রবিউল আউয়াল ১৪৩৮ || ডিসেম্বর ২০১৬

মুহাম্মাদ ইসমাঈল বিন আবদুল হালীম - ওয়েব থেকে প্রাপ্ত

প্রশ্ন

 

রদ্দুল মুহতারের ইবারতের শেষাংশে বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আল্লামা শামী রাহ. রুমুয হিসেবে (ط) (ح  ) ব্যবহার করেছেন, এর দ্বারা তিনি কোনদিকে ইশারা করে থাকেন- জানালে উপকৃত হবো।


 

উত্তর

 

কিতাবের শুরুতে আল্লামা ইবনু আবিদীন রাহ.-এর ভূমিকা খেয়াল করে পড়লে আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। তিনি সেখানে লিখেছেন-

ضاما إلى ذلك ما حرره العلامة الحلبي والعلامة الطحطاوي  .

যে বক্তব্যের শেষে তিনি (ط) বা (ح) ব্যবহার করেছেন তা তিনি দুই হাশিয়া থেকে নিয়েছেন এবং রুমুয ব্যবহার করে এর হাওয়ালা দিয়েছেন।

(ط) দ্বারা তিনি বুঝিয়েছেন আল্লামা তাহতাবী রাহ.-কে, যার حاشية الطحطاوي على الدر খুবই প্রসিদ্ধ। আর (ح) দ্বারা বুঝিয়েছেন আল্লামা হালাবী রাহ.-কে, যার পূর্ন নাম ইবরাহীম ইবনে মুস্তফা হালাবী, ওফাত ১১৯০ হিজরীতে। আদ্দুররুল মুখতারেরউপর তার হাশিয়া রয়েছে تحفة الأخيار على الدر المحتار

দেখুন : ইযাহুল মাকনূন ফিয যাইলি আলা কাশফিয যুনূন /২৪০

আর হালাবী রাহ.-এর জীবনীর জন্য দেখুন সিলকুদ দুরার ফী ইয়ানিল করনিছ ছানীয়া আশার মুহাম্মাদ খলীল মুরাদী /৩৭-৩৯

উল্লেখ্য, হালাবী গুনইয়াতুল মুতামাল্লী-এর লেখক হালাবী নন। তার নাম হলো ইবরাহীম ইবনে মুহাম্মাদ হালাবী, যার ওফাত ৯৫৬ হিজরীতে। আদ্দুররুল মুখতারের উপর তার হাশিয়া হবে কীভাবে? মুসান্নিফ হাসকাফী রাহ.-এর ওফাত হলো ১০৮৮ হিজরীতে।

 

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন