সফর ১৪৩১ || ফেব্রুয়ারী ২০১০

আবু সালেহ মুহাম্মাদ মুসা - মিরপুর, ঢাকা

প্রশ্ন

আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ একটি খুতবা শুনে এসেছি। কিছু দিন আগে কোনো এক কাজে ইমাম বায়হাকীর ‘দালাইলুন নুবুওয়াহ’ দেখার প্রয়োজন হয়েছিল। তাতে (৫/২৪১-২৪২) খুতবাটি দেখতে পেলাম। ইমাম বায়হাকী সনদসহ উল্লেখ করেছেন যে, গযওয়ায়ে তবুকের সময় তবুকে পৌঁছার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবাটি প্রদান করেছিলেন। তবে দালাইলুন নুবুওয়াহর টীকাকার হাফেয ইবনে কাছীর থেকে এই রেওয়ায়েত সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য উদ্ধৃত করেছেন। তিনি বলেন, জানার বিষয় এই যে, খুতবাটি হাদীস হিসেবে বর্ণনা না করে নিছক খুতবা হিসেবে পাঠ করা যাবে কি না? হাফেয ইবনে কাছীর রাহ.-এর মন্তব্য ‘ওয়াফীহি নাকারাতুন’-এর কারণে কিছুটা সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে। আল্লাহ তাআলা আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন এবং হায়াতে তাইয়েবা নছীব করুন। আমীন।

উত্তর

আমরা দালাইলুন নুবুওয়াহ ও আলবিদায়াহ ওয়ান নিহায়া (ইবনে কাছীর) দেখেছি। উপরোক্ত খুতবা হাদীস হিসেবে উল্লেখ না করে শুধু খুতবা হিসাবে পাঠ করতে অসুবিধা নেই। এর বক্তব্য সহীহ। ‘ফীহি নাকারাতুন’-এর সম্পর্ক খুৎবাটির পূর্ণ কাঠামো এবং এভাবে তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, খুতবার বক্তব্য সহীহ হওয়া বা না হওয়ার সঙ্গে নয়। অবশ্য শেষ শব্দটি এর পরিবর্তে পড়া উচিত।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন