মুহাররম ১৪২৯   ||   জানুয়ারি ২০০৮

পাঠক সমাজ উপকৃত হবে

শায়খুল হাদীস আল্লামা যাকারিয়া রহ. ইলমী মহলে একটি সুপরিচিত নাম। তাঁর রচনা ফাযায়েলে আমাল এবং ফাযায়েলে সাদাকাত পাঠক সমাজে সমাদৃত। বিশ্ব-বরেণ্য উলামায়ে কেরাম স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রকাশলগ্ন থেকেই। পবিত্র কুরআন, কুতুবুস সিত্তাহসহ আশিটিরও বেশি কিতাব হতে সংকলিত এদুটি কিতাব পৃথিবীর বহু ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, কিতাব দুটি বঙ্গানুবাদের ক্ষেত্রে অনেক শিথিলতা পরিলক্ষিত হয়। অনেক প্রকাশনা সংস্থা কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় মূল কিতাবের কিছু কিছু অংশ বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ফলশ্রুতিতে সাধারণ পাঠক এগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে অনেক সময় ব্যর্থ হয়। কোনো কোনো লোক এটাকে ভুল ধারণার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারও করছে। অনেকে যয়ীফ সনদের হাদীসকে পুঁজি করে সমালোচনাও চালিয়ে যাচ্ছে।

আমার আরজ, মুহতারাম উস্তায মাওলানা আব্দুল মালেক ছাহেব দা. বা. যদি সময় পান তাহলে এ কিতাব দুটি সম্পর্কে গবেষণামূলক কিছু লিখবেন মাসিক আলকাউসারে। হাদীসগুলোকে চিহ্নিত করে উলূমুল হাদীসের আলোকে এর গ্রহণযোগ্যতা উল্লেখ করবেন। কিতাব দুটিতে অনেক ঘটনাবলি, বুযুর্গানে দ্বীনের কাহিনী সংকলিত হয়েছে। এগুলোর মাখায এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কিছু লিখলেও পাঠকসমাজ উপকৃত হবে বলে আমার মনে হয়।

আহলে সাআদাত হকের পক্ষেই থাকবে এটাই আল্লাহর ফায়সালা। আল্লাহ তাআলা মারকাযুদ দাওয়াহ এবং মাসিক আরকাউসার সংশ্লিষ্ট সকলকে জাযায়ে খায়ের দান করুন। আমীন।

-হায়াত আল ফিরদাউস

লালমনিরহাট-৫৫০১

 

 

advertisement