শাওয়াল ১৪৩৮ || জুলাই ২০১৭

মুহাম্মাদ আল-আমীন হুসাইন - জামিয়া ইসলামিয়া শামছুল উলূম চাঁদখালী মাদরাসা

প্রশ্ন

ক. আমি কাফিয়া জামাতের ছাত্র। আমি অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মনে আমার সমস্যার কথা জানাচ্ছি। আমার অনেক আশা, আমি পরিপূর্ণ মনোযোগ নিয়ে দরসে বসব এবং প্রতিটি বিষয়ের আলোচনা মন দিয়ে শুনবো। কিন্তু আফসোসের বিষয় হল যখন আমি দরসে বসি তখন আমার মন দরসে থাকে না।

খ. আমি কাফিয়া জামাতে পড়ি অথচ আমি সহীহভাবে দ্রুত ইবারত পড়তে পারি না।

গ. বাক্য যদি খুব বড় হয় তাহলে আমি তারকিব করতে পারি না।

ঘ. আমার উস্তাযগণের খেদমত করতে মন চাই না। অনেক সময় তাঁদের সাথে বেয়াদবীমূলক আচরণ করে ফেলি।

ঙ. যখন আমি নিজে নিজে উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে ভাবি, যে আমি কাফিয়া জামাতে পড়ি অথচ এখনও দরসে মন বসাতে পারি না। ইবারত পড়তে পারি না, তারকিব করতে পারি না, উস্তাযগণের খেদমত করি না- তাহলে আমার মাদরাসায় পড়ে কী লাভ? মাদরাসায় পড়ে আর কী হবে, তারচে’ অন্য কাজে লাগি।

অতএব হুযুরের কাছে আমার আকুল আবেদন হল, যেহেতু আমার ভেতর অনেক রোগ আছে, সুতরাং আমাকে এমন কিছু আমল বলে দিবেন, যার উপর আমল করে আমি একজন দ্বীনদার ইস্তিদাদওয়ালা আলেম হতে পারি।

 

উত্তর

আপনার প্রশ্নের জবাব আপনারই চিঠির শেষে রয়েছে। আপনি যখন নিজেই নিজের ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছেন তাহলে এখন করণীয় হল হিম্মত ও নিয়তকে প্রয়োগ করা। মাদরাসায় না-পড়ার কথা কখনো অন্তরে বা মুখে আনবেন না। কারণ মাদরাসায় এমনি পড়ে থাকলেও ফায়দা। আপনি আপনার কোনো মুশফিক ও অভিজ্ঞ উস্তাযের তত্ত্বাবধানে মেহনত করতে থাকুন। আল্লাহ তাআলা আপনাকে কামিয়াব করুন।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন