রজব ১৪৪১   ||   মার্চ ২০২০

১৪ জুমাদালা আখিরাহ ১৪৪১ হিজরী, ০৯-০২-২০২০ ঈ. রবিবার

আজ সকালে তাশরীফ আনেন দারুল উলূম দেওবন্দের প্রবীণ উস্তায, মুহাক্কিক আলেমেদ্বীন হযরত মাওলানা হাবীবুর রহমান আযমী দামাত বারাকাতুহুম। সকাল ১০টায় তিনি মারকাযে পৌঁছেন। হালকা নাশতার পর আমীনুত তালীম হুযূর হযরতকে বিশ্রামের জন্য বলেন। হযরত যোহর পর্যন্ত বিশ্রাম করেন।

আমীনুত তালীম হুযূর বলেন, সফরে মুরব্বী মেহমানদের বেশ তাকলীফ হয়।  মানুষ এসরার (পীড়াপীড়ি) করে অনেক প্রোগ্রাম নিয়ে নেয়, ব্যবস্থাপকরাও অনুমতি দিয়ে দেন। আবার একেক প্রোগ্রামে অনেকগুলো করে মজলিস থাকে। এ কারণে মেহমানগণ বিশ্রামের তেমন একটা সুযোগ পান না। সামনে থেকে মেহমানদেরকে মারকাযে আসার তাকলীফ দিলে তা হবে শুধু বিশ্রামের জন্য।

বাদ যোহর দুপুরের দরস্তরখান শেষে তালেবে ইলমদের উদ্দেশে হযরত গুরুত্বপূর্ণ নসীহত পেশ করেন। তিনি তালেবে ইলমদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন-

আপনারা কি ভেবেছেন, আমি উলূমুল হাদীস বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করব! আপনাদের এখানেই তো বড় বড় মুহাদ্দিসীন মওজুদ আছেন। তাদের কাছ থেকেই আপনারা ফয়েয হাসিল করুন।

আমি তো ¯্রফে এক দরদ আর ব্যাথা নিয়ে ফিরছি। আমার দিলে সবসময় এটাই থাকে- যেখানেই যাই যে মাদরাসায়ই যাই, তালেবে ইলমদের সাথে কথা বলার মওকা পেলে সে দরদ আর ব্যথার কথাই বলি- তালেবে ইলম ভাইয়েরা নিজের মধ্যে তলবে ইলমের যে কাইফিয়াত থাকা দরকার সেটা কেন সৃষ্টি হচ্ছে না- এটা নিয়ে ভাবুন। আমাদের  দিলে আজ ইলমের আহাম্মিয়ত কমে গেছে। তালেবে ইলম ভাইয়েরা, প্রথমেই নিজেদের মধ্যে ইলমের আযমত ও আহাম্মিয়ত পয়দা করুন। আসাতেযায়ে কেরামেরও উচিত প্রাথমিক স্তর থেকেই তালেবে ইলমদের সামনে ইলমে নবুওতের আযমত ও আহাম্মিয়ত বারবার বয়ান করা। তালেবে ইলম যখন ইলমের আযমত- আহাম্মিয়ত উপলব্ধি করতে পারবে তখন সে ইলমের জন্য সব ধরনের কষ্ট, মেহনত-মোজাহাদা করতে প্রস্তুত থাকবে।

তালেবে ইলমদের সাথে কথা বলার সুযোগ পেলে আমি কেবলমাত্র এ কথাটাই বলি।

হযরত তালেবে ইলমদেরকে তাহাজ্জুদ নামাযের প্রতি বিশেষভাবে তাকীদ দেন।

বয়ান শেষে হযরত উপস্থিত আসাতিযা ও তালাবাকে হাদীসের ইজাযত প্রদান করেন।

হযরতের বয়ানের পূর্বে আমীনুত তালীম হুযুর বলেন, এটা একটা বাস্তবতা যে, বর্তমান সময়ে হযরতের মত ব্যক্তির উজূদ আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে অনেক বড় নিআমত। দারুল উলূম দেওবন্দের এক বিশেষ মাকাম ও ওয়াকার আমাদের আকাবীরের যমানা থেকে তাওয়ারুছের সাথে চলে আসছে। এ মাকাম ও ওয়াকার-এর তাসালসুল ও ধারাবাহিকতা প্রত্যেক যুগের যোগ্য ওয়ারিসদের মাধ্যমেই বাকি আছে এবং আশা করি আল্লাহ্র ইচ্ছায় সামনেও এ তাসালসুল প্রত্যেক যুগের যোগ্য ওয়ারিসদের মাধ্যমে জারী থাকবে, ইনশাআল্লাহ। 

যেসকল যোগ্য ওয়ারিসের মাধ্যমে এ মাকাম ও ওয়াকার আলহামদু লিল্লাহ এখনো বহাল আছে তাদের মধ্যে হযরত মাওলানা হাবীবুর রহমান আযমী দামাত বারাকাতুহুম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

ইলমী কয়েকটি বিষয়ে হযরতের সাথে আমীনুত তালীম হুযূরের গুরুত্বপূর্ণ মোযাকারা হয়।

 

 

advertisement