(নামবিহীন) - ঢাকা

প্রশ্ন

মুহতারাম, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমি শরহে বেকায়া জামাতের ছাত্র এবং মাসিক আলকাউসারের নিয়মিত পাঠক।

হুযুরের কাছে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর কামনা করছি। প্রশ্নগুলো বিস্তৃত হলেও দ্রুত উত্তর প্রদানে বাধিত করবেন। আল্লাহ তাআলা আপনাকে সর্বদা সিরাতে মুসতাকিমে অবিচল রাখুন। আমীন। প্রশ্নগুলো এই :

ক. অনুবাদ প্রসঙ্গে : আরবী আদব ও কুরআন-হাদীসের অর্থ কীভাবে তুলতে হয় এবং অর্থ তোলার ক্ষেত্রে যে সকল নিয়ম আছে সেগুলোর উদাহরণসহ কামনা করছি। অনুবাদ প্রসঙ্গে কোনো কিতাব লেখা হলে তার নামও কামনা করছি।

খ. আরবী আদবের কিতাব সম্পর্কে :

আরবী আদবের এমন কী কী কিতাব আছে, যাতে সহজ সহজ আরবী تعبيرات রয়েছে এবং তাবীরগুলোর বাংলায় অনুবাদও রয়েছে।

গ. বাংলা থেকে আরবী লুগাত হিসাবে কোনটি বেশি ভালো? যাতে শব্দের অর্থের সাথে সাথে ব্যবহার দেওয়া হয়েছে?

ঘ. অনেক সময় দেখা যায় আরবী হরফসমূহ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু নাহবের কিতাবসমূহে এমনকি লুগাতসমূহেও তার এমন অর্থ পাওয়া যায় না। যেমন,  فصيحة- فاء অর্থে, تفريع - حتى  অর্থে ইত্যাদি।

তো এগুলোর জন্য কোনো কিতাব আছে কি না? তার নাম কামনা করছি।

ঙ. আরবী বালাগাত শাস্ত্রের কি এমন কোনো কিতাব রয়েছে, যাতে শুধু আরবী বালাগাতের কায়দাসমূহ এবং মূল মূল আলোচনা রয়েছে এবং তাতে কোনো ইখতিলাফ নেই- তার নাম কামনা করছি। সাথে সাথে তার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ও?

৬. মাকামাতুল হারীরী কিতাবের শব্দার্থ থেকে সঠিক অর্থ কীভাবে তোলা যায় এবং ভাবানুবাদের ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মানতে হয়?

উত্তর

(ক) অনুবাদ শেখার জন্য নমুনা হিসেবে হযরত মাওলানা আবু তাহের মেসহাব দামাত বারাকাতুহুম এর ‘আত-তরীক ইলাল কুরাআনিল কারীম’ দেখতে পারেন। এমনিভাবে ‘কাসাসুন নাবীয়্যীন’ কিতাবের যে নুসখাটি হযরত আবু তাহের মেসবাহ দামাত বারাকাতুহুমের পরিশিষ্ট ও অনুশীলনীসহ ছেপেছে সেটির সহযোগিতা নিতে পারেন। এর শুরুতে হযরতের যে ভূমিকাটি রয়েছে তা ভালোভাবে পড়–ন।

(খ) এর জন্য আসল করণীয় হল, নিজে আরবী ভাষার ইস্তেদাদ ও যওক হাসিল করা এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের রুচিবোধ অর্জন করা।

(গ) বাংলা থেকে আরবী বা আরবী থেকে বাংলা মানসম্মত ও সমৃদ্ধ অভিধানের বড়ই অভাব। আপনি হযরত মাওলানা আবূ তাহের মেসবাহ দামাত বারাকাতুহুমের ‘আল-মানার’ বাংলা-আরবী অভিধানটির সহযোগিতা নিতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, তালিবে ইলমের জন্য আসল করণীয় হল, সরাসরি আরবী লুগাত ও আদবের কিতাব থেকে ইস্তেফাদা করা। আর বাংলা প্রতিশব্দ ও বাকধারা এবং বাকরীতি জানার জন্য নিজে মেহনত করা এবং উস্তাযের সহযোগিতা নেয়া।

(ঘ) হুরুফুল মায়ানী সম্পর্কে স্বতন্ত্র কিতাব রয়েছে। যেমন ইমাম আহমদ ইবনু আব্দিন নূর আল-মালাকী (৭০৬ হি.) রচিত- رصف المباني في شرح حروف المعاني । এছাড়া ইমাম ইবনে হিশাম নাহবী রাহ.-এর المغني গ্রন্থেও হুরুফুল মায়ানী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।

(ঙ) আপনি বালাগাতের যে ধরনের কিতাব তালাশ করছেন, নেসাবভূক্ত دروس البلاغة কিতাবটি তো সে ধরনেরই একটি কিতাব। আপনি এর সাথে মিসর থেকে প্রকাশিত البلاغة الواضحة কিতাবটি পড়তে পারেন। এটি প্রায়োগিক বালাগাতের দৃষ্টিকোণ থেকে রচিত, অনুশীলনভিত্তিক গ্রন্থ।

(চ) মাকামাতুল হারীরী কিতাবের যে বাংলা অনুবাদটি মাওলানা আহমদ মায়মুন সাহেব করেছেন তা থেকে ইস্তেফাদা করতে পারেন।

শেয়ার লিংক

মো: আবদুল্লাহ - গফরগাঁও, মোমেনশাহী

প্রশ্ন

মুহতারাম, গত (জানুয়ারী ২০১৭) শিক্ষার্থীদের পাতায় একটি প্রশ্নের উত্তরে লিখেছিলেন, ইতিহাস অনেক প্রকার। তার মধ্যে একটা ছিল ইসলামী ইতিহাস। এই ইসলামী ইতিহাসেরও অনেকগুলো শাখা বর্ণনা করেছিলেন। ঐগুলোর মধ্যে সালতানাতের ইতিহাস নামক একটি শাখা ছিল। আমি এই ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চায়। দয়া করে এই বিষয়ের গ্রহণযোগ্য কিছু গ্রন্থের নাম বলে দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।

আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন- আমিন।

বি. দ্র. গ্রন্থগুলোর নাম বাংলা ও উর্দূর মধ্যে হলে আমার অনেক ফায়দা হতো।

উত্তর

মুসলিম সালতানাতের ইতিহাস সম্পর্কে আরবী ভাষায় বহু মৌলিক গ্রন্থ রয়েছে। উর্র্দূ ভাষায়ও বেশ কিছু গ্রন্থ রচিত হয়েছে। এখানে আপানার জন্য কয়েকটি নির্বাচিত গ্রন্থের নাম উল্লেখ করছি-

১. আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, হাফেজ ইবনু কাছীর রাহ.। এটি মূলত আরবীতে, তবে এর বাংলা অনুবাদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে। এতে নবী-রাসূল, আকাবির-আউলিয়া ও মুসলিম মনীষীদের জীবনী এবং সাধারণ ইতিহাসের পাশপাশি মুসলিম খলীফা ও সুলতানদের জীবনী ও বিভিন্ন ঘটনাও রয়েছে।

২. তারীখুল খুলাফা, হাফেয সুয়ূতী রাহ.। মূল আরবী। এর উর্দূ অনুবাদ হয়েছে।

ভারত থেকে প্রকাশিত, ইতিহাস বিষয়ক কিছু গ্রন্থ যেমন-

৩. তারীখে ইসলাম, শাহ মুঈনুদ্দীন আহমাদ নদভী।

৪. তারীখে সিকিল্লিয়া, সায়্যেদ রিয়াসত আলী নদবী।

৫. দাওলাতে উছমানীয়াহ, ড. মুহাম্মদ আযীয।

৬. হিন্দুস্তান কে আহদে উসতা কী এক এক ঝলক, সায়্যেদ সবাহুদ্দীন আব্দুর রহমান।

৭. হিন্দুস্তান কে আহদে মাযী মে মুসলমান হুকুমরানো কী মাযহাবী রওয়াদারী, সায়্যেদ সবাহুদ্দীন আব্দুর রহমান।

৮. তারীখে ইসলাম, আকবর শাহ খান নাজীরাবাদী। মূল উর্দূ। এর বাংলা অনুবাদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে।

৯. মুখতাসার তারীখে ইসলাম, মাওলানা গোলাম রাসূল মেহের।

১০. তারীখে হিন্দ, মুফতী মুহাম্মদ ছাহেব পালনপুরী।

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ নাঈমুদ্দীন - মালহাতা জামিয়া ইউনুছিয়া বি.বাড়িয়া

প্রশ্ন

সালাম বাদ, হুযুরের কাছে সবিনয় অনুরোধ হল, নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানালে উপকৃত হতাম।

১. অনেকদিন যাবৎ একটা বিষয়ে অস্থিরতায় ভুগছি। তা হল, ছবকে মন বসে না। অনেক চেষ্টা করেও অন্তর হাজির রাখতে পারি না। হুযুরের দিকনির্দেশনার খুবই মুহতাজ।

২. আরব বিশ্বের সবচে’ সুসংগঠিত ইসলামি আন্দোলন ইখওয়ানুল মুসলিমিন ও তার প্রতিষ্ঠাতা শহীদ হাসানুল বান্না সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ কীভাবে জানতে পারব?

৩. ইমাম খামেনি ও ইরানের ইসলামি বিপ্লব সম্পর্কে জানতে চাই। হে প্রভু! হুযুরের সময়ের মধ্যে পরিপূর্ণ বরকত দান করুন।

উত্তর

মন কেন বসে না? নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। কিন্তু আপনি সেই কারণটি বিস্তারিত উল্লেখ করেননি। যদি অমনোযোগিতার কারণ হয় অন্য কোনো ব্যস্ততা তাহলে অবশ্যই তা পরিত্যাগ করতে হবে। ইলমের জন্য একাগ্রতা ও একনিষ্ঠতা অপরিহার্য। সুতরাং সকল অপ্রয়োজনীয় বিষয় থেকে দূরে থাকুন এবং যথাসম্ভব নিজেকে ইলম ছাড়া অন্য সকল ঝামেলা ও ব্যস্ততা থেকে মুক্ত রাখুন, ইনশাআল্লাহ মন বসতে থাকবে।

আর যদি বিক্ষিপ্ত চিন্তা-ভাবনা বা দুশ্চিন্তার কারণে সবকে মনোনিবেশ করতে না পারেন তাহলে তার রূহানী চিকিৎসা এই যে, ‘মন বসে না’-এই ওয়াসওয়াসাই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। মন বসালেই বসবে। এজন্য জোর করে মনোযোগ ধরে রাখার চেষ্টা করুন। আল্লাহ তাআলার দিকে রুজু করুন। নিজেকে ও নিজের সকল বিষয়কে আল্লাহ তাআলার উপর ন্যাস্ত করে ভারমুক্ত হোন এবং পড়াশোনায় মগ্ন থাকুন।

জামাতের মুত্তাকী ও মেহনতী সাথীদের সংশ্রব গ্রহণ করুন। একাগ্রতার সবচেয়ে ক্ষতিকর বিষয়- গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার এবং তাওবা-ইস্তিগফারের পাবন্দী করার চেষ্টা করুন। সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষিপ্ত চিন্তা এবং দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য সকাল-সন্ধ্যা নিয়মিত নি¤েœাক্ত দুআগুলো পাঠ করুন।

رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ.

اللّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَسَاوِسِ الصَّدْرِ، وَشَتَاتِ الْأَمْرِ.

اللّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ، وَقَهْرِ الرِّجَالِ.

وَ اُفَوِّضُ اَمْرِیْۤ اِلَی اللهِ   اِنَّ اللهَ بَصِیْرٌۢ بِالْعِبَادِ .

حَسْبِیَ اللهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ   عَلَیْهِ تَوَكَّلْتُ وَ هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِیْمِ .

(খ) ইখওয়ানুল মুসলিমীন এবং শায়েখ হাসানুল বান্না রাহ. সম্পর্কে জানতে নিম্নোক্ত রিসালাসমূহ মুতালাআ করতে পারেন :

১. শায়েখ আহমদ আনাস হাজ্জাজী রচিত

روح وريحان من حياة داع ودعوة

২. খায়রুদ্দীন যিরিকলী-এর ‘আল-আ‘লাম’ গ্রন্থে ২/১৮৩-১৮৪-এ শায়েখের জীবনী।

৩. ‘হাসানুল বান্না’, আনওয়ার আলজুনদী, দারুল কলম, দিমাশক্ থেকে প্রকাশিত।

৪. মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভী রাহ.-এর কয়েকটি রিসালা। যেমন, مذكرة سائح في الشرق العربي

বা এর উর্দূ

شرق اوسط كى ڈائرى

پرانے چراغ  ৩/১৩-২২

 ১/৩৬৩-৩৮২كاروان زندگى

دو متضاد تصويريں

এবং

مسلم ممالك ميں اسلاميت اور مغربيت كى كشمكش  পুস্তিকা থেকে আরব বিশ্বের আলোচনা।

৫.  تحريك اخوان المسلمين ماضى وحال মূল : মুহাম্মদ শওকী যকী, অনুবাদ : রিযওয়ান আলী নদবী, ভূমিকা : আবুল হাসান আলী নদভী।

(গ) শীয়াদের ইমাম খোমেনী এবং ইরানী ইনকিলাব সম্পর্কে জানার জন্য প্রাথমিকভাবে মাওলানা মানযূর নোমানী রাহ.-এর রিসালা ايرانى انقلاب- امام خمينی اور شيعيت মুতালাআ করতে পারেন। আতীকুর রহমান সমভলীর انقلاب إيران اور اس كى اسلاميت؟ ايك سفرخيال كى سرگزشت রিসালাটিও দেখতে পারেন।

শেয়ার লিংক

আবু মুহাম্মদ - ধুলেরচর, সদর, টাঙ্গাইল

প্রশ্ন

আল্লাহ তাআলা সিহহাত ও আফিয়াতের সাথে নেক হায়াত দারায করুন এবং হুযুরের খেদমতকে কবুল করুন- আমীন!

হুযুরের কাছে আমার জানার বিষয় হল : أخلص دينك يكفك العمل القليل এই হাদীসে يكفك শব্দের ‘ফা’ এবং ‘কাফ’ এর মাঝে ‘ইয়া’ হরফযোগে يكفيك পড়তে হবে? নাকি ‘ইয়া’ বাদ দিয়ে يكفك পড়তে হবে? কোন্টি সঠিক এবং এর কারণ কী? তাহকীক ও কাওয়ায়েদসহ জানালে কৃতজ্ঞ হব।

কেননা বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদীন যাবৎ আমাদের কছিু সাথীদের মাঝে দ্বিমুখী বক্তব্য চলে আসছে। সাথে হাদীসটির হাওয়ালা ও মান উল্লেখ করলে উপকৃত হব।

হুযুরের নিকট আমার ইলমী-আমলী তারাক্কীর জন্য দুআর দরখাস্ত। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।

উত্তর

يكفك শব্দটি মূলত يكفيك ছিল কিন্তু এটি أخلص আমরের সীগার জওয়াব হওয়ার কারণে ‘ইয়া’ হরফটি হযফ হয়েছে। কারণ ‘ইয়া’ হরফটি হরফে ইল্লত, আর নাহবের প্রসিদ্ধ কায়েদা হল, হরফে ইল্লতের ইরাব জযম হলে সেটি হযফ হয়ে থাকে। ইমাম মুনাবী রাহ. ফয়যুল কাদীর গ্রন্থে (১/২৮০) উপরোক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেছেন-

(يكفك) بالجزم جواب الأمر، و في نسخ يكفيك بياء بعد الفاء، ولا أصل لها في خطه.

হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ইবনু আবীদ দুনিয়া ‘কিতাবুল ইখলাস’-এ, ইমাম হাকেম ‘আল-মুস্তাদরাক’ গ্রন্থে (৪/৩০৬) এবং ইমাম বায়হাকী ‘শুআবুল ঈমান’ গ্রন্থে (৫/৩৪২, ৬৮৫৯)।

শেয়ার লিংক

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক - ঢাকা

প্রশ্ন

 ...

 

উত্তর

আমি আপনার দীর্ঘ চিঠিটি পড়েছি। কিন্তু আপনার চিঠির জবাব দেয়ার মত আমি কিছু খুঁজে পাইনি। আমি দুআ করি, আল্লাহ তাআলা যেন আপনার সকল পেরেশানী দূর করেন, দ্বীন ও ইলমের পথে ইস্তেকামাত দান করেন এবং কামিয়াব করেন। আমীন।

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ আল-আমীন হুসাইন - জামিয়া ইসলামিয়া শামছুল উলূম চাঁদখালী মাদরাসা

প্রশ্ন

ক. আমি কাফিয়া জামাতের ছাত্র। আমি অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মনে আমার সমস্যার কথা জানাচ্ছি। আমার অনেক আশা, আমি পরিপূর্ণ মনোযোগ নিয়ে দরসে বসব এবং প্রতিটি বিষয়ের আলোচনা মন দিয়ে শুনবো। কিন্তু আফসোসের বিষয় হল যখন আমি দরসে বসি তখন আমার মন দরসে থাকে না।

খ. আমি কাফিয়া জামাতে পড়ি অথচ আমি সহীহভাবে দ্রুত ইবারত পড়তে পারি না।

গ. বাক্য যদি খুব বড় হয় তাহলে আমি তারকিব করতে পারি না।

ঘ. আমার উস্তাযগণের খেদমত করতে মন চাই না। অনেক সময় তাঁদের সাথে বেয়াদবীমূলক আচরণ করে ফেলি।

ঙ. যখন আমি নিজে নিজে উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে ভাবি, যে আমি কাফিয়া জামাতে পড়ি অথচ এখনও দরসে মন বসাতে পারি না। ইবারত পড়তে পারি না, তারকিব করতে পারি না, উস্তাযগণের খেদমত করি না- তাহলে আমার মাদরাসায় পড়ে কী লাভ? মাদরাসায় পড়ে আর কী হবে, তারচে’ অন্য কাজে লাগি।

অতএব হুযুরের কাছে আমার আকুল আবেদন হল, যেহেতু আমার ভেতর অনেক রোগ আছে, সুতরাং আমাকে এমন কিছু আমল বলে দিবেন, যার উপর আমল করে আমি একজন দ্বীনদার ইস্তিদাদওয়ালা আলেম হতে পারি।

 

উত্তর

আপনার প্রশ্নের জবাব আপনারই চিঠির শেষে রয়েছে। আপনি যখন নিজেই নিজের ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছেন তাহলে এখন করণীয় হল হিম্মত ও নিয়তকে প্রয়োগ করা। মাদরাসায় না-পড়ার কথা কখনো অন্তরে বা মুখে আনবেন না। কারণ মাদরাসায় এমনি পড়ে থাকলেও ফায়দা। আপনি আপনার কোনো মুশফিক ও অভিজ্ঞ উস্তাযের তত্ত্বাবধানে মেহনত করতে থাকুন। আল্লাহ তাআলা আপনাকে কামিয়াব করুন।

শেয়ার লিংক