রজব ১৪৩৬   ||   মে ২০১৫

বড়দের মুখে বড়দের বেড়ে ওঠার কাহিনী : হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ.-১১

মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান খান

অন্তর থেকে বের হওয়া কথা অন্তরে প্রবেশ করে

হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রাহ. খুতবা পড়ার পর কোনো আয়াত বা হাদীস পড়ে ওয়ায আরম্ভ করতেন। মাঝে মাঝে আরবী,ফারসী বা উর্দু কবিতা পড়তেন। কোনো কোনো সময় বিভিন্ন কাহিনী দ্বারা দৃষ্টান্ত পেশ করতেন। এ সকল কবিতা ও দৃষ্টান্ত এত বেশি উপযুক্ত স্থান-কাল-পাত্রে পেশ করতেন,মনে হত যেন এ সকল কবিতা ও দৃষ্টান্ত রচিতই হয়েছে এখানে ব্যবহারের জন্য। হযরতের ওয়ায এবং ওয়াযের বই দ্বারা কত মানুষ যে কতভাবে উপকৃত হয়েছে,এর কোনো হিসেব নেই।

অনেক দ্বীন-বিরোধী মানসকিতার লোকও এ সকল ওয়াজ শুনে ও পড়ে পাক্কা-সাচ্চা দ্বীনদার হয়েছেন।

হযরতের ওয়াযের এমন আছর শ্রোতাদের উপর হত যে, কেউ কেউ মনে করত হযরত হয়ত শ্রোতাদের যাদু করে থাকেন। আসলে এখানে যাদু-মন্ত্রের কোনো ব্যাপার ছিল না। ছিল কেবল ইখলাস,উম্মতের ইসলাহের ফিকির ও আন্তরিকতা। এ সম্পর্কে হযরত রাহ. নিজেই বলেন,

আমি যখন কাউকে কোনো নসীহত করি, তখন আমি মনে-প্রাণে কামনা করি সে যেন এরূপই (ভালো) হয়ে যায়।

হযরত থানভী রাহ. আরো বলেন,

আমি যখন নিজের মধ্যে কোনো ব্যাপারে দুর্বলতা অনুভব করি এবং সংশোধনযোগ্য মনে করি, তখন সে ব্যাপারে ওয়ায করি। এতে আমার অনেক উপকার হয়। কারণ বয়ান করার সময় উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে, ফলে অন্তরে এর খুবই আছর হয়। এ ছাড়া লজ্জাও লাগে যে, যে ব্যাপারে অন্যদের নসীহত করছি, সে ব্যাপারে নিজেরও আমল করা উচিত। (আশরাফুস সাওয়ানেহ ১ম খণ্ড, ৬৮ পৃষ্ঠা) 

 

 

advertisement