রবিউল আখির ১৪৩১ || এপ্রিল ২০১০

যুবায়ের আহমদ - জামিআ মুহাম্মাদিয়া বনানী, ঢাকা

প্রশ্ন

কুরআন মজীদে পেয়েছি ... كل آمن بالله وملائكته وكتبه ورسله ... আর রিয়াযুস সালেহীনে পড়েছি, لللإيمان : أن تؤمن بالله وملائكته وكتبه ورسله ... ঈমানে মুফাসসালে বলে থাকি آمنت بالله وملائكته وكتبه ورسله ... এই সবখানে ‘রুসুলুহু’ দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু আমরা তো জানি, আল্লাহর প্রতি, নবীগণের প্রতি, ফেরেশতাগণের প্রতি ... ঈমান আনা, জানতে চাই, তাহলে আয়াতে কারীমা বা হাদীসের ব্যাখ্যা কী হবে? মেহেরবানি করে জানিয়ে উপকৃত করবেন।

উত্তর

প্রশ্নে যতটুকু বুঝেছি তার আলোকে আপনাকে কুরআন মজীদের নিম্নোক্ত দু’টি আয়াত ও দু’টি হাদীসের অংশ বিশেষ পড়ার জন্য অনুরোধ করব। আয়াতটির মধ্যে প্রথম আয়াতটি সূরা বাকারার ১৭৭ নং আয়াত ليس البر ان تولوا وجوهكم قبل المشرق والمغرب ولكن البر من آمن بالله واليوم الآخر والملائكة والكتاب والنبيين আর দ্বিতীয় আয়াতটিও একই সূরার ১৩৬ নং আয়াত قولوا آمنا بالله وما آنزل الينا وما انزل إلى ابراهيم واسماعيل واسحاق ويعقوب والاسباط وما اوتى موسى وعيسى وما اوتى النبيون من ربهم لا نفرق بين أحد منهم ونحن له مسلمون আর যে হাদীস দুটির কথা বললাম, তা হাদীসে জিবরীলেরই দু’টি ভিন্ন রেওয়ায়েত। হযরত ইবনে আব্বাস রা. ও হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত উভয় রেওয়ায়েতেই নিম্নোক্ত বাক্যটি রয়েছে। الايمان أن تؤمن بالله واليوم الآخر والملائكة والكتاب والنبيين দেখুন : মুসনাদে আহমদ ১/৩১৯, হাদীস : ২৯২৪; মুসনাদে বাযযার-মাজমাউয যাওয়াইদ ১/৩৮-৪০ আমার ধারণা, আপনার মনে উপরোক্ত প্রশ্ন জাগার পিছনে কারণ হল নবী ও রাসূলের মধ্যকার ইসতিলাহী ফরকটি। মনে রাখবেন, সেটি একটি ইসতিলাহ ছাড়া আর কিছুই নয়। অন্যথায় কুরআনে নবী শব্দ রাসূল অর্থে এবং রাসূল শব্দ নবী অর্থে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। আশা করি, আপনার কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। তবুও কোনো প্রশ্ন থাকলে আবার লিখতে পারেন।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন