মুহাররম ১৪৪৩   ||   আগস্ট ২০২১

আর বিলম্ব না করে মাদরাসাগুলোকে চলতে দিন

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি চলছে প্রায় দুই বছর থেকে। বাংলাদেশে ২০২০-এর মার্চ মাস থেকে এ মহামারিকে উপলক্ষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে আছে। বিভিন্ন পরীক্ষা হয়নি। কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগুলোও হয়নি। পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ‘অটো পাশ’ দিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে গত শিক্ষাবর্ষে সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললেও মাদরাসাগুলো খোলা রাখার ব্যাপারে সরকার ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিল এবং পুরো দেশে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কওমী মাদরাসায় শিক্ষাবর্ষের শেষ মাস শাবানের আগ পর্যন্ত সুচারুরূপে লেখাপড়া হয়েছে। কিন্তু এরপর কোনো অজানা কারণে কওমী মাদরাসাগুলোকেও সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পর্যায়ে নিয়ে এসে তাদের শিক্ষাদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে হওয়া বিক্ষোভের জের ধরে আলেম-উলামাদের ব্যাপকভাবে ধরপাকড় করা হয়েছে। হেফাযত এবং হেফাযতের বাইরেও বহু আলেমকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলেম-উলামার ধরপাকড় আর কওমী মাদরাসা শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা- দুটো একই সূত্রে গাঁথা, এমন ইঙ্গিতও করছেন অনেকে। ঘটনা যাই হোক, নতুন শিক্ষাবর্ষের দুই-তিনটি মাস পার হয়ে গেলেও কওমী মাদরাসাগুলো তাদের শিক্ষাদান কার্যক্রম এখন পর্যন্ত আরম্ভ করতে পারেনি।

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড এটা যত স্বীকৃত কথাই হোক, শিক্ষার ক্ষেত্রে এদেশে আমরা বিগত দু’বছর ভিন্ন কিছুই লক্ষ করলাম। বলতে গেলে, অল্প কিছু দিনের কঠোর লকডাউনের সময় বাদ দিলে বাকি সময়টাতে শিক্ষা ছাড়া সবকিছুই এদেশে চালু ছিল। ব্যবসা, খেলাধুলা, বিনোদন, পর্যটন, কল-কারখানা, অফিস-আদালত (মাঝে অল্প দিনের বিরতি ছাড়া) সবকিছু প্রায় স্বাভাবিকভাবেই চলেছে। কিন্তু যেটা খুবই উপেক্ষিত থেকে গেছে তা হল শিক্ষা।

প্রায় দেড় বছর থেকে এ দেশের দুটি মন্ত্রণালয়কে শুধু ‘না’ এবং ‘বন্ধ’ এগুলোই বলতে শোনা গেছে। একটি হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আর অন্যটি ধর্ম মন্ত্রণালয়। শিক্ষা বা ধর্মের ক্ষেত্রে কী কী করণীয় তা না বলে বরং বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিতেই ব্যস্ত থেকেছে এ দুটি মন্ত্রণালয়। এখন তো শিক্ষামন্ত্রীর রুটিন দায়িত্ব হল, ক’দিন পর পর সংবাদ সম্মেলনে এসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ বর্ধিত করার ঘোষণা দেওয়া।

আজ অবশ্য আমরা সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে কথা বলব না। এর জন্য তো দেশে শিক্ষাবিদ-বুদ্ধিজীবী এবং সাধারণ শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বের অভাব নেই। তারাই বুঝবেন যে, নীরবে একটি জাতি কীভাবে মূর্খতার দিকে ক্রমে অগ্রসর হচ্ছে...। ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশ আমাদের চেয়ে অনেক ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির শিকার ছিল। তারাও একটা পর্যায়ে স্কুলগুলো খুলে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে সেই যে মার্চ ২০২০-এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে, এরপর আর খোলার নাম-গন্ধ নেই।

আমাদের দেশের মফস্বল এলাকাগুলোর দিকে যদি তাকাই; সেখানে কোভিড-পূর্ব পরিস্থিতি আর বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে কি? জীবনযাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন আছে কি? উত্তর নিশ্চয়ই না-বাচক। রাজধানীর চিত্র যদিও ভিন্ন। এখানকার পরিস্থিতি মিশ্র। কিন্তু মফস্বলে, যেখানে জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক, সেখানেও কচিকাঁচাদের পড়াশোনার জন্য স্কুল খুলে দেয়ার চিন্তা করা হয়নি। এ বিষয়ে আমরা বেশি কিছু বলতে চাই না। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা আছেন। তারাই ভাবুন।

আজ আমরা যা বলতে চাই তা হল, দেশের দ্বীনী শিক্ষাকেন্দ্রগুলো আর কোনো ক্রমেই বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। দ্বীনী শিক্ষাকেন্দ্রগুলো একাধারে আল্লাহ তাআলার কালাম পড়ার কেন্দ্র এবং নীতি-নৈতিকতা ও স্বভাব-চরিত্র শুদ্ধিকরণের কেন্দ্র। মানুষের মধ্যে সত্যিকারের মানবিক গুণাবলি সৃষ্টির কেন্দ্র। সর্বোপরি এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাত-দিন আল্লাহর  কালাম পড়ার কারণে এগুলো দেশ ও জাতির উপর আল্লাহ তাআলার রহমত নাযিল হওয়ারও মাধ্যম বটে। কেউ কি বলতে পারেন, আল্লাহ তাআলা কীসের কল্যাণে, কীসের বিনিময়ে বারবার আমাদের রক্ষা করছেন? যেখানে দেড়শ-দু’শ বা কয়েক হাজার মুত্যু দেখলেই আমরা হাউমাউ করতে থাকি। মন্ত্রীরা বলেন, লাশের পাহাড় জমে যাবে। চিকিৎসা দেয়ার মতো আয়োজন নেই। আমাদের অগ্রিম কোনো ব্যবস্থা নেই... (অর্থাৎ যত বড় কথাই বলি, স্বাস্থ্যখাতে আমাদের সামর্থ্য সীমিত ও অপ্রতুল) সেখানে আল্লাহর রহমতের উপর ভরসা করা ছাড়া আমাদের আছেই-বা কী?

দ্বীনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যেহেতু রাত-দিন শুধু আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী এবং সেগুলোর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের চর্চা হয়ে থাকে তাই নিঃসন্দেহে এগুলো আল্লাহ তাআলার মেহেরবানী ও রহমত লাভের কেন্দ্র।

মোটকথা, দ্বীনী শিক্ষাকেন্দ্রগুলো শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, শিক্ষার বাইরেও এর অতিরিক্ত মাত্রা রয়েছে। সুতরাং সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে নিক, কিন্তু সামনে ঈদুল আযহার পরপরই সকল দ্বীনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাব।

আরেকটি কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই। তা হচ্ছে, মাদরাসাগুলো খোলা রাখতে দেওয়ার বিষয়ে সরকারের নীতি পরিবর্তন করে মাদরাসাগুলোকে সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো বন্ধ রাখার পেছনে অনেকে রাজনৈতিক কারণ খুঁজছেন। কানাঘুষা হচ্ছে, হয়তো আন্দোলনের ভয়ে এগুলো খোলা হচ্ছে না। আমরা জানি না, এ কথাগুলো কতটুকু সঠিক। তবে আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, কওমী মাদরাসার ইতিহাস তো প্রায় দেড় শতাব্দীর। ভারত-পাক উপমহাদেশে অসংখ্য কওমী মাদরাসা যুগ যুগ থেকে চলে আসছে। একেবারে সূচনালগ্নে ভারতের আযাদী আন্দোলনে কওমী মাদরাসার ছিল জোরালো ও অগ্রণী ভূমিকা। এছাড়া দেশে দেশে ইসলাম-বিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আলেম-উলামা এবং দ্বীনদার শ্রেণির লোকেরা বিভিন্ন সময় জেগে উঠেছে। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান ও বাংলাদেশে কওমী মাদরাসাগুলো থেকে কখনো আন্দোলন করে কোনো সরকারকে নামানো হয়েছে বা নামানোর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে- এটা কি কেউ দেখাতে পারবেন ইতিহাস থেকে?

তাছাড়া কওমী মাদরাসাগুলোর শিক্ষাকাঠামো ও অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম এমনভাবে সাজানো যে, এখানে ছাত্রদের হাতে অফুরন্ত সময় থাকে না। এখানে শিক্ষাকালীন পূর্ণ সময় আবাসিক থেকে লেখাপড়া করতে হয়। বাইরে গিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলন-বিপ্লব করে বড় কিছু ঘটিয়ে ফেলার মতো অবস্থানে তারা থাকে না। এজন্য কারো কারো যেমনটা সন্দেহ বা কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে যে, আন্দোলনের ভয়ে মাদরাসাগুলো খোলা হচ্ছে না- আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, মাদরাসা খুলে দিলে নির্ধারিত কার্যক্রমই চালানো হবে। কারো ক্ষমতার পথে কওমী মাদরাসাগুলো প্রতিবন্ধক হবে, এমন ভাবার অবকাশ আছে বলে মনে হয় না।

সুতরাং আমরা আবারো সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষত দ্বীনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অবিলম্বে খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি এবং সাথে সাথে গ্রেফতারকৃত বা নিখোঁজ আলেম-উলামাদের জামিনে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ করছি। এদেশের নেতৃস্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, আমলা, গণমাধ্যমকর্মী ও অন্যান্য পর্যায়ের বড় বড় নেতাদের কত জনের নামেই তো কত কিছু শোনা যায়। ক্ষমতায় না থাকলে অনেকের নামে মামলা-মোকদ্দমাও হয়। এখন বিভিন্ন অভিযোগে যে আলেমদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের কারো যদি বাস্তবেই কোনো দোষ-ত্রুটি থাকে, তবে তা তদন্ত করে বিচারের  আওতায় আনা যেতে পারে। কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য এভাবে আলেম-উলামাদের বন্দি করে রাখা কোনোক্রমেই যুক্তিযুক্ত হতে পারে না।

সরকার যাই ভাবুক, চূড়ান্ত বিচারে যে এটি তার ইমেজ মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই সকল বন্দি বা নিখোঁজ আলেমদের ছেড়ে দেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। হ

 

সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড 

মানুষ হিসেবে প্রাণের মূল্য সমান

রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় গত ১০ জুলাই যে বিশাল অগ্নিকাণ্ড ঘটে গেল তা যেমন হৃদয়বিদারক, তেমনি জাতির জন্য প্রশ্নবোধকও বটে। এমন ভয়াবহ ঘটনার পরও নের্তৃস্থানীয় পর্যায়ে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। অথচ এর চেয়ে কম প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনাতেও এ দেশের গণমাধ্যমগুলোতে রীতিমত শোক পড়ে যায়। লকডাউন কি তবে আমাদের অনুভূতিকেও তালাবদ্ধ করে দিয়েছে? আমাদের বলার ভাষাকেও স্তব্ধ করে দিয়েছে?

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সেদিনের দুর্ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সমসংখ্যক মানুষ আহত  হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সবচে মর্মান্তিক হল, আগুন ছড়িয়ে পড়ার পরও কারখানাটির গেট ও সিঁড়িগুলোর দরজা খুলে দেওয়া হয়নি। কারখানাটিতে দাহ্য পদার্থ থাকায় অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ রূপ নেয়। কয়েকজন শ্রমিক আগুন থেকে রক্ষা পেতে ছাদ থেকে লাফিয়ে নিচে নামতে গিয়ে মারা যান!

আইন অনুযায়ী এ ধরনের কারখানায় নিজস্ব শক্তিশালী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকার কথা। সেজান জুস কারখানায় তা রাখা হয়নি। তাছাড়া এত বড় একটি দুর্ঘটনার পর ক্ষমতাবান, মানবাধিকারকর্মী ও গণমাধ্যমের যেভাবে এগিয়ে আসার কথা ছিল, সেটাও দেখা যায়নি। মিডিয়ার নীরবতাও এই নির্লিপ্ততার বড় কারণ। কয়েক বছর আগে একটি বেসরকারি  বিমান কাঠমান্ডুতে দুর্ঘটনার শিকার হলে সেটা নিয়ে মিডিয়ার সে সময়ের মাতমের কথা নিশ্চয়ই অনেকের মনে থাকবে।

কিন্তু সবময়ই যেটা দেখা যায়, ট্রেন, লঞ্চ ও বাস-দুর্ঘটনার শিকার হয়ে যেসব সাধারণ মানুষ প্রাণ হারান কিংবা কলকারখানাগুলোতে কাজ করতে গিয়ে যেসব শ্রমিক মারা যান, তাদের বেলায় মিডিয়া ততটা সরব হয় না, যতটা কি না দেশের বিত্তবান শ্রেণির লোকদের ক্ষয়ক্ষতির বেলায় তাদেরকে হতে দেখা যায়। এর কারণ কি তাহলে এই যে, এদের জীবনের মূল্য ওদের চেয়ে কম?

এদেশের কারখানাগুলোতে আজও শ্রমিকদের নিরাপত্তার যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে না। দুর্ঘটনাকালে দ্রুত স্থান ত্যাগের জন্য বিকল্প সিঁড়ির ব্যবস্থা নেই। আলোচিত কারখানাটিতেও পর্যাপ্ত জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থা ছিল না। এসবকিছু প্রমাণ করে, আমরা কেবল মাথাপিছু টাকা হিসেবেই উন্নত রাষ্ট্র(?) হওয়ার দাবি করছি। উন্নতির শর্ত ও বৈশিষ্ট্য অর্জন থেকে রয়ে গেছি যোজন যোজন দূরে।

সেজান কোনো ছোটোখাটো প্রতিষ্ঠান নয়। দাপ্তরিক ক্ষতিপূরণ তো পরে, প্রাথমিকভাবে সান্ত¡নামূলক অন্তত কয়েক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে দিয়ে দেওয়া উচিত ছিল মালিক পক্ষের।

আমাদের জানা নেই, সেজান বাংলা কি সেজান পাকিস্তানেরই অঙ্গ প্রতিষ্ঠান, নাকি স্বতন্ত্র। সেজান পাকিস্তান কাদিয়ানী গোষ্ঠীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সেদেশের মানুষ তাদের বর্জন করেছে। জানি না, এদেশের সেজানের মালিকানা কাদের হাতে।

সবশেষে বলব, বিত্তবান কিংবা সাধারণ জনতা- মানুষ হিসেবে সকলেরই প্রাণের মূল্য সমান। সুতরাং মানুষ হিসেবেই মানুষের পাশে থাকুন। আর দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর তদন্ত কমিটি করে দায়িত্ব এড়ানোর  চেয়ে দুর্ঘটনা যেন কম ঘটে- সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের মনোযোগী হওয়া উচিত। প্রত্যেক শিল্প-এলাকায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের বিষয়টিও নিশ্চিত করা দরকার।

 

 

advertisement