রজব ১৪৩৮   ||   এপ্রিল ২০১৭

‘নিজেদের হিসাব নিলে দেখা যাবে অনেক ফরযে আইন ইলম এখনো শেখা হয়নি’

মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক

আমরা সবসময় আল্লাহর নিআমতে ডুবে আছি। দ্বীন দুনিয়ার কোনো কিছুই আল্লাহর রহমত ছাড়া সম্ভব নয়। এজন্য নিআমতের যথাযথ শোকর আদায় করা- এটা তো কখনো সম্ভব নয়। কিন্তু শোকর আদায় করতে থাকতে হবে। আজীবন যদি আমরা শোকর আদায় করতে থাকি তবুও শোকর আদায় শেষ হবে না। এর অনেক কারণ। ছোট্ট একটা কারণ হল, আমি যে শোকর আদায় করছি এটাও আল্লাহ পাকের নিআমত। আল্লাহর তাওফীক যদি না হত তাহলে আমি শোকরও আদায় করতে পারতাম না। লাখো-কোটি মানুষ আছে, যারা আল্লাহর শোকর আদায় করে না।

শোকরের সবচেয়ে বড় প্রকাশ হল ঈমান। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।

أَشْهَدُ أَن لاَّ إلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ  وأشهد أن محمداً عبده ورسوله .

এ ঈমান থেকেই তো মাহরুম লাখো-কোটি মানুষ। তাদের ঈমান নেই। তারা শোকর আদায় করছে না। আমি যে ঈমান এনেছি, আল্লাহর শোকর আদায় করতে পারছি, এটাও আল্লাহর রহমত, আল্লাহর মেহেরবানী।

আমি শোকর আদায়ের জন্য বললাম আলহামদু লিল্লাহ। এটাও আল্লাহর নিআমত। এটারও ওপর আবার শোকর আদায় করব সেটাও আল্লাহর নিআমত। এজন্য শোকর আদায় কখনো শেষ হয় না। শোকর আদায় করে শেষ করা সম্ভবই না। কিন্তু আমাদের কাজ হল শোকর আদায় করতে থাকা। যিন্দেগীটা যেন আল্লাহর শোকরের মধ্যেই পার হয়।

শোকরের দ্বিতীয় প্রকাশ হল তাকওয়া। যিন্দেগীটা ঈমানী যিন্দেগী হওয়া। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের হুকুম মোতাবেক চলা। করণীয়টা করা আর বর্জনীয়টা ছাড়া- এটার নাম তাকওয়া। এই তাকওয়া আল্লাহর শোকরের প্রকাশ।

শোকরের আরেক প্রকাশ হল ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-দুআ। যত ইবাদত-বন্দেগী আছে, যিকির দুআ আছে; যেমন সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, দরূদ শরীফ, ইস্তেগফার- এই সব যিকির ও দুআ আল্লাহর শোকরের প্রকাশ।

রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শোকরের জন্য অনেক আমল শিখিয়েছেন, অনেক ইবাদত দিয়েছেন এবং অনেক দুআ ও যিকিরও দিয়েছেন। যেমন অনেক দুআ আছে সকাল-সন্ধ্যায় পড়ার মত। সকাল বেলা পড়ব-

اللهُمَّ مَا أَصْبَحَ بِي مِنْ نِعْمَةٍ أَوْ بِأَحَدٍ مِنْ خَلْقِكَ، فَمِنْكَ وَحْدَكَ لَا شَرِيكَ لَكَ، فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ.

হে আল্লাহ! আমার মাঝে এবং আপনার যে কোনো বান্দার মাঝে এই সকালে যত নিআমত রয়েছে সব নিআমত একমাত্র আপনার পক্ষ থেকে। কেউ আপনার শরীক নেই। সকল হাম্দ আপনার, শোকর আপনার।

সন্ধ্যায় পড়ব أَصْبَحَ এর জায়গায় أَمْسٰى - হে আল্লাহ! এ সন্ধ্যায় আমার মাঝে...

যদি আরবীটা মুখস্থ করতে পারি ভালো, না হয় বাংলায় বলি।

আজকে এখানে যে প্রতিষ্ঠান তালীমুদ্দীন একাডেমী শুরু হচ্ছে এটা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অনেক বড় মেহেরবানী। আল্লাহর রহমত না হলে এটা কারও সাধ্যে ছিল না। ছোট্ট পরিসরে এই প্রতিষ্ঠানটি শুরু হতে যাচ্ছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর দ্বারা কী কী খেদমত নিবেন, কোথায় একে পৌঁছাবেন, সব আল্লাহর হাতে। সব আল্লাহর হাওয়ালা। আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করে শুরু করতে পেরেছি এজন্য আল্লাহর শোকর আদায় করি- আলহামদু লিল্লাহ।

আপাতত যে কাজটি দিয়ে এই তালীমুদ্দীন একাডেমী শুরু হতে যাচ্ছে তা অনেক বড়, অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একটি শব্দ হয়ত আমরা শুনেছি, ফরযে আইন ইলম। দ্বীনী ইলম শিক্ষা করা ফরয। আরেক হচ্ছে ফরযে কেফায়া ইলম। এই ফরযে কেফায়া ইলম যেটা ওটার তো শুরু আছে শেষ নেই। সেই ফরযে কেফায়া ইল্ম আমরা শিখেই যাচ্ছি। আমাদের উস্তায যারা তারাও শিখছেন। মওত আসা পর্যন্ত তা চলতে থাকবে। ফরযে কেফায়া ইলম এত বিস্তৃত, এত গভীর যে, এর শুরু হয় কিন্তু শেষ হতে হতে মওত এসে যায়। তবে ফরযে আইন ইলম হচ্ছে সীমিত। এটা তো সবাইকে শিখতে হবে, সবাইকে জানতে হবে, প্রতিটা মুসলমান নর-নারী সবাইকে ফরযে আইন ইলম শিখতে হবে, সে জন্য আল্লাহ তাআলা ফরযে আইন ইলমকে সীমিত রেখেছেন। তবে সীমিত হওয়ার অর্থ এই নয় যে, একটা ছোট্ট বইয়ের মধ্যে লিখে দেয়া যাবে আর তা আগা-গোড়া পড়ে নিলেই ফরযে আইন ইলম হাছিল শেষ হয়ে যাবে। এত সীমিত নয়। ফরযে কিফায়া ইলমের তুলনায় কম হলেও এটার পরিমাণও একেবারে কম নয়। যদি আমরা নিজেদের হিসাব নেয়া শুরু করি দেখা যাবে যে, অনেক ফরযে আইন ইলম এখনো শিখিনি।

ফরযে আইন ইলমের শুরু আলিফ, বা, তা, ছা। ফরযে আইন ইলমের শুরু লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। কালিমা হয়ত সবাই শিখেছি, কিন্তু দেখা যাবে যে, সবারটা তাজবীদসম্মত হচ্ছে না। লাএখানে টান আছে। টানটা এত গুরুত্বপূর্ণ যে, এটা না হলে অর্থই পরিবর্তন হয়ে যায়। لاَ  অর্থ নেই- আল্লাহ ছাড়া সত্য মাবুদ আর কেউ নেই। ইবাদতের উপযুক্ত একমাত্র আল্লাহ, সত্য মাবুদ একমাত্র আল্লাহ। আর لاَ তে যদি টান দেয়া না হয় তাহলে হবে لَ এর অর্থ হল কোনো কিছুকে শক্তিশালীভাবে আছে বলা। এটা তাকীদের অর্থ প্রকাশ করে। তাহলে অর্থ হবে আল্লাহ ছাড়া নিশ্চয়ই মাবুদ আছে (নাউযু বিল্লাহ) আমি হয়ত কালিমা শিখেছি, কিন্তু তাজবীদের সাথে শিখিনি।

কুরআনের তাজবীদ তো ফরয। কুরআন ছাড়াও দ্বীনী যত দুআ-যিকির আছে, কালিমা-নামাযের আযকার আছে ওগুলোর মধ্যেও তাজবীদ জরুরি। তাজবীদের একটি স্তর তো এমন, যা না হলে অর্থই পরিবর্তন হয়ে যায়। যেমন কালিমার বেলায় দেখালাম। নামাযের মধ্যে আছে سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَه এখানে অনেকে ع উচ্চারণ করে না; বরং ي উচ্চারণ করে বা হামযা উচ্চারণ করে। حمده এখানে ح এর জায়গায় ه হয়ে যায়। ফলে অর্থই পরিবর্তন হয়ে যায়। قُلْ هُوَ اللهُ সূরা দিয়ে তো আমরা অনেকেই নামায পড়ি। قُلْ   শব্দের প্রথম অক্ষর হল ক্বফ। ক্বফ এর উচ্চারণ বাংলাবর্ণে নেই। আছে এটা ك -এর উচ্চারণ হয়। কিন্তু ق -এর উচ্চারণ বাংলায় নেই যে, বাংলার কোনো বর্ণ দিয়ে আপনাকে বোঝানো যাবে। এটা আলাদাভাবে শিখতে হবে। قُلْ -এর জায়গায় যদি كُلْ বলি, তাহলে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়। كُلْ অর্থ খাও। আর قُلْ   অর্থ বল। কত মারাত্মক বিকৃতি হয়ে গেল! তো আমরা হয়ত সূরা শিখেছি, কিন্তু তাজবীদসহ শিখিনি।

তাজবীদের গুরুত্ব অনেকের বুঝে আসে না। অথচ নিজের ভাষায় চিন্তা করুন। এখানে তাজবীদ অর্থাৎ সঠিক উচ্চারণ কত জরুরি! আমি অনেক শব্দের সঠিক উচ্চারণ জানি না। আমার চর্চা নেই। এজন্য আমাকে লজ্জিত হতে হয়- অশুদ্ধ উচ্চারণের কারণে। তো সেখানে আমি নিজের দোষ কাটাই না। আমি আসামী।

হিন্দুস্তানের এক বুযুর্গ ছিলেন হযরত মাওলানা আবরারুল হক ছাহেব রাহ. আমাদের দেশে অনেক আসতেন। আজকে এখানেও তাঁর একজন খলীফা তাশরীফ আনবেন। হযরত মাওলানা আবরারুল হক ছাহেব রাহ. সহীহ-শুদ্ধ উচ্চারণের গুরুত্ব বোঝাতেন। মানুষ তো গুরুত্ব বোঝে না। তাই বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করতেন। একবার দাওয়াতী কাজে লন্ডনে গিয়েছেন। এক জায়গা থেকে বের হবেন, জিজ্ঞেস করবেন যে, লিফট কোন্ দিকে। কিন্তু বলেছেন ভাই! লেফট কিধার হ্যায়।জোরে জোরে কয়েকবার বলেছেন। এখন মেযবান তো খুব লজ্জা পাচ্ছেন যে, আহা! এত বড় হুযুর আনলাম, কিন্তু লিফ্ট শব্দটা সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে জানেন না। তো মেজবান তাঁর কানে কানে বললেন যে, হযরত শব্দটি লেফট না, লিফট। তিনি তখন বললেন, ‘মেঁ তো ইহী কেহতা হুঁআমি তো একথাই বলি যে, কুরআন সহীহ-শুদ্ধ তিলাওয়াত কর। লেফটবললাম এতে দোষ হয়ে গেল? আমাকে শুদ্ধ উচ্চারণ শেখাচ্ছ! এখানে তো খুব ভালো বুঝ যে, লেফট বলা যাবে না লিফট বলতে হবে। কুরআনের বেলায় কেন এটা বুঝ না যে, ‘আলহামদোপড়া যাবে না, ‘লিল্লাহেপড়া যাবে না?

তো সহীহ-শুদ্ধ উচ্চারণের গুরুত্ব এটা অন্য ভাষার বেলায় আমরা বুঝি। কিন্তু নামাযের যিকিরগুলো, কালিমা ও দুআগুলো এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কালাম কুরআন মাজীদ, এখানে কেন বুঝি না? তো ফরযে আইন ইলমের শুরু আলিফ বা, তা, ছা থেকে; লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ থেকে এবং কুরআন মাজীদ থেকে। এরপর ফরযে আইন ইলম হল কার কী হক। বাবার কী হক, আত্মীয় স্বজনের কী হক এখান থেকে। ফরজে আইন ইলম শুরু হয় হালাল-হারাম কবীরাগুনাহ থেকে। ফরযে আইন ইলমের তালিকা যদি পেশ করা হয় তাহলে দেখা যাবে, আমরা এর অনেক কিছুই শিখিনি।

এই তালীমুদ্দীন একাডেমী শুরু হতে যাচ্ছে ফরযে আইন ইলমের মাধ্যমে। আমাদের সন্তানদেরকে আমরা স্কুলে পড়াই। তারা জাগতিক পড়াশুনা করবে ভালো কথা। কিন্তু সে  তো আল্লাহর বান্দাআল্লাহর বান্দা হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য যা যা জানা দরকার অর্থাৎ ঐ ফরযে আইন ইলম, তা কি তাকে শেখাচ্ছি? সকালে হয়ত একটু সময় মসজিদে পাঠাচ্ছি। কিন্তু ওখানে অনেক ছাত্র। কিংবা ঘরে এসে হয়ত কেউ পড়িয়ে যাচ্ছে (অথচ দ্বীনী ইলম তো এই তরীকায় হয় না যে, একজন হুযুর ডেকে আনলাম শেখানোর জন্য। বরং ইলমের কাছে যেতে হয়। ইলমকে টেনে ঘরে আনলে বরকত থাকে না। এটা তিক্ত সত্য। শুনতে হয়ত কষ্ট হয়। কিন্তু এটা সত্য।) তো দেখা যাবে যে অনেক ত্রুটি রয়ে গেছে। আমরা চাচ্ছি- ছেলেরা স্কুলে যাচ্ছে, ভালো কথা, কিন্তু এর সঙ্গে এখানেও আসুকযার স্কুল সকালে সে বিকেলে আসবে। যার স্কুল বিকেলে সে সকালে আসবে। এখানে যেভাবে ব্যবস্থা করা হয় ওভাবে সময় দিবে।

কুরআন মাজীদ থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে ফরযে আইন ইলম শিখবে। এটা হল বাচ্চাদের জন্য। সে স্কুলের যে ক্লাসেই পড়ুক, সবার জন্যই ব্যবস্থা থাকবে। আরেকটা হল, যারা আমরা কর্মব্যস্ত এবং বয়স হয়ে গিয়েছে আমাদেরও তো শেখার বাকি আছে। হয়ত ওই বাচ্চা যে প্রতিষ্ঠানে পড়ছে আমি সেই প্রতিষ্ঠানেরই শিক্ষক, সমস্যা নেই। এটা দোষের কিছু না যে, আমার স্কুলের ছাত্রই সকাল বেলা এই প্রতিষ্ঠানে এসে পড়ে যাচ্ছে। মাগরিবের পরে একটা সময়ে আমিও এখানে এসে পড়ছি।

ফখরুদ্দীন রাযি রাহ.-এর কথা হয়ত আপনারা শুনেছেন। তাফসীরে কাবীর অনেক ভলিউমের কিতাব, তাঁর লেখা। ইন্তেকাল ৬০৬ হি.আপনারা জেনারেল শিক্ষিতরা তাকে হয়ত ভালো চিনতে পারেন। তিনি বড় দার্শনিক হিসেবে পরিচিত। আমরা তাঁর আরবী কিতাবগুলো পড়ি। দর্শনের উপর তাঁর অনেক কিতাব ইংরেজী ও অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। তো ফখরুদ্দীন রাযি রাহ. একজন ইমাম। শুধু বড় আলেম নন ইমামের স্তরের বড় আলেম। কিন্তু একটা শাস্ত্র তাঁর শেখা ছিল না। তাঁর শাগরেদ ছিল ওই শাস্ত্রের পারদর্শী। তিনি বললেন, আমি এই শাস্ত্রটি শিখতে পারিনি। আমাকে এখন শিখতে হবে। আমি তোমার কাছে শিখব। ছাত্র কিছুটা সংকোচ করলেন। তিনি বললেন, না! আমি তোমার কাছেই শিখব। তিনি মসনদে বসা। তিনি বললেন, এখন আমি তোমার থেকে শিখব। কাজেই এখন আমি ছাত্র। তুমি মসনদে বস। ছাত্র প্রস্তুতই হচ্ছে না এর জন্য। তিনি বললেন, না বসতে হবে। এটা শিক্ষার নীতি। বললেন যে, এটা আমার নির্দেশ। তখন ওই ছাত্র বসেছে তাঁর জায়গায়। আর তিনি বসেছেন ছাত্রের সামনে।

তো ওখানে তো নিজের ছাত্রের কাছে পড়া। এ প্রতিষ্ঠানে তো আর এটা হবে না যে, আপনি আপনার ছাত্রের কাছে পড়ছেন। বয়স্কদের জন্য এখানে একটা সময় থাকবে। এই সুযোগকে কাজে লাগানো কর্তব্য। নিজেরা এমনিতেই কিছু কিছু জানি। কিন্তু যখন জানা শুরু হবে, পড়াশুনা শুরু হবে তখন দেখব যে অজানা কতকিছু! অজানার তালিকা যদি মানুষের কাছে থাকত তাহলে বুঝতে পারত অজানার পরিমাণ কত। যেহেতু তালিকা নেই এজন্য খবরও নেই, আমি কত কিছু জানি না।

তো এই দুটি কাজ নিয়ে ইনশাআল্লাহুল আযীয এই তালিমুদ্দীন একাডেমী শুরু হতে যাচ্ছে। একটি বাচ্চাদের জন্য। আরেকটি বয়স্কদের জন্য। পার্যায়ক্রমে মশওয়ারার মাধ্যমে অন্যান্য কাজ হবে।

কাসেমুল উলূম মাদরাসার মুহতামিম ছাহেব এবং শায়খুল হাদীস ছাহেব, রানীর বাজার মাদরাসার আসাতেযায়ে কেরাম, যুবক আলেমদের মধ্যে মাওলানা শামছুল ইসলাম জিলানী ছাহেবসহ আরও অনেকে আছেন। আমরা যখন এই প্রতিষ্ঠান শুরু করার  নিয়ত করেছি তখনই তাদের সাথে মশওয়ারা করেছি। তাদের সাথে পরামর্শের একটি মজলিস হয়েছে। বাকি কাজগুলোও ইনশাআল্লাহ পরামর্শের মাধ্যমেই হবে।

 

দ্বীনী কাজ তো অনেক। সবাই মিলে শুরু করলেও শেষ করতে পারব ন। সব কাজই প্রয়োজনীয়। কিন্তু পর্যায়ক্রমে করতে হবে। যেসব কাজ কুমিল্লা শহরে এবং আশেপাশে চালু আছে, যেমন কওমী মাদরাসা আছে, মক্তব আছে, বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন আছে, আল্লাহর রহমতে কাজ চলছে। আমরা চাচ্ছি, যে কাজগুলো চলছে, চলতে থাকুকআরো যেগুলো দরকার কিন্তু এখনো হচ্ছে না, এই ধরনের কিছু কাজ শুরু হোক। আমরা যদ্দুর খবর নিয়েছি, এই কাজগুলো এখনো শুরু হয়নি। হয়ত ফিকির ছিল কিন্তু শুরু করা যায়নি। সামনে দেখা যাবে যে, এরকম আরও অনেক কাজ দরকার কিন্তু এখনো শুরু হয়নি। মুরব্বীগণ এরকম যেসব কাজের পরামর্শ দিবেন এবং আমাদের সাধ্যে থাকবে সেগুলো পর্যায়ক্রমে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।

 

 

advertisement