মুহাম্মাদ আহমদুল্লাহ - মাদানী নগর, ঢাকা-১৩৬১

প্রশ্ন

 প্রশ্ন : ক) আমি এ বছর শরহে বেকায়া জামাতে অধ্যয়নরত। ইদানীং লক্ষ্য করেছি, আমার কিছু ছাত্র ভাই হাদীস মুখস্থ করছে। তাই আমি যাদুত তালেবীন কিতাবটির হাদীসসমূহ মুখস্থ করতে চাচ্ছি। আমি কি এ কিতাবের হাদীস মুখস্থ করব, না অন্য কোনো কিতাব থেকে মুখস্থ করব? আর সহজ কিছু হাদীসের কিতাবের নাম জানিয়ে উপকৃত করবেন। প্রশ্ন : খ) হাদীস মুখস্থ করার সহজ নিয়ম ও এ সময় লক্ষ্যণীয় বিষয়সমূহ জানিয়ে উপকৃত করবেন।

উত্তর

উত্তর : ক ও খ) আপনি শায়খ মুহিউদ্দীন মুহাম্মাদ আওয়ামার পুস্তিকা মিন সিহাহিল আহাদীসিল কিসার দ্বারা হিফয শুরু করুন। এই কিতাবটি মাকতাবাতুল আশরাফ, বাংলাবাজার, ঢাকা থেকে অনুবাদসহ প্রকাশিত হয়েছে। এর শুরুতে বান্দার একটি দীর্ঘ ভূমিকা আছে। আশা করি, তাতে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ তারিফুজ্জামান - জামিয়া মুহিউসসুন্নাহ মাদরাসা বাঘারপাড়া, যশোর

প্রশ্ন

 

মুহতারাম মুহাদ্দিস সাহেব হজুর দামাত বারাকাতুহুম। আশা করি, আপনি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন এবং আমিও আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে ভালো আছি। হুজুরের নিকট নিম্নলিখিত প্রশ্নের সমাধান দেওয়ার বিনীত আবেদন রইল।

প্রশ্ন : ক) হযরত আশরাফ আলী থানভী রাহ. তাঁর তালীম-তরবিয়তের তরীকা নামক কিতাবে বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজকাল তালীমের জন্য তো লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হয় এবং এজন্য বহু সময়ও ব্যয় করা হয়, কিন্তু সোহবতে সালেহর জন্য কেউ একটি মাসও দেয় না। তাই জানার বিষয় হল, ছাত্রজীবনে আল্লাহ ওয়ালাদের কাছে মুরীদ হওয়া কি জরুরি? 

প্রশ্ন : খ)  হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রাহ.-এর জীবনী সম্পর্কে জানতে হলে সঠিক তথ্যনির্ভর কোন কিতাব অধ্যয়ন করতে পারি?  


 

উত্তর

 

এতটুকু ইহসান তো করেছেন যে, আপনি শুধু মুহাদ্দিস লিখেছেন, মুফতী লেখেননি। প্রিয় ভাই! উপাধি প্রয়োগের বিষয়ে আমাদের সাবধান হওয়া জরুরি। বাস্তবেই যিনি কোনো উপাধির যোগ্য তাকেও যদি ঐ উপাধি দ্বারা সম্বোধন না করা হয় তাহলেও তো ক্ষতি নেই। তাই ভারী উপাধিগুলো খুব কম ব্যবহার করা উচিত। 

আমার এমনিতেও উপাধি পছন্দ নয়, বিশেষত মুফতীর মতো ভারী ও দায়িত্বপূর্ণ উপাধি। কেউ যদি সুধারণার কারণে আমাকে এসব উপাধির যোগ্যও মনে করেন তবু কি আমার অপছন্দের দিকটি সদয় বিবেচনা করে আমার সম্পর্কে এসব উপাধি প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে পারেন না? আল্লাহ তাআলা এমন লোকদেরকে আমার পক্ষ থেকে জাযায়ে খায়র দান করুন। আমীন।  

আপনার প্রশ্নের সমাধান নিচে দেওয়া হল।

ক) আপনি হযরত থানভী রাহ.-এর যে কথা উদ্ধৃত করেছেন তাতে তো মুরীদ হওয়ার কথা নেই, আছে সোহবতের কথা। আপনি এখন থেকেই তালীমী মুরববীর পরামর্শক্রমে কোনো মুত্তাবিয়ে সুন্নত মুসলিহের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন এবং মাঝে মাঝে তার সোহবতে বসুন, তার কাছে যান। অন্যথায় নিজ তালীমী মুরববীর সোহবতেই প্রতিদিন পাঁচ মিনিট হলেও সময় কাটাতে থাকুন।  

খ) হযরত আবুল হাসান নদভী রাহ.-এর কিতাব তারীখে দাওয়াত ওয়া আযীমত ও হাকীমুল উম্মত থানভী রাহ.-এর আসসুন্নাতুল জালিয়্যাহ ফিল চিশতিয়্যাতিল আলিয়্যাহ কিতাব দুটি অধ্যয়ন করুন। দ্বিতীয় কিতাবটি জীবনী-গ্রন্থ নয়, তবে অতি উপকারী হবে ইনশাআল্লাহ।

আপনি অন্য একটি চিঠিতে তাফসীরে তাওযীহুল কুরআনের মাকাম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। জানি না, আপনি কিতাবের শুরুতে হযরত মুসান্নিফের ভূমিকাটি পড়েছেন কি না। প্রথম ও তৃতীয় খন্ডে আরো কয়েকটি ভূমিকা আছে। ঐ ভূমিকাগুলো পড়ে নিলে সম্ভবত এই প্রশ্ন জাগত না। 

 

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ মাহমুদ হাসান - বড় মসজিদ, মোমেনশাহী

প্রশ্ন

আমি এ বছর শরহে বেকায়া জামাতে ভর্তি হয়েছি। ইতিপূর্বে কখনো কোনো কিতাবের কোনো শরাহ সংগ্রহ করিনি। বেশি প্রয়োজন হলে অন্যেরটা দেখে নিতাম। কিন্তু এ বছর অন্যদের দেখে আমি ভাবলাম কিছু শরাহ কেনা দরকার। এজন্য বড় ভাইদের থেকে শরাহর নামও জেনে নিয়েছি। এরপর অপর এক ভাইয়ের কাছে বিষয়টা জানালে তিনি পরামর্শ দিলেন, দরস ও তাকরারের পর যে সময়টুকু পাওয়া যায় তাতে মূল কিতাব পড়ে শরাহ দেখার সময় কোথায়? তার কথা শুনে শরাহ আর কেনা হয়নি। এখন আমি শরাহ কেনার বিষয়ে কোন দিক অবলম্বন করব। আর যদি কিনতে হয় তাহলে কোন কিতাবের কোন শরাহ বেশি উপযোগী হবে, জানিয়ে বাধিত করবেন।


উত্তর

এখন পড়ার সময় নেই-এ কথা ভেবে কোনো কিতাব সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকা অনুচিত। এখন সময় না থাকলেও পরে সময় হবে। তাছাড়া পুরো কিতাব পড়ার সুযোগ না হলেও প্রয়োজনের সময় তা থেকে সহযোগিতা নেওয়া যাবে কিংবা আল্লাহর অন্য কোনো বান্দার কাজে আসতে পারে। ভবিষ্যত বংশধরদের মাঝে এ কিতাবের পাঠক তৈরি হতে পারে। এজন্য আল্লাহ তাআলা যাকে কিতাব সংগ্রহের সামর্থ্য দিয়েছেন তার এ থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। 

শরহে বেকায়ার জন্য আসসিআয়াহ, আলইযাহ, ফাতহু বাবিল ইনায়াহ ও জামিউর রুমূয সংগ্রহ করতে পারেন। আর সহযোগী হিসেবে আলফিকহুল হানাফী ফী ছাওবিহিল জাদীদ ও আলহাদী ইলা আহাদীসিল আহকাম কিংবা জামিউ আহাদীসিল আহকাম (ইলাউস সুনানের মতন)ও সংগ্রহে রাখতে পারেন। 

আপনার মাদরাসায় শরহে বেকায়া জামাতে আর কী কী কিতাব আছে জানালে আরো কিছু পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ মাসুম - জামিয়া ফয়জুর রহমান রাহ. বড় মসজিদ, মোমেনশাহী

প্রশ্ন

নুসূস হিফযের প্রতি আমার বেশ আগ্রহ অনেক আগে থেকেই। কুরআন তরজমা পড়ার সময় বিষয়ভিত্তিক আয়াত একত্র করার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু এ বিষয়ে সুন্দর সুন্দর অনেক সংকলন আছে জানতে পেরে তা আর করা হয়নি।

এখন আমি এমন একটি আরবী সংকলনের প্রয়োজন অনুভব করছি, যার মধ্যে পূর্ণ কুরআন মজীদকে আলোচনাভিত্তিক পৃথক শিরোনামে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ সংকলন করা হয়েছে। অনুগ্রহ করে জানালে কৃতজ্ঞ হব।


উত্তর

আপনি একটি নেক কাজের ইচ্ছা করার পরও অন্যের কথায় কেন তা থেকে ফিরে এলেন? আপনি কি তালীমী মুরববীর সাথে পরামর্শ করেছিলেন? আপনার এ প্রশ্ন তো তার কাছেই করা উচিত যিনি আপনাকে বলেছেন যে, এ বিষয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর সংকলন মজুদ আছে! তার থেকে কোনো উত্তর পাওয়া পর্যন্ত আমার দরখাস্ত এই যে, আপনি মিন সিহাহিল আহাদীসিল কিসার লিননাশিআতিস সিগার-এর বাংলা অনুবাদের ভূমিকায় উল্লেখিত নির্দেশনা অনুযায়ী আমল করতে থাকুন। এরপর কোনো সময় আমাকে জানান যে, আপনার কাজ কতটা অগ্রসর হয়েছে এবং এই বিষয়ে বিভিন্ন ভাষা ও বিভিন্ন যুগে সংকলিত কতগুলো কিতাবের নাম আপনি জানতে পেরেছেন।

শেয়ার লিংক

ইবনে সাইর - জামিআ রাহমানিয়া আরাবিয়া মুহাম্মাদপুর, ঢাকা-১২০৭

প্রশ্ন

ক) আগামী কিছু দিনের মধ্যে কুতুবে সিত্তাহর শুরূহাত সংগ্রহের ইচ্ছা করেছি। কিন্তু আমার নিকট নির্ভরযোগ্য শুরূহাতের কোনো তালিকা নেই। তাছাড়া শরহু মাআনিল আসারের মতো হাদীসের যে সকল কিতাবে মাসআলার সাথে সাথে হানাফী মাযহাবের দলীল-প্রমাণাদি উদ্ধৃত হয়েছে তারও একটি তালিকা হলে সংগ্রহ করা সহজ হবে।

প্রশ্ন : খ) আমরা আপনার যবানে ও কলমে অনেকবার শায়খ আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রাহ. (মৃত্যু ১৪১৭ হি.)-এর কথা শুনেছি। আমার দিলের তামান্না, শায়খ রাহ.-এর জীবনী (বিশেষত পাকিস্তানে অবস্থানকালীন তিন মাসের আলোচনা) ধারাবাহিকভাবে প্রিয় মাজাল্লাহ মাসিক আলকাউসারে প্রকাশ হোক।


 

উত্তর

ক) ১৪২৬ হি. মোতাবেক ২০০৫ ঈ. বর্ষের বিভিন্ন সংখ্যায় কয়েকবার এ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ শরাহসমূহের তালিকা দেওয়া হয়েছে। আর ফিকহে হানাফীর দলিল-প্রমাণ সম্বলিত অনেক কিতাবের নাম আলমাদখাল ইলা উলূমিল হাদীসিশ শরীফ (পৃষ্ঠা : ১৪০-১৪১)

طريقة قريبة لمعرفة الصحيح والضعيف في الجملة

 শিরোনামের অধীনে উল্লেখ হয়েছে। আপনি তা দেখে নিন। ইমাম আবু বকর জাসসাসের কিতাব শরহু মুখতাসারিত তহাবী এখন ৮ খন্ডে প্রকাশিত হয়েছে। তা সংগ্রহ করুন ও মনোযোগ দিয়ে মুতাআলা করুন।

খ) আরো কয়েক বন্ধুও এই আবেদন করেছেন। কিছুটা বিলম্ব হলেও আমরা তা পালনের চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।  

শেয়ার লিংক

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক -

প্রশ্ন

আমি ফতোয়া, তাফসীর ও তারীখের কিছু কিতাব কিনতে ইচ্ছুক। তাই কোন কিতাবগুলো কিনলে ভালো হবে এবং বুঝতে সহজ হবে জানালে উপকৃত হব।


উত্তর

এই প্রশ্নের সাথে আপনার নাম, ঠিকানা, কোন জামাতে পড়ছেন এবং আপনার ইসতিদাদ কেমন ইত্যাদি সবকিছু জানানো প্রয়োজন ছিল। তাহলে সে হিসেবে আপনার উপযোগী কিতাব নির্বাচন করা যেত। এখন সংক্ষেপে তিনটি কথাই বলতে পারি :

১. আপনার তালীমী মুরববীর সাথে পরামর্শ করুন।

২. কোনো ইলমী কুতুবখানা বা কোনো বড় ব্যবসায়িক কুতুবখানায় চলে যান। সংশ্লিষ্ট ফনের নতুন তাহকীককৃত কয়েকটি কিতাবের তথ্যপঞ্জি/মাসাদির-মারাজি দেখে সেখান থেকে একটি তালিকা আপনি নিজেও প্রস্ত্তত করে নিতে পারেন। এরপর ঐসব কিতাব খুঁজে ভূমিকা, সূচি ও বিভিন্ন জায়গা থেকে কিছু কিছু মুতালাআ করে কিতাবটি সম্পর্কে অনুমান করার চেষ্টা করুন। এভাবে কয়েকটি কিতাব নির্বাচন করে মুতালাআ করুন। আল্লাহ তাআলা আপনাকে তাওফীক দান করুন।

তবে ফাতাওয়ার কিতাবাদি সম্পর্কে সচেতন তালিবে ইলমের কুতুবখানায় নিম্নোক্ত কিতাবগুলো থাকা উচিত।

১. রদ্দুল মুহতার (সম্ভব হলে শায়খ হুসামুদ্দীন ইবনে মুহাম্মাদ সালেহ ফুরফুরের তাহকীককৃত কিতাব)

২. ফাতাওয়া তাতারখানিয়া (পূর্ণাঙ্গ এডিশন, মাওলানা শাববীর আহমদের তাহকীককৃত)

৩. আলমুহীতুল বুরহানী (২৫ খন্ডে প্রকাশিত ও ইদারাতুল কুরআন থেকে তাহকীককৃত)

৪. আলমুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা (খায়রুল কুরূনের ফকীগণের ফতোয়া জানার জন্য)

৫. আলআওসাত, মুহাম্মাদ ইবনুল মুনযির (ফুকাহায়ে সালাফ ও আইম্মায়ে আরবাআর ফতোয়া জানার জন্য)

৬. আলমওসূআতুল ফিকহিয়্যাহ আলকুয়াইতিয়্যাহ (৪৫ খন্ডে প্রকাশিত। ফিকহুল মুকারান সম্পর্কিত একটি সহজ মওসূআ)

৭. ফিকহুন নাওয়াযিল (আধুনিক মাসআলার জন্য)। সংকলন ও বিন্যাস : মুহাম্মাদ ইবনে হুসাইন জিযানী। এ কিতাবে বিভিন্ন দেশের ফিকহ বোর্ডের সিদ্ধান্ত সংকলন করা হয়েছে।

৮. জাদীদ ফিকহী মাবাহিছ, মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম কাসেমী

৯. হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুমের কিতাবসমূহ

১০. ফাতাওয়া উসমানী, হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী

১১. কিফায়াতুল মুফতী (তাখরীজকৃত সংস্করণ)

১২. ফাতাওয়া রহীমিয়া (তাখরীজকৃত সংস্করণ)

১৩. আহসানুল ফাতাওয়া, মুফতী রশীদ আহমদ লুধিয়ানভী রাহ.।

তবে যেসব মাসআলায় হযরত মুফতী ছাহেব এককভাবে ভিন্ন কোনো ফয়সালা দিয়েছেন সেসব মাসআলা সম্পর্কে মুফতীগণের সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে।

তাফসীরের আরবী কিতাবসমূহের মধ্য থেকে ৫টি কিতাব দিয়ে কুতুবখানা শুরু করুন, যে পাঁচটি কিতাব হযরত উস্তাদ মুহতারাম উলূমুল কুরআন-এ বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।

উর্দু তাফসীরের জন্য বয়ানুল কুরআন, মাআরিফুল কুরআন, তাফসীরে উসমানী ও তাওযীহুল কুরআন সংগ্রহ করুন।

তারীখের কিতাবের জন্য আলবিদায়াহ ওয়ান নিহায়া, শাযারাতুয যাহাব, আলী মুহাম্মাদ ছাল্লাবীর কিতাবসমূহ, দারুল মুসান্নিফীন আযমগড়ের কিতাবসমূহ।

তবে প্রথমে মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভী রাহ.-এর কিতাবসমূহ ও হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুমের কিতাবসমূহ সংগ্রহ করুন।

শেয়ার লিংক