যিলহজ্ব ১৪৪১   ||   আগস্ট ২০২০

ফিরে আসার গল্প
আমি অনুভব করতে পারছিলাম, কোনো এক ভয়ঙ্কর জালে আমি ফেঁসে গিয়েছি

আবদুল্লাহ রিনোল, আলবেনিয়া

আমার নাম আবদুল্লাহ রিনোল (Rinol)আমি আলবেনিয়ার অধিবাসী। বর্তমানে বেলজিয়ামে পড়াশোনা করছি। অন্য অনেকের মতো আমিও কাদিয়ানী ধর্মের দাজ্জালি জালে ফেঁসে গিয়েছিলাম। আসলে এ অঞ্চলে খুব কম মানুষই কাদিয়ানী ধর্মমতের মিথ্যা হওয়া সম্পর্কে জানে। কারণ, পূর্ব ইউরোপে বসবাসরত মুসলমানরা কমিউনিস্ট শাসনামলে ধর্মীয় স্বাধীনতা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত ছিল। দ্বীনী শিক্ষা অর্জন করা তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। ফলে নিজেদের জ্ঞানস্বল্পতার দরুন তারা কাদিয়ানীদের সহজ শিকারে পরিণত হয়। এটা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমি আসলে পূর্ব ইউরোপের বাসিন্দা হওয়ার কারণে কাদিয়ানী ধর্মমতের মিথ্যা হওয়া সম্পর্কে জানতাম না। বিধায় আমি  এদের জালে ফেঁসে গিয়েছিলাম।

২০০০ সনে জনৈক কাদিয়ানী এই ফেতনাকে ইসলামের মধ্যকার একটি দল উল্লেখ করে আমাকে এর সঙ্গে পরিচিত করায়। ঐ কাদিয়ানী ছাত্র আমাকে জানায় যে, ‘কাদিয়ানী মিশন হাউসেকাদিয়ানী মতবাদ বিষয়ে আলবেনীয় ভাষার বিভিন্ন বই-পুস্তক রয়েছে। যেহেতু আমি বেলজিয়ামে থাকার কারণে দীর্ঘদিন নিজ মাতৃভাষায় কোনো বই-পত্র পড়িনি, তাই অনেকটা মাতৃভাষা পাঠের সুযোগ লাভের সহজাত আকর্ষণে আলবেনীয় ভাষায় লিখিত কাদিয়ানী লিটারেচারের প্রতি আগ্রহী হই।

মূলত এই কৌশলে যুবকদেরকে কাদিয়ানী ডাক্তারদের সঙ্গে সম্পর্ক করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। আর ঐ ডাক্তারদের পূর্ব ইউরোপের মুসলিম যুবকশ্রেণির ধর্মীয় অবস্থা সম্পর্কে ভালো জানাশোনা আছে। বিধায় সেখানকার যুবসমাজের মগজ ধোলাইয়ের বিশেষ দক্ষতা তাদের থাকে। 

এখানে আমি একটি কথা বলে রাখি যে, কাদিয়ানি মিশনের লোকেরা তাদের সমস্ত দক্ষতা-কৌশল সত্তে¡ও পশ্চিম ইউরোপে বসবাসরত পূর্ব ইউরোপের মুসলমানদের মধ্যে নিজেদের ধর্ম প্রচারে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। শুরুর দিকে কাদিয়ানী ধর্মমতকে ইসলামী মতাদর্শ মনে করে গ্রহণকারী মুসলমানরাও এর ভিন্নতা এবং বাতিল হওয়া সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর তা বর্জন করত। এমনকি আমিও মাত্র পাঁচ মাস এতে অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।

আমাকে কীভাবে ফাঁসানো হয়েছে- এটা বলার পূর্বে আমি অবশ্যই একথা বলতে চাই যে, এ জাল থেকে আমি কীভাবে নিষ্কৃতি পেয়েছি। আমি অনুভব করতে পারছিলাম যে, কোনো এক ভয়ংকর ধরনের জালে আমি ফেঁসে গিয়েছি। ক্রমে কাদিয়ানিয়াতের পরিভাষাগুলোর সঙ্গে পরিচিত হলে এবং এ মতবাদ সম্পর্কে জানাশোনার পরিধি বৃদ্ধি পেলে আমার নিকট স্পষ্ট হতে থাকে যে, কিছু একটা গোলমাল আছে।

না আমি কাদিয়ানীদের অভ্যন্তরে তাদের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুর পরপর সংঘটিত বিভক্তি সম্পর্কে কিছু জানতাম, না এটা জানতাম যে, কাদিয়ানীরা মুসলমানদের চিরশত্রু ইহুদীদের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক রাখে। আমি পরে জেনেছি যে, কাদিয়ানীদের নিকট ইহুদীরা অ-কাদিয়ানী (তাদের ভাষায় অ-আহমদী) মুসলমানের চেয়ে উত্তম লোক। পক্ষান্তরে তারা অ-কাদিয়ানী মুসলমানদেরকে কাফের বলে। কাদিয়ানীদের মতে একজন অ-কাদিয়ানী মুসলিমের পিছনে নামাযও আদায় করা যাবে না।

আমার একথা বুঝে আসত না যে, হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে হত্যাকারী (খ্রিস্টানদের আকীদামতে) এবং আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধকারী ইহুদীরা মুসলমান বলে দাবিদার কোনো দলের নিকট প্রিয় কীভাবে হতে পারে? বিশেষত যেখানে আল্লাহ তাআলা কুরআনে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, ইহুদীরা ইসলামের দুশমন।

কাদিয়ানী বইপত্র অধ্যয়ন করে এটাও আমি জানতে পারি যে, ইংরেজদের সঙ্গে কাদিয়ানীদের সবসময় খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। কাদিয়ানী ধর্মমতের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মির্যা গোলাম আহমদের পুত্র তার গ্রন্থ দাওয়াতুল আমীরেএ কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, তার পিতা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইংরেজদের বিজয়ের পক্ষে দুআ করেছিল। ১  

ইংরেজরা ভারত উপমহাদেশে ঔপনিবেশিকরূপে অনুপ্রবেশ করেছিল। সেই হিসেবে স্বদেশকে উপনিবেশের টার্গেট বানানোর অপরাধে ইংরেজদের পরাজয়ের জন্য দুআ করা অধিক যুক্তিসঙ্গত কথা ছিল। কিন্তু মির্যা কাদিয়ানীর এর বিপরীত কর্মপন্থার মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে, বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ এবং কাদিয়ানীদের মধ্যে পারস্পরিক মৈত্রী ছিল।

পরবর্তীতে আমার Ahmadia Movement : British-Jewish Connections (By Bashir Ahmad) নামক বইটি পড়ার সুযোগ হয়। যার লেখক অকাট্য দলীল-প্রমাণের মাধ্যমে সাব্যস্ত করেছেন যে, কাদিয়ানী সম্প্রদায় প্রকৃতপক্ষে ইংরেজদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি গোষ্ঠী এবং ইহুদীদের সঙ্গে এদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এসব তথ্য কাদিয়ানী মতাদর্শকে একটি ইসলামী দল বিশ্বাস করার বিভ্রান্তিকর অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে আমাকে অনেক সাহায্য করে।

কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলার ইরশাদ-

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوا الْیَهُوْدَ وَ النَّصٰرٰۤی اَوْلِیَآءَ، بَعْضُهُمْ اَوْلِیَآءُ بَعْضٍ،  وَ مَنْ یَّتَوَلَّهُمْ مِّنْكُمْ فَاِنَّهٗ مِنْهُمْ،   اِنَّ اللهَ لَا یَهْدِی الْقَوْمَ الظّٰلِمِیْنَ.

হে মুমিনগণ! ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা নিজেরাই একে অন্যের বন্ধু! তোমাদের মধ্যে যে তাদেরকে বন্ধু বানাবে, সে তাদেরই মধ্যে গণ্য হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ জালিমদেরকে হিদায়াত দান করেন না। -সূরা মায়েদা (৫) : ৫১

কাদিয়ানী হওয়ার ছমাস আগে আমি একটি পরিষ্কার স্বপ্ন দেখি। এ স্বপ্নে আমি নবী কারীম হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যিয়ারত লাভ করি। কারো বলা ছাড়াই আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, তিনি ইসলামের পয়গম্বর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই। আমি নিজেকে বড় সৌভাগ্যবান অনুভব করছিলাম। আমি প্রায় নিশ্চিত ছিলাম যে, আমাকে কোনো সুসংবাদ প্রদান করা হবে। ইতিপূর্বে আমি এমন পরিষ্কার স্বপ্ন দেখিনি। আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুটা লম্বা ও সুরমা রঙের ন্যায় সুন্দর একখানি সাদা পোশাক পরিহিত ছিলেন। তাঁর লম্বা চুল ও নূরানি চেহারা বড় মায়াময় ছিল। তিনি আমার মাতৃভাষা আলবেনিতে আমাকে সুসংবাদ প্রদান করেন। এর জন্য নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গারথ(Garth) শব্দ ব্যবহার করেন। আমি ইতিপূর্বে এ শব্দ কখনো শুনিনি। ঘুম থেকে জেগে আমি আমার আঙ্কেলকে যিনি তার কাজে যাচ্ছিলেন, (Garth)  শব্দটির অর্থ জিজ্ঞেস করি। তিনি জানান, শব্দটি গৃহপালিত মেষ ও অন্যান্য পশুর চারণভূমি সংলগ্ন স্থাপিত সীমানা। আমার বড় ভাইও এশব্দের একই অর্থ বলেন। তিনি অতিরিক্ত এটাও বলেন যে, এর অর্থের মধ্যে সংরক্ষণের মর্মও রয়েছে।

কাদিয়ানিয়াতে দীক্ষিত হওয়ার সময় স্বপ্নটি আমার মনে ছিল না। পরে যখন আমি এ বিষয়ে মিশনের প্রধান এবং বক্তাকে জানালাম, তখন তিনি বারবার একথা বললেন যে, আমি মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী অথবা তার চার খলীফার কোনো একজনকে দেখেছি। আমি বললাম, আমি পুরোপুরি নিশ্চিত যে, তিনি হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন। আমি যখন এ স্বপ্ন দেখি, তার কিছু পূর্বে আমি আমার সহপাঠির প্ররোচনায় অনেকটা কাদিয়ানী হয়ে গিয়েছিলাম। সে হযরত ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের বিষয়ে আমার অন্তরে কিছু সন্দেহ-সংশয়ও ঢেলে দিয়েছিল।

যখন আমি তাকে এ স্বপ্নের কারণে কাদিয়ানী মতাদর্শের ব্যাপারে আমার সন্দেহ-সংশয়ের কথা জানালাম, তাকে বললাম যে, আমার সন্দেহের মূল কারণ আমার স্বপ্ন। তখন সে আমাকে লিখল, আসলে ঐ স্বপ্ন তোমার জন্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে কাদিয়ানী মতাদর্শের প্রতি পথ প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ছিল। অর্থাৎ, স্বপ্নটি আল্লাহ তাআলা তোমাকে এজন্য দেখিয়েছেন, যাতে তুমি কাদিয়ানিয়াতকে গ্রহণ কর। এখন যদি তুমি এটা মনে কর যে, এ স্বপ্নের এ ব্যাখ্যা সঠিক ছিল না, তাহলে তোমার উচিত আমার পরিবর্তে আল্লাহ তাআলাকে (নাউযুবিল্লাহ) দোষারোপ করা।

আমি কাদিয়ানী ছাত্রের উল্লিখিত পত্রের জবাবে লিখলাম যে, নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা আমাকে এ স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আর হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নে দেখা অনেক বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। একথা সত্য যে, আমি ইতিপূর্বে ইসলাম থেকে বিচ্যুত হয়েছিলাম। কিন্তু সেটা নিঃসন্দেহে সাময়িক ছিল। আর এ সাময়িক বিচ্যুতির মধ্য দিয়ে আমি কাদিয়ানী মতবাদের আসল চেহারা দেখতে পেয়েছিআমি জেনে গেছি যে, কাদিয়ানিয়াত সম্পূর্ণ ভ্রান্ত মতবাদ। আসলে এটা আমার তাকদীরে ছিল যে, আমি তোমাদের দলে শামিল হব। আর তারপর নিশ্চিতরূপে জানতে পারব যে, কাদিয়ানিয়াত সম্পূর্ণ মিথ্যা।

মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ইসলামী উসূল কি ফালাসিফী’ (ইসলামের মৌলনীতির দর্শন) নামে একটি বই রচনা করেছিল। যখন আমি কাদিয়ানী মুবাল্লিগদের কাছে কাদিয়ানী ধর্মপ্রবর্তকের লিখিত কিছু বই পড়ার আবেদন করি, তখন শুরা প্রধান এ বইটি আমাকে পড়তে দেয়। আল্লাহর রহমতে এ ছোট্ট বইটিই ইসলামের মূলনীতিকে বিকৃত করে উপস্থাপনকারী মিথ্যুকের বিরুদ্ধে প্রমাণরূপে যথেষ্ট ছিল।

এ বইয়ের ইংরেজি অনুবাদে সূরা তাকাসুরের আট আয়াত রয়েছে। মির্যা গোলাম আহমদ ইচ্ছাকৃতভাবে তার নিজস্ব ব্যাখ্যার সমর্থন টানতে কুরআনের আয়াতের ভুল অর্থ করেছেন। বরং শেষাংশে তিনি তোমরা নিজ আমলের মাধ্যমে জাহান্নামকে জেনে যাবে- কথাটি অতিরিক্ত যোগ করেছেন।২   এধরনের কাজ ভয়াবহ পর্যায়ের অপরাধ। কুরআনে পাকের মধ্যে বিকৃতি সাধনের অপকর্ম কোনো কুচক্রী জালেমের পক্ষেই সম্ভব।

যাইহোক, এসকল কারণে আমার নিকট প্রমাণিত হয়ে যায় যে, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী একজন দাজ্জাল (মহাপ্রতারক) ছিল। আর তার দল ইসলামের দুশমন। এভাবেই আমি কাদিয়ানিয়াতের কবল থেকে বের হয়ে আসি।

১. মির্যাপুত্র বশিরুদ্দীন মাহমুদের রচনা সমগ্র আনওয়ারুল উলূমের সপ্তম খণ্ডের ৫৫৬ নং পৃষ্ঠায় দাওয়াতুল আমীর গ্রন্থে লেখা হয়েছে-

اللہ تعالی نے مسیح موعود کی دعاؤں کےطفیل برطانیہ کو اس خطرناک مصیبت سے نجات دی۔

অর্থ : আল্লাহ তাআলা মাসীহে মাওউদ (মির্যা কাদিয়ানী) -এর দোআর উসিলায় বৃটেনকে এ মারাত্মক বিপদ (প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরাজয়) থেকে উদ্ধার করেছেন।

অবশ্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর ছয় বছর পূর্বেই মির্যা কাদিয়ানী পৃথিবী ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন! কারণ, তার মৃত্যু হয় ১৯০৮ সালে। আর বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ১৯১৪ সালে। তার মানে বশীরুদ্দীন মাহমুদ সাহেব বলতে চাচ্ছেন, তার পিতা মির্যা কাদিয়ানী হয়ত কবরে শুয়ে শুয়েই দুআ করে দিয়েছে (!) অথবা তার পুরনো দুআর ভাণ্ডারের মাধ্যমেই ইংরেজ সরকারের বিপদ উদ্ধার হয়ে গেছে! যত যা-ই হোক, নিজেদেরকে সাম্রাজ্যবাদের রোপিত চারা দাবি করে প্রভুদের এটুকু সেবাও যদি করা না যায়, তবে কি আর নিমক হালাল হয়! -অনুবাদক। 

২. বইটির উর্দু সংস্করণের এ স্থানে লেখা হয়েছে-

اگر تمہیں یقینی علم حاصل ہو تو تم دوزخ کو اسی دنیا میں دیکھ لوگے

যদি তোমাদের ইয়াকীনী তথা নিশ্চিত জ্ঞান হাসিল হয়, তাহলে তোমরা দোযখকে এ দুনিয়াতেই দেখতে পাবে। বলাবাহুল্য, এটা আয়াতের বিকৃত অর্থ। যা কাদিয়ানী নিজে থেকে আবিষ্কার করেছে। দেখুন, ইসলামী উসূল কি ফালাসিফী-৬১, রূহানী খাযায়েন ১০/৪৯২.

ভাষান্তর : মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম

 

 

advertisement