সফর ১৪৩১   ||   ফেব্রুয়ারী ২০১০

একটি ভুল চিন্তা: ইসলাহে নফস এবং যিকর ও অযীফা কি শুধু বাইয়াত হওয়া মুরিদের কাজ?

আমাদের মাঝে কত মানুষ যে জেনে বুঝে বা নিজের অজানে- উপরোক্ত ভুল ধারণার শিকার, তার ইয়ত্তা নেই। মনে করা হয় যে, ইসলাহে নফস তো ওই ব্যক্তির কাজ যে কোনো পীরের হাতে মুরিদ হয়েছে। অথচ কে তাকে বোঝাবে যে, এটা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য? বাইয়াত হওয়া বা মুরিদ হওয়া তো এর অনুশীলনের জন্য। অর্থাৎ এই দায়িত্ব মুরিদ হওয়ার কারণে অর্পিত হয় না; বরং তা সাধারণভাবে সকল মুসলমানের কর্তব্য। বাইয়াত হওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে, সে কর্তব্য সম্পাদনে সহায়তা পাওয়া। চিন্তা করলে দেখা যাবে যে, প্রত্যেক মুসলমান কালিমা পাঠের মাধ্যমেই বাইয়াত হয়েছে এবং আখিরাতের ইরাদা রাখার কারণে সে মুরীদও বটে। প্রথাগত বাইয়াত তো ‌উপরোক্ত বাইয়াত ও ইরাদারই নবায়নমাত্র। অতএব মুসলিমমাত্রই মুরীদ ও সালিক। একজন মুমিনের চিন্তার স্তর পরিমাণ উন্নত অবশ্যই হওয়া চাই যে, নফস ও শয়তানের এসব স্পষ্ট প্রতারণা তাকে বিভ্রান্ত করতে না পারে। এজন্য আমি নিজেকে ও আমার সুহৃদয় বন্ধুদেরকে বিনীত অনুরোধ করছি, তারা যেন মাওলানা মুহাম্মাদ মানযুর নুমানী রাহ.-এর পুস্তিকা ‘তাসাওফ ক্যায়া হ্যায়’ (তাসাওউফ কী ও কেন) বা তাঁর কিতাব ‘দ্বীন ও শরীয়ত’-এ উপস্থাপিত ইসলাহী কর্মসূচি মোতাবেক কাজ শুরু করেন এবং যিকির ও দুআর ইহতিমাম করেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফীক দান করুন। আমীন।

 

advertisement