যিলকদ ১৪৩৯   ||   আগস্ট ২০১৮

হাফেযদের উদ্দেশে

মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক

كِتٰبٌ اَنْزَلْنٰهُ اِلَیْكَ مُبٰرَكٌ لِّیَدَّبَّرُوْۤا اٰیٰتِهٖ وَ لِیَتَذَكَّرَ اُولُوا الْاَلْبَابِ

কুরআন বরকতপূর্ণ ঐ কিতাব, যা আমি নাযিল করেছি, যাতে কুরআনের আয়াতগুলোকে নিয়ে তারা চিন্তা করে। -সূরা ছদ (৩৮) : ২৯

এ আয়াতে আমার আল্লাহ আমাকে কী হেদায়েত দান করেছেন? এ আয়াতে আল্লাহ আমাকে কী বলেছেন? এ আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ আমার কাছে কী চেয়েছেন? কী চান? যারা জ্ঞানী তারা যেন এখান থেকে উপদেশ গ্রহণ করে। যারা বুদ্ধিমান তারাই তো কুরআন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আয়াতে বলা হয়েছে, কুরআনের শুধু অর্থ জানা থাকলেই চলবে না। কুরআন নিয়ে ভাবতে হবে।

এই ঢাকাতেই বাস করে খুলনার এক ভদ্রলোক, আল্লাহ তাকে হেদায়েত দান করুন; সে বলে, কুরআন না বুঝে পড়া গোনাহ। অর্থ যে কোনো ভাষা থেকেই বুঝে পড়–ক তাহলে আর গোনাহ হবে না। আগের কিছু বক্র মেযাজের লোক বলত, কুরআন না বুঝে পড়লে কোনো ফায়দা নেই। সে আরো অগ্রসর হয়ে বলে, না বুঝে পড়লে গোনাহ। আশংকার কথা হল, আমাদের অনেকে তার ভক্ত হয়ে গেছে।

কুরআন না বুঝে পড়া গোনাহ এই যে কুফরী চিন্তা সে আবিষ্কার করেছে, এর পক্ষে সে অনেক আয়াতও পেশ করে। যেসব আয়াতে বলা হয়েছে- أَفَلا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ তারা কি কুরআন নিয়ে ভাবে না? এইসব আয়াত সে পেশ করে। লোকটার বুঝের স্বল্পতা দেখুন! আরবের কাফেররা কি কুরআনের অর্থ বুঝত না? বুঝত। কিন্তু তাদাব্বুর-চিন্তা-ভাবনা করত না। চিন্তা-ভাবনা যদি করত তাহলে বুঝে ফেলত এটা আল্লাহ্র পক্ষ থেকে। যারা তাদাব্বুর করেছে বুঝেছে। কিন্তু হঠকারিতা করেছে।

তার কথা হল, অর্থ বুঝে পড়তে হবে। আমি বলি, তাদাব্বুর তো অর্থ বুঝা না। তাদাব্বুর হল অর্থ বুঝার পরের পর্যায়। অর্থ বোঝা- এটা তো স্বাভাবিক একটা পর্যায়। তাদাব্বুরের মানে হল, তুমি অর্থ বোঝার উপরই ক্ষান্ত হয়ো না। তুমি দেখ তোমার কাছে এ আয়াতে কী চাওয়া হয়েছে? وَ لِیَتَذَكَّرَ اُولُوا الْاَلْبَابِ এতে তোমার প্রতি কী বার্তা রয়েছে, ঐ বার্তাটা তুমি গ্রহণ কর, নিজের যিন্দেগীতে বাস্তবায়ন কর। নিজের জীবন বানাও।

কুরআনুল কারীম বরকতপূর্ণ। কুরআনের শব্দের মধ্যেও বরকত আছে। শব্দগুলো যদি তিলাওয়াত করে- এটাতে আলো আছে, বরকত আছে, ফায়দা আছে। এর সওয়াব আছে। কিন্তু আল্লাহ তাঁর বান্দাদের কাছে শুধু এতটুকু চাননি যে, তিলাওয়াত করে সওয়াব হাসিল করবে। বরং এক নম্বরে যেটা চান সেটা হল, নিজের জীবনকে কুরআনী জীবন বানানো। এই যে ঈমানী যিন্দেগী, সেটা কুরআনী যিন্দেগীরই আরেক নাম, এই ঈমানী যিন্দেগীর কোন্ অংশ কোন্ আয়াতে আছে সেটা শিখতে থাক এবং কুরআনের সাথে সম্পর্ক মউত পর্যন্ত রাখ। সবচেয়ে বড় হক- কুরআনের উপর ঈমান এনে নিজের জীবনকে কুরআনী জীবন বানাও।

কুরআনী যিন্দেগীতে কুরআন তিলাওয়াতও আছে। কুরআনী যিন্দেগীর প্রথম সবক হল নামায। নামাযের জন্য তো তাকে কুরআন তিলাওয়াত শিখতে হবে। যে ঈমানী যিন্দেগী শিখেছ তা কুরআনের কোন্ অংশে কোন্ আয়াতে আছে তা শিখতে থাক, মিলাতে থাক। একেকটা আয়াত নিয়ে ভাবতে থাক। দেখ তোমার মাওলা তোমাকে কী বলেছেন, কী হেদায়েত দিয়েছেন? কী চেয়েছেন? এই কথাগুলো সবার জন্যে।

হাফেযদের জন্যে বিশেষ যে হেদায়েত তা হল, মুমিন বলতেই কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে। মুসলিম বলতেই কুরআন তিলাওয়াত করবে। কুরআনে তাদাব্বুর ও চিন্তা-ভাবনা করবে। যার যদ্দুর সাধ্য, যার যদ্দুর সামর্থ্য আছে। কিন্তু হাফেয, যাকে আল্লাহ পুরো কুরআন হিফয করার তাওফীক দান করেছেন, পুরো কুরআন যার সিনায়, তাদের কী করণীয়?

সেদিন মাওলানা মুহিউদ্দীন ফারুকী বললেন, পুরো কুরআনের হাফেয যারা তারাও হাফেয। কয়েক সূরার হাফেয যারা তারাও হাফেয, কয়েক পারার হাফেয যারা তারাও হাফেয। আংশিক হাফেয। যেমন নিয়মতান্ত্রিকভাবে মাদরাসায় পড়ে আলিম না হলে কেউ এটা মানতে রাজি হয় না যে, সেও কিছু বিষয়ের আলিম। তদ্রƒপ পুরো কুরআনের হিফয না করলে কেউ এটা মানতে রাজি হয় না যে, সে হাফেয। দায়িত্ব এড়ানোর জন্য বলে, আমরা কী! আমরা কিচ্ছু জানি না। দুর্নীতি হারাম- এটা কি জানেন না? ভেজাল হারাম- এটা জানে না এমন  কেউ আছে?

আপনি দেখবেন, প্রায়োগিক ক্ষেত্রে যে সকল বিধান, সেক্ষেত্রে হুযূর আর গায়রে-হুযূর সবাই সমান। হুযূর যে সেও জানে, যে হুযূর না সেও জানে। ফরয-ওয়াজিব, হালাল-হারাম জানার ক্ষেত্রে সবাই সমান। দু-চার জন হয়ত বের হবে, যারা আসলেই কিছু শোনেনি, জানে না। এদের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। এই যে বলা হয়, আলেম মানুষ আমল নাই। এখানে আলেম বলতে আপনি কী বুঝাচ্ছেন? লেবাস-পোশাককে আর দশ বছর মাদরাসায় পড়াকে? এখানে উদ্দেশ্য হল, এটা যে শরীয়তের বিধান- এটা জানে কি না। যে মুসলিম জানে- এটা শরীয়তের বিধান এবং শরীয়ত এটাকে হারাম করেছে, এটা জানার পর সে এই হারাম কাজ করেছে, তাকেই জিজ্ঞাসা করা হবে- জেনেশুনে তুমি এটা কীভাবে করলে? এখানে আলেম শব্দ বলা দরকার কী? এভাবে বলুন, আপনি জানেন এটা হারাম। তারপরও এ কাজ কীভাবে করলেন? আমি জানি এটা হারাম, তারপরও এ কাজ কীভাবে করলাম? নিজেকে নিজে ভর্ৎসনা কর। সবকিছু জানার পর, এত মাসআলা-মাসায়েল জানার পরও এটা আমি মানতে রাজি না যে, আমি জানি। সে রকম হাফেয, যারা পাঁচ পারার হাফেয, এক পারার হাফেয, দুই পারার হাফেয, তারাও কিন্তু হাফেয। আংশিক হাফেয। এতটুকু হাফেয হওয়ার কারণে তোমার উপর একটা দায়িত্ব আসে।

যাই হোক, যারা হাফেয আমি তাদের কথা বলছিলাম। হাদীসে তাদের একটি দায়িত্বের কথা আছে। أَوْتِرُوا يَا أَهْلَ الْقُرْآنِ অর্থাৎ হে কুরআনওয়ালারা, তাহাজ্জুদ পড়। কীভাবে পড়বে? দুই রাকাত করে করে পড়তে থাক। শেষে তিন রাকাত বিতির পড়। হে কুরআনওয়ালারা, তাহাজ্জুদ পড়। এ কথার কী অর্থ? ছোট ছোট সূরা দিয়ে দু-চার রাকাত তাহাজ্জুদ পড়ার কথা বলা হয়েছে এ হাদীসে? বরং এর অর্থ হল, হে কুরআনওয়ালারা, তোমাদেরকে কুরআনের নিআমত দেওয়া হয়েছে তাহাজ্জুদের জন্য। আমরা যারা হাফেয, কুরআনের এই হকটার প্রতি আমরা চিন্তা করি।

আচ্ছা, আমি দুর্বল মানুষ। আমার অনেক ব্যস্ততা। দিনে ঘুমানোর আমার সময় নেই। রাতে অনেক ঘণ্টা ঘুমাতে হয়। তাই তাহাজ্জুদ আমার জন্যে মুশকিল। এগুলোই আমাদের আজকালকের ওযর।

সত্যি বলতে কী, সালাফের সাথে আমাদের অনেক দূরত্ব হয়ে গেছে। আমাদের মাঝে এবং সালাফের মাঝে অনেক পার্থক্য হয়ে গেছে।  এসব ওযর কিন্তু তাদের যমানাতেও ছিল। তাদের মধ্যে একেবারে ব্যস্ত মানুষ ছিলেন। এবং তাদের মধ্যে অনেক দুর্বল লোকও ছিলেন। কিন্তু এসব কিছু তাদেরকে পিছিয়ে রাখতে পারেনি। যেটাতে আসল পার্থক্য, সেটা হল হিম্মত। হিম্মতের ক্ষেত্রে আমাদের ও আমাদের সালাফের মাঝে পার্থক্য হয়ে  গেছে। ঈমানী শক্তির মধ্যে পার্থক্য হয়ে গেছে। এটা একটা বাস্তবতা। এটা অস্বীকার করা মুশকিল। আমরা  যে ওযর দাঁড় করাই, সেগুলো তো তারা চিন্তাও করতেন না। এগুলো শুনলে তারা হাসতেন। কিন্তু এখন এই ওযরগুলোই আমাদের নিকট বাস্তবতা। এগুলোর উপর আমরা হাসতে পারি না।

আমাদের দায়িত্ব হল, এ ওযরের এলাজ করা। দুর্বল হলে চিকিৎসা করে শক্তি বাড়ানো। আর যদি কারণ হয় হিম্মতের অভাব, ঈমানী শক্তির অভাব, তাহলে হিম্মত বাড়াই, ঈমানী শক্তি বাড়াই। অন্তত হাফেয যারা তাদের উচিত, তাহাজ্জুদে কুরআন খতমের চেষ্টা করা। তাহাজ্জুদকে তাহাজ্জুদ বলে- প্রথমে ঘুমাবে তারপর ঘুম থেক উঠে নামায পড়বে। এটা হল তাহাজ্জুদ। তাহাজ্জুদের মূল অক্ষর হা জীম দাল। এটা এসেছে হুজুদ থেকে। হুজুদ মানে ঘুমানো। জাগ্রত থেকে তাহাজ্জুদ পড়া ওটাকে আসলে তাহাজ্জুদ বলে না।

আমাদের জন্য তো তাহাজ্জুদকে সহজ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদেরকে শুধু তাহাজ্জুদেরই হুকুম করা হয়নি কিয়ামুল লাইলের হুকুম করা হয়েছে। কিয়ামুল লাইল শব্দটা ব্যাপক। ঘুমিয়ে উঠে তাহাজ্জুদ পড়া এটাও কিয়ামুল লাইল। আর ঘুমানোর আগেই নফল পড়া এটাও কিয়ামুল লাইলের অন্তর্ভুক্ত।

যদি ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদ পড়া মুশকিল হয়, কোনো ওযর থাকে, তাহলে ঘুমানোর আগেও তো কিয়ামুল লাইল করার অবকাশ আছে। ঘুমের আগে পড়ে নাও। চার রাকাত, ছয় রাকাত। ছয় রাকাতে এক পারা পড়ে নও। এরপর বিতির পড়। তাহলেও তো ‘আওতিরু...’ এই হাদীসের উপর আমল হল।

আসল সমস্যা হল, এই যে একটা বিধান হাফেযদের প্রতি, এটার বাস্তবায়নের ফিকির নেই। ফিকির না থাকার অনেক কারণ। একটা কারণ হল, মাসআলা সব তালাশ করে ফিকহের কিতাবে। আমাদের দ্বীনের মাসআলা কিন্তু বিভিন্ন শাস্ত্রে বণ্টিত। কিছু এখানে কিছু ওখানে বর্ণনা করা হয়েছে। সব মাসআলাকে এক শাস্ত্রের কিতাবে এবং এক দুই কিতাবে দেখলে পাওয়া যাবে না। এখন যদি কেউ তাহাজ্জুদের এই বিধান খোঁজ করে কুদুরী আর কানযে, তাহলে পাওয়া যাবে না। এটা পাওয়া যাবে ইহইয়াউ উলূমিদ্দীনে, কূতুল কুলূবে। এটা পাওয়া যাবে, মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বায়।

এটা অনেক বড় অবহেলা। গায়রে হাফেযও শুয়ে থাকে বা উঠলেও সূরা ফালাক-নাস দিয়ে দুই রাকাত তাহাজ্জুদ পড়ে। হাফেযও শোয়ে থাকে বা উঠলেও ছোট ছোট সূরা দিয়ে দু-চার রাকাত নামায পড়ে। তাহলে হাফেয আর হাফেয নয়- এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য কী? যে হাফেয না সেও এক পারা করে মাসে এক খতম দেওয়ার চেষ্টা করে। হাফেয যে সেও মাসে এক খতম দেওয়ার চেষ্টা করে। নামাযের মধ্যে তিলাওয়াতের ক্ষেত্রেও হাফেয আর গাইরে হাফেয একরকম। আর নামাযের বাইরে কুরআন দেখে দেখে পড়ার ক্ষেত্রেও হাফেয আর গাইরে হাফেয এক ধরনের। এই যে দুই দলের বরাবর থাকা- এটা হাফেযদের জন্যে এক ধরনের হিজরানে কুরআনের অন্তর্ভুক্ত। এতে কুরআনের প্রতি সূক্ষ্ম একটা বে-রগবতী প্রকাশ পায়। আল্লাহ আমাকে হাফেয বানিয়েছেন। অথচ আমার মধ্যে আর গাইরে হাফেযদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই- এটা কী করে হয়?

হাফেয আর গায়রে হাফেযের মধ্যে পার্থক্য থাকতে হবে। হাফেযের হিফয পাকা থাকতে হবে।  যে দেখে দেখে পড়ে তার  ভুল হয় না। সুতরাং যে হাফেয তার ভুল হবে কেন? সেও তো দেখে দেখে পড়ছে। তার সামনে দুইটা মুসহাফ থাকে। একটা সীনায় আরেকটা হল-যে মুসহাফ দিয়ে সে হিফয করেছে সেটা। সেটা তো তার সামনে আয়নার মত ভাসতে থাকে। এটা আল্লাহ্র এক কুদরত, যারা অবহেলা করেছে এবং হিফযের পরে হক আদায় করেনি, তাদের সামনে হয়ত ওরকম খোলা থাকবে না। হাফেযের কেবল সেই ভুল হতে পারে, যেটা কুরআনের মুজিযা। এক হাফেয একবার বলেছিল, আমার কোনো লোকমা লাগে না। এই মাতুব্বরি করার অবকাশ নেই। পুরা কুরআন শেষ করেছে। কোনো লোকমা লাগেনি। যখন সূরা নাস পড়ছে তখন লোকমা খেয়েছে। এটা কুরআনের মুজিযা যে, পুরো কুরআন পাকা ইয়াদ। কিন্তু হঠাৎ করে কোথাও লোকমা লেগে গেল। সেই লোকমা চলতে পারে। সেটা লোকমাও না। নিজেই আবার ঠিক করে নিচ্ছে। কিন্তু যেভাবে অনেকের লোকমা লাগতে থাকে এ রকম লোকমা লাগা অন্যায়। এর মানে হল এ শুধু রমযানের হাফেয। হাফেয যদি শুধু রমযানের হাফেয হয় তাহলে কোনো সন্দেহ নেই- সে গোনাহগার। তিলাওয়াতে অবহেলার কারণে ইয়াদের এই অবস্থা থাকা তো গোনাহ। এটাও এক ধরণের হিজরানে কুরআন।

হাফেয ভাইদের কাছে আমার দরখাস্ত, নিজেদের তরতীব আমরা এমনভাবে বানাই যে, তাহাজ্জুদ বা কিয়ামুল লাইল বা দুটার মাধ্যমে মাসে একটা খতম হয়ে যায়। মাগরিবের পর আওয়াবীনের নামায আছে। যদি কিয়ামুল লাইল বিল মা‘নাল আম ধর তাহলে আওয়াবীনও ওটাতে শামিল। আওয়াবীন, শোয়ার আগে দু-চার রাকাত নফল, আর শেষ রাতে পনের বিশ মিনিটে দু-চার রাকাত পড়। সব মিলিয়ে নামাযে এক পারা পড়া- এটা কি অসম্ভব? এরপর সুন্নত, নফল, এশরাক, সুন্নতে মুআক্কাদা নামাযের আগে পরে যা আছে, এগুলোর মধ্যে ধারাবাহিক একটা তিলাওয়াত চালু রাখো। এভাবে এক মাসে একটা খতম সুন্নত নফলে কর। তাছাড়া তুমি যেখানেই থাকো যে দায়িত্বেই থাকো দেখে তিলাওয়াত তো তোমার রুটিনে থাকবেই। সে তিলাওয়াতে অন্যরা এক পারা পড়তে পারলে তুমি দু-তিন পারা পড়তে পারবে। যতটুকু বললাম, এটা হল হাফেযদের জন্যে এক প্রকার ফরয দায়িত্ব। এটার এহতেমাম কর। নয় তো আমাদের জন্যে বড় পাকড়াও আছে, বড় পাকড়াও। আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন- আমীন। হ

২৯ রমযান ১৪৩৯ হিজরী

পত্রস্থকরণ : এনামুল হাসান

 

 

advertisement