যিলক্বদ ১৪৩৫   ||   সেপ্টেম্বর ২০১৪

উসত্মাযদের কাছ থেকে আদাব ও আফকার শিখব

মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক

পরিশীলিত চিমত্মাভাবনা এবং মার্জিত আচার-আচরণ তো সকলের জন্যেই জরুরি। কিন্তু তালিবুল ইলমের জন্যে তা ফরজের দরজায়।

মাদরাসাগুলোতে দারুল ইকামা রাখার  পেছনে বড় হেকমত এই ছিল যে, ছাত্ররা উসত্মাযগণের তত্ত্বাবধানে থাকবে এবং তাঁদেরকে দেখে দেখে নিজেদের চিমত্মা ও কর্মকে পরিশুদ্ধ ও পরিশীলিত করবে।  তাঁদের জীবন থেকে জীবন যাপনের আদব শিখবে। তাদের আফকার ও চিমত্মাভাবনা নিজের মধ্যে ধারণ করবে। আজকের এই অবসরে আমি আদব সম্পর্কে বিক্ষিপ্ত কিছু কথা আরজ করতে চাই।

এক. আদব শেখার জন্যে ছোট-বড় কী কী কিতাব পড়তে হবে, সে কথা অনেকবার বলা হয়েছে। আমরা আমাদের মাদরাসার কুতুবখানা বা দারুল মুতালাআয় একটু খোঁজ নিলে বিভিন্ন কিতাবের সন্ধান পেয়ে যাব। তারপর উসত্মাযদের পরামর্শক্রমে এক বা একাধিক কিতাব মুতালাআ করে নিতে পারি।

দুই. অনেক আদব ও শিষ্টাচারের সম্পর্ক মানুষের সাধারণ জ্ঞানবুদ্ধির সাথে । যদি মানুষ নিজের চিমত্মাভাবনাকে কাজে লাগায় এবং অন্যের ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত অমার্জিত আচরণ থেকে সবক হাসিল করে তাহলে  নিজে নিজেই সে সতর্ক হতে পারে এবং অনেক অমার্জিত আচরণ থেকে বেঁচে যেতে পারে। একটু চিমত্মা করুন, নিম্নলিখিত আচরণগুলো যদি কারো থেকে প্রকাশ পায় তাহলে তা আমাদের নিকট শ্রুতিকটু বা দৃষ্টিকটু লাগে। সুতরাং যদি এই আচরণগুলো আমাদের থেকে প্রকাশ পায় তাহলে নিশ্চয় তা অন্যের কাছেও দৃষ্টিকটু বা শ্রুতিকটু লাগবে। তাই আমাদেরকে এ ধরনের আচরণ থেকে বেঁচে থাকতে হবে।

কয়েকটি আচরণ এখানে লেখা হল,

ক. বড়দের মজলিসে তাদের মধ্যকার কথাবার্তায় কিংবা হাসাহাসিতে শরীক হয়ে যাওয়া।

খ. বড়দের সাথে কথা বলার সময় হাত নাড়ানো।

গ. বড়দের সাথে কথা বলার সময় প্রশ্ন উত্তরের পন্থা অবলম্বন করা। যেভাবে বক্তাগণ ওয়াজে নিজেরা কিছু বলেন,  কিছু শ্রোতাদের উপর ছেড়ে দেন। অথবা  দরসে উসত্মাযগণ কিছু  নিজেরা বলেন, কিছু ছাত্রদেরকে দিয়ে বলান।

ঘ. কাপড়-চোপড় ও সামানপত্র এলোমেলোভাবে রাখা।

ঙ. জুতো অগোছালোভাবে রাখা।

চ. জুতো হাত থেকে মাটিতে রাখার সময় উপর থেকে ছেড়ে দেওয়া।

ছ. ভেতরে গেঞ্জি, ফতুয়া এ জাতীয় কোনো পোষাক না পরে শুধু সাদা ও পাতলা জামা পরে চলাফেরা করা, বা বাইরে বের হওয়া বা দরসে যাওয়া ইত্যাদি। 

জ. শুধু সেলোয়ার পরে কামরায় অথবা বারান্দায় হাঁটাচলা করা।

ঝ. শুধু লুঙ্গি পরিধান করা অবস্থায় দরজা বা জানালার আলোর সামনে দাড়ানো। ঞ. অনেকক্ষণ বসে থাকার পর জামা-কাপড় ঠিক না করেই চলাফেরা শুরু করা। বিশেষভাবে যখন কাপড় শরীরের বিভিন্ন অংশে লেপ্টে থাকে।

. খুব প্রয়োজন ব্যতীত শরীরের নিম্নাংশের কাপড় ধরে হাঁটা এবং অন্যের সামনে এধরনের স্থান চুলকানো।

ঠ. অন্যের সামনে নাক-কান খুঁচিয়ে ময়লা বের করা ।

ড. লাউড স্পীকারের আওয়াজ যাচাই করার জন্যে তাতে জোরে ফুঁকতে থাকা। অথচ ফুঁকা ছাড়া আঙুলে টোকা দিয়েও যাচাই করা সম্ভব।

ঢ. ডাল ইত্যাদি তরল খাবার খেতে শ্রুতিকটু শব্দ করা। বিশেষত ইজতেমায়ী দসত্মরখানে। বিশেষভাবে যখন দসত্মরখানে আমি নতুন কিংবা দসত্মরখানে কোনো মেহমান থাকেন।

ণ. কাপড় পাল্টানোর পর পরিহিত কাপড়টি ওভাবে ফেলে রাখা।

ত. পুকুরে অথবা হাউজে (যেখানে একসাথে অনেক মানুষ গোসল করে) গোসলের সময় লুঙ্গির উপর রুমাল, তোয়ালে অথবা গামছা ইত্যাদি না পেঁচানো। বিশেষভাবে যখন লুঙ্গি পাতলা বা সাদা হয়।

থ. হাম্মাম বা ইসেত্মঞ্জাখানা ব্যবহারের পর উপরে নীচে অথবা যে অংশে পানি থাকে সে অংশে নাপাকি অথবা ছিটা নাপাকি অথবা ব্যবহৃত কুলুখ (মাটির ঢেলা, কাপড় অথবা টয়লেট পেপার- মানাদিলুল হাম্মাম-)ফেলে আসা।

এধরনের নানা দৃষ্টিকটু বা শ্রুতিকটু আচরণ যা অন্যের থেকে প্রকাশ পেলে একজন উন্নত রুচির অধিকারী মানুষের তো বটেই, একজন মোটামুটি রুচিবোধসম্পন্ন লোকেরও  খারাপ লাগে তা-ই যখন নিজে করা হয় তখন খেয়ালই হয় না যে আমিও এমন অরুচিকর কাজ করছি। অথচ এটা একেবারে স্বাভাবিক, যা আমার কাছে অপসন্দনীয় তা  অন্যের কাছে  আমার চেয়ে বেশী অপসন্দনীয় হবে।

 السعيد من وعظ بغيره ‘ভাগ্যবান সেই যে অন্যের অবস্থা দেখে উপদেশ গ্রহণ করে’ -এ  প্রবাদের ভেতর এটাও শামিল যে মানুষ এধরনের স্বতসিদ্ধ বিষয়গুলোতে অন্যকে দেখে সবক হাসিল করবে।

আরো একটি দৃষ্টামত্ম দিচ্ছি। সেলোয়ারের উপর জামা শুধু সৌন্দর্যের জন্যে পরা হয় না; বরং জামার  এক উদ্দেশ্য এটাও  যে, এর মাধ্যমে সতর ভালোভাবে ঢাকা থাকে। তাই কোনো মজলিসে বসার সময় জামাকে গুটিয়ে বা যেনতেনভাবে  ফেলে রাখা উচিত নয়; বরং এমনভাবে রাখা উচিত যাতে সতর ভালোভাবে ঢাকার মাকসাদ হাসিল হয় । হাঁ, বসার অবস্থাভেদে জামা রাখার অবস্থাও বিভিন্ন হবে। অনেক সময় জামা সরে যাওয়ার কারণে অথবা না, মুনাসিবভাবে বসার কারণে অপ্রীতিকর দৃশ্য সামনে চলে আসে। এদিকে খেয়াল রাখা উচিত।

তিন. কতক আদব আছে এমন যা অনুধাবন করা কিছুটা মুশকিল। সেগুলো আকাবিরের মালফুযাত, রচনাবলী, জীবনী এবং বিভিন্ন ঘটনাবলী, সালাফে সালেহীনের সীরাত ও ঘটনাবলী অধ্যয়নের মাধ্যমেই কেবল জানা যায়। অথবা নিজের অভিজ্ঞ মুরুববী উসত্মাযের তাম্বীহ লাভ করার পরই এগুলোর এসলাহ হয়। হাঁ যদি কোনো তালিবুল ইলম স্বভাবগতভাবে তীক্ষ্ণ অনুভূতিসম্পন্ন ও গভীর দৃষ্টিসম্পন্ন হয়ে থাকে তার কথা ভিন্ন। কিন্তু এমন তালিবুল ইলম তো এখন ‘আনকা’পাখির মত ।

চার. আসাতেযায়ে কেরাম, সহপাঠী ও ইলমের বিভিন্ন আসবাব সংক্রামত্ম  আদাব সম্পর্কে তো আমাদের উসত্মাযগণ অত্যমত্ম গুরুত্বের সাথে বলেই যাচ্ছেন। আমরাও আদাবুল মুতাআল্লিমীন ও তালীমুল মুতাআল্লিম কিতাবে এগুলো মুতালাআ করছি। কিন্তু তারপরও আমাদের মধ্যে এ সকল আদবের অনুশীলনের  ক্ষেত্রে অনেক শৈথিল্য রয়েছে। এটা অনেক বড় আফসোসের কথা । এধরনের বিষয়ে শিথিলতা অনেক সময় তালিবুল ইলমের ভবিষ্যতকে অন্ধকার ও বরকতহীন করে দেয়; বরং  তা অনেক সময় বরবাদিরও কারণ হয়। তাই তলাবায়ে কেরামের নিকট আমার দরখাসত্ম, তারা যেন এ সকল আদাব জানার ও মানার উপর জোর  দেন।

প্রত্যেক তালিবুল ইলমকে নিজেদের মধ্যে গুরুত্বের সাথে যে আদাব পালন করা উচিত এবং যা পালন করা ফরজের দরজায়, তা হল অপর সাথী ভাইকে কষ্ট না দেওয়া। ইচ্ছা করে কষ্ট দেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। এটা তো কবীরা গুনাহ। কোনো সাথীকে ঠাট্টা করা, মন্দ নামে ডাকা, নাম বিকৃত করে ডাকা, বিদ্রূপ করা, তাচ্ছিল্য করা, কথার মাধ্যমে কষ্ট দেওয়া, নিন্দা করার নিয়তে প্রশংসার শব্দ ব্যবহার করা, খোঁচা মেরে কথা বলা, যোগ্যতা কম অথবা মেধা কম ইত্যাদি  ক্ষেত্রে লজ্জা দেওয়া -এ সব হচ্ছে মুখ ও ভাষার অপব্যবহার। এ শুধু তালিবে ইলমের শান বিরোধী কাজ নয়, ঈমান ও ইসলামেরও খেলাফ।

উসত্মাযদের সাথে সম্পৃক্ত আদবসমূহের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আদব হচ্ছে, তাদের একের উপর অন্যের প্রাধান্যের বিষয়ে মমত্মব্য করা থেকে বিরত থাকা। এই আদবটির আলোচনা হযরত থানবী রাহ. এর  ভাষায় উদ্ধৃত করতে চাই।

হযরত থানবী রাহ. বলেন, আমাদের লোকদের মাঝে আরেকটি  রোগ দেখা যায়। তারা পরস্পর বসে একে অপরকে বলে, অমুকের পড়াশোনা বেশী আর  অমুকের তার চেয়ে কম। একের উপর অন্যকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে তারা অন্যের দোষত্রম্নটি বর্ণনা করতে থাকে। (উসত্মায শাগরিদ কে হুকুক আওর তালীম ও তারবিয়ত কে তরীকা, তরতীব, যায়েদ মাযাহেরী পৃ. ১৭৪)

কারো দোষ বর্ণনা করা তো সর্বাবস্থায় গুনাহ। কারো দোষ  বলার ও অমেবষণ করার বিষয় দুটো না হয় বাদ দিলাম এমনিতেই তো কে কার চেয়ে উত্তম, কার মর্যাদা বেশি আর কার মর্যাদা কম এগুলো অহেতুক আলোচনা। আর বাসত্মবিকপক্ষে এটা তো তালিবুল ইলমদের  কাজ হতে পারে না। অমুক উসত্মাযের তাকরীর সহজ, অমুক উসত্মাযের তাকরীর কঠিন, অমুকের মধ্যে এই গুণ আছে আর অমুকের মধ্যে  তা  নেই স্পষ্টভাবে হোক অথবা অস্পষ্টভাবে, তালিবুল ইলমদের জন্যে এ সকল আলোচনায় লিপ্ত হওয়া শুধু বেয়াদবি নয় বরং অনর্থক কাজে লিপ্ত হওয়া এবং অন্যের কষ্টের কারণ হওয়ার দরুণ এ সকল আলোচনা পরিহার করা অবশ্য কর্তব্য।

উসত্মাযগণের মধ্যে যোগ্যতার দিক বিভিন্ন হওয়া একটি স্বাভাবিক বিষয়। তেমনি কোনো ছাত্রের কোনো উসত্মাযের প্রতি টান বেশী থাকা এবং কোনো উসত্মাযের প্রতি কম থাকা এটিও একটি স্বাভাবিক বিষয়। এতে দোষের কিছু নেই। দোষের হল, এটাকে আলোচনার বিষয় বানানো।

ইমাম আবু হানীফা রাহ.-কে একজন জিজ্ঞাসা করলেন, আসওয়াদ এবং আলকামার মধ্যে কে উত্তম? তিনি জবাব দিলেন, আমাদের জন্যে তো এ-ই অনেক যে, আমরা তাদের নাম নিতে পারছি। তুলনা করা তো অনেক উপরের বিষয়। (মানাকিবে আবু হানীফা) কোথায় ইমাম আবু হানীফা রাহ.-এর আদব আর কোথায় আমাদের হালত!

এধরনের কথাবার্তা প্রমাণ করে  যে, তালিবুল ইলমের ভেতর খালি। তার ভেতরে ইলম ও আমলের কোনো ফিকির নেই এবং তার অমত্মরে উসত্মাদদের প্রতি ভক্তি ও  ভালোবাসা নেই। যা  আছে তা হল নামের সম্পর্ক।

এরপর তালিবুল ইলম যদি তেমন বুঝসম্পন্ন না হয় তাহলে সে উসত্মাযদের মাঝে তুলনা করবে কী সে তো গুণ ও যোগ্যতা  নির্ণয় করতেও অক্ষম। শুধু  অনুমান ও ধারণার উপর ভিত্তি করে উপলব্ধি প্রকাশ করতে অভ্যসত্ম। এরচেয়ে অনর্থক কাজ আর কী হতে পারে? তার অমত্মর যেন আত্মতৃপ্তিতে  এবং অনর্থক কাজের প্রতি আসক্তিতে পূর্ণ।

পাঁচ. জাওয়ামেউল কালিমের অমত্মর্ভুক্ত এই হাদীস তো মকতবের শিশুও জানে।

من حُسن إسلام المرء تركه ما لا يعنيه মানুষের সুন্দর মুসলিম হওয়ার এক লক্ষণ সে জিনিস  পরিত্যাগ করা যা তার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। -জামে তিরমিযী, হাদীস ২৩১৮

এটি অনেক বড় জামে হাদীস। এই হাদীসের অধীনে নিম্নোক্ত সূরতগুলো এসে যায়-

ক. যাবতীয় অনর্থক কথা ও অনর্থক কাজ, যাতে না দ্বীনী কোনো ফায়দা আছে না দুনিয়াবী, সব এতে দাখিল। সুতরাং পরিহারযোগ্য।

খ. অন্যের দায়িত্বের মধ্যে হসত্মক্ষেপ করা নীতি বিরুদ্ধ এবং বিশৃংখলার কারণ।

গ. আমি যে কাজের উপযুক্ত নই, যে কাজ আমার দায়িতেবর মধ্যে নেই, সে কাজে জড়িত হওয়াও لايعني কাজে লিপ্ত হওয়ার শামিল।

    নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যাপক ও মৌলিক হেদায়েত, যা জীবনের সকল অঙ্গনে বিস্তৃত, এর যে অংশগুলো আমাদের জীবনে অত্যমত্ম আশংকাজনক  পর্যায়ে অনুপস্থিত এর মধ্যে উপরোক্ত হেদায়েতটিও শামিল। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে হেফাজত করম্নন!

মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া- ঢাকা থেকে শিÿা সমাপনকারী ও শিÿারত সকল তালিবুল ইলম ভাইয়ের নিকট আমার করজোড় আবেদন, আমার ভায়েরা! আপনারা এই শিক্ষা পুনরায় স্মরণ করুন। যেখানে উচিত ছিল, প্রস্ত্ততিমূলক লেখালেখির পূর্বেও মশওয়ারা করার, সেখানে  দেখা যাচ্ছে, প্রকাশ করার জন্যে কিতাব লেখা হচ্ছে, তারপর প্রকাশও করা হচ্ছে, অথচ বিষয়টি আমরা জানিই না। আমরা জানতে পারি তখন, যখন পাঠকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসে যে, মারকাযের অমুক তালিবুল ইলম অমুক বিষয়ে  কিতাব লিখেছে। সেই কিতাবে অমুক মুরম্নববী আলিমের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

হাদীস শরীফে এসেছে, اتقوا زلة العالم - মারকাযুদ দাওয়াহ্র খাদেমগণ তাদের উসত্মাযদের অনুসরণে  এই মূলনীতির উপর আমল করার চেষ্টা করেছে যে, কারো কোনো যালস্নাতকে (ভুল-ভ্রামিত্ম) অনুসরণীয় বানানো যাবে না। তবে তারা এর চেয়ে মজবুতভাবে যে নীতিকে আকঁড়ে ধরেছেন, তা হল যালস্নাত (ভুল-ভ্রামিত্ম)-এর কারণে কোনো আহলে হক বুযুর্গের তানকীছ করা যাবে না।

আর কিছু না হোক যদি কোনো তালিবুল ইলম দু’তিন বছর মারকাযে থেকে এই প্রসিদ্ধ ও সুপরিচিত মূলনীতিটি অনুধাবন করতে না পারে তাহলে...!

এখন তো বিষয়টি শুধু সমালোচনাতে সীমাবদ্ধ থাকেনি। বরং দস্ত্তর মত বিভিন্ন আঙ্গিকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে।

আফসোস! আমাদেরকে বড়দের ব্যাপারে ছেলেদের কলমদারাযীও দেখতে হচ্ছে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!

ব্যাস, মারকাযের তালিবুল ইলম এবং সকল দ্বীনী মাদরাসার তালিবুল ইলম ভাইদের নিকট আমার দরখাসত্ম এই যে, আমরা সকলে এই নববী হেদায়েত মোতাবেক খুব মজবুতভাবে আমল শুরু করে দিই- من حُسن إسلام المرء تركه ما لا يعنيه  আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন!!

 

 

 

 

 

 

 

advertisement