জুমাদাল আখিরাহ-রজব ১৪৪০   ||   মার্চ ২০১৯

মিথ্যা বলায় ব্রিটিশ এমপির কারাদণ্ড : কিছু কথা

মুহাম্মাদ আবদুর রহমান

সেদিন দৈনিক প্রথম আলো পড়ছিলাম। হঠাৎ একটি শিরোনাম নজরে পড়ল- ‘মিথ্যা বলায় ব্রিটিশ এমপির কারাদ-।’ পুরো সংবাদটি পড়লাম। সংবাদটির সারসংক্ষেপ হল ফিওনা ওনাসানিয়া নামে ব্রিটিশ এক এমপি ৩০ মাইলের গতিসীমার রাস্তায় ৪১ মাইল বেগে গাড়ি চালিয়েছেন। রাস্তায় লাগানো গতি পর্যবেক্ষক ক্যামেরায় বিষয়টি ধরা পড়ে। স্বাভাবিক নিয়মেই গতিসীমা ভাঙার দায়ে তার বাসায় জরিমানার টিকিট পাঠানো হয়। কিন্তু ওনাসানিয়া গতিসীমা ভাঙার বিষয়টি অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে তিনি দাবি করেন, ওই সময়ে গাড়ি তিনি চালাচ্ছিলেন না। এমনকি তার ভাই ফেটাস ওনাসানিয়া দোষ কাঁধে নিয়ে আদালতে হাজির হন। দাবি করেন, তার বোন নয়, তিনিই ওই দিন গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু আদালত প্রমাণ করে যে, এমপি ওনাসানিয়াই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গতিসীমা ভঙ্গের সময়ে তিনি মোবাইল ফোনও ব্যবহার করছিলেন। মিথ্যাচার ও আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টার দায়ে এমপি ওনাসানিয়াকে ৩ মাসের কারাদ- দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তার ভাই ফেটাস ওনাসানিয়াকে ১০ মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। [দৈনিক প্রথম আলো, ৩০-০১-২০১৯, (অনলাইন সংস্করণ)]

আইনের চোখে সবাই সমান। এখানে বর্ণ-বংশ, বিত্ত-বৈভবের কোনো ভেদাভেদ নেই। সবল-দুর্বল, ক্ষমতাধর-ক্ষমতাহীন, বিত্তবান-বিত্তহীন, রাজা-প্রজার কোনো পার্থক্য নেই। কেউই এমনকি রাষ্ট্রপ্রধানও আইনের ঊর্ধ্বে নন। কোনো সাধারণ লোক ও রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যেও যদি বিরোধ সৃষ্টি হয়, তবে নিজ নিজ সাক্ষ্য-প্রমাণসহ দুজনকেই বিচারকের নিকট হাজির হয়ে ফায়সালা গ্রহণ করতে হবে। বরং যে যত বড় তার বিচার হবে তত কঠিন। কেননা তার কারণে অন্যরা আশকারা পাবে।

যে সমাজ বা রাষ্ট্রে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং অপরাধের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে সেখানে অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে এবং শান্তি ও স্থিতি আসবে। আর যেখানে তা প্রতিষ্ঠিত হবে না সেখানে অপরাধ ব্যাপক আকার ধারণ করবে এবং বহু রকমের দুর্ভোগ, অশান্তি ও অবক্ষয় দেখা দেবে।

ইসলাম মানবসভ্যতাকে এই শিক্ষা দিয়েছে শত শত বছর আগে- যখন বিশ্বজুড়ে চলছিল বিচারহীনতা ও বিচার বৈষম্য। ইহুদী-খ্রিস্টানদের মাঝেও এই অপসংস্কৃতির অবাধ চর্চা ছিল। তাদের রীতি ছিল অপরাধী দুর্বল-অসহায় হলে তার উপর শাস্তি প্রয়োগ করত। কিন্তু সবল-সম্ভ্রান্ত হলে বিনা শাস্তিতে ছেড়ে দিত।

ইসলামে আইনের সমতার একটি উদাহরণ দেখুন। আরবের মধ্যে কুরাইশ ছিল সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত। একবার তাদের এক নারী চুরি করে। ইসলামে চুরির শাস্তি যেহেতু হাত কেটে দেওয়া তাই তারা বিরাট চিন্তায় পড়ে যায়, এই শাস্তি প্রয়োগ করলে তাদের বংশের মর্যাদাহানি হবে! শাস্তি থেকে রক্ষার জন্য তারা চেষ্টা-তদবির শুরু করল। উসামা রা. ছিলেন নবীজীর ¯েœহের পাত্র। তারা তাকে নবীজীর কাছে সুপারিশ করার জন্য অনুরোধ করে। তিনি সুপারিশ করলেন। নবীজী ভীষণ রাগ করলেন। বললেন-

أَتَشْفَعُ فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللهِ.

তুমি কি আল্লাহর নির্ধারিত সাজা মওফুফ করার ব্যাপারে সুপারিশ করছ?

এরপর তিনি দাঁড়িয়ে খুতবা দিলেন। বললেন-

إِنّمَا أَهْلَكَ الّذِينَ قَبْلَكُمْ، أَنّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الشّرِيفُ تَرَكُوهُ، وَإِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الضّعِيفُ أَقَامُوا عَلَيْهِ الحَدّ، وَايْمُ اللهِ لَوْ أَنّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمّدٍ سَرَقَتْ لَقَطَعْتُ يَدَهَا.

তোমাদের পূর্ববর্তী জাতিসমূহ এজন্যই ধ্বংস হয়েছে যে, যখন তাদের মধ্যে কোনো সম্ভ্রান্ত লোক চুরি করত তখন তারা তাকে বিনা সাজায় ছেড়ে দিত। আর যখন কোনো অসহায় লোক চুরি করত তখন তার উপর শাস্তি প্রয়োগ করত। আল্লাহর কসম, যদি মুহাম্মাদের মেয়ে ফাতেমাও চুরি করত, তবে আমি তার হাত কেটে ফেলতাম। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৪৭৫

এখানে আমরা স্বয়ং নবীর ভাষায় আইনের সমতার এক নজিরবিহীন ঘোষণা শুনলাম। তাঁর পরম আদরের কন্যাও যদি অন্যায় করেন তবে তারও বিচার করবেন তিনি। এ থেকে পরিষ্কার যে, ইসলামে আইনের চোখে সবাই সমান। অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। বংশ-বর্ণ, বিত্ত-বৈভব, পদ-ক্ষমতা দ্বারা রক্ষা পাওয়া যাবে না।

***

 

অপরাধ প্রবণতা হ্রাসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তবে সেইসাথে দরকার ঈমান ও নৈতিক শিক্ষাব্যবস্থা ব্যাপক ও জোরদার করা। মানুষের মন-মানস যাতে ঈমানী চেতনায় আলোকিত হয়, হৃদয় ও আত্মা নৈতিক শিক্ষায় উদ্ভাসিত হয়, চিন্তা-ভাবনা, বিবেক-বুদ্ধি ও আখলাক-চরিত্র পরিশুদ্ধ হয় এবং অন্তরে আল্লাহর ভয় ও আখেরাতের জবাবদিহিতা জাগ্রত হয়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। এক্ষেত্রে পিতা-মাতা, সমাজ সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।

ইসলাম এ শিক্ষা দেয় যে, অন্যায়-অপরাধ করা বস্তুত নিজের উপর জুলুম করা, জীবনকে কলঙ্কিত করা, চরিত্রকে কলুষিত করা এবং মানুষ দেখুক বা না দেখুক, দুনিয়াতে তার বিচার হোক বা না হোক, আল্লাহ তা দেখেন। তাঁর কাছে কোনো কিছুই গোপন নয়। একদিন তাঁর সামনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

যদি মানুষের অন্তরে এ বিশ্বাস বদ্ধমূল হয়ে যায় এবং এ চেতনায় তার হৃদয়-জগৎ আলোকিত হয়ে যায়, তাহলে তার মধ্যে ন্যায়, সত্য ও কল্যাণের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হবে। আর অন্যায়, অপরাধ ও অকল্যাণের ব্যাপারে ঘৃণা জন্মাবে। ফলে সে সর্বদা অন্যায় থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে। কখনো ভুল করে ফেললে ক্ষমালাভের জন্য ব্যাকুল হয়ে যাবে।

দ্বিতীয় খলীফা হযরত উমর ইবনে খাত্তাব রা.-এর শাসনামলের ঘটনা। তিনি জনগণের খোঁজ-খবর রাখতেন। কে কী করে, কার কী সমস্যা পর্যবেক্ষণ করতেন। একবার রাতের বেলায় সে উদ্দেশ্যে বের হলেন। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্তি এসে গেল। তখন মধ্যরাত। তিনি একটা দেয়ালে হেলান দিলেন। তখন শুনতে পেলেন, এক বৃদ্ধা তার যুবতী মেয়েকে দুধে পানি মেশাতে বলছে। মেয়েটি মাকে বাধা দিয়ে বলল, আপনি কি শুনেননি, খলীফা আজ কী আদেশ জারি করেছেন? তিনি ঘোষণা করিয়েছেন, কেউ যেন দুধে পানি না মেশায়। বৃদ্ধা বলল, এখন মেশালে- না খলীফা দেখবেন, না তার ঘোষণাকারী। মেয়েটি বলল-

والله ما كنت لأطيعه في الملأ وأعصيه في الخلاء.

তারা না দেখলেও আল্লাহ তো দেখবেন। আর আমার পক্ষে এটা সম্ভব নয় যে, জনতায় তাঁর আনুগত্য করব আর নির্জনতায় তাঁর নাফরমানি করব। -তারিখে দিমাশক ৭০/২৫৩

কত গভীর বোধ ও উপলব্ধি! কী আলোকিত চেতনা ও বিশ্বাস!!  লোকচক্ষুর আড়ালেও অনৈতিক কাজকে অকপটে প্রত্যাখ্যান করছেন। এটি ইসলামী চেতনার অনন্য বৈশিষ্ট্য।

নবীজীর সময়কার ঘটনা। মায়িয আসলামী রা. নামে একজন সাহাবী ছিলেন। একবার তিনি ব্যভিচার করে ফেলেন। ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি হল বিবাহিত হলে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা। আর আখেরাতের শাস্তি তো অতি ভয়াবহ। তিনি যখন কৃতকর্মের পরিণতি সম্পর্কে বুঝতে পারলেন তখন ভীষণভাবে অনুতপ্ত হলেন। নবীজীর কাছে এসে বললেন-

يا رسول الله إني قد ظلمت نفسي، وزنيت، وإني أريد أن تطهرني.

হে আল্লাহর রাসূল, আমি আমার উপর জুলুম করে ফেলেছি, আমি যিনা করে ফেলেছি। এখন আমি তা থেকে পবিত্র হতে চাচ্ছি। আপনি আমাকে (শাস্তি প্রয়োগের মাধ্যমে এ পাপ থেকে) পবিত্র করুন।

নবীজি তাকে ফিরিয়ে দিলেন। দ্বিতীয় দিন এসেও তিনি অনুরূপ বললেন। নবীজী তাকে ফিরিয়ে দিলেন। পরদিন নবীজী তার কওমের কাছে লোক পাঠালেন, তার মাথায় কোনো সমস্যা আছে কি না। লোকেরা বলল, আমরা তাকে সমঝদার ও নেককার হিসেবে মনে করি। তৃতীয় দিনও তিনি এলেন। এবারও নবীজী তার কওমের কাছে লোক পাঠালেন। তারা বলল, তার মধ্যে কোনো অসুস্থতা নেই। তার বিবেকে কোনো সমস্যা নেই। চতুর্থ দিন যখন এলেন তখন নবীজী তার জন্য গর্ত খনন করতে বললেন এবং তাকে পাথর নিক্ষেপ করার আদেশ দিলেন। অতপর তাই করা হল। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৬৯৫

পাপ বিমোচনের জন্য কি ব্যাকুলতা! হয়তো না বুঝে অপরাধ করে ফেলেছেন। কিন্তু যখন চোখ খুলে গেল এবং এই উপলব্ধি এসে গেল যে, এতে তো নিজের উপর বড় জুলুম হয়ে গেছে, জীবনের গায়ে পাপের দাগ লেগে গেছে, তখন তা দূর করার জন্য ব্যাকুল হয়ে গেছেন। আপনা থেকেই বিচারকের নিকট হাজির হয়ে গেছেন। বিচারক ভাবছেন, তার মস্তিষ্কে হয়ত কোনো সমস্যা আছে। কিন্তু তিনি অনড়, না আমি পরিপূর্ণ সুস্থ। আমি যা বলছি সুস্থজ্ঞানেই বলছি। আপনি আমাকে পবিত্র করে দিন। এটি ইসলামী শিক্ষার অপূর্ব মহিমা।

***

 

এমপি ওনাসানিয়াকে শাস্তি দেওয়ার কারণ হল মিথ্যা বলা। তিনি সামান্য জরিমানা থেকে বাঁচার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন। মিথ্যা একটি জঘন্য অন্যায় ও ঘৃণ্য কাজ। এটা মানুষের জন্য ধ্বংস ও বিনাশ ডেকে আনে এবং এর মাধ্যমে বহু অন্যায়ের দুয়ার খুলে যায়।

হাদীসে আছে-

তোমরা মিথ্যা থেকে দূরে থাক। মিথ্যা পাপের পথ দেখায়। আর পাপ জাহান্নামের পথ দেখায়। আর কোনো ব্যক্তি মিথ্যা বলতে বলতে শেষ পর্যন্ত তার নাম আল্লাহর কাছে মিথ্যবাদী হিসেবে লেখা হয়ে যায়। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬০৭

বিশিষ্ট সাহাবী সা‘দ ইবনে আবী ওয়াককাস রা. বলেন-

الْمُؤْمِنُ يُطْبَعُ عَلَى الْخِلَالِ كُلِّهَا غَيْرِ الْخِيَانَةِ، وَالْكَذِبِ.

সব ধরনের খাছলত মুমিনের স্বভাব হতে পারে কিন্তু খেয়ানত ও মিথ্যা নয়। -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ২৫৬০৪

মিথ্যা বলা সবার জন্যই অন্যায়। তবে ব্যক্তি বিশেষে তা আরো গুরুতর হয়ে থাকে। একজন সাধারণ লোকের মিথ্যা বলা আর বড় কারো মিথ্যা বলা এক নয়। একজন শিক্ষিত লোকের মিথ্যা বলা আর অশিক্ষিত লোকের মিথ্যা বলা বরাবর নয়। জনসাধারণের মিথ্যা বলা আর এমপি-মন্ত্রীর মিথ্যা বলা সমান নয়। এমপি-মন্ত্রীর মিথ্যা বলা আর রাষ্ট্রপ্রধানের মিথ্যা বলার মধ্যে পার্থক্য আছে। যে যত বড় তার মিথ্যা বলা তত জঘন্য। হাদীসে এসেছে-

কিয়ামতের দিন আল্লাহ তিন শ্রেণির মানুষের সাথে কথা বলবেন না। তাদের দিকে তাকাবেনও না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। বৃদ্ধ ব্যভিচারী। মিথ্যাবাদী বাদশাহ। আর অহংকারী দরিদ্র। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১০৭

যৌবন উন্মাদনায় একজন যুবকের কখনো পদস্খলন হয়ে যেতে পারে, ব্যভিচার করে ফেলতে পারে। কিন্তু যে বৃদ্ধ হয়ে গেছে, যার যৌবন ফুরিয়ে গেছে সে কীভাবে ওই দিকে পা বাড়ায়? তার জন্য ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া একেবারেই অশোভনীয়। একজন দুর্বল-অসহায়-ক্ষমতাহীন জনসাধারণ কখনো মিথ্যা বলে ফেলতে পারে। কিন্তু যিনি বাদশাহ, রাষ্ট্রের প্রধান ও আদর্শের স্থানে রয়েছেন তিনি কীভাবে মিথ্যা বলেন? তার মধ্যে তো সততা, ন্যায়নিষ্ঠতা ও সম্মানবোধ থাকা চাই। তার জন্য মিথ্যা বলা সম্পূর্ণ বে-মানান।

মিথ্যা জঘন্যতর হওয়ার এটি একটি দিক। এখানে আরেকটি দিকও আছে। তা হল একজন সাধারণ লোকের সাথে মিথ্যা বলা আর বড় কারো সাথে মিথ্যা বলা এক নয়। পিতা-মাতার সাথে মিথ্যা বলা আর অন্য কারো সাথে মিথ্যা বলার মধ্যে ফারাক আছে। আদালতের সাথে মিথ্যা বলা আর অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে মিথ্যা বলা সমান নয়। যার সাথে মিথ্যা বলা হয় তার মর্যাদা অনুপাতে মিথ্যার ভয়াবহতা বেড়ে যায়। তেমনিভাবে এক জনের সাথে মিথ্যা বলা আর এক হাজার মানুষের সাথে মিথ্যা বলা এক নয়। এক হাজার মানুষের সাথে মিথ্যা বলা দেশের সকল নাগরিকের সাথে মিথ্যা বলা অভিন্ন নয়। যার সাথে মিথ্যা বলা হয় তার সংখ্যার কমবেশিতেও মিথ্যার ভয়াবহতা বৃদ্ধি পায়।

ফিওনা ওরাসানিয়ার মিথ্যা বলা সব বিবেচনায়ই জঘন্যতর। তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। তার মিথ্যা বলা মানে তিনি যাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের হতাশ করা। আর মিথ্যা বলেছেন আদালতের মত সম্মানীত প্রতিষ্ঠানের সাথে। রায় ঘোষণার সময় তাকে উদ্দেশ করে বিচারক যথার্থ বলেছেন, ‘আপনি কেবল নিজেকে খাটো করেননি, যারা আপনাকে অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব হিসেবে মনে করত তাদেরও হতাশ করেছেন। আপনি আপনার দল, আপনার পেশা এবং সংসদকেও ছোট করেছেন।’

 

 

advertisement