভিশাপ নেমে আসবে। -সূরা নূর (২৪) : ৬-৭

এসব আয়াত থেকে বোঝা যায়, যে মিথ্যা বলে তার উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। সে আল্লাহর সন্তুষ্টি থেকে বঞ্চিত। আল্লাহ তাঁর প্রতি অসন্তুষ্ট। পরিণামে তা জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হতে পারে।

মিথ্যার ভয়াবহতা এত বেশি যে, আল্লাহ তাআলা মূর্তিপূজা বর্জন করার আলোচনা যেখানে করেছেন সেখানে তার সঙ্গে মিথ্যা কথা বর্জন করার কথাও উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ বলেন-

فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ وَ اجْتَنِبُوْا قَوْلَ الزُّوْرِ.

তাই তোমরা প্রতিমাদের নাপাকি ও মিথ্যা কথা থেকে বেঁচে থাক। -সূরা হজ¦ (২২) : ৩০

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও হাদীস শরীফে মিথ্যার ভয়াবহতা ও তার কদর্যতা তুলে ধরেছেন।

হাদীসে এসেছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

...وَإِيّاكُمْ وَالْكَذِبَ، فَإِنّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ، وَإِنّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النّارِ، وَمَا يَزَالُ الرّجُلُ يَكْذِبُ وَيَتَحَرّى الْكَذِبَ حَتّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللهِ كَذّابًا.

সাবধান! মিথ্যা কথা পরিহার কর। নিশ্চয়ই মিথ্যা পাপাচারের দিকে নিয়ে যায়। আর পাপাচার জাহান্নামের পথে নিয়ে যায়। মানুষ মিথ্যা বলতে থাকে, অবশেষে সে আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত হয়। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬০৭

রোযা আল্লাহ তাআলার অনেক পছন্দনীয় আমল। রোযাদার আল্লাহর প্রিয় বান্দা। তা সত্ত্বেও যে রোযাদারের মিথ্যার সাথে সম্পর্ক রয়েছে তাকে আল্লাহ ভালবাসেন না। তার রোযা আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزّورِ وَالعَمَلَ بِهِ وَالجَهْلَ، فَلَيْسَ لِلهِ حَاجَةٌ أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ.

যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা, মিথ্যা অনুযায়ী চলা ও অজ্ঞতাপূর্ণ আচরণ ছাড়ল না তার পানাহার বর্জনের আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০৩

হাদীস শরীফে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিথ্যা বলাকে মুনাফিকের আলামত আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন-

أَرْبَعٌ مَن كُنّ فيه كانَ مُنَافِقًا خَالِصًا، وَمَن كَانَتْ فيه خَلّةٌ منهنّ كَانَتْ فيه خَلّةٌ مِن نِفَاقٍ حتّى يَدَعَهَا: إِذَا حَدّثَ كَذَبَ، وإذَا عَاهَدَ غَدَرَ، وإذَا وَعَدَ أَخْلَفَ، وإذَا خَاصَمَ فَجَرَ.

চারটি দোষ কারও মাঝে থাকলে সে নিরেট মুনাফিক হয়ে যায়। তার কোনো একটি থাকলে তার মাঝে একটি মুনাফিকীর চরিত্র থাকল; যতক্ষণ না তা থেকে মুক্ত হয়।

এক. কথা বললে মিথ্যা বলে।

দুই. চুক্তিতে আবদ্ধ হলে তা লঙ্ঘন করে।

তিন. ওয়াদা করলে ভঙ্গ করে।

চার. ঝগড়ায় লিপ্ত হলে বাজে কথা বলে (গালিগালাজ করে)। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৮

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নযোগে বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি দেখানো হয়েছে। তার মধ্যে মিথ্যার এক ভয়াবহ শাস্তি দেখানো হয়েছে। যা নিচের হাদীসে বিবৃত হয়েছে। আর একথা সর্বস্বীকৃত যে, নবীদের স্বপ্নও ওহী হয়ে থাকে। তিনি ইরশাদ করেন-

إِنّهُ أَتَانِي اللّيْلَةَ آتِيَانِ، وَإِنّهُمَا ابْتَعَثَانِي، وَإِنّهُمَا قَالاَ لِي انْطَلِقْ، وَإِنِّي انْطَلَقْتُ مَعَهُمَا... فَأَتَيْنَا عَلَى رَجُلٍ مُسْتَلْقٍ لِقَفَاهُ، وَإِذَا آخَرُ قَائِمٌ عَلَيْهِ بِكَلّوبٍ مِنْ حَدِيدٍ، وَإِذَا هُوَ يَأْتِي أَحَدَ شِقّيْ وَجْهِهِ فَيُشَرْشِرُ شِدْقَهُ إِلَى قَفَاهُ، وَمَنْخِرَهُ إِلَى قَفَاهُ، وَعَيْنَهُ إِلَى قَفَاهُ... قالَ: ثُمّ يَتَحَوّلُ إِلَى الجَانِبِ الآخَرِ فَيَفْعَلُ بِهِ مِثْلَ مَا فَعَلَ بِالْجَانِبِ الأَوّلِ، فَمَا يَفْرُغُ مِنْ ذَلِكَ الجَانِبِ حَتّى يَصِحّ ذَلِكَ الجَانِبُ كَمَا كَانَ، ثُمّ يَعُودُ عَلَيْهِ فَيَفْعَلُ مِثْلَ مَا فَعَلَ المَرّةَ الأُولَى قَالَ: " قُلْتُ: سُبْحَانَ اللهِ مَا هَذَانِ؟... قَالاَ لِي: أَمَا إِنّا سَنُخْبِرُكَ... وَأَمّا الرّجُلُ الَّذِي أَتَيْتَ عَلَيْهِ، يُشَرْشَرُ شِدْقُهُ إِلَى قَفَاهُ، وَمَنْخِرُهُ إِلَى قَفَاهُ، وَعَيْنُهُ إِلَى قَفَاهُ، فَإِنّهُ الرّجُلُ يَغْدُو مِنْ بَيْتِهِ، فَيَكْذِبُ الكَذْبَةَ تَبْلُغُ الآفَاقَ.

আজ রাতে আমার কাছে দুজন আগন্তুক এসে আমাকে ঘুম থেকে উঠাল। তারা আমাকে তাদের সঙ্গে যেতে বলল। ...আমরা এক ব্যক্তির কাছে এলাম যে চিত হয়ে শোয়া ছিল। আরেক ব্যক্তি তার পাশে লোহার এক কাঁচি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। সে ঐ ব্যক্তির এক পাশে এসে তার চোয়াল ঘাড় পর্যন্ত ফেঁড়ে ফেলছে। নাক ও চোখ ঘাড় পর্যন্ত ফেঁড়ে ফেলছে। এরপর চোয়ালের অপর পাশে অনুরূপ করতে থাকে। এক পাশ ফাঁড়তে ফাঁড়তে অপর পাশ ঠিক হয়ে যায়। আবার অপর পাশ আগের মত ফাড়তে থাকে। ...রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করেন, এরা কারা? ...তারা বলল, আমরা আপনাকে এ সম্পর্কে জানাবো। ...যে ব্যক্তির কাছে আপনি গিয়েছিলেন, যার চোয়াল ঘাড় পর্যন্ত এবং নাক ও চোখ ঘাড় পর্যন্ত ফেড়ে ফেলা হচ্ছিল সেই ব্যক্তির অভ্যাস ছিল, ঘর থেকে বের হলেই মিথ্যা বলত। ফলে সে মিথ্যা দিগদিগন্তে ছড়িয়ে পড়ত।  (যে মিথ্যার আর প্রতিকার সম্ভব ছিল না।) -সহীহ বুখারী, হাদীস ৭০৪৭

উপরিউক্ত হাদীস থেকে মিথ্যার ভয়াবহতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। মিথ্যা কত বড় গুনাহ হলে এমন ভয়াবহ শাস্তি হতে পারে।

মিথ্যা বলা এতটাই জঘন্য অপরাধ যেদুষ্টুমি করে বললেও গুনাহ। হাদীস শরীফে এ ধরনের ব্যক্তির জন্য ধ্বংসের বদদুআ করা হয়েছে। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

ويلٌ للّذي يحدِّثُ فيَكذِبُ ليُضحِكَ بِه القومَ، ويلٌ لَه، ويلٌ لَهُ.

যে ব্যক্তি মানুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য মিথ্যা বলে, ধ্বংস তার জন্য, ধ্বংস তার জন্য। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৯৯০

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মিথ্যার যাবতীয় ব্যবহার থেকে রক্ষা করুন। 

দশ. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর প্রতি অভিশাপ

আত্মীয়তার সম্পর্ক এক গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইসলাম এ সম্পর্ক রক্ষা করার জোর তাকিদ করেছে। কেউ যদি এ সম্পর্ক রক্ষা না করে তার প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাতের কথা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

فَهَلْ عَسَیْتُمْ اِنْ تَوَلَّیْتُمْ اَنْ تُفْسِدُوْا فِی الْاَرْضِ وَ تُقَطِّعُوْۤا اَرْحَامَكُمْ، اُولٰٓىِٕكَ الَّذِیْنَ لَعَنَهُمُ اللهُ فَاَصَمَّهُمْ وَ اَعْمٰۤی اَبْصَارَهُمْ.

তোমরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে এরও সম্ভাবনা রয়েছে যে, তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করবে। ওরা তারাই, যাদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন এবং তাদেরকে বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন করেছেন। -সূরা মুহাম্মাদ (৪৭) : ২২-২৩

এ আয়াত থেকে জানা গেল, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা জঘন্য অপরাধ। যে কারণে মানুষ আল্লাহর অভিসম্পাতের উপযুক্ত হয়ে যায়।

হাদীস শরীফেও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন। তিনি ইরশাদ করেন-

خَلَقَ اللهُ الخَلْقَ، فَلَمّا فَرَغَ مِنْهُ قَامَتِ الرّحِمُ، فَأَخَذَتْ بِحَقْوِ الرّحْمَنِ، فَقَالَ لَهُ: مَهْ، قَالَتْ: هَذَا مَقَامُ العَائِذِ بِكَ مِنَ القَطِيعَةِ، قَالَ: أَلاَ تَرْضَيْنَ أَنْ أَصِلَ مَنْ وَصَلَكِ، وَأَقْطَعَ مَنْ قَطَعَكِ، قَالَتْ: بَلَى يَا رَبِّ، قَالَ: فَذَاكِ.

আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করলেন। যখন সৃষ্টির কাজ শেষ করেন, তখন রাহিম (আত্মীয়তার সম্পর্ক) দাঁড়িয়ে আল্লাহকে জড়িয়ে ধরল। আল্লাহ বললেন, থাম।

সে বলল, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা তথা এর থেকে বাঁচার জন্য আমার আশ্রয়ের জায়গা এটাই।

তিনি বললেন, তুমি কি চাও না, যে তোমার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করবে আমি তার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করব। যে তোমার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করবে না আমিও তার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করব না।

সে বলল, অবশ্যই হে আমার প্রতিপালক।

তিনি বললেন, ঠিক আছে।  -সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৮৩০

নবীজী আরও ইরশাদ করেন-

مَا مِنْ ذَنْبٍ أَحْرَى أَنْ يُعَجِّلَ اللهُ الْعُقُوبَةَ لِصَاحِبِهِ فِي الدُّنْيَا، مَعَ مَا يَدَّخِرُ لَهُ فِي الْآخِرَةِ، مِنَ الْبَغْيِ، وَقَطِيعَةِ الرّحِمِ.

কোনো গুনাহের কারণে যদি আখেরাতের শাস্তির পাশাপাশি দুনিয়াতেও শাস্তি ত্বরান্বিত হয় তবে যুলুম ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে বেশি উপযুক্ত অন্য কোনো গুনাহ নেই। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২০৩৯৮

এসব হাদীস থেকে বোঝা যায়, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। তা ছিন্ন করা মারাত্মক অন্যায়।

মনে রাখতে হবে, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার অর্থ হল, তাদেরকে কষ্ট দেওয়া। তাদের জরুরি হক আদায় না করা। বিপদাপদে তাদের পাশে না দাঁড়ানো। তাদের সঙ্গে কোনো শরঈ কারণ ছাড়া কথাবার্তা বন্ধ রাখা ইত্যাদি। তাদের প্রতি অনুগ্রহ ও দয়া করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। তবে এটা না করতে পারলে কবীরা গুনাহ হবে না এবং এক্ষেত্রে উপরিউক্ত কঠিন শাস্তি বা ধমক প্রযোজ্য নয়। (ফয়যুল কাদীর, আল্লামা মুনাবী, হাদীস ৮০২৮ দ্রষ্টব্য)

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মিথ্যা বলা ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে হেফাযত করুন।

اللّهُمَّ وَفِّقْنَا لِمَا تُحِبُّ وَتَرْضَى مِنَ الْقَوْلِ وَالْعَمَلِ، وَالنِّيّةِ وَالْهُدَى، إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ.

 

 

advertisement