মুহাররম ১৪২৮   ||   ফেব্রুয়ারি ২০০৭

একটি ভুল ধারণা
ইজতিমার দিনগুলোতে কি রোযা রাখা মুস্তাহাব?

কোনো কোনো অঞ্চলে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতিমার দিনগুলিতে মহিলাদেরকে রোযা রাখতে দেখা যায়। তাদের কারো কারো কথা থেকে অনুমিত হয় যে, তারা এই রোযা রাখাকে সেই দিনগুলোর বিশেষ করণীয় আমল মনে করে থাকে। যদি বাস্তবিকই তারা এমন ধারণা পোষণ করে তবে তা একটি ভুল ধারণা এবং তা পরিহার করা উচিত।

নফল রোযা যে কোনো দিন রাখা যায়। বছরের যে পাঁচদিন রোযা রাখা নিষেধ সেই দিনগুলি ছাড়া অন্য যে কোনো দিন রোযা রাখা যায় এবং তা অত্যন্ত ছওয়াবের কাজ। তবে মনে রাখতে হবে এটা সম্পূর্ণ ঐচ্ছিক ব্যাপার। নফল রোযার মধ্যে কেবল ওই সব রোযারই বিশেষ স্বাতন্ত্র্য রয়েছে যে রোযাগুলোর প্রতি বিশেষভাবে হাদীস শরীফে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে যথা, ৯ই যিলহজ্বের রোযা, আশুরার রোযা, আইয়ামে বীজের (যিলহজ্ব বাদে প্রতি চান্দ্রমাসের ১৩,১৪ ও ১৫ তারিখের) রোযা, শাবান ও আশহুরে হুরুম-এর রোযা ইত্যাদি।

যেসব দিনের রোযার ব্যাপারে কুরআন হাদীসে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়নি সে দিনগুলির রোযা সব এক ধরনের। সেই দিনগুলির মধ্যে যে কোনো দিন রোযা রাখা যায়। তবে সেই দিনগুলোর কোনোটির ব্যাপারে কোনো স্বাতন্ত্রের বিশ্বাস রাখা কিংবা বিনা দলীলে কোনো বিশেষ দিনের রোযাকে মুস্তাহাব বলা কোনোভাবেই ঠিক নয়।

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতিমা সাধারণ দাওয়াত ও ঈমানী চেতনার নবায়ন প্রসঙ্গে একটি দ্বীনী আলোচনার ইজতিমা। প্রত্যেক দ্বীনী ইজতিমার মত এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতপূর্ণ ইজতিমা। এই ইজতিমার তারিখ, স্থান ও কর্মপদ্ধতি সবই ব্যবস্থাপনাগত উপযোগিতার প্রতি লক্ষ রেখে চিন্তা-ভাবনা ও পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। তাহলে এ বিষয়টি খুবই স্পষ্ট যে, এই ইজতিমা অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনগুলিতে এ উপলক্ষে রোযা রাখা মুস্তাহাব হওয়ার প্রশ্নই উঠে না।

 

 

advertisement